শাশ্বত সত্য এই দ্বীনের অতন্দ্র প্রহরী মুজাহিদীন ও জিহাদের পথের সন্ধান পেয়েও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা কখনোই জান্নাতপ্ৰেমী মুমিনের কাজ হতে পারে না। ইসলাম মুসলিমের এমন দুর্দিনে নিজের ওপর জিহাদের ফরজিয়াত উপলব্ধি করেও আপনি কিভাবে স্থির চিত্তে বসে আছেন?
নিজেকে মুমিন হিসেবে দাবী করে থাকলে বিবেককে প্রশ্ন করুন। দেখুন বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহ তাআলা আপনার ওপর সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করলে আপনি সহজেই এর উত্তর পাবেন। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অন্তরে থাকে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
👈التقوی ھاھنا ويشير إلی صدره ثلاث مرات
👉অর্থঃ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি এখানে থাকে। একথা বলে তিনি তিনবার নিজের বক্ষের
দিকে ইশারা করলেন। "(সহীহ মুসলিম, মিশকাত হা: ৪৭৪২।)
আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। তাই
আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আনুগত্যের ওপর থাকেন তখন অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে। আর যদি আপনি নিজেকে প্রতারিত করার চেষ্টা করেন তবে এর দ্বারা ক্ষতি কিন্তু আপনারই হবে। একজন মুমিন নিজেকে এ অবস্থায় ফেলে রাখতে পারে না। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টায় রত থাকবে। আপনি গুরুত্বপূর্ণ এই ফরজ ইবাদতকে উপেক্ষা করে অন্যান্য অনেক ইবাদতে লিপ্ত থেকে নিজেকে প্রশান্ত করতে চাইলেও, আপনার অন্তর কিন্তু প্রশান্ত হবে না।এজন্য আপনার অন্তর যদি আপনাকে বলে যে, তুমি জিহাদে অংশগ্রহণ না করার কারণে আল্লাহ
রবুল আলামীন তোমার ওপর অসন্তুষ্ট তবে আপনি আল্লাহর এই অসন্তোষ থেকে বাচার জন্য তৎক্ষনাৎ জিহাদে অংশগ্রহণ করুন। তারপরও অলসতা করলে আপনি নিশ্চিত ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
✔️কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) ও আরও দুইজন সাহাবীর তবুক যুদ্ধে গমন না করা প্রসঙ্গে
তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে আমরা জানতে পারি।তাবুক যুদ্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে তিন জন সাহাবী অংশগ্রহণ না করার কারণে তিনি তাদেরকে বয়কট করলেন, তাদের সাথে সকলের কথা বলা নিষেধ করে দিলেন, তাদের স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তারা হলেন আন্দুল্লাহ ইবনে কা'ব ইবনে মালিক (রাঃ), মুরারাহ ইবনে রবী (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল আলওয়কেফী (রাঃ)। তাদের মধ্যে মুরারাহ ইবনে রবী (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল আলওয়কেফী (রাঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন,!আন্দুল্লাহ ইবনে কাব ইবনে মালিক (রাঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি এছাড়া তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বাইয়াতে আকাবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বদরে যারা অংশগ্রহণ করতে পারেন নি তাদেরকে দোষারোপ করা হয়নি। তাবুক অভিযানে সময় ছিল কঠিন গরম, আবার অতি দূরের সফর, বিশাল মরুভূমি এবং শত্রুসৈন্যও ছিল অধিক সংখ্যক। কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) তাবুক অভিযানে অংশগ্রহন না করার কারণ হলো, তখন গাছের ফল পেকে গিয়েছিল, গাছের ছায়া ছিল আরামদায়ক। এজন্য কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) এর অন্তর আরামপ্রিয়তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল। তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হতেন কিন্তু শূন্য হাতে ফিরে আসতেন। প্রস্তুতির এবং সফরের আসবাবপত্র ক্রয় করতেন না। তিনি মনকে বোঝাতেন যে, যখনই ইচ্ছা হবে তখনই তৎক্ষনাৎ প্রস্তুতি নিয়ে নিবেন।
অন্য দিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ পূর্ণমাত্রায় প্রস্তুতি গ্রহণ।
করে ফেললেন এবং মুসলিমরা জিহাদের জন্য যাত্রা শুরু করলেন। তখনও কা'ব ইবনে
মালিক (রাঃ) ভাবলেন যে, দু'একদিন পর প্রস্তুতি গ্রহণ করে তাদের সাথে মিলিত হয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে মুসলিম সেনাদল বহু দূরে চলে গেল। তারপরও কাব ইবনে মালিক (রাঃ) প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হতেন কিন্তু প্রস্তুতি ছাড়াই ফিরে আসতেন। শেষ পর্যন্ত প্রত্যহ এরূপই হতে থাকে। এমন অবস্থা চলতে চলতে তার আর তাবুকে অংশগ্রহণ করা হলো না। তিনি বাজারে যেতেন, বাজারে কেবল পেতেন মুনাফিকদেরকে ও যারা খোড়া ও বিকলাঙ্গ।
♦️অর্থাৎ যাদের জিহাদে না যাওয়ার ওজর রয়েছে।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী , ইফাবা. হা: ৪০৭৬,)
দেখুন কাব ইবনে মালিক (রাঃ) অলসতা ও আরামপ্রিয়তার কারনেই তাবুকে অংশগ্রহণ
করতে পারলেন না। এজন্য আমাদের অলসতা ও আরামপ্রিয়তা ত্যাগ করা উচিত। আল্লাহর হুকুম পালনে কালক্ষেপণ করা উচিত নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন ঃ
✔️يأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا ما لَكُم إِذا قيلَ لَكُمُ انفِروا فى سَبيلِ اللَّهِ اثّاقَلتُم إِلَى الأَرضِ ۚ أَرَضيتُم بِالحَيوٰةِ الدُّنيا مِنَ الءاخِرَةِ ۚ فَما مَتٰعُ الحَيوٰةِ الدُّنيا فِى الءاخِرَةِ إِلّا قَليلٌ
✔️অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কি হলো যে, যখন তোমাদেরকে বলা হয়- আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) বেরিয়ে পড়, তখন তোমরা মাটিতে লেগে থাকো (আলসভাবে বসে থাকো); তবে কি তোমরা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনের উপর পরিতুষ্ট হয়
ে গেলে? বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস তো আখিরাতের তুলনায় কিছু নয়, অতি সামান্য। (সূরা তাওবাহ : ৩৮)
(👉তাফসীর ইবনে কাসীর, সূরা তাওবাহর ১১৮ নং আয়াতের তাফসীরে দেখুন।)
সুতরাং দুনিয়ার সকল মায়াজাল ছিন্ন করে দুর্বার মুজাহিদীনদের কাফেলায় শরীক হোন।
নিজেকে মুমিন হিসেবে দাবী করে থাকলে বিবেককে প্রশ্ন করুন। দেখুন বিশ্ব জাহানের রব আল্লাহ তাআলা আপনার ওপর সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট। আপনার বিবেককে প্রশ্ন করলে আপনি সহজেই এর উত্তর পাবেন। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অন্তরে থাকে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
👈التقوی ھاھنا ويشير إلی صدره ثلاث مرات
👉অর্থঃ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি এখানে থাকে। একথা বলে তিনি তিনবার নিজের বক্ষের
দিকে ইশারা করলেন। "(সহীহ মুসলিম, মিশকাত হা: ৪৭৪২।)
আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের বুকের দিকে ইশারা করলেন। তাই
আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আনুগত্যের ওপর থাকেন তখন অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে। আর যদি আপনি নিজেকে প্রতারিত করার চেষ্টা করেন তবে এর দ্বারা ক্ষতি কিন্তু আপনারই হবে। একজন মুমিন নিজেকে এ অবস্থায় ফেলে রাখতে পারে না। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য ও আল্লাহর অসন্তোষ থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টায় রত থাকবে। আপনি গুরুত্বপূর্ণ এই ফরজ ইবাদতকে উপেক্ষা করে অন্যান্য অনেক ইবাদতে লিপ্ত থেকে নিজেকে প্রশান্ত করতে চাইলেও, আপনার অন্তর কিন্তু প্রশান্ত হবে না।এজন্য আপনার অন্তর যদি আপনাকে বলে যে, তুমি জিহাদে অংশগ্রহণ না করার কারণে আল্লাহ
রবুল আলামীন তোমার ওপর অসন্তুষ্ট তবে আপনি আল্লাহর এই অসন্তোষ থেকে বাচার জন্য তৎক্ষনাৎ জিহাদে অংশগ্রহণ করুন। তারপরও অলসতা করলে আপনি নিশ্চিত ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
✔️কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) ও আরও দুইজন সাহাবীর তবুক যুদ্ধে গমন না করা প্রসঙ্গে
তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে আমরা জানতে পারি।তাবুক যুদ্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে তিন জন সাহাবী অংশগ্রহণ না করার কারণে তিনি তাদেরকে বয়কট করলেন, তাদের সাথে সকলের কথা বলা নিষেধ করে দিলেন, তাদের স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। তারা হলেন আন্দুল্লাহ ইবনে কা'ব ইবনে মালিক (রাঃ), মুরারাহ ইবনে রবী (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল আলওয়কেফী (রাঃ)। তাদের মধ্যে মুরারাহ ইবনে রবী (রাঃ) এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল আলওয়কেফী (রাঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন,!আন্দুল্লাহ ইবনে কাব ইবনে মালিক (রাঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি এছাড়া তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বাইয়াতে আকাবায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। বদরে যারা অংশগ্রহণ করতে পারেন নি তাদেরকে দোষারোপ করা হয়নি। তাবুক অভিযানে সময় ছিল কঠিন গরম, আবার অতি দূরের সফর, বিশাল মরুভূমি এবং শত্রুসৈন্যও ছিল অধিক সংখ্যক। কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) তাবুক অভিযানে অংশগ্রহন না করার কারণ হলো, তখন গাছের ফল পেকে গিয়েছিল, গাছের ছায়া ছিল আরামদায়ক। এজন্য কা’ব ইবনে মালিক (রাঃ) এর অন্তর আরামপ্রিয়তার দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল। তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হতেন কিন্তু শূন্য হাতে ফিরে আসতেন। প্রস্তুতির এবং সফরের আসবাবপত্র ক্রয় করতেন না। তিনি মনকে বোঝাতেন যে, যখনই ইচ্ছা হবে তখনই তৎক্ষনাৎ প্রস্তুতি নিয়ে নিবেন।
অন্য দিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীগণ পূর্ণমাত্রায় প্রস্তুতি গ্রহণ।
করে ফেললেন এবং মুসলিমরা জিহাদের জন্য যাত্রা শুরু করলেন। তখনও কা'ব ইবনে
মালিক (রাঃ) ভাবলেন যে, দু'একদিন পর প্রস্তুতি গ্রহণ করে তাদের সাথে মিলিত হয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে মুসলিম সেনাদল বহু দূরে চলে গেল। তারপরও কাব ইবনে মালিক (রাঃ) প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে বের হতেন কিন্তু প্রস্তুতি ছাড়াই ফিরে আসতেন। শেষ পর্যন্ত প্রত্যহ এরূপই হতে থাকে। এমন অবস্থা চলতে চলতে তার আর তাবুকে অংশগ্রহণ করা হলো না। তিনি বাজারে যেতেন, বাজারে কেবল পেতেন মুনাফিকদেরকে ও যারা খোড়া ও বিকলাঙ্গ।
♦️অর্থাৎ যাদের জিহাদে না যাওয়ার ওজর রয়েছে।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী , ইফাবা. হা: ৪০৭৬,)
দেখুন কাব ইবনে মালিক (রাঃ) অলসতা ও আরামপ্রিয়তার কারনেই তাবুকে অংশগ্রহণ
করতে পারলেন না। এজন্য আমাদের অলসতা ও আরামপ্রিয়তা ত্যাগ করা উচিত। আল্লাহর হুকুম পালনে কালক্ষেপণ করা উচিত নয়।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন ঃ
✔️يأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا ما لَكُم إِذا قيلَ لَكُمُ انفِروا فى سَبيلِ اللَّهِ اثّاقَلتُم إِلَى الأَرضِ ۚ أَرَضيتُم بِالحَيوٰةِ الدُّنيا مِنَ الءاخِرَةِ ۚ فَما مَتٰعُ الحَيوٰةِ الدُّنيا فِى الءاخِرَةِ إِلّا قَليلٌ
✔️অর্থঃ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কি হলো যে, যখন তোমাদেরকে বলা হয়- আল্লাহর পথে (জিহাদের জন্য) বেরিয়ে পড়, তখন তোমরা মাটিতে লেগে থাকো (আলসভাবে বসে থাকো); তবে কি তোমরা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনের উপর পরিতুষ্ট হয়
ে গেলে? বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস তো আখিরাতের তুলনায় কিছু নয়, অতি সামান্য। (সূরা তাওবাহ : ৩৮)
(👉তাফসীর ইবনে কাসীর, সূরা তাওবাহর ১১৮ নং আয়াতের তাফসীরে দেখুন।)
সুতরাং দুনিয়ার সকল মায়াজাল ছিন্ন করে দুর্বার মুজাহিদীনদের কাফেলায় শরীক হোন।
Comment