জনগণের *উপর আমার চালানো এক জরীপের রিপোর্ট
আমি জনসাধারণের মাঝে একটি জরীপ চালিয়েছি। এতে সফলতাই আলহামদুলিল্লাহ বেশিভাগ। জরীপটি হলো, জনসাধারণ আসলে কার পক্ষে? সরকারের পক্ষে নাকি অন্য কারো? তো দেখা গেল, জনগণ আসলে শান্তির পক্ষে। যেই তাদের শান্তির ব্যবস্থা করতে পারবে তারা তাকেই সাপোর্ট করবে। বর্তমান সরকারের ব্যাপারে রিপোর্টে প্রায় সকলেই একই কথা বলেছে, যার সারমর্ম হলো, আমরা সরকার ও তার দলীয় লোকদের দ্বারা অনেক নির্যাতিত হচ্ছি। এর শেষ হওয়া চাই।
দেখা গেল, দেশের অধিকাংশ জনগণই আন্তরিকভাবে সরকারের উপর ক্ষেপা। তো আমি তাদেরকে একটি কথা বলে দিয়েছি, যদি কাঙ্খিত শান্তি পেতে চান, তাহলে ইসলাম শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনেও কায়েম করতে হবে। তাহলেই আপনারা দেখবেন শান্তি কাকে বলে। সকলেই আমার কথা সাপোর্ট করেছে। কিন্তু ইসলাম রাষ্ট্র জীবনে কীভাবে কায়েম হবে, সে প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিতে পারিনি। কারণ, এর উত্তর স্পষ্টভাবে দিতে গেলে অল্প সময়ে বোঝানো সম্ভব নয়। আর অল্প সময়ে বুঝাতে গেলে উল্টা বুঝে আমাকে জঙ্গী ভাববে। যা নিজের নিরাপত্তার সমস্যার কারণ হতে পারে।
তবে শুধু এতটুকু বলেছি, ভাই! এই যুগে যেমন জুলুম চতুর্দিকে ছড়িয়ে গেছে, ঠিক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও জুলুম চতুর্দিকে বিদ্যমান ছিল। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে জুলুম বন্ধ করে ইসলাম কায়েম করেছেন, আমাদেরও সেই একই পদ্ধতিতে করতে হবে। শুধু দাওয়াতের দ্বারা ইসলাম কায়েম হবেনা। জালেমের প্রতিরোধ ব্যবস্থাও কার্যকরী করতে হবে। এই কথাটাও সবাই মেনে নিয়েছে।
তো জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। এটাকে দায়ী ভায়েরা কাজে লাগাতে পারি। আমি দায়ী ভাইদের একটা দূর্বলতা এখানে উপস্থাপন করতে চাই। আর তাহলো, অনেক দায়ী ভাই মনে করেন, দাওয়াতের নীতিমালা হিসেবে অমুককে দাওয়াত দিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ, সে জিহাদের সাপোর্ট করলেও নিজে জিহাদে আসবে না।
ভাই! আমি একটা কথা বলি, মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। একটি দেশের সকল মানুষই কি যুদ্ধা হয়ে যাওয়া সম্ভব? কখনোই না। কিন্তু সকলে যুদ্ধাদের সাপোর্টার হওয়া সম্ভব। ৭১ সালে আমাদের দেশে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সে যুদ্ধে কি সকলেই যুদ্ধ করেছিল? না, কিন্তু আমাদের দেশে প্রায় সবাই যুদ্ধাদের সাপোর্ট করেছিল। আর এই সাপোর্ট কেবল সাপোর্টের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। এই সাপোর্টাররাই অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয় দিয়ে, সময় দিয়ে, অর্থ দিয়ে, সহযোগিতা দিয়ে যুদ্ধাদের অনেক বিশাল উপকার করেছিল। যে উপকার না করলে যুদ্ধাদের জন্য টিকে থাকা সম্ভবই নয়।
তাই হে দায়ী ভাই! জিহাদে না আনতে পারলেও মুজাহিদদের সাপোর্টার তো বানাতে পারবেন। যাদেরকে সাপোর্টার বানাতে পারবেন তাদেরকে যদি আপনার মুজাহিদদের সাপোর্টার না বানান, তাহলে মনে রাখবেন, তাকে তাগূতপন্থীরা তাদের সাপোর্টার বনিয়ে নিবে। তখন সে তাগূতের কাজে আসবে। আর আমাদের ক্ষতি করবে। তখন তো আপনিও বলবেন, সে তো তাগূতের গোলাম, মুরতাদের সহযোগী। আরে ভাই! সে যে তাগূতের গোলামী করছে, এর জন্য তো আপনিই দায়ী। কারণ, তাগূতপন্থীরা তাকে দাওয়াত দিয়েছে, কিন্তু আপনি দেননি। আপনার দাওয়াত না দেওয়ার কারণেই তো সে আজ তাদের সাপোর্টার হয়ে তাদের সহযোগিতা করছে।
সর্বশেষ, জনগনের সরকার বিরোধী মনোভাবকে সময় থাকতেই কাজে লাগান। নয়তো পরে আফসূস করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
আমি জনসাধারণের মাঝে একটি জরীপ চালিয়েছি। এতে সফলতাই আলহামদুলিল্লাহ বেশিভাগ। জরীপটি হলো, জনসাধারণ আসলে কার পক্ষে? সরকারের পক্ষে নাকি অন্য কারো? তো দেখা গেল, জনগণ আসলে শান্তির পক্ষে। যেই তাদের শান্তির ব্যবস্থা করতে পারবে তারা তাকেই সাপোর্ট করবে। বর্তমান সরকারের ব্যাপারে রিপোর্টে প্রায় সকলেই একই কথা বলেছে, যার সারমর্ম হলো, আমরা সরকার ও তার দলীয় লোকদের দ্বারা অনেক নির্যাতিত হচ্ছি। এর শেষ হওয়া চাই।
দেখা গেল, দেশের অধিকাংশ জনগণই আন্তরিকভাবে সরকারের উপর ক্ষেপা। তো আমি তাদেরকে একটি কথা বলে দিয়েছি, যদি কাঙ্খিত শান্তি পেতে চান, তাহলে ইসলাম শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, রাষ্ট্রীয় জীবনেও কায়েম করতে হবে। তাহলেই আপনারা দেখবেন শান্তি কাকে বলে। সকলেই আমার কথা সাপোর্ট করেছে। কিন্তু ইসলাম রাষ্ট্র জীবনে কীভাবে কায়েম হবে, সে প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিতে পারিনি। কারণ, এর উত্তর স্পষ্টভাবে দিতে গেলে অল্প সময়ে বোঝানো সম্ভব নয়। আর অল্প সময়ে বুঝাতে গেলে উল্টা বুঝে আমাকে জঙ্গী ভাববে। যা নিজের নিরাপত্তার সমস্যার কারণ হতে পারে।
তবে শুধু এতটুকু বলেছি, ভাই! এই যুগে যেমন জুলুম চতুর্দিকে ছড়িয়ে গেছে, ঠিক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগেও জুলুম চতুর্দিকে বিদ্যমান ছিল। সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে জুলুম বন্ধ করে ইসলাম কায়েম করেছেন, আমাদেরও সেই একই পদ্ধতিতে করতে হবে। শুধু দাওয়াতের দ্বারা ইসলাম কায়েম হবেনা। জালেমের প্রতিরোধ ব্যবস্থাও কার্যকরী করতে হবে। এই কথাটাও সবাই মেনে নিয়েছে।
তো জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। এটাকে দায়ী ভায়েরা কাজে লাগাতে পারি। আমি দায়ী ভাইদের একটা দূর্বলতা এখানে উপস্থাপন করতে চাই। আর তাহলো, অনেক দায়ী ভাই মনে করেন, দাওয়াতের নীতিমালা হিসেবে অমুককে দাওয়াত দিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ, সে জিহাদের সাপোর্ট করলেও নিজে জিহাদে আসবে না।
ভাই! আমি একটা কথা বলি, মনোযোগ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। একটি দেশের সকল মানুষই কি যুদ্ধা হয়ে যাওয়া সম্ভব? কখনোই না। কিন্তু সকলে যুদ্ধাদের সাপোর্টার হওয়া সম্ভব। ৭১ সালে আমাদের দেশে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সে যুদ্ধে কি সকলেই যুদ্ধ করেছিল? না, কিন্তু আমাদের দেশে প্রায় সবাই যুদ্ধাদের সাপোর্ট করেছিল। আর এই সাপোর্ট কেবল সাপোর্টের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। এই সাপোর্টাররাই অনেক ক্ষেত্রে আশ্রয় দিয়ে, সময় দিয়ে, অর্থ দিয়ে, সহযোগিতা দিয়ে যুদ্ধাদের অনেক বিশাল উপকার করেছিল। যে উপকার না করলে যুদ্ধাদের জন্য টিকে থাকা সম্ভবই নয়।
তাই হে দায়ী ভাই! জিহাদে না আনতে পারলেও মুজাহিদদের সাপোর্টার তো বানাতে পারবেন। যাদেরকে সাপোর্টার বানাতে পারবেন তাদেরকে যদি আপনার মুজাহিদদের সাপোর্টার না বানান, তাহলে মনে রাখবেন, তাকে তাগূতপন্থীরা তাদের সাপোর্টার বনিয়ে নিবে। তখন সে তাগূতের কাজে আসবে। আর আমাদের ক্ষতি করবে। তখন তো আপনিও বলবেন, সে তো তাগূতের গোলাম, মুরতাদের সহযোগী। আরে ভাই! সে যে তাগূতের গোলামী করছে, এর জন্য তো আপনিই দায়ী। কারণ, তাগূতপন্থীরা তাকে দাওয়াত দিয়েছে, কিন্তু আপনি দেননি। আপনার দাওয়াত না দেওয়ার কারণেই তো সে আজ তাদের সাপোর্টার হয়ে তাদের সহযোগিতা করছে।
সর্বশেষ, জনগনের সরকার বিরোধী মনোভাবকে সময় থাকতেই কাজে লাগান। নয়তো পরে আফসূস করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।
Comment