মালহামা ও গাজওয়ায়ে হিন্দের জন্য প্রস্তুতিঃ
==============================
বর্তমান সারা বিশ্বে মুসলমান নির্যাতিত। অসহায়ের মত
মার খাচ্ছে। যা থেকে প্রতিয়মান হয়, আমরা খুব
তারাতারিই সেই প্রতিশ্রুত মালহামা ও গাঁজওয়ায়ে
হিন্দের দিকেই যাচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর
ভবিষ্যৎবাণী করা এই ২টি যুদ্ধে পৃথিবীর মোট
জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে।
তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন
হতেও পারেন। আর যদি বেঁচেও যান, তবুও নিচের
প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আশা করি কল্যাণের পথে ধাবিত
হবেন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার
মোট সামর্থ্য রাখে না। তাই বলে তারা কি বেঁচে
থাকবে না? সুতরাং এই ফিতনা পূর্ণ যুদ্ধে বেঁচে
থাকারও প্রয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আপনারা
জেনেছেন রাশিয়া তার দেশের প্রায় ৪ কোটি
নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে
কিভাবে নিজেকে সেফ করে রাখবে এবং তাদের
জন্য মাথা পিছু খাদ্যও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে
পরাশক্তি গুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে,
তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকবো কোন ভরসায়?
আমাদের উচিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে
যুদ্ধের অপেক্ষা করা।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য নয়, যারা মনে করেনঃ
.
# আসহাবে কাহাফগন কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই
কেবল মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে নগর
থেকে বের হয়ে গিয়ে ছিলেন, অতঃপর আল্লাহই
তাদের রক্ষা করেছেন।
# মূসা (আঃ) কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার
অনুসারীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, অতঃপর
আল্লাহই তাদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে
রক্ষা করেছেন।
.
সুতরাং ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য এত চিন্তা গবেষনা বা
পেরেশান, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাহলে
দয়াকরে আপনারা বাকি অংশ টুকু পড়ে অযথা সময় নষ্ট
করবেন না।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য, যারা মনে করেনঃ
.
# ইউসুফ (আঃ) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করার জন্য ৭
বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খাদ্য
গুদামজাত করার ব্যবস্থা করেছেন।
# নূহ (আঃ) প্লাবনের আগেই নৌকা তৈরী করে
রেখেছেন।
# রাসূল (সাঃ) সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েই বদরের
ময়দানে হাজির হয়েছেন।
সুতরাং আমাদেরকেও সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে
হবে।
.
একদিকে সিরিয়ায় শুরু হয়ে যাওয়া, যা ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ
হয়ে, ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে
পড়বে। আবার ভৌগলিক ভাবে আমরা এমন একটি
এলাকায় বসবাস কর্ যারা মোকাবেলা করবো
গাজওয়ায়ে হিন্দ। সুতরা আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে
হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ
নিতে সুবিধা হবে।
.
ক. আধ্যাতিক প্রস্তুতি
খ. শারীরিক প্রস্তুতি
গ. মানসিক প্রস্তুতি
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি
ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি
.
# কঃ আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিঃ
১। মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন হাদিসে যে সব
শর্ত বা বৈশিষ্টের কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি
মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২। সকল ফরজ গুলোর ব্যপারে কঠোর ও যত্নবান
হোন।
৩। যতটুকু সম্ভব, কোরআন মুখস্থ করুন ।
( ন্যুন্যতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়,
সাথে সূরা কাহাফ এর ১ম ও শেষ ১০ আয়াত এবং
জরুরী দোয়া সমূহ।)
৪। সকলের সাথে পাওনা-দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
৫। ভূল ত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য
থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশী করে তাওবা,
এসতেগফার করুন।
৬। প্রতিদিন কোরআন হাদিস অধ্যয়ন করুন, যতটুকু
সম্ভব।
৭। কোরআন, হাদিস, তাফছির সহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বই
এর হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ
এবং গোপন জায়গায় সংরক্ষন করুন।
৮। অশ্লীল সিনেমা, গান, নাটক, অসৎ সঙ্গ পরিহার
করুন।
৯। আপনার পরিবার, নিকট আত্মীয়দের এসব
ব্যাপারে সতর্ক করুন।
.
# খ) শারীরিক প্রস্তুতিঃ
.
১। সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন।
২। এলোপ্যাথি ঔষধ বর্জন করুন।
৩। ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৪। নিয়মিত শরিরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা,
ইত্যাদি করুন।
৫। কমন রোগ যেমন গ্যাসট্রিক, ডায়াবেটিস, জ্বর,
মাথা ব্যথা, সর্দি এসবের জন্য ভেষজ ঔষধগুলো
বাড়িতে সংরক্ষন করুন।
৬। বাড়িতে টিউবওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির
উপর নির্ভরতা ১০০% কমিয়ে ফেলুন।
৭। কমপক্ষে ২ বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ,
স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারি
চালিত টর্চ লাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।
৮। জ্বালানী বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার
৯। পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২ টি করে
রেইন কোট, পর্যাপ্ত শীতের ভারি জামা ও
জরুরী জামা কাপড় ক্রয় করে রাখুন। শূন্য ডিগ্রি বা
মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাক সংগ্রহ করুন
১০। পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাক্স বা গ্যাস
মাক্স ১ টি করে এবং ডাষ্ট মাক্স পর্যাপ্ত পরিমানের
সংগ্রহ করে রাখুন। বোম্বিং হলে যে গ্যাস নির্গত
হবে তা থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। বসবাস করার জন্য যে কোন শহর, বন্দর ত্যাগ
করুন। যত অঁজো পাড়া গাঁ হবে ততই ভালো। উত্তম
হবে পাহাড়ী এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি
হয় এমন এলাকা। বেশী জনবসতি এলাকা পরিহার করুন।
(ঢাকা-চিটাগাং সহ বিভাগীয় সিটির ভাই বোনদের জন্য
বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো)
১২। যারা একত্রে বসবাস করবেন, তাদের নিরাপত্তার
জন্য নিরাপত্তার যন্ত্রপাত
Green Bird:
anwar alislam:
বাংলাদেশের উদীয়মান শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিদের উপর সাইবার নজরদারি বাড়াতে ১৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ইন্টারনেটে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ প্রচার ও যোগাযোগ করছে এমন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার।
নজরদারির পাশাপাশি এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি, অপরাধ দমন সহজ হবে। এর ফলে ইন্টারনেটে সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপরও সার্বক্ষণিক নজর রাখতে পারবে আইন প্রয়োগকারীরা।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ শিরোনামে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্র ‘ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন’ (ডিপিআই) মেশিন দিয়ে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
কথিত অপরাধমূলক কার্যক্রম নজরদারির পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনসাধারণের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি এমনকি নিয়ন্ত্রণ করারও ব্যাপক ক্ষমতা পেয়ে যাবে আইন প্রয়োগকারীরা। একজন বিশেষজ্ঞ জানান, এর অপব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও আশঙ্কা রয়েছে।
মোট ৩৫টি ডিপিআই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই মেশিনগুলোর মধ্যে চারটি হবে অত্যন্ত শক্তিশালী।
একটি নির্দিষ্ট ইন্সপেকশন পয়েন্ট দিয়ে ডাটা প্যাকেট পার হওয়ার সময় এই ডিপিআই মেশিনগুলো ডেটা পরীক্ষা ও এর মধ্য থেকে বিশেষ তথ্য ছেঁকে বের করতে পারে। এর সাহায্যে মানুষের ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং ও কনটেন্ট ডাউনলোডের ওপর নজর রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। এখান থেকে পুরো ব্যবস্থাটি পরিচালনা ও সরকারের নির্দেশ মত কাজ পরিচালনা করা হবে।
আন্তর্জাতিক সব গেটওয়ে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং একটি দল সেখান থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইন ট্রাফিকের ওপর নজর রাখবেন। প্রকল্পের নথি বলছে, এই ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রিপোর্টারদের বলেছে, প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও দক্ষ লোকবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রচারের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে ইন্টারনেট। পরিশেষে ভারতের মত এবার বাংলাদেশের সরকারও মুজাহিদদের দমনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার যখন এই পরিকল্পনা নিচ্ছে, তখন সাধারণ মুসলমানদের মাঝে জিজ্ঞাসা তবে কি জঙ্গিরাই সঠিক পথে আছে, না হলে আন্তর্জাতিক কুফফারসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা সবাই একজোট হচ্ছে কেন??
==============================
বর্তমান সারা বিশ্বে মুসলমান নির্যাতিত। অসহায়ের মত
মার খাচ্ছে। যা থেকে প্রতিয়মান হয়, আমরা খুব
তারাতারিই সেই প্রতিশ্রুত মালহামা ও গাঁজওয়ায়ে
হিন্দের দিকেই যাচ্ছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর
ভবিষ্যৎবাণী করা এই ২টি যুদ্ধে পৃথিবীর মোট
জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বিলুপ্ত হবার আশংকা রয়েছে।
তাই ধরে নিবেন আপনিও তাদের মধ্যে একজন
হতেও পারেন। আর যদি বেঁচেও যান, তবুও নিচের
প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আশা করি কল্যাণের পথে ধাবিত
হবেন। মনে রাখবেন, সবাই কিন্তু যুদ্ধে যাওয়ার
মোট সামর্থ্য রাখে না। তাই বলে তারা কি বেঁচে
থাকবে না? সুতরাং এই ফিতনা পূর্ণ যুদ্ধে বেঁচে
থাকারও প্রয়োজন। গত কয়েকদিন আগে আপনারা
জেনেছেন রাশিয়া তার দেশের প্রায় ৪ কোটি
নাগরিকদের ট্রেনিং করিয়েছে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধে
কিভাবে নিজেকে সেফ করে রাখবে এবং তাদের
জন্য মাথা পিছু খাদ্যও বরাদ্দ করা আছে। তলে তলে
পরাশক্তি গুলো ঠিকই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে,
তাহলে আমরা অজ্ঞ থাকবো কোন ভরসায়?
আমাদের উচিত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে
যুদ্ধের অপেক্ষা করা।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য নয়, যারা মনে করেনঃ
.
# আসহাবে কাহাফগন কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই
কেবল মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে নগর
থেকে বের হয়ে গিয়ে ছিলেন, অতঃপর আল্লাহই
তাদের রক্ষা করেছেন।
# মূসা (আঃ) কোন রকম প্রস্তুতি ছাড়াই তার
অনুসারীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন, অতঃপর
আল্লাহই তাদেরকে ফেরাউনের হাত থেকে
রক্ষা করেছেন।
.
সুতরাং ৩য় বিশ্ব যুদ্ধের জন্য এত চিন্তা গবেষনা বা
পেরেশান, প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তাহলে
দয়াকরে আপনারা বাকি অংশ টুকু পড়ে অযথা সময় নষ্ট
করবেন না।
.
এই পোষ্ট তাদের জন্য, যারা মনে করেনঃ
.
# ইউসুফ (আঃ) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করার জন্য ৭
বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন। খাদ্য
গুদামজাত করার ব্যবস্থা করেছেন।
# নূহ (আঃ) প্লাবনের আগেই নৌকা তৈরী করে
রেখেছেন।
# রাসূল (সাঃ) সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েই বদরের
ময়দানে হাজির হয়েছেন।
সুতরাং আমাদেরকেও সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে
হবে।
.
একদিকে সিরিয়ায় শুরু হয়ে যাওয়া, যা ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ
হয়ে, ক্রমান্বয়ে সারা পৃথিবীতে দ্রুত ছড়িয়ে
পড়বে। আবার ভৌগলিক ভাবে আমরা এমন একটি
এলাকায় বসবাস কর্ যারা মোকাবেলা করবো
গাজওয়ায়ে হিন্দ। সুতরা আমাদের প্রস্তুতিটাও হতে
হবে এই উভয় সংকট মাথায় রেখে। প্রস্তুতিটাকে
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে নিলে বুঝতে ও পদক্ষেপ
নিতে সুবিধা হবে।
.
ক. আধ্যাতিক প্রস্তুতি
খ. শারীরিক প্রস্তুতি
গ. মানসিক প্রস্তুতি
ঘ. অর্থনৈতিক ও খাদ্য প্রস্তুতি
ঙ. মূল জিহাদের প্রস্তুতি
.
# কঃ আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিঃ
১। মুসলিম হওয়ার জন্য কোরআন হাদিসে যে সব
শর্ত বা বৈশিষ্টের কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি
মেনে চলার চেষ্টা করুন।
২। সকল ফরজ গুলোর ব্যপারে কঠোর ও যত্নবান
হোন।
৩। যতটুকু সম্ভব, কোরআন মুখস্থ করুন ।
( ন্যুন্যতম নামাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজনীয়,
সাথে সূরা কাহাফ এর ১ম ও শেষ ১০ আয়াত এবং
জরুরী দোয়া সমূহ।)
৪। সকলের সাথে পাওনা-দেনা মিটিয়ে ফেলুন।
৫। ভূল ত্রুটি বা কারো সাথে ঝগড়া মনোমালিন্য
থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন। বেশী করে তাওবা,
এসতেগফার করুন।
৬। প্রতিদিন কোরআন হাদিস অধ্যয়ন করুন, যতটুকু
সম্ভব।
৭। কোরআন, হাদিস, তাফছির সহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বই
এর হার্ড কপি নিজের কাছে, বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ
এবং গোপন জায়গায় সংরক্ষন করুন।
৮। অশ্লীল সিনেমা, গান, নাটক, অসৎ সঙ্গ পরিহার
করুন।
৯। আপনার পরিবার, নিকট আত্মীয়দের এসব
ব্যাপারে সতর্ক করুন।
.
# খ) শারীরিক প্রস্তুতিঃ
.
১। সব রকমের GMO food পরিত্যাগ করুন।
২। এলোপ্যাথি ঔষধ বর্জন করুন।
৩। ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৪। নিয়মিত শরিরচর্চা, বিশেষ করে দৌড়ানো, সাঁতার কাটা,
ইত্যাদি করুন।
৫। কমন রোগ যেমন গ্যাসট্রিক, ডায়াবেটিস, জ্বর,
মাথা ব্যথা, সর্দি এসবের জন্য ভেষজ ঔষধগুলো
বাড়িতে সংরক্ষন করুন।
৬। বাড়িতে টিউবওয়েল বা চাপকল বসান, সাপ্লাই পানির
উপর নির্ভরতা ১০০% কমিয়ে ফেলুন।
৭। কমপক্ষে ২ বছরের জন্য সাবান, ব্যান্ডেজ,
স্যাভলন, ব্লেড, সুই, সুতা, দিয়াশলাই, মোমবাতি, ব্যাটারি
চালিত টর্চ লাইট ও ব্যাটারি ক্রয় করে রাখুন।
৮। জ্বালানী বিহীন বিদ্যুৎ উৎপাদন করার
৯। পরিবারের সবার জন্য কমপক্ষে ২ টি করে
রেইন কোট, পর্যাপ্ত শীতের ভারি জামা ও
জরুরী জামা কাপড় ক্রয় করে রাখুন। শূন্য ডিগ্রি বা
মাইনাস তাপমাত্রার উপযোগী পোশাক সংগ্রহ করুন
১০। পরিবারের সকলের জন্য ফিউম মাক্স বা গ্যাস
মাক্স ১ টি করে এবং ডাষ্ট মাক্স পর্যাপ্ত পরিমানের
সংগ্রহ করে রাখুন। বোম্বিং হলে যে গ্যাস নির্গত
হবে তা থেকে রক্ষা পাবেন।
১১। বসবাস করার জন্য যে কোন শহর, বন্দর ত্যাগ
করুন। যত অঁজো পাড়া গাঁ হবে ততই ভালো। উত্তম
হবে পাহাড়ী এলাকা ও প্রাকৃতিক ঝর্না বা অধিক বৃষ্টি
হয় এমন এলাকা। বেশী জনবসতি এলাকা পরিহার করুন।
(ঢাকা-চিটাগাং সহ বিভাগীয় সিটির ভাই বোনদের জন্য
বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো)
১২। যারা একত্রে বসবাস করবেন, তাদের নিরাপত্তার
জন্য নিরাপত্তার যন্ত্রপাত
Green Bird:
anwar alislam:
বাংলাদেশের উদীয়মান শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিদের উপর সাইবার নজরদারি বাড়াতে ১৫০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ইন্টারনেটে ইসলামের সঠিক মতাদর্শ প্রচার ও যোগাযোগ করছে এমন ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই এমন ব্যবস্থা নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার।
নজরদারির পাশাপাশি এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি, অপরাধ দমন সহজ হবে। এর ফলে ইন্টারনেটে সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপরও সার্বক্ষণিক নজর রাখতে পারবে আইন প্রয়োগকারীরা।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স’ শিরোনামে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট নজরদারির যন্ত্র ‘ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন’ (ডিপিআই) মেশিন দিয়ে সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করতে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
কথিত অপরাধমূলক কার্যক্রম নজরদারির পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনসাধারণের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজরদারি এমনকি নিয়ন্ত্রণ করারও ব্যাপক ক্ষমতা পেয়ে যাবে আইন প্রয়োগকারীরা। একজন বিশেষজ্ঞ জানান, এর অপব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও আশঙ্কা রয়েছে।
মোট ৩৫টি ডিপিআই মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা করছে সরকার। এই মেশিনগুলোর মধ্যে চারটি হবে অত্যন্ত শক্তিশালী।
একটি নির্দিষ্ট ইন্সপেকশন পয়েন্ট দিয়ে ডাটা প্যাকেট পার হওয়ার সময় এই ডিপিআই মেশিনগুলো ডেটা পরীক্ষা ও এর মধ্য থেকে বিশেষ তথ্য ছেঁকে বের করতে পারে। এর সাহায্যে মানুষের ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মেসেজিং ও কনটেন্ট ডাউনলোডের ওপর নজর রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র খোলা হবে। এখান থেকে পুরো ব্যবস্থাটি পরিচালনা ও সরকারের নির্দেশ মত কাজ পরিচালনা করা হবে।
আন্তর্জাতিক সব গেটওয়ে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং একটি দল সেখান থেকে সার্বক্ষণিক অনলাইন ট্রাফিকের ওপর নজর রাখবেন। প্রকল্পের নথি বলছে, এই ব্যবস্থায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারকারীদেরও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রিপোর্টারদের বলেছে, প্রকল্পের আওতায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় ও দক্ষ লোকবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের শরীয়ত প্রতিষ্ঠার দাবীদার জিহাদিরা ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর ইসলামের সঠিক আদর্শ প্রচারের একটি মাধ্যম হয়ে উঠছে ইন্টারনেট। পরিশেষে ভারতের মত এবার বাংলাদেশের সরকারও মুজাহিদদের দমনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার যখন এই পরিকল্পনা নিচ্ছে, তখন সাধারণ মুসলমানদের মাঝে জিজ্ঞাসা তবে কি জঙ্গিরাই সঠিক পথে আছে, না হলে আন্তর্জাতিক কুফফারসহ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা সবাই একজোট হচ্ছে কেন??
Comment