بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ ۖ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ ۖ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
“তারা তোমাকে আনফাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল আনফাল হচ্ছে আল্লাহ এবং তার রাসুলের, কাজেই তোমরা আল্লাহ কে ভয় কর এবং নিজেদের সম্পর্কে সুন্দর ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত কর। আল্লাহ এবং তার রাসুলের আনুগত্য কর যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো। মুমিন তো তারাই যখন তাদের সামনে আল্লাহর আয়াত স্মরন করা হয় তাদের অন্তর কেপে উঠে, আর তাদের কাছে যখন আল্লাহর আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপরে নির্ভর করে”
সুরা আনফালের প্রথম ২ আয়াত নাজিলের প্রাসঙ্গিক ঘটনা ছিলো আনফাল বা গনিমত এর মালের ব্যাপারে। বদর এর পরে আল্লাহ যখন কাফিরদের লাঞ্চিত করলেন এবং মুমিনদের বিজয় দান করলেন, মুমিনদের হাতে প্রথম বারের মত যুদ্ধলব্ধ সম্পদ/মালে গানিমাহ আসলো। এই মালের বন্টন নিয়ে মুমিনদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধাদন্দ এবং কিছু তিক্ত বাকবিতন্ডা ও শুরু হল। কিভাবে তা বন্টন হবে কে কোন অংশ পাবে এই সব নিয়ে আলোচনা শুরু হল। সাইয়েদ কুতুব রহঃ এভাবে উল্লেখ করেছেন, এই মুমিনরাই কিন্তু তাদের নিজেদের ঘর বাড়ি সমস্ত সম্পদ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর দ্বীনের জন্য বের হয়ে আসছেন। আবার একই ভাবে আনসার রাও তাদের নিজেদের সব কিছু মুহাজির দের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। এই বাহিনীটিই কিছু আগে ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে আল্লাহর উপরে ভরসা করে কাফেরদের পরাজিত করেছেন। কিন্তু হঠাত যখন দুনিয়ার সম্পদ চলে আসলো এটা তাদের জন্য এক রকম পরীক্ষা হয়ে দাড়ালো। কিন্তু আল্লাহ চান মুমিনদের সংশোধন করে দিতে। তাই তিনি এই ব্যাপারে আয়াত নাজিল করলেন। এবং পুরা বিষয় টির সুন্দর ফায়সালা করে দিলেন। শুধু তাই নয় – কিয়ামত পর্যন্ত মালে গানিমাহ এর ব্যাপারে আল্লাহর বিধান কি তাও জানিয়ে দিলেন।
আমি যে প্রসঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি সেটার জন্য উপরোক্ত ঘটনার আরো একটু বিস্তারিত জেনে নিলে আমাদের জন্য সহজ হবে। আমার দেখবো আসলে ঐ সময়ে ঠিক কি কি ঘটনা ঘটেছিলো। বদর এর পরে মালে গনিমত নিয়ে বাস্তবে সেই দিন কি ঘটেছিলো। এটা এই জন্য যে আমরা যেন ঐ সময় টা কে যথাসম্ভব বাস্তবতার আলোকে চিত্রিত করতে পারি। কারনে এটি মুল আলোচনার সাথেই জড়িত।
(হাদিসের মুল ভাব ঠিক রেখে নিজের ভাষায় বর্ননা) –
যখন বদররের যুদ্ধ সংঘটিত হল তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন যে ব্যাক্তি এই ভাবে কাজ করবে সে এই প্রতিদান পাবে। এর পরে মুসলিম যুবকরা শত্রুর মুকাবেলায় পাল্লা দিয়ে এগিয়ে গেলো এবং প্রানপনে যুদ্ধ করলো। এ সময়ে বৃদ্ধ সাহাবারা পতাকার আশে পাষে অপেক্ষমান ছিলেন। পরে যুবকগন ফিরে এসে যখন নিজেদের সম্পদ (যা তারা নিজেদের যুদ্ধের কারনে অর্জিত বলে মনে করলেন) দাবি করলেন তখন বৃদ্ধ সাহাবীরা বললেন – আমরা যদি তোমাদের পেছনে সাহায্যকারী হিসেবে না থাকতাম তবে তোমরা সাহস হারা হয়ে যেতে। এমন কথা চলতেছে এই প্রেক্ষিতে আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন –
আরো একটি হাদিস থেকে জানা যায় সাদ রাঃ বলেছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমাকে মুশরিকদের থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এখন মেহেরবানী করে আমাকে এই তরবারী খানা দান করুন। রাসুল সাঃ বললেন এই তরবারী তোমার ও না, আমার ও না, তুমি এটা রেখে দাও। তখন আমি ওটা রেখে দিলাম এবং ফিরে এলাম। তারপর আমি মনে মনে বললাম হায় তরবারী টা যদি এমন কাউকে দেয়া হয় যে আমার মত বিপদে পড়েনি আরা আমার মত পরিক্ষারও সম্মুখিন হয়নি। পরে তিনি বলেছেন, আমি দেখলাম (সাদ রাঃ) এক ব্যাক্তি আমাকে পেছন থেকে ডাকছে। আমি বললাম কি? আল্লাহ তায়ালা আমার ব্যাপারে কিছু নাজিল করেছেন? সে লোকটা বল্লো তুমি এই টা চেয়েছিলে না? আমকে এটা রাসুল সাঃ দিয়েছেন এখন এটা তোমার। রেওয়াতকারী উক্ত সাহাবী বলেছেন এরপরে আল্লাহ তায়ালা এই আয়াত নাজিল করেন।
তাহলে আমরা কিছু চিত্র পেলাম। সে সময়ে একটা বেশ ঘোলাটে পরিস্থতি তৈরি হয়েছিলো মালে গানিমাহ নিয়ে। এবং আমরা স্মরন রাখি এখনো মালে গানিমাহ এর ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম নাজিল হয়নি। অর্থাৎ দুনিয়াতে এখনো আনফাল এর ব্যাপারে ইসলামী শরিয়াহ কি তা এখনো নাজিল হয়নি।
মুল আলোচনাঃ
এমন এক পরিস্থিতিতে আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنْفَالِ ۖ قُلِ الْأَنْفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ ۖ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
আল্লাহ বলে দিলেন আনফাল হচ্ছে আল্লাহ এবং তার রাসুলের এবং আল্লাহ তার শারিয়াহ অনুযায়ী এক পঞ্চমাংশ বের করে ফেলার পর বাকি বন্টন এর দায়িত্বও রাসুল সাঃ এর হাতে ছেড়ে দিলেন। কারন রাসুল সাঃ সাহাবাদের সাথে তাদের নিয়ে তাদের মাঝেই বাস করেন। তিনি জানেন কাকে কত টুকু দিতে হবে কেন দিতে হবে। এছড়া সাহাবাগন একটি ব্যাপারে বিশেষ ভাবে লালায়িত থাকতেন যে তারা আল্লাহ এবং তার রাসুল সাঃ এর থেকে উত্তম প্রশনংসা মূলক স্বীকৃতি শুনবেন। আল্লাহ বলছেন তোমরা যদি প্রকৃত মুমিন এই দাবী টি করতে চাও তবে আল্লাহ এবং তার রাসুলের কথা শুন। একই সাথে আল্লাহ এটাও বলছেন প্রকৃত মুমিনদের সামনে আল্লাহর আয়াত স্মরন করা হলে, তিলাওয়াত করা হলে তাদের অন্তর কেপে উঠে এবং তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায়।
এইভাবে আল্লাহ দুনিয়ার একটি জীবন্ত ঘটনার মধ্যে দিয়ে গনিমাতের ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম নাজিল করলেন, এমন অবস্থায় যখন একটি বিবাদমান অবস্থা বিরাজ করছিলো। আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, হুকুম আসলো এবং সেই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনদের কে আল্লাহর সেই আয়াতকে বাস্তবে পরিনত করার ট্রেনিং দিয়ে দিলেন। মালে গানিমাহ এর হুকুম বাস্তবায়ন হলো, শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনদের সম্মানিতও করলেন, আর তাদের ঈমানকে আরো বৃদ্ধি করে দিলেন। এবং এই হুকুম যে শুধু মালে গানিমাহ এর জন্য তাই নয় বরং “আল্লাহ এবং তার রাসুলের অনুগত্য কর যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো” – এটি একটি সার্বজনীন হকুম হয়ে গেলো। শুধু তাই নয়, এই হুকুম টি সামনের দিনেও কেন পালন করতে হবে এবং করলে তার কি ফায়দা তার ট্রেনিংও আল্লাহ এই ঘটনার মাধ্যমে করিয়ে নিলেন। আল্লাহর নির্দেশ মেনে নিয়ে রাসুলের অনুগত্য করে মুমিনগন আল্লাহর প্রশংসাও পেলেন আবার তাদের বিবাদ ও আল্লাহ নিজে সমাধান করে দিলেন।
আল্লাহ এই বিধান নাজিল করে বান্দার দিলের অবস্থা কে মোটেও উপেক্ষা করেননি। বরং এই হুকুমের মধ্যে তাও উপস্থিত ছিলো। যেমন সাদ রাঃ যে তরবারীটা চেয়েছিলেন তিনি সেটা পেয়ে গেলেন। এভাবে সাহাবগন কুরআনের সাথে বাস করেছেন। তাদের বসবাসের সাথেই কুরআন নাজিল হয়েছে। কুরআন তাদের জিন্দেগীর বাইরে ছিলোনা আর তাদের জিন্দেগী কুরআনের খেলাফ ছিলোনা। আবার আল্লাহর আয়াতের স্মরন এবং তিলাওয়াত তাদের ঈমান কে বাড়িয়ে দিয়েছে। এভাবেই তারা কুরানের সান্নিধ্য পেয়েছেন। তাদের জিন্দেগীর সাথে কুরআন নাজিল হয়েছে আর সেই কুরআন কে তাদের জিন্দেগীর সাথে মিলিয়ে নিয়েছেন। আর এই সান্নিধ্য পাওয়ার যে আনন্দ তা প্রকাশ করা সম্ভব না। এটাই ছিলো কুরআনের সান্নিধ্যে জীবন পার করার প্রথম সুযোগ যা মানব জীবনে আর কখনো আসবে না। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে এই সুযোগ এর মত অবস্থা আবারো তৈরি হবে যখন মুমিনদের মধ্যে থেকে কোন দল একতাবদ্ধ হয়ে কুরআনকে নিয়ে দুনিয়ার বুকে কুরআন এর সেই অপুর্ব হুকুম গুলোকে আবার দুনিয়ার বুকে ফিরিয়ে আনার জন্য জিহাদ শুরু করবে। তাগুত এবং মুরতাদ শাসকদের জন্য দুনিয়ার বুক থেকে কুরআনের হুকুম উঠে গেছে। কুরআন নতুন ভাবে আর নাজিল হবে না। কিন্তু নাজিল হওয়া হুকুম গুলোকেই আবার নিজের জিন্দেগীর মাঝে ফিরিয়ে আনার জন্য যখন মুমিনদের কোন দল জিহাদে লিপ্ত হবে এবং নিজের জিন্দেগীর মাঝে কুরআন কে বসানোর জন্য মুজাহাদা শুরু করবে আবার তখন তারা এই মহাগ্রন্থের তেমন স্বাদ পাবে যেমন সাহাবারা পেয়েছিলেন। আর তা হলেই এই কুরআনের স্মরন এবং তার তিলাওয়াত তাদের অন্তরের ঈমানকে বৃদ্ধি করবে। আবার একই সাথে এই জিহাদের জন্য তারা শুধু মাত্র আল্লাহর উপরেই তাওয়াক্কুল করবে। আর তা করলেই, এর এক আয়াত পরেই আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন “উলা ইকা হুমুল মু’মিনিনা হাক্ক” – (এমন টা হলে) তারাই প্রকৃত মুমিন।
জিন্দেগীর জন্যই কুরআন – জিন্দেগী ব্যাতিত কুরআন নয়। আর যে জিন্দেগীতে কুরআন এর স্বাদ নাই সেই জিন্দেগী কোন জিন্দেগীই নয়। আর অন্য ধর্মগ্রন্থের মত কুরআন শুধুমাত্র কিছু নীতি কথা সর্বস্ব নয় যার বাস্তব প্রয়োগ এর অনুসারীদের উপরে স্বাধীন ইচ্ছার উপরে ন্যাস্ত করে। বরং কুরআন হচ্ছে জীবন্ত গ্রন্থ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কুরআন কে বাস্তবায়ন ব্যাতিত কুরআন এর সান্নিধ্য, হক কোনটাই আদায় হবে না। একই ভাবে কেউ যদি নিজকে প্রকৃত মুমিন দাবি করতে চায় এবং আল্লাহর আয়াতের স্মরনের সাথে নিজের অন্তরের অবস্থাকে প্রকম্পিত এবং ঈমান বৃদ্ধির অনন্য সুযোগ পেতে চায় তবে তাকে এই কুরআন কে নিয়েই বাস করতে হবে, যেমন ভাবে সাহাবারা করেছিলেন। আর যদি সে সুযোগ না থাকে তবে সে সুযোগ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে আর তা শুধু জিহাদের মাধ্যমেই আসবে ইনশাআল্লাহ। অন্য কোন পন্থায় নয়।
সুরায় আনফালের এই আয়াত গুলো বদরের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে। আর বদর কে আল্লাহ অভিহিত করেছেন – হক্ক এবং বাতিলের মধ্যে পার্থক্য কারী দিন হিসেবে। একই সাথে আমরা স্মরন রাখি সাহাবারা প্রথমে চেয়েছিলেন আবু সুফিয়ানের কাফেলা আক্রমন করতে, কিন্তু আল্লাহ চেয়েছিলেন তাদের কে জিহাদের ময়দানে টেনে নিয়ে আসতে। কেন? যেন হক্ক এবং বাতিল আলাদা হয়ে যায়। আবার এই বদরের পরেই প্রকৃত মুমিনদের ব্যাপারে আলোচিত আয়াত নাজিল হল। তাই এখনো যদি কারও মনে সামান্য সন্দেহ থাকে যে জিহাদ ব্যাতিত প্রকৃত মুমিন হওয়া সম্ভব এবং হক্ক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য হওয়া সম্ভব তাহলে সে দেখে নিক কিভাবে কিছু সাহাবার অনিচ্ছা স্বত্বেও আল্লাহ তাদের কে জিহাদের ময়দানে নিয়ে গেছেন, সম্ভাব্য সমস্ত রকম প্রতিকূলতা থাকা স্বত্বেও। সুতরাং হক্ক এবং বাতিলের মধ্যে চূড়ান্ত মিমাংসা করার তরিকা হচ্ছে জিহাদ এবং এটা স্বয়ং আল্লাহর পন্থা। আর এই পন্থা ব্যাতিত প্রকৃত মুমিন দাবি করারও কোন সুযোগ নাই। আর জিহাদ কে পাশ কাটিয়ে হক্ক এবং বাতিলের ফায়সালা করা এবং আল্লাহর দ্বীন কায়েম করার স্বপ্ন - নিজের মনগড়া কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না। আল্লাহ নিজেই বর্ণনা করছেন –
كَمَا أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنْ بَيْتِكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لَكَارِهُونَ
يُجَادِلُونَكَ فِي الْحَقِّ بَعْدَمَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ
وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ
لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ
“(সেভাবেই তোমাদের বের হওয়া উচিত ছিল) যেভাবে তোমার মালিক তোমাকে তোমার ঘর থেকে বের করে এনেছেন, অথচ (তখনো) মুমিনদের মধ্য থেকে এক দল লোক ছিলো (এ কাজের দারুন অপছন্দকারী)। সত্য (তোমার কাছে) প্রকাশিত হবার পরেও এরা তোমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছে, (মনে হচ্ছিলো) তারা যেন দেখতে পাচ্ছে যে তাদের (মনে হয়) ধিরে ধিরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। (স্মরন কর) যখন আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন যে দুটি দলের মধ্যে যে কোন একটি তোমাদের (করায়ত্ত) হবে (অবশ্য) তোমরা (তখন) চাচ্ছিলে (দুর্বল ও) নিরস্ত্র দলটিই তোমাদের (করায়ত্ত) হোক। অথচ আল্লাহ তায়ালা তার কথা দ্বারা সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছিলেন এবং (এর মধ্য দিয়ে তিনি) কাফেরদের শেকড় কেটে (তাদের নির্মুল করে) দিতে চেয়েছিলেন। (এর উদ্দেশ্য ছিলো) হক্ক কে হক্ক দিয়েই প্রতিষ্ঠিত করা যায় এবং বাতিল কে যেন (বাতিলের মতই) নির্মুল করা যায়, যদিও পাপিষ্ঠরা এটা কে পছন্দ করেনি”
=======
Comment