ওদের মৃতেরা জাহান্নামে
বদরে মুসলমানদের জয় হয়। কিন্তু ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানরা একরকম
হেরে যান । হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের
আঘাতে মারাত্মক আহত হন । মুসলমানদের ৭০ জন শাহাদাত বরণ করেন । ।
দিন শেষে একটি পাহাড়ে হযরত (সাঃ) তার বিশিষ্ট সাহাবীদের নিয়ে বিশ্রাম
করছিলেন, তখন মক্কার কাফের বাহিনীর নেতৃবর্গ অপর একটি পাহাড় থেকে
চিৎকার করছিলেন । বলছিলেন মুহাম্মদ কি বেঁচে আছে? আবু কোহাফাপুত্র আবু
বকর বেঁচে কি আছে? ইত্যাদি। নবী করীম (সাঃ) সাহাবীদের বললেন, তোমরা
কোন কথা বলবে না । ওদের কথার উত্তর দিও না। এক সময় মক্কার সর্দার আবু
সুফিয়ান বললো, খাত্তাবপুত্র ওমর কি শেষ হয়ে গেছে? হযরত ওমর আর থাকতে
না পেরে চিৎকার করলেন, তোমরা যাদের মৃত্যুর সংবাদের আশা করছ তারা
কেউ মরেনি । এই যে হযরত আছেন, আবু বকর আছে, এ বান্দাও জীবিত ও সুস্থ
আছে।
এসব শুনে আবু সুফিয়ান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য নতুন শ্লোগান তুললো
দেবতা হোবলের জয়। হযরত উমর পাল্টা শ্লোগান দিলেন, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও
মহান! আবু সুফিয়ান বললোতোমাদের উজ্জা নেই, আমাদের দেবী উজ্জা
আছে। পাস্টা জবাব সন্ধানে হযরত উমর (রাঃ) থতমত হয়ে গেলে মহানবী
শিখিয়ে দিলেন, বল, আমাদের মহান প্রভু আল্লাহ আছেন । তোমাদের হাতে
তৈরী কিছু প্রতিমাই আছে, শক্তিশালী কোন প্রভু নেই । এ কথা শুনে কাফেরদের
মনে খুব শূন্যতা অনুভূত হলো । এরপর ওদের মাঝে একটা গর্ব দেখা গেলো এ
জন্যে যে, তারা আজ মুসলমানদের ৭০ জন সৈনিককে হত্যা করছে। মহানবী।
(সাঃ) কে আহত করে রক্ত ঝরিয়েছে। বদরে তাদের অনেক বড় বড় নেতাকে
হত্যার বদলা নিতে সক্ষম হয়েছে। তখন মহানবী (সাঃ) সাহাবীদের বললেন,
ওদের মৃতরা জাহান্নামে চলে গেছে আর আমাদের মৃতেরা জান্নাতে। অর্থাৎ মৃত্যু
এখানে ফ্যাক্টর নয়, বিষয়টি হচ্ছে শেষ পরিণতি কার কেমন হলো! সুতরাং যুগে
যুগে মুসলমানদের জীবন দর্শন রূপে এটি এক অনন্য শিক্ষা যে মৃত্যু, ধ্বংস বা
পরাজয় ধর্তব্য নয়, ধর্তব্য হলো মৃত্যুটি ঈমান ও সত্য-ন্যায়ের পথে হলো কি না!
বদরে মুসলমানদের জয় হয়। কিন্তু ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানরা একরকম
হেরে যান । হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের
আঘাতে মারাত্মক আহত হন । মুসলমানদের ৭০ জন শাহাদাত বরণ করেন । ।
দিন শেষে একটি পাহাড়ে হযরত (সাঃ) তার বিশিষ্ট সাহাবীদের নিয়ে বিশ্রাম
করছিলেন, তখন মক্কার কাফের বাহিনীর নেতৃবর্গ অপর একটি পাহাড় থেকে
চিৎকার করছিলেন । বলছিলেন মুহাম্মদ কি বেঁচে আছে? আবু কোহাফাপুত্র আবু
বকর বেঁচে কি আছে? ইত্যাদি। নবী করীম (সাঃ) সাহাবীদের বললেন, তোমরা
কোন কথা বলবে না । ওদের কথার উত্তর দিও না। এক সময় মক্কার সর্দার আবু
সুফিয়ান বললো, খাত্তাবপুত্র ওমর কি শেষ হয়ে গেছে? হযরত ওমর আর থাকতে
না পেরে চিৎকার করলেন, তোমরা যাদের মৃত্যুর সংবাদের আশা করছ তারা
কেউ মরেনি । এই যে হযরত আছেন, আবু বকর আছে, এ বান্দাও জীবিত ও সুস্থ
আছে।
এসব শুনে আবু সুফিয়ান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য নতুন শ্লোগান তুললো
দেবতা হোবলের জয়। হযরত উমর পাল্টা শ্লোগান দিলেন, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও
মহান! আবু সুফিয়ান বললোতোমাদের উজ্জা নেই, আমাদের দেবী উজ্জা
আছে। পাস্টা জবাব সন্ধানে হযরত উমর (রাঃ) থতমত হয়ে গেলে মহানবী
শিখিয়ে দিলেন, বল, আমাদের মহান প্রভু আল্লাহ আছেন । তোমাদের হাতে
তৈরী কিছু প্রতিমাই আছে, শক্তিশালী কোন প্রভু নেই । এ কথা শুনে কাফেরদের
মনে খুব শূন্যতা অনুভূত হলো । এরপর ওদের মাঝে একটা গর্ব দেখা গেলো এ
জন্যে যে, তারা আজ মুসলমানদের ৭০ জন সৈনিককে হত্যা করছে। মহানবী।
(সাঃ) কে আহত করে রক্ত ঝরিয়েছে। বদরে তাদের অনেক বড় বড় নেতাকে
হত্যার বদলা নিতে সক্ষম হয়েছে। তখন মহানবী (সাঃ) সাহাবীদের বললেন,
ওদের মৃতরা জাহান্নামে চলে গেছে আর আমাদের মৃতেরা জান্নাতে। অর্থাৎ মৃত্যু
এখানে ফ্যাক্টর নয়, বিষয়টি হচ্ছে শেষ পরিণতি কার কেমন হলো! সুতরাং যুগে
যুগে মুসলমানদের জীবন দর্শন রূপে এটি এক অনন্য শিক্ষা যে মৃত্যু, ধ্বংস বা
পরাজয় ধর্তব্য নয়, ধর্তব্য হলো মৃত্যুটি ঈমান ও সত্য-ন্যায়ের পথে হলো কি না!
Comment