ابو هريرة:
🏮ধ্বংসের প্রকৃত কারণ🏮
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে এবং নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে। ঠেলে দিও না’’ (বাকারা- ১৯৫)
আলোচ্য আয়াত সম্পর্কে তাফসীরে কুরতুবীতে সর্বোত্তম পরিপূর্ণ। ব্যাখ্যা উল্লেখ রয়েছে। ইমাম কুরতুবী (রাহঃ) আবু আয়ুব আনসারী (রাঃ)-এর উদ্রুতি দিয়ে বলেন, আয়াতটি জিহাদের । পথে অর্থ ব্যয় সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আয়াতে হাত দ্বারা পূর্ণ
মানব বুঝানো হয়েছে। তিনি প্রসিদ্ধ কিতাব তিরমীজির একটি হাদীস উল্লেখ করেন।
⌛হাদীসটি নিম রূপঃ⌛
হযরত আবু ইমরান (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রোমের একটি শহরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ বিশাল এক রোমান বাহিনী মুসলমানদের মুখোমুখী অবস্থান নিল। মুসলমান মুজাহিদগণও প্রস্তুত। ইত্যবসরে হঠাৎ এক যুবক মুজাহিদ একাকী শঙ্কর উপর আক্রমণ করে তাদের সম্মুখভাগের সকল কাতার চর্ণ করে দুশমনের মধ্যে ঢুকে পড়লেন। মুসলমানদের কঠে চীৎকার ।
ধ্বনি বেরিয়ে এল। কেউ কেউ এই আয়াতের প্রতি লক্ষ
বলো উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ’ যুবক নিজেকে ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করেছে। মুজাহিদদের এই উক্তি শুনে । হযরত আবু আয়ুব আনসারী (রাঃ) দাড়িয়ে দ্ব্যার্থহিীন কঠে ঘোষণা করলেন, হে লোক সকল! তোমরা আয়াতের এরূপ ভুল ব্যাখ্যা করছ কেন? তোমরা কি জান না, এ আয়াত আমাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, আমরাই এর ব্যাখ্যা উত্তম রূপে জানি। তা হলো, আল্লাহ তা'আলা ইসলামকে বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার পর
আমাদের মধ্যে কারো কারো অন্তরে কলপনা হলো জিহাদের আর প্রয়োজন কি? আমরা আপন গৃহে অবস্থান করে বিষয়সম্পত্তির দেখা-শোনা করি।এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত টি নাযিল হয়েছে।
🌅এতে সুস্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, ধ্বংসের দ্বারা জিহাদ পরিত্যাগ করাকেই বুঝানো হয়েছে। জিহাদ পরিত্যাগ করা মুসলমানদের ধ্বংসের প্রকৃত কারণ।
♻তাইতো হযরত আবু আইয়ুব আনসারী।
(রাঃ) সারা জীবনই জিহাদ করেছেন। শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে শহীদ হয়ে সেখানেই সমাধিস্ত হন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত ইকরামা (রাঃ) হযরত মুজাহিদ (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণ বর্ণনা করেন, আয়াতের উদ্দেশ্য হল, তোমরা জিহাদের পথে অর্থ ব্যয়
বন্ধ করে নিজেদের ধ্বংস নিশ্চিত করো না। যখনই কোন মুজাহিদ জিহাদের জন্য অর্থ চায়, তৎক্ষণাত সাধ্যানুযায়ী অর্থ দিয়ে দাও
🔂ইবনে আব্বাস (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করতে থাক, যদিও তোমাদের নিকট শুধু একটি তীর বা তলোয়ার থাকক।
♻হযরত সাঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, জিহাদের পথে অর্থ ব্যয় কর যদিও একটি রশিই হোক। অর্থ ব্যয়ের মত আমার সমর্থ নেই বলে নিজেদেরকে ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করো না।
♻হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) অন্যত্র বর্ণনা করেন, একদা হুজুর (সাঃ) সকলকে জিহাদে যাওয়ার জন্য আদেশ করলেন। আদেশ শুনে। কিছু গ্রাম্য ব্যক্তি হুজুর (সাঃ)-এর দরবারে এসে আবেদন করল, হে তাল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমরা কিভাবে জিহাদে যাব? (আল্লাহর শপথ) আমাদের নিকট সফর সামগ্রী ও যুদ্ধের কোন
সরঞ্জাম নেই। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করে ধনীদের করেছেনতারা যেন
আদেশ , যেন দরিদ্র মুজাহিদের সাহায্য করে জিহাদের পথে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। অন্যথায় মুজাহিদদের সংখ্যা কমে যাবে আর এই সুযোগে কাফেররা অনায়াসে বিজয় লাভ করে ফেলবে। এতো ছিল সাহাবায়ে কেরামের ব্যাখ্যা।
🔂এবার নিমে কিছু বিখ্যাত আকাবের মুফাসসিরদের বর্ণনা তুলে ধরা হচ্ছে।
♻বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে শাইখুল হীন্দে উল্লেখ রয়েছে, তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় করতে থাক। জিহাদ পরিহার করে নিজেদের ধ্বংসে। নিক্ষেপ করো নাজিহাদের জন্য অর্থ সাহায্য বন্ধ হলে শক্র প্রবল শক্তিশালী হয়ে যাবে আর তার মোকাবেলায় মুসলমান অপারগতার পরিচয় দিবে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুফাসসির হযরত মাওলানা শার আহমদ ওসমানী । (রাহঃ) বলেন, জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় কর। জিহাদের পথে অর্থ ব্যয় থেকে বিরত হয়ে নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। যদি তোমরা জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় না করতবে তোমরা দুর্বল হয়ে যাবে আর কাফের সবল হয়ে যাবে। (তাফসীরে উসমানী-৩৮)
❄যুগ সংস্কারক মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভী (রাহঃ)-এর কনিষ্ঠ পুত্র শাহ আন্দুল কাদের (রাহঃ) বর্ণনা করেন, তোমরা জিহাদ পরিত্যাগ করে আপন গৃহে বসে থেকো। না। কারণ, তোমাদের ধ্বংসের প্রকৃত উৎস তা-ই।
💮মুফতী শফী (রাহঃ) বলেন, জিহাদের জন্য প্রয়োজন পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা ফরয। এ আয়াত থেকেই ফোকাহায়ে কেরাম মাসআলা বের করেছেন যে, ফরয যাকাতের সাথে সাথে অন্য অন্য সদকাও ফরয করা হয়েছে। তবে তার জন্য কোন সময়। পরিমাণ নির্ধারিত নেই। যখন যে। পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থা করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফর্য হয়ে যায়।
এই প্রকার ব্যয়ের সর্বোৎকৃষ্ট হলো জিহাদের পথে ব্যয় করা। (মাআরেফুল কুরআন- ১ম খন্ড ৪৭৩)
🔂মূল কথামুফাসসিরগণের তাফসীর দ্বারা দু’টি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।
🎴১. জিহাদের জন্য অর্থ । ব্যয় করা প্রতিটি মুসলমানের উপর প্রয়োজন সাপেক্ষে ফরয। চাই তা যাকাতফেতরা থেকে প্রদান করা হক বা অন্য কোন সম্পদ থেকে।
🏮ধ্বংসের প্রকৃত কারণ🏮
আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে এবং নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে। ঠেলে দিও না’’ (বাকারা- ১৯৫)
আলোচ্য আয়াত সম্পর্কে তাফসীরে কুরতুবীতে সর্বোত্তম পরিপূর্ণ। ব্যাখ্যা উল্লেখ রয়েছে। ইমাম কুরতুবী (রাহঃ) আবু আয়ুব আনসারী (রাঃ)-এর উদ্রুতি দিয়ে বলেন, আয়াতটি জিহাদের । পথে অর্থ ব্যয় সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আয়াতে হাত দ্বারা পূর্ণ
মানব বুঝানো হয়েছে। তিনি প্রসিদ্ধ কিতাব তিরমীজির একটি হাদীস উল্লেখ করেন।
⌛হাদীসটি নিম রূপঃ⌛
হযরত আবু ইমরান (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রোমের একটি শহরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ বিশাল এক রোমান বাহিনী মুসলমানদের মুখোমুখী অবস্থান নিল। মুসলমান মুজাহিদগণও প্রস্তুত। ইত্যবসরে হঠাৎ এক যুবক মুজাহিদ একাকী শঙ্কর উপর আক্রমণ করে তাদের সম্মুখভাগের সকল কাতার চর্ণ করে দুশমনের মধ্যে ঢুকে পড়লেন। মুসলমানদের কঠে চীৎকার ।
ধ্বনি বেরিয়ে এল। কেউ কেউ এই আয়াতের প্রতি লক্ষ
বলো উঠল, ‘সুবহানাল্লাহ’ যুবক নিজেকে ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করেছে। মুজাহিদদের এই উক্তি শুনে । হযরত আবু আয়ুব আনসারী (রাঃ) দাড়িয়ে দ্ব্যার্থহিীন কঠে ঘোষণা করলেন, হে লোক সকল! তোমরা আয়াতের এরূপ ভুল ব্যাখ্যা করছ কেন? তোমরা কি জান না, এ আয়াত আমাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, আমরাই এর ব্যাখ্যা উত্তম রূপে জানি। তা হলো, আল্লাহ তা'আলা ইসলামকে বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার পর
আমাদের মধ্যে কারো কারো অন্তরে কলপনা হলো জিহাদের আর প্রয়োজন কি? আমরা আপন গৃহে অবস্থান করে বিষয়সম্পত্তির দেখা-শোনা করি।এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত টি নাযিল হয়েছে।
🌅এতে সুস্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে, ধ্বংসের দ্বারা জিহাদ পরিত্যাগ করাকেই বুঝানো হয়েছে। জিহাদ পরিত্যাগ করা মুসলমানদের ধ্বংসের প্রকৃত কারণ।
♻তাইতো হযরত আবু আইয়ুব আনসারী।
(রাঃ) সারা জীবনই জিহাদ করেছেন। শেষ পর্যন্ত ইস্তাম্বুলে শহীদ হয়ে সেখানেই সমাধিস্ত হন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত ইকরামা (রাঃ) হযরত মুজাহিদ (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণ বর্ণনা করেন, আয়াতের উদ্দেশ্য হল, তোমরা জিহাদের পথে অর্থ ব্যয়
বন্ধ করে নিজেদের ধ্বংস নিশ্চিত করো না। যখনই কোন মুজাহিদ জিহাদের জন্য অর্থ চায়, তৎক্ষণাত সাধ্যানুযায়ী অর্থ দিয়ে দাও
🔂ইবনে আব্বাস (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন, আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করতে থাক, যদিও তোমাদের নিকট শুধু একটি তীর বা তলোয়ার থাকক।
♻হযরত সাঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, জিহাদের পথে অর্থ ব্যয় কর যদিও একটি রশিই হোক। অর্থ ব্যয়ের মত আমার সমর্থ নেই বলে নিজেদেরকে ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করো না।
♻হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) অন্যত্র বর্ণনা করেন, একদা হুজুর (সাঃ) সকলকে জিহাদে যাওয়ার জন্য আদেশ করলেন। আদেশ শুনে। কিছু গ্রাম্য ব্যক্তি হুজুর (সাঃ)-এর দরবারে এসে আবেদন করল, হে তাল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমরা কিভাবে জিহাদে যাব? (আল্লাহর শপথ) আমাদের নিকট সফর সামগ্রী ও যুদ্ধের কোন
সরঞ্জাম নেই। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করে ধনীদের করেছেনতারা যেন
আদেশ , যেন দরিদ্র মুজাহিদের সাহায্য করে জিহাদের পথে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। অন্যথায় মুজাহিদদের সংখ্যা কমে যাবে আর এই সুযোগে কাফেররা অনায়াসে বিজয় লাভ করে ফেলবে। এতো ছিল সাহাবায়ে কেরামের ব্যাখ্যা।
🔂এবার নিমে কিছু বিখ্যাত আকাবের মুফাসসিরদের বর্ণনা তুলে ধরা হচ্ছে।
♻বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে শাইখুল হীন্দে উল্লেখ রয়েছে, তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় করতে থাক। জিহাদ পরিহার করে নিজেদের ধ্বংসে। নিক্ষেপ করো নাজিহাদের জন্য অর্থ সাহায্য বন্ধ হলে শক্র প্রবল শক্তিশালী হয়ে যাবে আর তার মোকাবেলায় মুসলমান অপারগতার পরিচয় দিবে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুফাসসির হযরত মাওলানা শার আহমদ ওসমানী । (রাহঃ) বলেন, জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় কর। জিহাদের পথে অর্থ ব্যয় থেকে বিরত হয়ে নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। যদি তোমরা জিহাদের জন্য অর্থ ব্যয় না করতবে তোমরা দুর্বল হয়ে যাবে আর কাফের সবল হয়ে যাবে। (তাফসীরে উসমানী-৩৮)
❄যুগ সংস্কারক মাওলানা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভী (রাহঃ)-এর কনিষ্ঠ পুত্র শাহ আন্দুল কাদের (রাহঃ) বর্ণনা করেন, তোমরা জিহাদ পরিত্যাগ করে আপন গৃহে বসে থেকো। না। কারণ, তোমাদের ধ্বংসের প্রকৃত উৎস তা-ই।
💮মুফতী শফী (রাহঃ) বলেন, জিহাদের জন্য প্রয়োজন পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা ফরয। এ আয়াত থেকেই ফোকাহায়ে কেরাম মাসআলা বের করেছেন যে, ফরয যাকাতের সাথে সাথে অন্য অন্য সদকাও ফরয করা হয়েছে। তবে তার জন্য কোন সময়। পরিমাণ নির্ধারিত নেই। যখন যে। পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থা করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফর্য হয়ে যায়।
এই প্রকার ব্যয়ের সর্বোৎকৃষ্ট হলো জিহাদের পথে ব্যয় করা। (মাআরেফুল কুরআন- ১ম খন্ড ৪৭৩)
🔂মূল কথামুফাসসিরগণের তাফসীর দ্বারা দু’টি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।
🎴১. জিহাদের জন্য অর্থ । ব্যয় করা প্রতিটি মুসলমানের উপর প্রয়োজন সাপেক্ষে ফরয। চাই তা যাকাতফেতরা থেকে প্রদান করা হক বা অন্য কোন সম্পদ থেকে।
Comment