Tweet
বিজয়ের ওয়াদা কাদের জন্য (ফাওয়ায়েদে কুরআন, পর্ব-১)
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَنْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করলে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পা দৃঢ় রাখবেন। (মুহাম্মদ: ৭)
আল্লামা শানকিতী রহিমাহুল্লাহু বলেন,
আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে বলেন, মুমিনরা আল্লাহকে সাহায্য করলে তিনি শত্রুদের বিপক্ষে তাদের সাহায্য করবেন, তাদের কদম জমিয়ে রাখবেন, অর্থাৎ তাদেরকে পরাজিত হয়ে পলায়ন করা থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়টি বহু আয়াতে স্পষ্ট করেছেন, এবং কিছু আয়াতে যাদের প্রতি সাহায্যের ওয়াদা করেছেন তাদের গুনাবলীও বর্ণণা করেছেন, যেমন এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ولينصرن الله من ينصره إن الله لقوي عزيز
যারা আল্লাহ তায়ালাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন, নিশ্চই তিনি পরাক্রমশালী, মহা শক্তিধর। (হজ: ৪০)
অতপর সাহায্যের ওয়াদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গুনাবলী বর্ণণা করে বলেন,
الذين إن مكناهم في الأرض أقاموا الصلاة وآتوا الزكاة وأمروا بالمعروف ونهوا عن المنكر ولله عاقبة الأمور
যাদেরকে যমিনে কর্তৃত্ব দান করলে তারা নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে, সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে। (হজ: ৪১)
এ আয়াত প্রমাণ করে যারা নামায কায়েম করে না, যাকাত প্রদান করে না, সৎ কাজের আদেশ করে না, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে না- তাদের প্রতি সাহায্যের ওয়াদা নেই।
আর মুমিনদের আল্লাহকে সাহায্য করার অর্থ হলো, মুমিনরা তার দ্বীন ও কিতাবকে সাহায্য করবে, এবং তারা চেষ্টা ও জিহাদ করবে যেন, আল্লাহ তায়ালার কালিমা বুলন্দ হয়, আল্লাহ তায়ালার যমিনে তার হুদুদ কায়েম হয়, তার আদেশ পালিত হয়, তার নিষেধাদি থেকে বেঁচে থাকা হয়, এবং তার নাযিলকৃত বিধান দ্বারা তার বান্দাদের মাঝে ফায়সালা করা হয়। (আযওয়াউল বয়ান, ৭/২৫৩)
বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে এ বিষয়গুলোর জন্য শুধু আলকায়েদা ও তার মানহাজের মুজাহিদরাই জিহাদ করে যাচ্ছে। এবং তারা ক্ষমতাও লাভ করতে চায় নামায কায়েম করা, যাকাত উসুল করে তা যথাযথভাবে বন্টন করা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্যই। সুতরাং বিজয়ের ওয়াদা শুধু তাদের জন্যই। যত ঝড়ঝাপটাই যাক, সিরিয়া বা অন্য কোথাও সাময়িক পরাজয়ই বা হোক, পরিশেষে তারাই বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ। মনে নেই উহুদের যুদ্ধে পরাজয়ের পর আল্লাহ তায়ালা যে বলেছিলেন,
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
তোমরা ভেঙ্গে পড়ো না, চিন্তিত হয়ো না, (পরিশেষে) তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও। (আলে ইমরান: ১৩৯)
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَنْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে সাহায্য করলে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পা দৃঢ় রাখবেন। (মুহাম্মদ: ৭)
আল্লামা শানকিতী রহিমাহুল্লাহু বলেন,
আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে বলেন, মুমিনরা আল্লাহকে সাহায্য করলে তিনি শত্রুদের বিপক্ষে তাদের সাহায্য করবেন, তাদের কদম জমিয়ে রাখবেন, অর্থাৎ তাদেরকে পরাজিত হয়ে পলায়ন করা থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ তায়ালা এ বিষয়টি বহু আয়াতে স্পষ্ট করেছেন, এবং কিছু আয়াতে যাদের প্রতি সাহায্যের ওয়াদা করেছেন তাদের গুনাবলীও বর্ণণা করেছেন, যেমন এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ولينصرن الله من ينصره إن الله لقوي عزيز
যারা আল্লাহ তায়ালাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন, নিশ্চই তিনি পরাক্রমশালী, মহা শক্তিধর। (হজ: ৪০)
অতপর সাহায্যের ওয়াদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গুনাবলী বর্ণণা করে বলেন,
الذين إن مكناهم في الأرض أقاموا الصلاة وآتوا الزكاة وأمروا بالمعروف ونهوا عن المنكر ولله عاقبة الأمور
যাদেরকে যমিনে কর্তৃত্ব দান করলে তারা নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে, সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে। (হজ: ৪১)
এ আয়াত প্রমাণ করে যারা নামায কায়েম করে না, যাকাত প্রদান করে না, সৎ কাজের আদেশ করে না, অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে না- তাদের প্রতি সাহায্যের ওয়াদা নেই।
আর মুমিনদের আল্লাহকে সাহায্য করার অর্থ হলো, মুমিনরা তার দ্বীন ও কিতাবকে সাহায্য করবে, এবং তারা চেষ্টা ও জিহাদ করবে যেন, আল্লাহ তায়ালার কালিমা বুলন্দ হয়, আল্লাহ তায়ালার যমিনে তার হুদুদ কায়েম হয়, তার আদেশ পালিত হয়, তার নিষেধাদি থেকে বেঁচে থাকা হয়, এবং তার নাযিলকৃত বিধান দ্বারা তার বান্দাদের মাঝে ফায়সালা করা হয়। (আযওয়াউল বয়ান, ৭/২৫৩)
বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে এ বিষয়গুলোর জন্য শুধু আলকায়েদা ও তার মানহাজের মুজাহিদরাই জিহাদ করে যাচ্ছে। এবং তারা ক্ষমতাও লাভ করতে চায় নামায কায়েম করা, যাকাত উসুল করে তা যথাযথভাবে বন্টন করা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার জন্যই। সুতরাং বিজয়ের ওয়াদা শুধু তাদের জন্যই। যত ঝড়ঝাপটাই যাক, সিরিয়া বা অন্য কোথাও সাময়িক পরাজয়ই বা হোক, পরিশেষে তারাই বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ। মনে নেই উহুদের যুদ্ধে পরাজয়ের পর আল্লাহ তায়ালা যে বলেছিলেন,
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
তোমরা ভেঙ্গে পড়ো না, চিন্তিত হয়ো না, (পরিশেষে) তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হও। (আলে ইমরান: ১৩৯)
Comment