🔫 🔪*খোরাসানী বীরদের বীরত্বগাথাঃ- তালেবান কেন সত্যিকারের সুপারপাওয়ার?🗡 🏹
( অনেক অজানা কিছু জানার আছে আপনার জন্য। সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন, নতুবা সেভ করে রেখে দিন, পরে সময় হলে পড়ে নিবেন )
(ক) আফগানিস্তান হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম একটি দরিদ্র দেশ (দারিদ্রতার র*্যাঙ্কিং-এ তৃতীয় বা চতুর্থ) এবং একটি
অশিক্ষিত দেশ। যে দেশের প্রায়
অধিকাংশ জনগণ পড়তে এবং লিখতে জানেনা। যে দেশের সাক্ষরতার হার মাত্র ২৮%। কিন্তু তারপরেও কেন বিশ্বের
প্রত্যেকটি Super Power তাঁদের নিজস্ব সময়ে (যখন Ruling State of the World) এই
দরিদ্র, অশিক্ষিত দেশটিকে আক্রমন করেছে? সেই সাথে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-
প্রত্যেকটি Super Power ই এই
আফগানিস্তানে আক্রমণ করে পরাজিত হয়েছে এবং এর পরেই তাঁদের সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়ে শেষপর্যন্ত Super Power এর খাতা থেকে তাদের নামগুলোও কেটে দেওয়া হয়েছে।
আক্রমণের কারণ হিসেবে এমনটি বলতে পারবেন না যে দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, তেলের খনি আছে বা স্বর্ণের খনি
আছে আর তাই এই সম্পদ লুট করার জন্যেই সময়ের প্রত্যেকটি দাজ্জালী Super Power দেশটিতে আক্রমন করেছে।
১/ যখন ইউরোপ সারা পৃথিবী শাসন করেছে, সারা পৃথিবীকে তাঁদের কলোনিতে পরিণত করেছে, তখনও তারা এই
আফগানিস্তান অঞ্চলটিকে নিজদের কলোনিতে পরিণত করার জন্যে প্রাণপণ
চেষ্টা করেছে, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
২/ যখন ব্রিটিশরা পৃথিবীর Super Power ছিল তখন তারাও এই আফগানিস্তানে
আক্রমণ চালিয়েছে। বৃটিশরা ভারত উপমহাদেশ ২০০ বছর শাসন করলেও আফগানিস্তানে গিয়ে শান্তিতে দাঁড়াতেও পারে নি।
ব্রিটিশরা আফগানিস্তানে প্রথম আক্রমণ চালায় ১৮৩৯ সালে। যেটা First Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৩৯ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায় ১৮৭৮ সালে। যেটা Second Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৭৮ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, দুটি যুদ্ধেই ব্রিটিশরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং এর মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
★✌*এখানে একটি মজার ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়।
ঘটনাটি হল-
বৃটিশরা যখন দ্বিতীয় বারের মত আফগানে আক্রমণ চালায়, তখন (সম্ভবত ১৮৮০ সালে তথা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে) খোলা মাঠে একাধারে কয়েকদিন পর্যন্ত সম্মুখ যু্দ্ধের পর এক পর্যায়ে আফগানরা ভেগে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করে। বৃটিশ সেনাবাহিনী আফগানদেরকে ধাওয়া করে হত্যা করতে আফগানদেরকে ধাওয়া করতে করতে তাদের পিছু ছুটতে থাকে।
আফগানরা দৌঁড়ে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এক বিস্তীর্ণ উপত্যকায় নিয়ে বৃটিশদের সকল সেনাকে জমা করে। পূর্ব থেকেই পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া আফগান জনগণ ঠিক এই সময়টারই অপেক্ষায় ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ,*বৃটিশ সেনাবাহিনীর পুরোটা টিম উপত্যকায় উপস্থিত হওয়ার পর আফগানরা দৌঁড়ে পাহাড়ে উঠে যায় আর এরপরই শুরু হয় দুই পাহাড়ের ওপর থেকে বৃটিশদের ওপর তীর বৃষ্টি।*
(সরাসরি ওখান থেকে দেখলে হয়ত বলতাম যে, হয়ত কাঠি দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে বৃটিশ কুমড়োগুলোকে মুরব্বা বানানো হচ্ছে।*😂
যাই হোক, কিছুক্ষণ পর আফগানদের পূর্ণ পদাতিক এবং ঘোড়সওয়ার ডিভিশন এসে সাদা চামড়াগুলোকে মূলা-গাজরের মত কচুকাটা করতে থাকে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ওখানকার এক আফগান কমাণ্ডারের অনুরোধমতে এতগুলো আগ্রাসী বৃটিশ সেনাদের মধ্য হতে শুধুমাত্র একজনকে জীবিত রাখা হয়😱। ঐ একজন বৃটিশ সেনার কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে দিয়ে তার সমস্ত শরীর চাকু দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করে তাকে বৃটিশদের এক বার্মিজ সেক্টরের পাশে পৌছে দেওয়া হয়, যাতে সে গিয়ে সকলের মৃত্যুর সংবাদটা উর্ধ্বতন জেনারেলদের নিকট পৌঁছাতে পারে*😂। পরে ঐ বৃটিশ সৈনিকটিও পূর্ণ ঘটনা বলার পর উর্ধ্বতন জেনারেলদের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে ওখানেই মৃত্যুবরণ করে।*😭
🎸*সোজা কথায় পুরো টিম ইজ= খালাস*🔫
৩/ তারপর Super Power হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন
(বর্তমান রাশিয়া)। তারাও ১৯৭৮ সালে আফগানিস্থানে আক্রমণ চালায় এবং ১১ বছর যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন
আফগানিস্থানে পরাজিত হয় এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। আফগানরা সোভিয়েত ইউনিয়নের এমন দৈন্যদশা করে ছেড়েছিল যে, রাশিয়া তো পঙ্গু হয়েছিলই,তারওপর আবার সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে একইসাথে ১৫টি মুসলিম রাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রাশিয়ার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া অস্ত্রের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করার মত যথেষ্ট অস্ত্রও তখন তাদের হাতে মজুদ ছিল না। এত পরিমাণে মার খেয়েছিল আফগানদের হাতে!
৪/ তারপর বিশ্বের Super Power হয় বর্তমান আমেরিকা এবং তারাও ২০০১ সালে আফগানিস্থান আক্রমণ করে। ইনশাল্লাহ তারাও সেখানে অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজিত হবে এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই পৃথিবীর
বুকে আমেরিকান সাম্রাজ্যের পতন শুরু হবে। অলরেডি আফগানে নিয়োজিত বিভিন্ন সেনা অফিসার এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজনের পক্ষ থেকেই হোয়াইট হাউজ বরাবর এই আবেদন করা হয়েছে যে, আফ
( অনেক অজানা কিছু জানার আছে আপনার জন্য। সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন, নতুবা সেভ করে রেখে দিন, পরে সময় হলে পড়ে নিবেন )
(ক) আফগানিস্তান হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম একটি দরিদ্র দেশ (দারিদ্রতার র*্যাঙ্কিং-এ তৃতীয় বা চতুর্থ) এবং একটি
অশিক্ষিত দেশ। যে দেশের প্রায়
অধিকাংশ জনগণ পড়তে এবং লিখতে জানেনা। যে দেশের সাক্ষরতার হার মাত্র ২৮%। কিন্তু তারপরেও কেন বিশ্বের
প্রত্যেকটি Super Power তাঁদের নিজস্ব সময়ে (যখন Ruling State of the World) এই
দরিদ্র, অশিক্ষিত দেশটিকে আক্রমন করেছে? সেই সাথে অবাক করার বিষয় হচ্ছে-
প্রত্যেকটি Super Power ই এই
আফগানিস্তানে আক্রমণ করে পরাজিত হয়েছে এবং এর পরেই তাঁদের সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়ে শেষপর্যন্ত Super Power এর খাতা থেকে তাদের নামগুলোও কেটে দেওয়া হয়েছে।
আক্রমণের কারণ হিসেবে এমনটি বলতে পারবেন না যে দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, তেলের খনি আছে বা স্বর্ণের খনি
আছে আর তাই এই সম্পদ লুট করার জন্যেই সময়ের প্রত্যেকটি দাজ্জালী Super Power দেশটিতে আক্রমন করেছে।
১/ যখন ইউরোপ সারা পৃথিবী শাসন করেছে, সারা পৃথিবীকে তাঁদের কলোনিতে পরিণত করেছে, তখনও তারা এই
আফগানিস্তান অঞ্চলটিকে নিজদের কলোনিতে পরিণত করার জন্যে প্রাণপণ
চেষ্টা করেছে, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
২/ যখন ব্রিটিশরা পৃথিবীর Super Power ছিল তখন তারাও এই আফগানিস্তানে
আক্রমণ চালিয়েছে। বৃটিশরা ভারত উপমহাদেশ ২০০ বছর শাসন করলেও আফগানিস্তানে গিয়ে শান্তিতে দাঁড়াতেও পারে নি।
ব্রিটিশরা আফগানিস্তানে প্রথম আক্রমণ চালায় ১৮৩৯ সালে। যেটা First Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৩৯ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায় ১৮৭৮ সালে। যেটা Second Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৭৮ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, দুটি যুদ্ধেই ব্রিটিশরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং এর মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
★✌*এখানে একটি মজার ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়।
ঘটনাটি হল-
বৃটিশরা যখন দ্বিতীয় বারের মত আফগানে আক্রমণ চালায়, তখন (সম্ভবত ১৮৮০ সালে তথা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে) খোলা মাঠে একাধারে কয়েকদিন পর্যন্ত সম্মুখ যু্দ্ধের পর এক পর্যায়ে আফগানরা ভেগে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করে। বৃটিশ সেনাবাহিনী আফগানদেরকে ধাওয়া করে হত্যা করতে আফগানদেরকে ধাওয়া করতে করতে তাদের পিছু ছুটতে থাকে।
আফগানরা দৌঁড়ে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী এক বিস্তীর্ণ উপত্যকায় নিয়ে বৃটিশদের সকল সেনাকে জমা করে। পূর্ব থেকেই পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া আফগান জনগণ ঠিক এই সময়টারই অপেক্ষায় ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ,*বৃটিশ সেনাবাহিনীর পুরোটা টিম উপত্যকায় উপস্থিত হওয়ার পর আফগানরা দৌঁড়ে পাহাড়ে উঠে যায় আর এরপরই শুরু হয় দুই পাহাড়ের ওপর থেকে বৃটিশদের ওপর তীর বৃষ্টি।*
(সরাসরি ওখান থেকে দেখলে হয়ত বলতাম যে, হয়ত কাঠি দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে বৃটিশ কুমড়োগুলোকে মুরব্বা বানানো হচ্ছে।*😂
যাই হোক, কিছুক্ষণ পর আফগানদের পূর্ণ পদাতিক এবং ঘোড়সওয়ার ডিভিশন এসে সাদা চামড়াগুলোকে মূলা-গাজরের মত কচুকাটা করতে থাকে। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ওখানকার এক আফগান কমাণ্ডারের অনুরোধমতে এতগুলো আগ্রাসী বৃটিশ সেনাদের মধ্য হতে শুধুমাত্র একজনকে জীবিত রাখা হয়😱। ঐ একজন বৃটিশ সেনার কাপড়-চোপড় ছিড়ে ফেলে দিয়ে তার সমস্ত শরীর চাকু দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করে তাকে বৃটিশদের এক বার্মিজ সেক্টরের পাশে পৌছে দেওয়া হয়, যাতে সে গিয়ে সকলের মৃত্যুর সংবাদটা উর্ধ্বতন জেনারেলদের নিকট পৌঁছাতে পারে*😂। পরে ঐ বৃটিশ সৈনিকটিও পূর্ণ ঘটনা বলার পর উর্ধ্বতন জেনারেলদের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ে ওখানেই মৃত্যুবরণ করে।*😭
🎸*সোজা কথায় পুরো টিম ইজ= খালাস*🔫
৩/ তারপর Super Power হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন
(বর্তমান রাশিয়া)। তারাও ১৯৭৮ সালে আফগানিস্থানে আক্রমণ চালায় এবং ১১ বছর যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন
আফগানিস্থানে পরাজিত হয় এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। আফগানরা সোভিয়েত ইউনিয়নের এমন দৈন্যদশা করে ছেড়েছিল যে, রাশিয়া তো পঙ্গু হয়েছিলই,তারওপর আবার সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে একইসাথে ১৫টি মুসলিম রাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে বেরিয়ে যায়। কিন্তু রাশিয়ার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া অস্ত্রের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করার মত যথেষ্ট অস্ত্রও তখন তাদের হাতে মজুদ ছিল না। এত পরিমাণে মার খেয়েছিল আফগানদের হাতে!
৪/ তারপর বিশ্বের Super Power হয় বর্তমান আমেরিকা এবং তারাও ২০০১ সালে আফগানিস্থান আক্রমণ করে। ইনশাল্লাহ তারাও সেখানে অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজিত হবে এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই পৃথিবীর
বুকে আমেরিকান সাম্রাজ্যের পতন শুরু হবে। অলরেডি আফগানে নিয়োজিত বিভিন্ন সেনা অফিসার এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের কয়েকজনের পক্ষ থেকেই হোয়াইট হাউজ বরাবর এই আবেদন করা হয়েছে যে, আফ
Comment