দাবি
জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ শুধু আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার নাম অথবা প্রত্যেক ঐ আমল যা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার জন্য উদ্বুদ্ধ কারি হয় এবং এর দ্বারা জিহাদের ই সমর্থন পাওয়া যায়।চাই তা মুখদ্বারা হোক কিংবা কলম বা অর্থ দ্বরা। সুতরাং কেউ যদি কলম দিয়ে লেখা লেখী করে এই উদ্দেশ্যে যে, এরদ্বারা হক বাতিলের লড়াইয়ের চিত্র অংকন করবে, যুদ্ধের ময়দানের জন্যে মুজাহিদ তৈরি হবে, মুজাহিদদের উৎসাহ প্রদান করা হবে আর কাফিরদের সাহস দমিয়ে দেওয়া হবে, গাজী এবং শহীদের অবস্থা সকধারন মুসলমান পর্যন্ত পৌঁছানো হবে। তাহলে এই কলমের চেষ্টা প্রচেষ্টা ও নিঃসন্দেহে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে। তদ্রুপ মুখের ভাষা যদি এজন্যে প্রয়োগ করা হয় যে, এর দ্বারা মুসলিম উম্মাহ এর অন্তরে আবেগ ও জযবার ঝর সৃষ্টি করে যুবক শ্রেণীকে ময়দানে জিহাদের দিকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। পদ্য ও গদ্য, কাব্য ও কবিতা, ওয়াজ ও বক্তৃতার মাধ্যমে মুসলমানদের রক্তকে উষ্ণ করা হবে তাহলে এটা ও নিঃসন্দেহে জিহাদ এরই একটি শাখা। তদ্রূপ যদি অর্থের মাধ্যমে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা হয়, মুজাহিদের জন্যে অন্ন বস্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়, গাজী ও শহীদদের পরিবার পরিজননের দেখা শোনা করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটাও জিহাদ বলে গণ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে শের্ত হলো, এ সব কিছু আমীরের অনুসরণেই হতে হবে। রূপক অর্থে এগুলোকে যদিও জিহাদ বলা যেতে পারে ; কিন্তু এগুলোকে প্রকৃত জিহাদ গণ্য করা যাবে না।
আর যদি কলম দিয়ে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে লিখে যাওয়া হয় এবং মুখের ভাষা উম্মতের রাহনুমায়ীর জন্যে ব্যবহার করে যাওয়া হয় অথবা মাদরসার ভবন নির্মাণ ও উন্নতির জন্যে অর্থ প্রদান করা হয় তাহলে এটাকে একটি নেককাজ তো বলা যাবে। আর নিঃসন্দেহে এটা নেক কাজই। কিন্তু তাই বলে এটাকে কস্মিন কালেও 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ ' বলা যাবে না। হায় আল্লাহ !! আমাদের কে সহীহ বুঝ দান করুন।
দলিল ১
(لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا)
[Surat An-Nisa' 95]
অর্থঃ গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা দু'ধরনের লোকের আলোচনা করেছেন। এক " قاعدون " ঘরে বসে থাকা লোক। দুই "مجاهدون " জিহাদ কারি লোক। আর এখানে مجاهدون কে قاعدوএর মোকাবেলায় উল্লেখ করাটা একথার দলীল যে, জিহাদ অর্থ শুধুমাত্র যুদ্ধ করা। কেননা, قاعدون এর মধ্যে রয়েছে ঐ সকল লোক যারা দ্বীনের কোন না কোন কাজ করে ; কিন্তু জিহাদ করে না। চাই সে তাদরীসের কাজ করুক বা তাসনীফের কাজ করুক খানক্বায় আত্মশুদ্ধির কাজ করুক কিংবা নামজ,রোযার দাওয়াত নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ঘুরে বেরাক।
এজন্যে আমি এসকল হযরত দের কাছে দরখাস্ত করব যারা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করে যাচ্ছেন, আর মা-শা-আল্লাহ! আপনারা অত্যন্ত পূন্যময় কাজে লিপ্ত আছেন। কিন্তু তারা দাওয়াতী কাজকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বরং এর চেয়ে বড় মর্যাদা দিয়ে থাকেন আর দ্বীনের অন্য কোন কাজ সম্পাদনকারীকে এমনকি মুজাহিদদের কেও আসল দ্বীনের জন্যে মেহনতকারী মনে করেন না।
আল্লাহ আমাদের কে শুভবুদ্ধি দান করুন।
পৃয় ভাই যদি জিহাদের অর্থ কিতাল তথা যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন কিছু হতো তাহলে বশির বিন খাসাসিয়া রা. বাইয়াত নিয়ে এসে রাসূল সা. কে বল্লেন আমি কাপুরুষ। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসার আসংকা তিনি কেন পেশ করলেন? নাউজুবিল্লাহ! সাহাবী যদি জিহাদের অর্থ না -ই বুঝে থাকেন তাহলে রাসুল সা. অবশ্যই বলে দিতেন যে, জিহাদ অর্থ শুধু যুদ্ধ করা নয়! তুমি দ্বীনের অন্য কোন কাজ কর যাতে কষ্ট-ক্লেশ রয়েছে এ সবগুলোই জিহাদ। মুহতারাম ভা রাসুল সা. এবং বশির রা. এর এই আমল এ কথার সাক্ষী যে, জিহাদ অর্থ শুধু কিতাল ও যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ শুধু আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার নাম অথবা প্রত্যেক ঐ আমল যা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করার জন্য উদ্বুদ্ধ কারি হয় এবং এর দ্বারা জিহাদের ই সমর্থন পাওয়া যায়।চাই তা মুখদ্বারা হোক কিংবা কলম বা অর্থ দ্বরা। সুতরাং কেউ যদি কলম দিয়ে লেখা লেখী করে এই উদ্দেশ্যে যে, এরদ্বারা হক বাতিলের লড়াইয়ের চিত্র অংকন করবে, যুদ্ধের ময়দানের জন্যে মুজাহিদ তৈরি হবে, মুজাহিদদের উৎসাহ প্রদান করা হবে আর কাফিরদের সাহস দমিয়ে দেওয়া হবে, গাজী এবং শহীদের অবস্থা সকধারন মুসলমান পর্যন্ত পৌঁছানো হবে। তাহলে এই কলমের চেষ্টা প্রচেষ্টা ও নিঃসন্দেহে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এর সংজ্ঞাভুক্ত হবে। তদ্রুপ মুখের ভাষা যদি এজন্যে প্রয়োগ করা হয় যে, এর দ্বারা মুসলিম উম্মাহ এর অন্তরে আবেগ ও জযবার ঝর সৃষ্টি করে যুবক শ্রেণীকে ময়দানে জিহাদের দিকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। পদ্য ও গদ্য, কাব্য ও কবিতা, ওয়াজ ও বক্তৃতার মাধ্যমে মুসলমানদের রক্তকে উষ্ণ করা হবে তাহলে এটা ও নিঃসন্দেহে জিহাদ এরই একটি শাখা। তদ্রূপ যদি অর্থের মাধ্যমে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা হয়, মুজাহিদের জন্যে অন্ন বস্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়, গাজী ও শহীদদের পরিবার পরিজননের দেখা শোনা করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটাও জিহাদ বলে গণ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে শের্ত হলো, এ সব কিছু আমীরের অনুসরণেই হতে হবে। রূপক অর্থে এগুলোকে যদিও জিহাদ বলা যেতে পারে ; কিন্তু এগুলোকে প্রকৃত জিহাদ গণ্য করা যাবে না।
আর যদি কলম দিয়ে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে লিখে যাওয়া হয় এবং মুখের ভাষা উম্মতের রাহনুমায়ীর জন্যে ব্যবহার করে যাওয়া হয় অথবা মাদরসার ভবন নির্মাণ ও উন্নতির জন্যে অর্থ প্রদান করা হয় তাহলে এটাকে একটি নেককাজ তো বলা যাবে। আর নিঃসন্দেহে এটা নেক কাজই। কিন্তু তাই বলে এটাকে কস্মিন কালেও 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ ' বলা যাবে না। হায় আল্লাহ !! আমাদের কে সহীহ বুঝ দান করুন।
দলিল ১
(لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ ۚ فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ۚ وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا)
[Surat An-Nisa' 95]
অর্থঃ গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা দু'ধরনের লোকের আলোচনা করেছেন। এক " قاعدون " ঘরে বসে থাকা লোক। দুই "مجاهدون " জিহাদ কারি লোক। আর এখানে مجاهدون কে قاعدوএর মোকাবেলায় উল্লেখ করাটা একথার দলীল যে, জিহাদ অর্থ শুধুমাত্র যুদ্ধ করা। কেননা, قاعدون এর মধ্যে রয়েছে ঐ সকল লোক যারা দ্বীনের কোন না কোন কাজ করে ; কিন্তু জিহাদ করে না। চাই সে তাদরীসের কাজ করুক বা তাসনীফের কাজ করুক খানক্বায় আত্মশুদ্ধির কাজ করুক কিংবা নামজ,রোযার দাওয়াত নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ঘুরে বেরাক।
এজন্যে আমি এসকল হযরত দের কাছে দরখাস্ত করব যারা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করে যাচ্ছেন, আর মা-শা-আল্লাহ! আপনারা অত্যন্ত পূন্যময় কাজে লিপ্ত আছেন। কিন্তু তারা দাওয়াতী কাজকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ বরং এর চেয়ে বড় মর্যাদা দিয়ে থাকেন আর দ্বীনের অন্য কোন কাজ সম্পাদনকারীকে এমনকি মুজাহিদদের কেও আসল দ্বীনের জন্যে মেহনতকারী মনে করেন না।
আল্লাহ আমাদের কে শুভবুদ্ধি দান করুন।
পৃয় ভাই যদি জিহাদের অর্থ কিতাল তথা যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন কিছু হতো তাহলে বশির বিন খাসাসিয়া রা. বাইয়াত নিয়ে এসে রাসূল সা. কে বল্লেন আমি কাপুরুষ। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসার আসংকা তিনি কেন পেশ করলেন? নাউজুবিল্লাহ! সাহাবী যদি জিহাদের অর্থ না -ই বুঝে থাকেন তাহলে রাসুল সা. অবশ্যই বলে দিতেন যে, জিহাদ অর্থ শুধু যুদ্ধ করা নয়! তুমি দ্বীনের অন্য কোন কাজ কর যাতে কষ্ট-ক্লেশ রয়েছে এ সবগুলোই জিহাদ। মুহতারাম ভা রাসুল সা. এবং বশির রা. এর এই আমল এ কথার সাক্ষী যে, জিহাদ অর্থ শুধু কিতাল ও যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
Comment