শায়েখ আনওয়ার আল আওলাকি রহঃ এর "স্টোরি অফ দা বুল" এর কথা বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে, কিছু দিন আগের কোটা আন্দোলনের ব্যাপারে সবার মুখে ঘুরে ফিরে একই কথা - স্টোরি অফ বুলের সেই মুল কথাই বলছেন, "আজ যদি আমরা তাদের পাশে না দাড়াই একদিন আমাদের উপরেও এই বিপদ আসবে" - ঘটনা হচ্ছে আমরা বাড়ি খেয়ে শিখি। এর আগে শিখতে চাইনা। শায়েখ আওলাকি রহঃ বললে - সেটা এক্সট্রিম কিন্তু যখন বাস্তবতা সামনে আসে তখন কাকে দোষ দিবো এই ফাক খুজতে থাকি।
এগুলো দেখতে বিচ্ছন্ন হলেও আদতে এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। যেমন রাস্তা ঘাটে চাপা পড়া, হাত পা ছিন্ন ভিন্ন হওয়া, মুড়ি মুড়কির মত রেইপ এর ঘটনা এগুলো কোনতাই বিচ্ছন্ন ঘটনা না। কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন না, আমি বা আপনি এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ভাবি কিংবা ভাবার ভান ধরি জতখন না সেটা আমাকে আঘাত করে। এটা কে বলে স্বার্থপরতা, কাপুরুষতাও বলে। এগুলো নিয়ে পাতার পর পাতা লিখে ফেলা যাবে, দিনের পর দিন কথা বলা যাবে, মাস ঘুরে মাস আসবে - এমন ঘটনা গুলো সাথে নিয়ে, কিন্তু তা আমাদের কোন উপকার ই করতে পারবে না যতক্ষণ না আমরা বিষয় টা কে উপলব্ধি করতে চাইব। আসলে আম্র উপলব্ধি ও করি, কিন্তু এর পরে আর কিছুর সাহস আমাদের হয়না। কারন আমরা একটা দূষিত পচা সমাজব্যাবস্থার দাসত্বের শিকল নিজে নজের গলায় পরিয়ে রেখেছি। আমাদের সামনে আজ ধর্ষণ - শুধু একটা ঘটনার নাম। খুন, ধর্ষণ - এগুলো শুধুই ঘটনা, লাইফ ইভেন্টস। এর মাঝে আপনি স্পেন আর্জেন্টিনা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যান, কিংবা নেক্সট বিজনেস ডিল নিয়ে!
সমাজের যে রেইপ এবং মার্ডার আজ আপনাকে ভাবাতে পারলোনা কাল তা আপনাকে ঠিকই ভাবাবে, নিশ্চিত থাকেন। কারন আজ যাদের উপরে এই বিপদ আসছে গতকাল ও তারা ভাবেনি যে তাদের উপরে এটা আসতে পারে। আজ যদি তরিকুল জানতো তাকে "জঙ্গি" ট্যাগ দেয়া হবে তাহলে তরিকুল এর কাজের ধারা অন্যরকম হত। কোটা আন্দোলনে নামতো কিনা সন্দেহ!
পরিবর্তন চান? পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন হতে হবে, আই চাই আমার ড্রয়িং রুমের ফার্নিচার গুলো অন্য রকম ভাবে সাজানো হোক, কিন্তু আমি কোন কিছুই নড়াবোনা সোফায় বসে বসে টিভি দেখবো, সকালে অফিসে যাবো। তাহলে আমার ফার্নিচার যেমন ছিল তেমনই থাকবে!
আমরা ভিতু হয়ে গেছি, এতটাই ভিতু যে মনে হয় যেন আমাদের মেরুদন্ড বলে কিছু নাই। আর এটা তখন হয় যখন মানুষ আল্লাহ কে ভয় করা বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভয় পায়। এক ইলাহ এর দাসত্ব ছেড়ে মানুষ যখন মাখলুক কে ইলাহ বানিয়ে নেয়, তার বিধানের কাহে নিজেকে সমর্পন করে তখন এটাই হতে বাধ্য।
আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ কে বাদ দিয়ে যারা অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে নেয়, তাদের উদাহরন হচ্ছে মাকড়সার ঘরের মত। মাকড়সা ঘর বানায় আর তার ঘর হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল (ভালনারেবল)। আসলে আমরা আল্লাহর কথার দিকে তাকাইনা। কেন আল্লাহ মাকড়সার ঘরের উদাহরন দিলেন! বাস্তবেও মাকড়সার ঘর অনেক দুর্বল, এটা খুব নাজুক জালের মত, এর বেশি আর কিছুই না। কিন্তু এর ভিতরে আরো গভীর এবং সুক্ষ টু দি পয়েন্ট উদাহরন রয়েছে। মাকড়সা জালের মত ঘর বানায় যা বাস্তবে অনেক বেশি নাজুক। ঘর বানানোর এই কাজ টা করে স্ত্রী মাকড়সা, এর পরে সে পুরুষ মাকড়সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তাদের মিলনের পর পরেই পুরুষ মাকড়সা যান নিয়ে পালানোর চেস্টা করে, কারন অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে - এই কাজের পরেই স্ত্রী মামড়সা এই পুরুষ মাকড়সা কে হত্যা করে ফেলে, কখনো খেয়ে ফেলে। আর আল্লাহ এই উদাহরন ই দিয়েছেন যারা আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে এন্য তাদের উদাহরন মাকড়সার এই ঘরের মত, যা হচ্ছে মরন ফাঁদ। এই সুন্দর করে পাতা ফাঁদেই পুরুষ মাকড়সা কে জীবন দিতে হয়। আজ যারা আল্লাহ কে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে তাদের ইলাহরাই আজ তাদের হাতুড়ি দিয়ে হাড্ডি ভেঙ্গে দিচ্ছে, রেইপ করেতেছে। আর আল্লাহ তাই ই বলেছেন।
আল্লাহ কত সুন্দর করে বলছেন - "দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।"
এখন সিদ্ধান্ত আমার, আপনার। আর হ্যা স্টোরি অফ দা বুল - সেটা ও মনে রাখা দরকার।
এগুলো দেখতে বিচ্ছন্ন হলেও আদতে এগুলো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। যেমন রাস্তা ঘাটে চাপা পড়া, হাত পা ছিন্ন ভিন্ন হওয়া, মুড়ি মুড়কির মত রেইপ এর ঘটনা এগুলো কোনতাই বিচ্ছন্ন ঘটনা না। কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন না, আমি বা আপনি এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ভাবি কিংবা ভাবার ভান ধরি জতখন না সেটা আমাকে আঘাত করে। এটা কে বলে স্বার্থপরতা, কাপুরুষতাও বলে। এগুলো নিয়ে পাতার পর পাতা লিখে ফেলা যাবে, দিনের পর দিন কথা বলা যাবে, মাস ঘুরে মাস আসবে - এমন ঘটনা গুলো সাথে নিয়ে, কিন্তু তা আমাদের কোন উপকার ই করতে পারবে না যতক্ষণ না আমরা বিষয় টা কে উপলব্ধি করতে চাইব। আসলে আম্র উপলব্ধি ও করি, কিন্তু এর পরে আর কিছুর সাহস আমাদের হয়না। কারন আমরা একটা দূষিত পচা সমাজব্যাবস্থার দাসত্বের শিকল নিজে নজের গলায় পরিয়ে রেখেছি। আমাদের সামনে আজ ধর্ষণ - শুধু একটা ঘটনার নাম। খুন, ধর্ষণ - এগুলো শুধুই ঘটনা, লাইফ ইভেন্টস। এর মাঝে আপনি স্পেন আর্জেন্টিনা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যান, কিংবা নেক্সট বিজনেস ডিল নিয়ে!
সমাজের যে রেইপ এবং মার্ডার আজ আপনাকে ভাবাতে পারলোনা কাল তা আপনাকে ঠিকই ভাবাবে, নিশ্চিত থাকেন। কারন আজ যাদের উপরে এই বিপদ আসছে গতকাল ও তারা ভাবেনি যে তাদের উপরে এটা আসতে পারে। আজ যদি তরিকুল জানতো তাকে "জঙ্গি" ট্যাগ দেয়া হবে তাহলে তরিকুল এর কাজের ধারা অন্যরকম হত। কোটা আন্দোলনে নামতো কিনা সন্দেহ!
পরিবর্তন চান? পরিবর্তন করতে হবে, পরিবর্তন হতে হবে, আই চাই আমার ড্রয়িং রুমের ফার্নিচার গুলো অন্য রকম ভাবে সাজানো হোক, কিন্তু আমি কোন কিছুই নড়াবোনা সোফায় বসে বসে টিভি দেখবো, সকালে অফিসে যাবো। তাহলে আমার ফার্নিচার যেমন ছিল তেমনই থাকবে!
আমরা ভিতু হয়ে গেছি, এতটাই ভিতু যে মনে হয় যেন আমাদের মেরুদন্ড বলে কিছু নাই। আর এটা তখন হয় যখন মানুষ আল্লাহ কে ভয় করা বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ভয় পায়। এক ইলাহ এর দাসত্ব ছেড়ে মানুষ যখন মাখলুক কে ইলাহ বানিয়ে নেয়, তার বিধানের কাহে নিজেকে সমর্পন করে তখন এটাই হতে বাধ্য।
আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ কে বাদ দিয়ে যারা অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে নেয়, তাদের উদাহরন হচ্ছে মাকড়সার ঘরের মত। মাকড়সা ঘর বানায় আর তার ঘর হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল (ভালনারেবল)। আসলে আমরা আল্লাহর কথার দিকে তাকাইনা। কেন আল্লাহ মাকড়সার ঘরের উদাহরন দিলেন! বাস্তবেও মাকড়সার ঘর অনেক দুর্বল, এটা খুব নাজুক জালের মত, এর বেশি আর কিছুই না। কিন্তু এর ভিতরে আরো গভীর এবং সুক্ষ টু দি পয়েন্ট উদাহরন রয়েছে। মাকড়সা জালের মত ঘর বানায় যা বাস্তবে অনেক বেশি নাজুক। ঘর বানানোর এই কাজ টা করে স্ত্রী মাকড়সা, এর পরে সে পুরুষ মাকড়সার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। তাদের মিলনের পর পরেই পুরুষ মাকড়সা যান নিয়ে পালানোর চেস্টা করে, কারন অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে - এই কাজের পরেই স্ত্রী মামড়সা এই পুরুষ মাকড়সা কে হত্যা করে ফেলে, কখনো খেয়ে ফেলে। আর আল্লাহ এই উদাহরন ই দিয়েছেন যারা আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে এন্য তাদের উদাহরন মাকড়সার এই ঘরের মত, যা হচ্ছে মরন ফাঁদ। এই সুন্দর করে পাতা ফাঁদেই পুরুষ মাকড়সা কে জীবন দিতে হয়। আজ যারা আল্লাহ কে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে তাদের ইলাহরাই আজ তাদের হাতুড়ি দিয়ে হাড্ডি ভেঙ্গে দিচ্ছে, রেইপ করেতেছে। আর আল্লাহ তাই ই বলেছেন।
আল্লাহ কত সুন্দর করে বলছেন - "দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন।"
এখন সিদ্ধান্ত আমার, আপনার। আর হ্যা স্টোরি অফ দা বুল - সেটা ও মনে রাখা দরকার।
Comment