আসুন! জিহাদ বিল মালে উৎসাহিত হই!!
মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ সংক্রান্ত আলোচনার এক পর্যায়ে এসে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মাফিক মাল খরচ করাও বান্দাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেছেন-
وَ اَنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّهۡلُکَۃِ ۚۖۛ وَ اَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
অর্থঃ (আর তোমরা জানের সাথে) মালও ব্যয় করো আল্লাহর পথে। এবং ( এউভয় কাজ ত্যাগ করে) নিজেদেরকে নিজেরা ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করোনা। আর কাজ সম্পন্ন করো ইহসানের সাথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ভালোবাসেন ইহসানের সাথে কার্যসম্পাদনকারীদের।(সূরা বাক্বারাঃ ১৯৫)
এআয়াত অবতীর্ণের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা - স্বীয় অর্থ সম্পদ থেকে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মত খরচ করা মুসলমানদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। এই আয়াত থেকে ফিকাহ শাস্ত্রের মুজতাহিদ আলেমগণ এ-সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, মুসলমানদের উপর ফরয যাকাত ব্যতিত আরো এমন কিছু দায়-দায়িত্ব ও ব্যয়খাত রয়েছে, যেগুলো ফরয। এগুলোর মধ্যে যখন যে পরিমাণ প্রয়োজন, তখন সে পরিমাণ খরচ করা ফরয। আর জিহাদে অর্থ ব্যয় করা এরই পর্যায়ভুক্ত।
আর উক্ত আয়াতের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ পরিত্যাগ করাকে মুসলমানদের ধ্বংসের কারণ বলেও সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন। ( তাফসিরে আনওয়ারুল কোরআন-১/২৭৮)
এছাড়াও মহান রব্বুল আলামিন আরো বহু আয়াতে জিহাদে অর্থদানের ব্যপারে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
অর্থঃ যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাঁদের ব্যয়কৃত সম্পদের দৃষ্টান্ত তো এরুপ, যেমন-একটি শস্যবীজ, যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়। প্রতিটি শীষের মধ্যে শত শস্য হয়। আর আল্লাহ তা'আলা যাকে চান তাকে এভাবেই বাড়িয়ে দেন। এবং আল্লাহ প্রশস্তময় মহাজ্ঞানী। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬১)
এরপরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন-
اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ اَنۡفَقُوۡا مَنًّا وَّ لَاۤ اَذًی ۙ لَّهُمۡ اَجۡرُهُمۡ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
অর্থঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় সম্পদ ব্যয় করে এবং ব্যয় করার পর খোটা দেয়না ও কষ্ট প্রকাশ করেনা, তাঁরা তাঁদের বিনিময় পাবে স্বীয় রবের নিকট। আর তাঁদের নেই কোন ভয় এবং তাঁদের নেই কোন চিন্তা। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬২)
অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন-
وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَ نَفَقَۃً صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً وَّ لَا یَقۡطَعُوۡنَ وَادِیًا اِلَّا کُتِبَ لَهُمۡ لِیَجۡزِیَهُمُ اللّٰهُ اَحۡسَنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
অর্থঃ আর তাঁরা অল্প-বিস্তর যা কিছুই জিহাদের জন্য ব্যয় করে এবং জিহাদের জন্য যতপ্রান্তর অতিক্রম করে, এর সবকিছুই তাঁদের নামে লিখে রাখা হয়, যাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁদেরকে উত্তম বিনিময় দিতে পারেন। (সূরা তাওবাঃ ১২১)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন-
لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ ۬ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیۡمٌ
অর্থঃ কখনোই তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবেনা! যদি তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু হতে দান না করো। আর তোমরা যা ব্যয় করো, আল্লাহ তা'আলা সেসব জানেন। (সূরা আল-ইমরানঃ ৯২)
প্রিয় ভাই! এমন আরো অনেক আয়াত রয়েছে, যা মহান রব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নাজিল করেছেন। যাতে করে বান্দা স্বীয় মাল ও জান জিহাদের জন্য ব্যয় করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। এবং কাল কেয়ামতের ময়দানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে ও জান্নাত লাভ করতে পারে।
মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ সংক্রান্ত আলোচনার এক পর্যায়ে এসে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মাফিক মাল খরচ করাও বান্দাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেছেন-
وَ اَنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّهۡلُکَۃِ ۚۖۛ وَ اَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
অর্থঃ (আর তোমরা জানের সাথে) মালও ব্যয় করো আল্লাহর পথে। এবং ( এউভয় কাজ ত্যাগ করে) নিজেদেরকে নিজেরা ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করোনা। আর কাজ সম্পন্ন করো ইহসানের সাথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ভালোবাসেন ইহসানের সাথে কার্যসম্পাদনকারীদের।(সূরা বাক্বারাঃ ১৯৫)
এআয়াত অবতীর্ণের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা - স্বীয় অর্থ সম্পদ থেকে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মত খরচ করা মুসলমানদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। এই আয়াত থেকে ফিকাহ শাস্ত্রের মুজতাহিদ আলেমগণ এ-সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, মুসলমানদের উপর ফরয যাকাত ব্যতিত আরো এমন কিছু দায়-দায়িত্ব ও ব্যয়খাত রয়েছে, যেগুলো ফরয। এগুলোর মধ্যে যখন যে পরিমাণ প্রয়োজন, তখন সে পরিমাণ খরচ করা ফরয। আর জিহাদে অর্থ ব্যয় করা এরই পর্যায়ভুক্ত।
আর উক্ত আয়াতের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ পরিত্যাগ করাকে মুসলমানদের ধ্বংসের কারণ বলেও সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন। ( তাফসিরে আনওয়ারুল কোরআন-১/২৭৮)
এছাড়াও মহান রব্বুল আলামিন আরো বহু আয়াতে জিহাদে অর্থদানের ব্যপারে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
অর্থঃ যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাঁদের ব্যয়কৃত সম্পদের দৃষ্টান্ত তো এরুপ, যেমন-একটি শস্যবীজ, যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়। প্রতিটি শীষের মধ্যে শত শস্য হয়। আর আল্লাহ তা'আলা যাকে চান তাকে এভাবেই বাড়িয়ে দেন। এবং আল্লাহ প্রশস্তময় মহাজ্ঞানী। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬১)
এরপরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন-
اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ اَنۡفَقُوۡا مَنًّا وَّ لَاۤ اَذًی ۙ لَّهُمۡ اَجۡرُهُمۡ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ
অর্থঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় সম্পদ ব্যয় করে এবং ব্যয় করার পর খোটা দেয়না ও কষ্ট প্রকাশ করেনা, তাঁরা তাঁদের বিনিময় পাবে স্বীয় রবের নিকট। আর তাঁদের নেই কোন ভয় এবং তাঁদের নেই কোন চিন্তা। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬২)
অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন-
وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَ نَفَقَۃً صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً وَّ لَا یَقۡطَعُوۡنَ وَادِیًا اِلَّا کُتِبَ لَهُمۡ لِیَجۡزِیَهُمُ اللّٰهُ اَحۡسَنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
অর্থঃ আর তাঁরা অল্প-বিস্তর যা কিছুই জিহাদের জন্য ব্যয় করে এবং জিহাদের জন্য যতপ্রান্তর অতিক্রম করে, এর সবকিছুই তাঁদের নামে লিখে রাখা হয়, যাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁদেরকে উত্তম বিনিময় দিতে পারেন। (সূরা তাওবাঃ ১২১)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন-
لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ ۬ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیۡمٌ
অর্থঃ কখনোই তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবেনা! যদি তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু হতে দান না করো। আর তোমরা যা ব্যয় করো, আল্লাহ তা'আলা সেসব জানেন। (সূরা আল-ইমরানঃ ৯২)
প্রিয় ভাই! এমন আরো অনেক আয়াত রয়েছে, যা মহান রব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নাজিল করেছেন। যাতে করে বান্দা স্বীয় মাল ও জান জিহাদের জন্য ব্যয় করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। এবং কাল কেয়ামতের ময়দানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে ও জান্নাত লাভ করতে পারে।
Comment