♣♣বিপদাআপদ! তাতো পরীক্ষা
♦♦আপনি যদি মনে করেন যে, জিহাদের পথে পা বাড়ালেই আমাকে জেল-যুলুমের স্বীকার
হতে হবে, আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে, আমার মৃত্যু হতে পারে বা আমাকে পঙ্গু করে
ফেলা হতে পারে; হ্যা এগুলো হতে পারে এটা ঠিক। এই মুসিবতগুলো মেনে নেওয়ার
মত মানসিকতা নিয়েই আপনাকে জিহাদের ময়দানে আসতে হবে। এই মুসিবতগুলোর
মাধ্যমে আপনাকে আল্লাহ তা'আলা পরীক্ষা করবেন। আর এই পরীক্ষা শুধু আপনাকে
আমাকে করা হবে এমনটি নয়, যুগে যুগে সকল নাবী-রসূল ও সালফে সলেহীনদেরকেও
পরীক্ষা করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ
★وَلَنَبلُوَنَّكُم بِشَيءٍ مِنَ الخَوفِ وَالجوعِ وَنَقصٍ مِنَ الأَموٰلِ وَالأَنفُسِ وَالثَّمَرٰتِ ۗ وَبَشِّرِ الصّٰبِرينَ
অর্থঃ আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো, ভয়-ভীতি, ক্ষুধা-অনাহার, তোমাদের
জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দান কর।
(সূরা বাকারাহ ২ ঃ ১৫৫)
★ أَحَسِبَ النّاسُ أَن يُترَكوا أَن يَقولوا ءامَنّا وَهُم لا يُفتَنونَ
অর্থ: মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি এটুকু বলার কারণেই তাদের ছেড়ে
দেওয়া হবে, তাদের পরীক্ষা করা হবে না। (সূরা আনকাবুত ২৯ ঃ ২)
★أَم حَسِبتُم أَن تَدخُلُوا الجَنَّةَ وَلَمّا يَأتِكُم مَثَلُ الَّذينَ خَلَوا مِن قَبلِكُم ۖ مَسَّتهُمُ البَأساءُ وَالضَّرّاءُ وَزُلزِلوا حَتّىٰ يَقولَ الرَّسولُ وَالَّذينَ ءامَنوا مَعَهُ مَتىٰ نَصرُ اللَّهِ ۗ أَلا إِنَّ نَصرَ اللَّهِ قَريبٌ
**অর্থঃ তোমরা কি মনে করে নিয়েছো যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে? পূর্ববর্তী নবীদের
অনুসারীদের মতো কিছুই তোমাদের ওপর এখনো নাযিল হয়নি, তাদের ওপর (বহু ।
ধরণের) বিপর্যয় ও সংকট এসেছে, কঠোর নির্যাতনে তারা নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়নে
তারা শিহরিত হয়ে ওঠেছে এমন কি স্বয়ং আল্লাহর নবী ও তার সঙ্গী সাথীরা (অত্যাচারে
অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে) এই বলে (আর্তনাদ করে) উঠেছে, কখন আসবে আল্লাহর
সাহায্য? সতর্ক হও, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী। (সূরা বাকারাহ ২ ঃ ২১৪)
♦♦উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, পরীক্ষা অবশ্যই হবে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ
যার কল্যাণ চান , যাকে ভালবাসেন তাকে বিপদে ফেলেন, পরীক্ষায় ফেলেন এবং অতি
দ্রুত পরীক্ষায় ফেলেন। আর এ পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা বান্দার গুনাহ ক্ষমা
করে থাকেন। অবশেষে বান্দাহ তার রবের সাথে এমনভাবে মিলিত হবে যে, তার কোন
শুনাহই অবশিষ্ট থাকবে না।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♠হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
আল্লাহ যখন তার কোন বান্দার ব্যাপারে কল্যাণ ইচ্ছা পোষণ করেন।
তখন দুনিয়ায় তার প্রতি খুব শীর্ঘ বালা-মুসিবতে নাযিল করেন। অন্যদিকে তিনি যখন
স্বীয় বান্দার জন্যে অকল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তাকে গুনাহর মধ্যে ছেড়ে
দেন। শেষ পর্যন্ত কিয়ামতের দিন তাকে পাকড়াও করবেন।
♦♦রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আরও বলেন ঃ (কোন কাজে) কষ্ট ক্লেশ বেশী হলে সওয়াবও বেশী হয়।
আল্লাহ যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তাকে কঠিন বিপদে নিক্ষেপ করেন। যে
ব্যক্তি এ বিপদ থেকে সন্তুষ্ট চিত্তে উত্তীর্ণ হবে, সে অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এতে অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য থাকবে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ।
(তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী বলেছেন ঃ এটি হাসান হাদীস, রিয়াদুস সালেহীন, ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ।)
অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♦♦হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে বিপদে (পরীক্ষায়) ফেলেন।
* সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন , ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♦♦অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানদার নর-নারীর জান-মাল ও সন্তানাদির ওপর বিপদাপদ
আসতেই থাকে। শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর সমীপে উপস্থিত হয় এমন অবস্থায় যে, তার আর
কোন গুনাহই থাকে না।
(# তিরমিযী, ঈমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে একে হাসান ও সহীহ রূপে অভিহি করেছেন, রিয়াদুস।
সালেহীন, ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ , হাঃ ৪৯।)
উপরোক্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে এটা স্পষ্ট যে, একজন মুমিনকে তার ঈমান।
আনুযায়ী পরীক্ষা করা হবে। আপনার রব আপনাকে যাচাই করবেন। আসলে আপনি তার
সাথে কৃত ওয়াদায় সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদী। এবং এর মাধ্যমেই আপনাকে পুরস্কৃত করা
হবে।
♦♦আপনি যদি মনে করেন যে, জিহাদের পথে পা বাড়ালেই আমাকে জেল-যুলুমের স্বীকার
হতে হবে, আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হবে, আমার মৃত্যু হতে পারে বা আমাকে পঙ্গু করে
ফেলা হতে পারে; হ্যা এগুলো হতে পারে এটা ঠিক। এই মুসিবতগুলো মেনে নেওয়ার
মত মানসিকতা নিয়েই আপনাকে জিহাদের ময়দানে আসতে হবে। এই মুসিবতগুলোর
মাধ্যমে আপনাকে আল্লাহ তা'আলা পরীক্ষা করবেন। আর এই পরীক্ষা শুধু আপনাকে
আমাকে করা হবে এমনটি নয়, যুগে যুগে সকল নাবী-রসূল ও সালফে সলেহীনদেরকেও
পরীক্ষা করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ
★وَلَنَبلُوَنَّكُم بِشَيءٍ مِنَ الخَوفِ وَالجوعِ وَنَقصٍ مِنَ الأَموٰلِ وَالأَنفُسِ وَالثَّمَرٰتِ ۗ وَبَشِّرِ الصّٰبِرينَ
অর্থঃ আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো, ভয়-ভীতি, ক্ষুধা-অনাহার, তোমাদের
জান-মাল ও ফসলাদির ক্ষতি সাধন করে। তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দান কর।
(সূরা বাকারাহ ২ ঃ ১৫৫)
★ أَحَسِبَ النّاسُ أَن يُترَكوا أَن يَقولوا ءامَنّا وَهُم لا يُفتَنونَ
অর্থ: মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি এটুকু বলার কারণেই তাদের ছেড়ে
দেওয়া হবে, তাদের পরীক্ষা করা হবে না। (সূরা আনকাবুত ২৯ ঃ ২)
★أَم حَسِبتُم أَن تَدخُلُوا الجَنَّةَ وَلَمّا يَأتِكُم مَثَلُ الَّذينَ خَلَوا مِن قَبلِكُم ۖ مَسَّتهُمُ البَأساءُ وَالضَّرّاءُ وَزُلزِلوا حَتّىٰ يَقولَ الرَّسولُ وَالَّذينَ ءامَنوا مَعَهُ مَتىٰ نَصرُ اللَّهِ ۗ أَلا إِنَّ نَصرَ اللَّهِ قَريبٌ
**অর্থঃ তোমরা কি মনে করে নিয়েছো যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে? পূর্ববর্তী নবীদের
অনুসারীদের মতো কিছুই তোমাদের ওপর এখনো নাযিল হয়নি, তাদের ওপর (বহু ।
ধরণের) বিপর্যয় ও সংকট এসেছে, কঠোর নির্যাতনে তারা নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়নে
তারা শিহরিত হয়ে ওঠেছে এমন কি স্বয়ং আল্লাহর নবী ও তার সঙ্গী সাথীরা (অত্যাচারে
অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে) এই বলে (আর্তনাদ করে) উঠেছে, কখন আসবে আল্লাহর
সাহায্য? সতর্ক হও, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী। (সূরা বাকারাহ ২ ঃ ২১৪)
♦♦উপরোক্ত আয়াতগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, পরীক্ষা অবশ্যই হবে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ
যার কল্যাণ চান , যাকে ভালবাসেন তাকে বিপদে ফেলেন, পরীক্ষায় ফেলেন এবং অতি
দ্রুত পরীক্ষায় ফেলেন। আর এ পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা বান্দার গুনাহ ক্ষমা
করে থাকেন। অবশেষে বান্দাহ তার রবের সাথে এমনভাবে মিলিত হবে যে, তার কোন
শুনাহই অবশিষ্ট থাকবে না।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♠হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন,
আল্লাহ যখন তার কোন বান্দার ব্যাপারে কল্যাণ ইচ্ছা পোষণ করেন।
তখন দুনিয়ায় তার প্রতি খুব শীর্ঘ বালা-মুসিবতে নাযিল করেন। অন্যদিকে তিনি যখন
স্বীয় বান্দার জন্যে অকল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তাকে গুনাহর মধ্যে ছেড়ে
দেন। শেষ পর্যন্ত কিয়ামতের দিন তাকে পাকড়াও করবেন।
♦♦রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আরও বলেন ঃ (কোন কাজে) কষ্ট ক্লেশ বেশী হলে সওয়াবও বেশী হয়।
আল্লাহ যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তাকে কঠিন বিপদে নিক্ষেপ করেন। যে
ব্যক্তি এ বিপদ থেকে সন্তুষ্ট চিত্তে উত্তীর্ণ হবে, সে অবশ্যই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এতে অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য থাকবে আল্লাহর অসন্তুষ্টি ।
(তিরমিযী, ইমাম তিরমিযী বলেছেন ঃ এটি হাসান হাদীস, রিয়াদুস সালেহীন, ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ।)
অপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♦♦হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে বিপদে (পরীক্ষায়) ফেলেন।
* সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীন , ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ঃ
♦♦অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ঈমানদার নর-নারীর জান-মাল ও সন্তানাদির ওপর বিপদাপদ
আসতেই থাকে। শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর সমীপে উপস্থিত হয় এমন অবস্থায় যে, তার আর
কোন গুনাহই থাকে না।
(# তিরমিযী, ঈমাম তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে একে হাসান ও সহীহ রূপে অভিহি করেছেন, রিয়াদুস।
সালেহীন, ধৈর্যশীলতা (সবর) অনুচ্ছেদ , হাঃ ৪৯।)
উপরোক্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীস থেকে এটা স্পষ্ট যে, একজন মুমিনকে তার ঈমান।
আনুযায়ী পরীক্ষা করা হবে। আপনার রব আপনাকে যাচাই করবেন। আসলে আপনি তার
সাথে কৃত ওয়াদায় সত্যবাদী নাকি মিথ্যাবাদী। এবং এর মাধ্যমেই আপনাকে পুরস্কৃত করা
হবে।
Comment