Tweet
কোরবানীর মাসে কোরবানীর চিঠি! সকল মায়েদের প্রতি বার্তা!!
কোরবানীর মাসে কোরবানীর চিঠি! সকল মায়েদের প্রতি বার্তা!!
হে মা! শুরুতেই তোমায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি সায়্যিদুনা ইসমাঈল আঃ এর মায়ের কথা, যিনি এই পবিত্র জিলহজ্জ মাসে নিজের অতি আদরের ও কলিজার টুকরা প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর রাহে কোরবানীর জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন। যিনি নিজের ইচ্ছা ও পছন্দের উপর ও নিজের আশা ও ভালোবাসার উপর প্রাধান্য দিয়েছিলেন আল্লাহর ইচ্ছা ও পছন্দকে এবং আল্লাহর মানসা ও ভালোবাসাকে।
এরপর মা চেয়ে দেখো তুমি! আফগান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, চীন, ইন্ডিয়া, কাশ্মীর ও বার্মার দিকে। তোমার কত মুসলিম বোন অমুসলিম কুকুরদের নির্মম অত্যাচারে বুক চাপড়িয়ে কাঁদছে। বেদীন জানোয়ারেরা তাঁদের পরনের কাপড়টুকু পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তোমার এসকল মুসলিম বোনদের উপর চলছে বেইমান কাফেরদের পাশবিক নির্যাতন।
দেখো মা! আজকে তোমার এ-অসহায় বোনগুলো নির্যাতন আর নিপিড়নের যাতাকলে মহাকষ্ট, যন্ত্রণা আর দুঃখের দরিয়ায় হাবুডুবু খেয়ে দিনপাত করছে। এ-লাঞ্ছনাকর পরিস্থিতি সহ্য না করতে পেরে কেউ কেউ দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে ঠুকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ আর্তচিৎকারে ক্রন্দন করতে করতে চোখের জল শুকিয়ে ফেলেছে। নরপিশাচদের নিষ্ঠুর অত্যচারে অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছে।
বলো মা! তোমার এসকল মুসলিম বোনদের কি অপরাধ? কি অন্যায় তাঁরা করেছিলো? যার ফলে আজকে তাঁদেরকে এতো নির্মম বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হলো? না মা! তাঁদের কোন অপরাধ ছিলোনা। বরং তারা বলেছিলো - রব্বুনা আল্লাহ - অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের রব। শুধু একারণেই তাঁরা আজ নির্বাসিত হলো। তাঁদেরকে তাঁদের ঘর থেকে বের করে দেয়া হলো। আল্লাহর ভয়ে আর জান্নাতের আশায় তাঁদের সংরক্ষিত ইজ্জত তাঁরা হারালো।
রবের কসম করে বলছি মা! এ-করুণ ও মর্মাহত ঘটনা কোন মুমিন সহ্য করতে পারেনা! প্রতিশোধ না নিয়ে বসে থাকতে পারেনা কোন মুমিন নারী - পুরুষ। কোন মুমিনা নারী তাঁর স্বামীকে বাঁধা দিতে পারেনা। সম্ভব নয় কোন মুমিনা মায়ের পক্ষে তাঁর সন্তানকে আচলে বেঁধে রাখা। বরং এমন পরিস্থিতিতে ঈমানের দাবী তো এটা যে, স্ত্রী তাঁর স্বামীকে আল্লাহর পথে অর্পন করে দেবে। রণসজ্জায় স্বামীকে সাজিয়ে দেবে বেইমান কুকুরদের লালসার জিভ কাটার জন্য। আর মুসলিম মা - বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য প্রিয় স্বামীর হাতে অস্ত্র তুলে দেবে।
এভাবে একজন ঈমানদার মা তাঁর আদরের পুত্রটিকে আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য পূর্ণরুপে অর্পন করে দেবে। আল্লাহর দীনের বিজয়ের জন্য সন্তানের গায়ে যুদ্ধের পোশাক পরিয়ে দেবে। হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বলবে- প্রিয় পুত্র! আল-বিদা!! আল্লাহ চান তো দেখা হবে কেয়ামতের বিস্তর প্রান্তরে। দেখা হবে জান্নাতের সবুজ বাগানে। এখন আমি আমার বুক খালি করে তোমাকে খোদার রাহে অর্পন করে দিয়েছি। যাও! তোমার অসহায় মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করো। আর প্রতিশোধ গ্রহণ করো নির্যাতিত গোটা মুসলিম উম্মাহর পক্ষ হতে। আল্লাহর দীন আল্লাহর যমিনে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি।
সুতরাং, ইসলাম ও মুসলমানদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তোমার স্থান আমার আচলের মাঝে হতে পারেনা! বরং, আজ থেকে তোমার সুখের স্থল জিহাদের ময়দান। তোমার দুঃখ প্রকাশের স্থল জিহাদের ময়দান। তুমি হাঁসবে তো জিহাদের ময়দানেই হাঁসবে। আর তুমি কাঁদবে তো জিহাদের ময়দানেই কাঁদবে। আজ থেকে আমি আমার পরিচয় পাল্টে দিয়েছি। এখন আমি এ-পরিচয়েই বাঁচবো যে, আমি একজন মুজাহিদের মা কিংবা একজন শহিদের মা!
দেখো মা! দীনে হকের বিজয়ের জন্য, তোমার মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য আজ লাখো মুজাহিদ রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হয়েছে। তাঁরা দেহের তাজা খুন ঢেলে দিচ্ছে ইসলামের জন্য। শহিদ হচ্ছে হাজারো হাজারো মুজাহিদ। আল্লাহু আকবর!! কিভাবে তাঁরা প্রাণ বিলিয়ে দিচ্ছে!! রব্বে কারীমের দরবারে নিজেকে সসম্মানে উপস্থিত করছে।
বলো মা! এসকল মুজাহিদীনরা কি কোন মায়ের সন্তান নন? তাঁরা কি নন কোন না কোন স্ত্রীর প্রিয়তম স্বামী?
রবের কসম মা! তাঁদেরও অতি আদরের মা আছে। যে মা তাঁদেরকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। তাঁদেরও প্রিয়তমা স্ত্রী রয়েছে, যে স্ত্রী তাঁদেরকে জীবনের তামান্না মনে করে। কিন্তু মা! তাঁরা তাঁদেরকে আদর্শ মা ও স্ত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছে। তাঁরা নিজেরদের উপর আল্লাহকে প্রাধান্য দিয়েছে। আল্লাহর দীনকে প্রাধান্য দিয়েছে। শোন মা! তাঁরা জান্নাতের পথে অনেক অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে। তবে বলো মা! তুমি কেন পেছনে পড়ে থাকবে?!
{অশ্বারোহী}
হে মা! শুরুতেই তোমায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি সায়্যিদুনা ইসমাঈল আঃ এর মায়ের কথা, যিনি এই পবিত্র জিলহজ্জ মাসে নিজের অতি আদরের ও কলিজার টুকরা প্রিয় পুত্রকে আল্লাহর রাহে কোরবানীর জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন। যিনি নিজের ইচ্ছা ও পছন্দের উপর ও নিজের আশা ও ভালোবাসার উপর প্রাধান্য দিয়েছিলেন আল্লাহর ইচ্ছা ও পছন্দকে এবং আল্লাহর মানসা ও ভালোবাসাকে।
এরপর মা চেয়ে দেখো তুমি! আফগান, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, চীন, ইন্ডিয়া, কাশ্মীর ও বার্মার দিকে। তোমার কত মুসলিম বোন অমুসলিম কুকুরদের নির্মম অত্যাচারে বুক চাপড়িয়ে কাঁদছে। বেদীন জানোয়ারেরা তাঁদের পরনের কাপড়টুকু পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তোমার এসকল মুসলিম বোনদের উপর চলছে বেইমান কাফেরদের পাশবিক নির্যাতন।
দেখো মা! আজকে তোমার এ-অসহায় বোনগুলো নির্যাতন আর নিপিড়নের যাতাকলে মহাকষ্ট, যন্ত্রণা আর দুঃখের দরিয়ায় হাবুডুবু খেয়ে দিনপাত করছে। এ-লাঞ্ছনাকর পরিস্থিতি সহ্য না করতে পেরে কেউ কেউ দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকে ঠুকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ আর্তচিৎকারে ক্রন্দন করতে করতে চোখের জল শুকিয়ে ফেলেছে। নরপিশাচদের নিষ্ঠুর অত্যচারে অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছে।
বলো মা! তোমার এসকল মুসলিম বোনদের কি অপরাধ? কি অন্যায় তাঁরা করেছিলো? যার ফলে আজকে তাঁদেরকে এতো নির্মম বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হলো? না মা! তাঁদের কোন অপরাধ ছিলোনা। বরং তারা বলেছিলো - রব্বুনা আল্লাহ - অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের রব। শুধু একারণেই তাঁরা আজ নির্বাসিত হলো। তাঁদেরকে তাঁদের ঘর থেকে বের করে দেয়া হলো। আল্লাহর ভয়ে আর জান্নাতের আশায় তাঁদের সংরক্ষিত ইজ্জত তাঁরা হারালো।
রবের কসম করে বলছি মা! এ-করুণ ও মর্মাহত ঘটনা কোন মুমিন সহ্য করতে পারেনা! প্রতিশোধ না নিয়ে বসে থাকতে পারেনা কোন মুমিন নারী - পুরুষ। কোন মুমিনা নারী তাঁর স্বামীকে বাঁধা দিতে পারেনা। সম্ভব নয় কোন মুমিনা মায়ের পক্ষে তাঁর সন্তানকে আচলে বেঁধে রাখা। বরং এমন পরিস্থিতিতে ঈমানের দাবী তো এটা যে, স্ত্রী তাঁর স্বামীকে আল্লাহর পথে অর্পন করে দেবে। রণসজ্জায় স্বামীকে সাজিয়ে দেবে বেইমান কুকুরদের লালসার জিভ কাটার জন্য। আর মুসলিম মা - বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য প্রিয় স্বামীর হাতে অস্ত্র তুলে দেবে।
এভাবে একজন ঈমানদার মা তাঁর আদরের পুত্রটিকে আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য পূর্ণরুপে অর্পন করে দেবে। আল্লাহর দীনের বিজয়ের জন্য সন্তানের গায়ে যুদ্ধের পোশাক পরিয়ে দেবে। হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে বলবে- প্রিয় পুত্র! আল-বিদা!! আল্লাহ চান তো দেখা হবে কেয়ামতের বিস্তর প্রান্তরে। দেখা হবে জান্নাতের সবুজ বাগানে। এখন আমি আমার বুক খালি করে তোমাকে খোদার রাহে অর্পন করে দিয়েছি। যাও! তোমার অসহায় মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করো। আর প্রতিশোধ গ্রহণ করো নির্যাতিত গোটা মুসলিম উম্মাহর পক্ষ হতে। আল্লাহর দীন আল্লাহর যমিনে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি।
সুতরাং, ইসলাম ও মুসলমানদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তোমার স্থান আমার আচলের মাঝে হতে পারেনা! বরং, আজ থেকে তোমার সুখের স্থল জিহাদের ময়দান। তোমার দুঃখ প্রকাশের স্থল জিহাদের ময়দান। তুমি হাঁসবে তো জিহাদের ময়দানেই হাঁসবে। আর তুমি কাঁদবে তো জিহাদের ময়দানেই কাঁদবে। আজ থেকে আমি আমার পরিচয় পাল্টে দিয়েছি। এখন আমি এ-পরিচয়েই বাঁচবো যে, আমি একজন মুজাহিদের মা কিংবা একজন শহিদের মা!
দেখো মা! দীনে হকের বিজয়ের জন্য, তোমার মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য আজ লাখো মুজাহিদ রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হয়েছে। তাঁরা দেহের তাজা খুন ঢেলে দিচ্ছে ইসলামের জন্য। শহিদ হচ্ছে হাজারো হাজারো মুজাহিদ। আল্লাহু আকবর!! কিভাবে তাঁরা প্রাণ বিলিয়ে দিচ্ছে!! রব্বে কারীমের দরবারে নিজেকে সসম্মানে উপস্থিত করছে।
বলো মা! এসকল মুজাহিদীনরা কি কোন মায়ের সন্তান নন? তাঁরা কি নন কোন না কোন স্ত্রীর প্রিয়তম স্বামী?
রবের কসম মা! তাঁদেরও অতি আদরের মা আছে। যে মা তাঁদেরকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। তাঁদেরও প্রিয়তমা স্ত্রী রয়েছে, যে স্ত্রী তাঁদেরকে জীবনের তামান্না মনে করে। কিন্তু মা! তাঁরা তাঁদেরকে আদর্শ মা ও স্ত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছে। তাঁরা নিজেরদের উপর আল্লাহকে প্রাধান্য দিয়েছে। আল্লাহর দীনকে প্রাধান্য দিয়েছে। শোন মা! তাঁরা জান্নাতের পথে অনেক অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে। তবে বলো মা! তুমি কেন পেছনে পড়ে থাকবে?!
{অশ্বারোহী}
Comment