★মুসলিম উম্মাহ আজ এত লাঞ্চনার শিকার কেন?★
إَنّ الْحَمْدَ لِلّه.ألْحَمْدُ لِلّٰهِ نَحْمَدُه وَ نَسْتَعِيْنُه.مَنْ يّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلّلَه وَ مَنْ يُضْلِلِلّٰه فَلَا هاَدِيَ لَه. وَ نشْهَدُ أنْ لآ إلاَهَ إلَّا اللّٰه و نشْهَدُ أنَّ مُحَمّـداً عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ.أمَّا بَعْدُ:-
বর্তমান পরিস্থিতির দিকে যদি আমরা একটু লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব ইরাক, ইয়ামান, শাম, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, কাশমীর, চেচনিয়া, বসনিয়া, সোমালিয়া ও মিয়ানমার সহ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে আজ মুসলিমরা নির্যাতীত ও নিপিরীত। লাঞ্চনা, ভৎসনা, অপদস্ততা ও অপমানের গ্লানী কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। কোন বোন হয়ত তার শামীকে হারিয়েছে। কোন সন্তান হয়ত তার পিতা-মাতাকে হারিয়েছে। অথবা চোখের সামনেই কোন মার সন্তান কে জবাই করে মার বুক খালি করে দেয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে, তখন একজন সুস্থ মস্তিস্কের মুসলিমকে বার বার তার বিবেগ তাকে প্রশ্ন করে, ইসলামের সুরু লগ্নে আমরাত রাজা ছিলাম আর কুফ্ফাররা ছিল আমাদের গোলাম! কিন্তু মুসলিম উম্মাহ আজ এত লাঞ্চনার শিকার কেন?
তখন এই ইস্যুটি নিয়ে যদি কোন আলেমে সু্লতান তথা
দরবারী আলেমকে জিগ্যেস করা হয়, তখন সে বলে শুধু ইলমের অভাবে আজ মুসলিম উম্মাহ এত লাঞ্চনার শিকার। যদি কোন নামধারী পীর-মাশায়েখদের জিগ্যেস করা হয়, সে বলে বড় বড় খানকা আর দরবারের অভাব। যদি কোন কলামিস্টকে জিগ্যেস করা হয়, সে বলে এটা আমাদের লেখা-লেখির কমতি। যদি কোন দাওয়াতি দলকে জিগ্যেস করা হয়, তারা বলে এটা আমাদের দাওয়াতের অভাব। কিন্তু ব্যাপারটাকি বাস্তবিক পক্ষেই এরকম?
না। কখনই এরকম নয়। যদি বিষয়টা শত্যিকারার্থে এমনিই হত, তবে রাশিয়াতে ইসলাম কখনই ধংশ হতনা। কারণ সেখানে আলেম, পীর-মাশায়েখ, কলামিস্ট এবং দার্শনিক কোনটাই কম ছিল না। তাহলে বাস্তব বিষয়টি কি?
চলুন তবে আমরা সঠিক উত্তরটি পেতে এসমস্ত উলামায়ে সূ, দায়ী বিল লিসান ও পীর-মাশায়েখ এবং কলামিস্টদের এই ভ্রান্ত মতবাদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাতে রাসুলুল্লাহকেই জিগ্যেস করি।
(কিতাবুল্লাহ-)
(এক)
আল্লাহ পক রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন,,, ياايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ(38)اِلّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (سورة التوبة39)
অর্থঃ
[৩৮]হে ঈমাদারগণ তোমাদের কি হল? যখন তোমাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে বলা হয় তখন তোমরা মাটি কামড়ে ধর! তোমরা কি আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার হায়াতের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গেলে? জেনে রেখ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার হায়াত একেবারেই সল্প। [৩৯] যদি তোমরা বের না হও তবে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক সাস্তি দিবেন এবং তোমদেরকে ব্যাতীত অন্য এক জাতীকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করে দিবেন এবং তোমরা কিছুর মাধ্যমে তার কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত বস্তুর উপর মহা শক্তিধর।
{সূরা তাওবা ৩৮-৩৮}
قال الصابوني:
[ إلا تنفروا يعذبكم عذابا أليما ] أى ان لا تخرجوا الى الجهاد مع رسول الله ، يعذبكم الله عذابا اليما موجعا ، باستيلاء العدو عليكم في الدنيا ، وبالنار المحرقة في الاخرة
অর্থঃ
ইমাম সাবুনী রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,
[যদি তোমরা বের না হও তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণা দায়ক শাস্তি দিবেন] অর্থাৎঃ যদি তোমরা রাসূল সাঃ এর সাথে জিহাদে বের না হও তাহলে আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবন। দুনিয়ার মধ্যে তোমাদের উপর তোমাদের শত্রুদেরকে বিজয়ী করবেন আর আখেরাতে তোমাদেরকে শাস্তি দিবে জলন্ত আগুন দ্বারা।
সুতরাং এই আয়াত এবং এর ব্যাখ্যার দ্বারা এটিই ইস্পষ্ট হচ্ছে যে, মুসলিম উম্মাহর আজ এত নির্জাতনের কারণ হচ্ছে জিহাদ ছেড়ে দেয়া।
(দুই)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ও তা'আলা বলেন,,,
قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ(سورةالتوبة24)
অর্থঃ
হে রাসূল! আপনি বলে দিন, যদি তোমাদের নিকট তোমাদের পিতা-মাতা এবং তোমাদের ছেলে-সন্তান এবং তোমাদের ভাইগন এবং তোমাদের স্ত্রী সমূহ এবং তোমাদের পারা প্রতিবেশি এবং তোমাদের কামাই করা ধন-সম্পদ এবং তোমাদের এরকম ব্যবসা যা তোমরা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের এরকম বসস্থান
যার উপর তোমরা সন্তুষ্ট এগুলো যদি তোমাদের নিকট বেশি প্রিয় হয় আল্লাহ এবং তার রাসূল এবং তার পথে জিহাদ করা থেকে তবে তোমরা আল্লাহর আদেশ (অর্থাৎঃ আল্লাহর আযাব) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাক।
{সূরা তাওবা ২৪}
একটু লক্ষ করুণ, এই আতটি দ্বারাও এটিই প্রমাণিত হচ্ছে যে, যদি মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ ও তার রাসূল এবং তার পথে জিহাদ করা উপেক্ষা আয়াতে উল্যেখিত
আট টি বস্তুকে বেশি ভালবাসে তখন মহান আল্লাহ তার আযাবের অপেক্ষ করতে বলছেন। অর্থাৎ লাঞ্চনা আর ভৎসনার কারণ হচ্ছে জিহাদকে ছেড়ে দেয়া।
(তিন)
এরকম ভাবে আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বর্ণনা করেন,,,
وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ (195)
অর্থঃ
তোমরা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর এবং তোমরা নিজেদের হাত দ্বারা নিজেদেরকে ধংসের দিকে নিক্ষেপ করো না আর তোমরা দয়া কর নিশ্চই আল্লাহ দয়াশীলদের ভালবাসেন।
{সূরা বাকারা ১৯৫}
হযরত আবু আয়্যুব আনসারি রাঃ বলেন এই আয়াত আমাদের আনসারদের ব্যপারে নাযিল হয়েছে। যখন ইসলামের বিজয় অর্জিত হল তখন মুসলিমগণের মধ্যে থেকে কেও কেও মনে মনে বলতে লগল যে,এখনতো জিহাদ শেষ তাই বাড়িতে গিয়ে নিজেদের গবাদী পশু এবং ক্ষেত-খামারের দেখাশুনা করি। তখনই আল্লহ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করেন।এবং বলেন তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে ধংসে নিক্ষেপ করো না।
সুতরাং এই আয়াতটি থেকেও এই বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, জিহাদ ছেড়ে দেয়া মানে হচ্ছে নিজেদের হাতেই নিজেদেরকে ধংশের মধ্যে পতীত করা। আর এই বিষয়টিই আবু আয়্যুব আনসারী রাঃ বুঝতে পেরেছিলেন।
যার কারণে তিনি তার সমস্ত জীবনে যুদ্ধ পরিত্যাগ করেন নি। অবশেষে তিনি ইস্তাম্বুলে সমাহিত হন।
আর তার এই আয়াতের ব্যাখ্যার মত ব্যাখ্যা করেছেন আঃ ইবনে আব্বাস সহ আরো বিক্ষাত তাফসীর বিশারদগণ।
(চার)
অপর এক আয়াতে আল্লাহু( عَزَّ وَ جَلَّ) মুনাফেকদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ করেন,,,
وَسَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَوِ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنْفُسَهُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ (سورة التوبة42)
অর্থঃ
তাহারা আল্লাহর নামে কসম করে বলে, যদি আমাদের সমর্থ থাকত তবে অবশ্যই আমরা তোমাদের সাথে (জিহদে)বের হতাম। তাহারা তাহাদের নিজেদেরকেই ধংস
করতেছে, আল্লাহ তা'আলা জানেন যে, নিশ্চই
তাহারা হল মিথ্যাবাদী।
{সূরা তাওবা ৪২}
আপনি লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন যে, মুনাফিকদের মিথ্যা অযুহাত করে জিহাদে না বের হওয়ার ফলস্রুতি হিসেবে বলা হচ্ছে তাহারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। এই আয়াতটিও প্রমান বহন করে
মুসলিম উম্মাহর আজ এত লাঞ্চনার কারণ হচ্ছে জিহাদ ছেড়ে দেয়া।
(সুন্নাতু রাসূলিল্লাহ সাঃ)
(এক)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
عن أبي بكر رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما ترك قوم الجهاد إلا عمهم الله بالعذاب رواه الطبراني بإسناد حسن
অর্থঃ
আবু বকর রাঃ বলেন রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
কোন গোত্রই জিহাদকে পরিত্যাগ করে না কিন্তু আল্লাহ যাদেরকে আযাবের মধ্যে শামিল করেন। (অর্থাৎঃ শুধু তাহারাই জিহাদকে ছেড়ে দেয় যাহাদেরকে আল্লাহ আযাবের মধ্যে শামিল করবেন।
এর দ্বারা এটাই বুঝেআসে যে, আযাবের কারণ হচ্ছে জিহাদ পরিত্যাগ করা।
{ইমাম তবরানি (রহঃ) হাদীসটিকে সনদে হাসানের সাথে বর্ণনা করেন}
(দুই)
অপর এক হাদীসে এসেছে,,,
إذا تبايعتم بالعينة و أخذتم أذناب البقر و رضيتم بالزرع و تركتم الجهاد سلط الله عليكم ذلا لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم (سنن أبي داود)
অর্থঃ
যখন তোমরা এক প্রাকার ঈনাহ নামক সুদী ব্যবসার লেনদেন করবে এবং গাভির লেজ ধরে বসে থাকবে এবং খেত-খামার নিয়েই ব্যস্ত থাকবে এবং তোমরা ( এই তিনটি কাজে মশগুল থাকার কারণে) জিহাদকে ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তোমাদর উপর লাঞ্চনা চাপিয়ে দিবেন যতক্ষণনা তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে(জিহাদের দিকে) প্রত্যাবর্তন কর।
{সুনানে আবু দাউদ}
(তিন)
অন্যত্র আল্লাহর হাবীব(সাঃ)এরশাদ করেনঃ
عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « يُوشِكُ الأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ». فَقَالَ قَائِلٌ وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ قَالَ « بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ وَلَيَنْزِعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِى قُلُوبِكُمُ الْوَهَنَ ». فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوَهَنُ قَالَ « حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ ».(سنن أبي داود4299)
مسند الإمام أحمد بن حنبل:
وَمَا الْوَهَنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ حُبُّكُمْ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَتُكُمْ الْقِتَالَ (8713)
অর্থঃ
সাওবান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, (অদুর ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন)
সমস্ত কুফ্ফাররা একজোট হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে তারা একে অপরকে আহ্বান করবে। যেরকম খুদার্থরা একে অপরকে খানার প্লেটের দিকে আহ্বান করে। কোন এক সাহাবী বলে উঠলেন ইয়া রসুলাল্লাহ আমরা কি সেদিন সংখায় কম হব? তিনি বললেন না। বরংচ তোমাদের সংখ্যা হবে অনেক বেশি কিন্তু তোমরা সমূদ্রের ফেনায় ভেসে যাওয়া
খের-কুটার ন্যায় হবে। এবং আল্লাহ তা'লা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন।
এবং তোমাদের অন্তরে "ওয়াহান" ঢেলে দিবেন। অতপর কোন এক সাহাবী জিগ্যেস করল, হে আল্লাহর রাসূল"ওয়াহান" কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা
আর মৃত্যুর প্রতি অনাশক্তি।
{সুনানে আবু দাউদ ৪২৯৯}
আর মুসনাদে আহমাদের অপর এক বর্ণনায় এসেছে,
রাসুল(সাঃ)কে জিগ্যেস করা হর"ওয়াহান" কি? হে আল্লাহর রাসূল!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ
তোমরা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করবে আর আল্লাহর রাস্তায়
জিহাদ করাকে অপসন্দ করবে।
{৮৭১৩}
সুতরাং আল্লাহর বাণী এবং রাসূল (সাঃ) এর এই হাদীসগুলো দিবালকের ন্যায় বরংবার আমাদের সামনে এই বিষয়টিই ইস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতেছে যে,
মুসলিম উম্মাহ আজ এত লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে শুধু
একটি কারণে আর তা হল জিহাদকে ছেড়ে দেয়া।
অতএব, যখনি এই মুসলিম উম্মাহ আবার জিহাদের পথে ফিরে আসবে ঘরে ঘরে উসামা আর মোল্লা ওমর তৈরী হবে, তখন থেকেই এই নির্যাতিত ও নিপিরীত উম্মাহ আবার তাদের সেই গৌরবময় দিনগুলো ফিরে পাবে। আবারও সমস্ত কুফ্ফাররা মুসলমানদের
গোলামী আর দাসত্ব করে বাঁচবে, কালিমা খচিত কালো পতাকা আবারও পতপত করে উড়বে ইনশাআল্লাহ,,,
আল্লাহ আমাদের সকলকে তার দ্বীনকে সঠিক ভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন।
آمِيْن
وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْن.
নিশ্চয় মু'মিনগণ সরল হয়,
তবে বোকা নয়।
তিনারা বিচক্ষণ হয়,
তবে ধোকাবাজ নয়।
আর অবশ্যই
মু'মিনের সান এটা নয়,
সে একটি গুহাতেই
বারংবার দংশিত হয়।
إَنّ الْحَمْدَ لِلّه.ألْحَمْدُ لِلّٰهِ نَحْمَدُه وَ نَسْتَعِيْنُه.مَنْ يّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلّلَه وَ مَنْ يُضْلِلِلّٰه فَلَا هاَدِيَ لَه. وَ نشْهَدُ أنْ لآ إلاَهَ إلَّا اللّٰه و نشْهَدُ أنَّ مُحَمّـداً عَبْدُهُ وَ رَسُوْلُهُ.أمَّا بَعْدُ:-
বর্তমান পরিস্থিতির দিকে যদি আমরা একটু লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব ইরাক, ইয়ামান, শাম, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, কাশমীর, চেচনিয়া, বসনিয়া, সোমালিয়া ও মিয়ানমার সহ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে আজ মুসলিমরা নির্যাতীত ও নিপিরীত। লাঞ্চনা, ভৎসনা, অপদস্ততা ও অপমানের গ্লানী কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। কোন বোন হয়ত তার শামীকে হারিয়েছে। কোন সন্তান হয়ত তার পিতা-মাতাকে হারিয়েছে। অথবা চোখের সামনেই কোন মার সন্তান কে জবাই করে মার বুক খালি করে দেয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে, তখন একজন সুস্থ মস্তিস্কের মুসলিমকে বার বার তার বিবেগ তাকে প্রশ্ন করে, ইসলামের সুরু লগ্নে আমরাত রাজা ছিলাম আর কুফ্ফাররা ছিল আমাদের গোলাম! কিন্তু মুসলিম উম্মাহ আজ এত লাঞ্চনার শিকার কেন?
তখন এই ইস্যুটি নিয়ে যদি কোন আলেমে সু্লতান তথা
দরবারী আলেমকে জিগ্যেস করা হয়, তখন সে বলে শুধু ইলমের অভাবে আজ মুসলিম উম্মাহ এত লাঞ্চনার শিকার। যদি কোন নামধারী পীর-মাশায়েখদের জিগ্যেস করা হয়, সে বলে বড় বড় খানকা আর দরবারের অভাব। যদি কোন কলামিস্টকে জিগ্যেস করা হয়, সে বলে এটা আমাদের লেখা-লেখির কমতি। যদি কোন দাওয়াতি দলকে জিগ্যেস করা হয়, তারা বলে এটা আমাদের দাওয়াতের অভাব। কিন্তু ব্যাপারটাকি বাস্তবিক পক্ষেই এরকম?
না। কখনই এরকম নয়। যদি বিষয়টা শত্যিকারার্থে এমনিই হত, তবে রাশিয়াতে ইসলাম কখনই ধংশ হতনা। কারণ সেখানে আলেম, পীর-মাশায়েখ, কলামিস্ট এবং দার্শনিক কোনটাই কম ছিল না। তাহলে বাস্তব বিষয়টি কি?
চলুন তবে আমরা সঠিক উত্তরটি পেতে এসমস্ত উলামায়ে সূ, দায়ী বিল লিসান ও পীর-মাশায়েখ এবং কলামিস্টদের এই ভ্রান্ত মতবাদকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাতে রাসুলুল্লাহকেই জিগ্যেস করি।
(কিতাবুল্লাহ-)
(এক)
আল্লাহ পক রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন,,, ياايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ(38)اِلّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (سورة التوبة39)
অর্থঃ
[৩৮]হে ঈমাদারগণ তোমাদের কি হল? যখন তোমাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় বের হতে বলা হয় তখন তোমরা মাটি কামড়ে ধর! তোমরা কি আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার হায়াতের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গেলে? জেনে রেখ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার হায়াত একেবারেই সল্প। [৩৯] যদি তোমরা বের না হও তবে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক সাস্তি দিবেন এবং তোমদেরকে ব্যাতীত অন্য এক জাতীকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করে দিবেন এবং তোমরা কিছুর মাধ্যমে তার কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত বস্তুর উপর মহা শক্তিধর।
{সূরা তাওবা ৩৮-৩৮}
قال الصابوني:
[ إلا تنفروا يعذبكم عذابا أليما ] أى ان لا تخرجوا الى الجهاد مع رسول الله ، يعذبكم الله عذابا اليما موجعا ، باستيلاء العدو عليكم في الدنيا ، وبالنار المحرقة في الاخرة
অর্থঃ
ইমাম সাবুনী রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,
[যদি তোমরা বের না হও তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণা দায়ক শাস্তি দিবেন] অর্থাৎঃ যদি তোমরা রাসূল সাঃ এর সাথে জিহাদে বের না হও তাহলে আল্লাহ তা'আলা তোমাদেরকে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবন। দুনিয়ার মধ্যে তোমাদের উপর তোমাদের শত্রুদেরকে বিজয়ী করবেন আর আখেরাতে তোমাদেরকে শাস্তি দিবে জলন্ত আগুন দ্বারা।
সুতরাং এই আয়াত এবং এর ব্যাখ্যার দ্বারা এটিই ইস্পষ্ট হচ্ছে যে, মুসলিম উম্মাহর আজ এত নির্জাতনের কারণ হচ্ছে জিহাদ ছেড়ে দেয়া।
(দুই)
অপর এক আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ও তা'আলা বলেন,,,
قُلْ إِنْ كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُمْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ(سورةالتوبة24)
অর্থঃ
হে রাসূল! আপনি বলে দিন, যদি তোমাদের নিকট তোমাদের পিতা-মাতা এবং তোমাদের ছেলে-সন্তান এবং তোমাদের ভাইগন এবং তোমাদের স্ত্রী সমূহ এবং তোমাদের পারা প্রতিবেশি এবং তোমাদের কামাই করা ধন-সম্পদ এবং তোমাদের এরকম ব্যবসা যা তোমরা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের এরকম বসস্থান
যার উপর তোমরা সন্তুষ্ট এগুলো যদি তোমাদের নিকট বেশি প্রিয় হয় আল্লাহ এবং তার রাসূল এবং তার পথে জিহাদ করা থেকে তবে তোমরা আল্লাহর আদেশ (অর্থাৎঃ আল্লাহর আযাব) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাক।
{সূরা তাওবা ২৪}
একটু লক্ষ করুণ, এই আতটি দ্বারাও এটিই প্রমাণিত হচ্ছে যে, যদি মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ ও তার রাসূল এবং তার পথে জিহাদ করা উপেক্ষা আয়াতে উল্যেখিত
আট টি বস্তুকে বেশি ভালবাসে তখন মহান আল্লাহ তার আযাবের অপেক্ষ করতে বলছেন। অর্থাৎ লাঞ্চনা আর ভৎসনার কারণ হচ্ছে জিহাদকে ছেড়ে দেয়া।
(তিন)
এরকম ভাবে আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বর্ণনা করেন,,,
وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ (195)
অর্থঃ
তোমরা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর এবং তোমরা নিজেদের হাত দ্বারা নিজেদেরকে ধংসের দিকে নিক্ষেপ করো না আর তোমরা দয়া কর নিশ্চই আল্লাহ দয়াশীলদের ভালবাসেন।
{সূরা বাকারা ১৯৫}
হযরত আবু আয়্যুব আনসারি রাঃ বলেন এই আয়াত আমাদের আনসারদের ব্যপারে নাযিল হয়েছে। যখন ইসলামের বিজয় অর্জিত হল তখন মুসলিমগণের মধ্যে থেকে কেও কেও মনে মনে বলতে লগল যে,এখনতো জিহাদ শেষ তাই বাড়িতে গিয়ে নিজেদের গবাদী পশু এবং ক্ষেত-খামারের দেখাশুনা করি। তখনই আল্লহ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করেন।এবং বলেন তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে ধংসে নিক্ষেপ করো না।
সুতরাং এই আয়াতটি থেকেও এই বিষয়টি প্রতীয়মান হয় যে, জিহাদ ছেড়ে দেয়া মানে হচ্ছে নিজেদের হাতেই নিজেদেরকে ধংশের মধ্যে পতীত করা। আর এই বিষয়টিই আবু আয়্যুব আনসারী রাঃ বুঝতে পেরেছিলেন।
যার কারণে তিনি তার সমস্ত জীবনে যুদ্ধ পরিত্যাগ করেন নি। অবশেষে তিনি ইস্তাম্বুলে সমাহিত হন।
আর তার এই আয়াতের ব্যাখ্যার মত ব্যাখ্যা করেছেন আঃ ইবনে আব্বাস সহ আরো বিক্ষাত তাফসীর বিশারদগণ।
(চার)
অপর এক আয়াতে আল্লাহু( عَزَّ وَ جَلَّ) মুনাফেকদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ করেন,,,
وَسَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَوِ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنْفُسَهُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ (سورة التوبة42)
অর্থঃ
তাহারা আল্লাহর নামে কসম করে বলে, যদি আমাদের সমর্থ থাকত তবে অবশ্যই আমরা তোমাদের সাথে (জিহদে)বের হতাম। তাহারা তাহাদের নিজেদেরকেই ধংস
করতেছে, আল্লাহ তা'আলা জানেন যে, নিশ্চই
তাহারা হল মিথ্যাবাদী।
{সূরা তাওবা ৪২}
আপনি লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন যে, মুনাফিকদের মিথ্যা অযুহাত করে জিহাদে না বের হওয়ার ফলস্রুতি হিসেবে বলা হচ্ছে তাহারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। এই আয়াতটিও প্রমান বহন করে
মুসলিম উম্মাহর আজ এত লাঞ্চনার কারণ হচ্ছে জিহাদ ছেড়ে দেয়া।
(সুন্নাতু রাসূলিল্লাহ সাঃ)
(এক)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
عن أبي بكر رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما ترك قوم الجهاد إلا عمهم الله بالعذاب رواه الطبراني بإسناد حسن
অর্থঃ
আবু বকর রাঃ বলেন রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ
কোন গোত্রই জিহাদকে পরিত্যাগ করে না কিন্তু আল্লাহ যাদেরকে আযাবের মধ্যে শামিল করেন। (অর্থাৎঃ শুধু তাহারাই জিহাদকে ছেড়ে দেয় যাহাদেরকে আল্লাহ আযাবের মধ্যে শামিল করবেন।
এর দ্বারা এটাই বুঝেআসে যে, আযাবের কারণ হচ্ছে জিহাদ পরিত্যাগ করা।
{ইমাম তবরানি (রহঃ) হাদীসটিকে সনদে হাসানের সাথে বর্ণনা করেন}
(দুই)
অপর এক হাদীসে এসেছে,,,
إذا تبايعتم بالعينة و أخذتم أذناب البقر و رضيتم بالزرع و تركتم الجهاد سلط الله عليكم ذلا لا ينزعه حتى ترجعوا إلى دينكم (سنن أبي داود)
অর্থঃ
যখন তোমরা এক প্রাকার ঈনাহ নামক সুদী ব্যবসার লেনদেন করবে এবং গাভির লেজ ধরে বসে থাকবে এবং খেত-খামার নিয়েই ব্যস্ত থাকবে এবং তোমরা ( এই তিনটি কাজে মশগুল থাকার কারণে) জিহাদকে ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তোমাদর উপর লাঞ্চনা চাপিয়ে দিবেন যতক্ষণনা তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে(জিহাদের দিকে) প্রত্যাবর্তন কর।
{সুনানে আবু দাউদ}
(তিন)
অন্যত্র আল্লাহর হাবীব(সাঃ)এরশাদ করেনঃ
عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « يُوشِكُ الأُمَمُ أَنْ تَدَاعَى عَلَيْكُمْ كَمَا تَدَاعَى الأَكَلَةُ إِلَى قَصْعَتِهَا ». فَقَالَ قَائِلٌ وَمِنْ قِلَّةٍ نَحْنُ يَوْمَئِذٍ قَالَ « بَلْ أَنْتُمْ يَوْمَئِذٍ كَثِيرٌ وَلَكِنَّكُمْ غُثَاءٌ كَغُثَاءِ السَّيْلِ وَلَيَنْزِعَنَّ اللَّهُ مِنْ صُدُورِ عَدُوِّكُمُ الْمَهَابَةَ مِنْكُمْ وَلَيَقْذِفَنَّ اللَّهُ فِى قُلُوبِكُمُ الْوَهَنَ ». فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوَهَنُ قَالَ « حُبُّ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَةُ الْمَوْتِ ».(سنن أبي داود4299)
مسند الإمام أحمد بن حنبل:
وَمَا الْوَهَنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ حُبُّكُمْ الدُّنْيَا وَكَرَاهِيَتُكُمْ الْقِتَالَ (8713)
অর্থঃ
সাওবান রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, (অদুর ভবিষ্যতে এমন একদিন আসবে যখন)
সমস্ত কুফ্ফাররা একজোট হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে তারা একে অপরকে আহ্বান করবে। যেরকম খুদার্থরা একে অপরকে খানার প্লেটের দিকে আহ্বান করে। কোন এক সাহাবী বলে উঠলেন ইয়া রসুলাল্লাহ আমরা কি সেদিন সংখায় কম হব? তিনি বললেন না। বরংচ তোমাদের সংখ্যা হবে অনেক বেশি কিন্তু তোমরা সমূদ্রের ফেনায় ভেসে যাওয়া
খের-কুটার ন্যায় হবে। এবং আল্লাহ তা'লা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দিবেন।
এবং তোমাদের অন্তরে "ওয়াহান" ঢেলে দিবেন। অতপর কোন এক সাহাবী জিগ্যেস করল, হে আল্লাহর রাসূল"ওয়াহান" কি? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার প্রতি ভালবাসা
আর মৃত্যুর প্রতি অনাশক্তি।
{সুনানে আবু দাউদ ৪২৯৯}
আর মুসনাদে আহমাদের অপর এক বর্ণনায় এসেছে,
রাসুল(সাঃ)কে জিগ্যেস করা হর"ওয়াহান" কি? হে আল্লাহর রাসূল!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ
তোমরা দুনিয়াকে মুহাব্বাত করবে আর আল্লাহর রাস্তায়
জিহাদ করাকে অপসন্দ করবে।
{৮৭১৩}
সুতরাং আল্লাহর বাণী এবং রাসূল (সাঃ) এর এই হাদীসগুলো দিবালকের ন্যায় বরংবার আমাদের সামনে এই বিষয়টিই ইস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতেছে যে,
মুসলিম উম্মাহ আজ এত লাঞ্চনার শিকার হচ্ছে শুধু
একটি কারণে আর তা হল জিহাদকে ছেড়ে দেয়া।
অতএব, যখনি এই মুসলিম উম্মাহ আবার জিহাদের পথে ফিরে আসবে ঘরে ঘরে উসামা আর মোল্লা ওমর তৈরী হবে, তখন থেকেই এই নির্যাতিত ও নিপিরীত উম্মাহ আবার তাদের সেই গৌরবময় দিনগুলো ফিরে পাবে। আবারও সমস্ত কুফ্ফাররা মুসলমানদের
গোলামী আর দাসত্ব করে বাঁচবে, কালিমা খচিত কালো পতাকা আবারও পতপত করে উড়বে ইনশাআল্লাহ,,,
আল্লাহ আমাদের সকলকে তার দ্বীনকে সঠিক ভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন।
آمِيْن
وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْن.
নিশ্চয় মু'মিনগণ সরল হয়,
তবে বোকা নয়।
তিনারা বিচক্ষণ হয়,
তবে ধোকাবাজ নয়।
আর অবশ্যই
মু'মিনের সান এটা নয়,
সে একটি গুহাতেই
বারংবার দংশিত হয়।
Comment