Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই

    ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই
    পর্ব ১
    শয়তানের ওহী: "ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই"
    মুফতি আব্দুল ওয়াহহাব (দা বা)
    ---
    PDF ডাউনলোড করে পড়ুন - http://docdro.id/f4s702T
    ,
    আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:
    وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ (১১২) وَلِتَصْغَى إِلَيْهِ أَفْئِدَةُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ وَلِيَرْضَوْهُ وَلِيَقْتَرِفُوا مَا هُمْ مُقْتَرِفُونَ (১১৩)
    (আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শত্রু বানিয়েছি জীন ও মানব জাতীর মধ্য থেকে শয়তানদেরকে । তারা ধোঁকা দেয়ার উদ্দেশ্যে একে অপরকে চাকচিক্যপূর্ণ কথার কুমন্ত্রণা দেয়। আপনার রব চাইলে তারা এরূপ করতে পারতো না।
    .
    সুতরাং আপনি তাদেরকে তাদের মিথ্যা রটনায় পড়ে থাকতে দিন। আর কুমন্ত্রণা এ কারণে দেয় যে, যারা আখেরাতের উপর ঈমান রাখে না তাদের অন্তর যেন সেদিকে আকৃষ্ট হয় এবং তারা তা পছন্দ করে আর তারা যেসব অপকর্ম করার তা করতে থাকে।)
    [আনআম:১১২-১১৩]
    দরবারী আলেমদের নিকট এই শয়তানরাই ওহী করেছে: ‘ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই।’
    .
    .
    #খণ্ডন:
    ইমাম দ্বারা কী উদ্দেশ্য? জিহাদের আমীর না’কি খলিফাতুল মুসলিমীন?
    .
    যদি জিহাদের আমীর উদ্দেশ্য হয় তাহলে আমরাও আপনাদের কথার একাংশের সাথে একমত। জিহাদের জন্য আমীর বানানো ওয়াজিব আমরাও বলি।
    .
    জামাআতবদ্ধ হওয়া ওয়াজিব আমরাও বলি। ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার দ্বারা সফলতা আসবে না এতে আমরাও একমত। জিহাদের আমীর না থাকলে একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়া ওয়াজিব। এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পূর্বে করে এসেছি।
    .
    তবে যদি বলা হয়, ‘জিহাদের আমীর না থাকলে জিহাদই ফরয নয়’ তাহলে এ কথা শরীয়ত বহির্ভূত। আমরা এর সাথে একমত নই। মসজিদের ইমাম না থাকলে ইমাম বানিয়ে নেয়া আবশ্যক তা ঠিক। কিন্তু ইমাম না থাকলে নামাযই ফরয নয়, এটা শরীয়ত বহির্ভূত কথা।
    .
    আর যদি ইমাম দ্বারা খলিফাতুল মুসলিমীন উদ্দেশ্য হয়, তাহলে জিজ্ঞাসা করি, ‘খলিফাতুল মুসলিমীন ছাড়া জিহাদ নেই’ এর দ্বারা কী উদ্দেশ্য?
    .
    যদি বলা হয়, ‘জিহাদ ফরয, তবে জিহাদ করার জন্য আগে একজনকে খলিফাতুল মুসলিমীন বানিয়ে নিতে হবে’ তবে আমরা আপনাদের কথার একাংশের সাথে একমত যে, খলিফাতুল মুসলিমীন বানানো ওয়াজিব।

    ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই
    পর্ব ২
    কিন্তু খলিফা বানানো ছাড়া জিহাদ জায়েয হবে না, এ কথার সাথে আমরা একমত নই। কেননা, মুসলমানদের হয়তো খলিফা বানানোর সামর্থ্য থাকবে বা থাকবে না। যদি সামর্থ্য না থাকে, তাহলে খলিফা বানানো ছাড়া জিহাদ করা যাবে না কথাটা অযৌক্তিক।

    এতে কেয়ামত পর্যন্ত জিহাদ ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। খেলাফত প্রতিষ্টা এবং খলিফা বানানোর পথও বন্ধ হয়ে যাবে। কাজেই এ ধরণের মন্তব্য সুস্পষ্ট বাতিল না হয়ে পারে না। আর যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে খলিফা না বানানোটা মুসলমানদের জন্য গুনাহের কাজ।

    কিন্তু এই গুনাহের কারণে জিহাদ ছেড়ে আরেকটা গুনাহে লিপ্ত হতে হবে এটা অযৌক্তিক। তাছাড়া শরীয়তের কোন দলীলে এ কথা বলা হয়নি যে, জিহাদ জায়েয হওয়ার জন্য খলিফা বানানো শর্ত।
    আর যদি উদ্দেশ্য হয়, ‘খলিফা না থাকলে জিহাদ ফরযই হয় না’ তাহলে এটা সম্পূর্ণ শরীয়ত বহির্ভূত কথা।

    উপরোক্ত সংশয়গুলোর বিস্তারিত খণ্ডনে যাচ্ছি না।
    সংক্ষিপ্তাকারে শুধু কয়েকটি কথা বলব:

    এক) জিহাদ ফরয হওয়ার ব্যাপারে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস এসেছে, কিন্তু কোন আয়াত বা হাদিসে জিহাদ ফরয বা জায়েয হওয়ার জন্য খলিফা থাকা শর্ত করা হয়নি। জিহাদ শুধু ইমামের দায়িত্ব বলা হয়নি। তবে ইমামের দায়িত্ব সমূহের মধ্যে একটা দায়িত্ব হল জিহাদ করা।
    যদি ইমাম না থাকে বা থাকা সত্ত্বেও জিহাদ না করে তাহলে মুসলমানদের নিজেদের ফরয নিজেদেরকেই আদায় করতে হবে।

    ইবনে কুদামা রহ. বলেন:
    فان عدم الامام لم يؤخر الجهاد لان مصلحته تفوت بتأخيره، وان حصلت غنيمة قسموها على موجب الشرع، قال القاضي وتؤخر قسمة الاماء حتى يقوم إمام احتياطا للفروج.اهـ
    “যদি ইমাম না থাকে তাহলে এ কারণে জিহাদ পিছিয়ে দেয়া যাবে না। কেননা, পিছিয়ে দেয়ার দ্বারা জিহাদে নিহিত মাসলাহাত ও কল্যাণসমূহ হাতছাড়া হয়ে যাবে।
    গনীমত লাভ হলে হকদারদের মাঝে শরীয়তে বর্ণিত নিয়মানুযায়ী বণ্টন করে নেবে। তবে কাজী রহ. বলেন, ইমাম নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতাবশত দাসীদের বণ্টন স্থগিত রাখবে। ”
    [আল-মুগনী: ১০/৩৭৪]

    আর জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যাওয়ার পর যদি ইমাম জিহাদে যেতে নিষেধ করে তাহলে তার নিষেধ প্রত্যাখ্যান করে জিহাদে যাওয়া ফরয। কেননা, আল্লাহ তাআলার আদেশের সামনে ইমামের নিষেধের কোন মূল্য নেই।
    لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق
    “খালেকের নাফরমানীতে মাখলূকের কোন আনুগত্য নেই।”

    ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই
    পর্ব ৩

    ইমাম মুহাম্মদ রহ. ‘আসসিয়ারুল কাবীর’ এ বলেন:
    وإن نهى الإمام الناس عن الغزو والخروج للقتال فليس ينبغي لهم أن يعصوه إلا أن يكون النفير عاما.اهـ
    “ইমাম যদি লোকজনকে যুদ্ধ করতে এবং কিতালে বের হতে নিষেধ করে, তাহলে তাদের জন্য তার আদেশ অমান্য করা জায়েয হবে না। তবে যদি নফীরে আম এর হালত তৈরী হয়ে যায় তাহলে ভিন্ন কথা।”

    ইমাম সারাখসী রহ. এর ব্যাখ্যায় বলেন:
    لأن طاعة الأمير فيما ليس فيه ارتكاب المعصية واجب كطاعة السيد على عبده فكما أن هناك بعد نهي المولى لا يخرج إلا إذا كان النفير عاما فكذلك ها هنا. اهـ
    “যেখানে ইমামের আদেশ পালন করতে গেলে নাফরমানীতে লিপ্ত হতে হয় না, সেখানে ইমামের আনুগত্য ফরয। যেমন, গোলামের জন্য তার মনিবের আনুগত্য ফরয। নফীরে আম না হলে যেমন মনিব নিষেধ করলে জিহাদে যাবে না, ইমামের ক্ষেত্রেও তেমনি।”
    [শরহুস সিয়ারিল কাবীর: ২/৩৭৮]

    মালিকী মাযহাবের কিতাব ‘ফাতহুল আলিয়্যিল মালিক’ এ বলা হয়েছে:
    قال ابن حبيب سمعت أهل العلم يقولون إن نهى الإمام عن القتال لمصلحة حرمت مخالفته إلا أن يزحمهم العدو وقال ابن رشد طاعة الإمام لازمة , وإن كان غير عدل ما لم يأمر بمعصية ومن المعصية النهي عن الجهاد المتعين.اهـ
    “ইবনে হাবীব রহ. বলেন, আমি আহলে ইলমদেরকে বলতে শুনেছি, ইমাম কোন মাসলাহাতের প্রতি লক্ষ্য করে কিতাল করতে নিষেধ করলে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হারাম। তবে যদি শত্রু আক্রমণ করে বসে তাহলে ভিন্ন কথা। ইবনে রুশদ রহ.বলেন, ইমাম ন্যায় পরায়ণ না হলেও তার আনুগত্য আবশ্যক, যতক্ষণ না কোন গুনাহের আদেশ দেন। আর ফরযে আইন জিহাদে বাধা দেয়া গুনাহের কাজ।”
    [ফাতহুল আলিয়্যিল মালিক: ৩/৩]

    আল্লামা ইবনে হাযম রহ. বলেন-
    و لا إثم بعد الكفر أعظم من إثم من نهي عن جهاد الكفار و أمر بإسلام حريم المسلمين إليهم ...اهـ
    “কুফরের পর কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা থেকে বাধা দেয়া এবং মুসলমানদের ভূমিকে তাদের হাতে সমর্পণ করতে আদেশ করার চেয়ে বড় কোন গুনাহ নেই।”
    [আল-মুহাল্লা: ৭/৩০০]

    অতএব, ইমাম জিহাদে বাধা দিলে তার নিষেধাজ্ঞা মান্য করা যাবে না। শত্রু আক্রমণ করে বসলে আল্লাহ তাআলার আদেশ হল তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা। আল্লাহ তাআলার আদেশের সামনে ইমামের নিষেধের কোন মূল্য নেই।

    ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই
    পর্ব ৪

    দুই) ইমাম যদি মুরতাদ হয়ে যায় এবং কিতাল ব্যতীত তাকে হটানো সম্ভব না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কিতাল ফরয। যেমনটা হাদিসে এসেছে। এ ব্যাপারে আইম্মায়ে কেরামের ইজমা-ঐক্যমত বিদ্যমান।
    এখানে তো মুসলমানদের কোন ইমাম নেই। তাহলে তাদের উপর মুরতাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা ফরয হল কিভাবে ??

    এই দুই মাসআলা থেকে স্পষ্টই বুঝে আসে, জিহাদ ফরয হওয়া না হওয়ার সাথে ইমাম থাকা না থাকার বা ইমাম আদেশ বা অনুমতি দেয়া না দেয়ার কোন সম্পর্ক নেই। অন্যথায়, প্রথম মাসআলাতে ইমাম নিষেধ করার পরও জিহাদ ফরয থাকার কথা নয়।

    দ্বিতীয় মাসআলাতে ইমাম মুরতাদ হয়ে যাওয়ার পর যখন কোন ইমাম নেই, তখন এই মুরতাদের বিরুদ্ধে কিতাল ফরয হওয়ার কথা নয়। এ থেকে স্পষ্টই বুঝে আসে, জিহাদ স্বতন্ত্র একটা বিধান যার সাথে ইমামের কোন সম্পর্ক নেই। শত্রু আক্রমণ করে বসলেই জিহাদ ফরয হয়ে যায়।
    এ কারণেই ইমামের বাধা দেয়াটা তখন নাফরমানি বলে ধর্তব্য হবে। মুসলমানদের জন্য তার নিষেধ মান্য করা জায়েয হবে না। তার আদেশ অমান্য করা তখন ফরয। কিন্তু জিহাদ ছাড়ার কোন সুযোগ নেই।

    তদ্রূপ ইমাম মুরতাদ হয়ে গেলে তাকে হটানো ফরয। এই ফরযের সাথে ইমাম থাকা না থাকার কোন সম্পর্ক নেই। আর থাকবেই বা কেন? ইমাম তো নিয়োগ দেয়াই হয় মুসলমানদের দায়িত্বসমূহ যেন শংখলাবদ্ধভাবে আদায় করা যায়।

    দায়িত্বসমূহ আগেই ফরয হয়ে থাকে, ইমাম নিয়োগ দেয়া হয় ঐ ফরয হয়ে থাকা দায়িত্বসমূহ জামাআতবদ্ধ হয়ে সুশৃংখভাবে আদায় করার জন্য। ইমাম নিয়োগ দিলে তারপর ফরয হয়, এর আগে ফরয নয়- এমন নয়।

    তিন) নামায-রোযা, হজ্ব-যাকাত যেমন ইমামের সাথে খাছ নয় বরং সকল মুসলমানের উপর ফরয, জিহাদও তেমনই। তবে জিহাদ যেহেতু একটি ইজতেমায়ী আমল, একক ব্যক্তির মেহনতের দ্বারা সফলতা সম্ভব নয়, সেজন্য আমীর না থাকলে একজন আমীর বানিয়ে নেয়া ওয়াজিব।

    চার) ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই কথাটা ইতিহাস থেকে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

    ১. তাতারীরা যখন আব্বাসী খলিফাকে শহীদ করে তখন ৬৫৭ হিজরী থেকে নিয়ে ৬৫৯ হিজরী পর্যন্ত তিন বছর মুসলমানদের কোন খলিফা ছিল না। কিন্তু এরপরও ওলামায়ে কেরাম তাতারীদের বিরুদ্ধে কিতাল ফরয ফতোয়া দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন কিতাল হয়েছে। কিন্তু এই প্রশ্ন তখন ওঠেনি, জিহাদ ফরয হবে কেন, খলিফা তো নেই!?

    ইমাম ছাড়া জিহাদ নাই
    পর্ব ৫

    ২. ভারতবর্ষ ইংরেজরা দখল করে নেয়ার পর হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রহ., কাসিম নানুতাবী রহ., রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী রহ. শামেলীর জিহাদ করেছেন। তখন তো এই প্রশ্ন তখন ওঠেনি, জিহাদ ফরয হবে কেন, খলিফা তো নেই!?
    .
    ৩. সায়্যিদ আহমদ শহীদ রহ. দীর্ঘ দিন যাবৎ জিহাদ করেছেন। তখন তো এই প্রশ্ন তখন ওঠেনি, জিহাদ ফরয হবে কেন, খলিফা তো নেই!?
    .
    ৪. আফগানিস্তানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিতাল হয়েছে পনের বছর। তখন তো কোন খলিফা ছিল না। আজ যারা বলছে, ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই, তারাই তো তখন আফগান জিহাদ নিয়ে গৌরব করত। কিন্তু আজ যখন আমেরিকার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তখন যেন শরীয়তের মাসআলা পরিবর্তন হয়ে গেছে।
    .
    .
    যদি বলা হয়, তখন খলিফা না থাকলেও জিহাদের আমীর ছিল। কিন্তু বর্তমানে জিহাদের কোন আমীর নেই।
    .
    উত্তরে বলবো: আমীর কি প্রতি ঘরে ঘরে থাকতে হবে? সারা দুনিয়াতে একজন থাকলে হবে না? পুরো বিশ্বে তানজিম আল-কায়েদার অধীনে জিহাদ চলুমান। আর আলকায়েদা তালেবানদের হাতে বাইয়াত। তাদের নেতৃত্বে সারা দুনিয়াতে জিহাদ চলছে। এটা কি যথেষ্ট নয়?
    .
    না কি প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আমীর লাগবে? শরীয়ত কি বলে?
    বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন থেকে মুসলমানদের শক্তি নষ্ট করতে না এক আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে?
    .
    وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا (তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিভেদ করো না।) এর কি অর্থ?
    .
    আর যদি তালেবানদের অধীনে জিহাদ পছন্দ না হয় তাহলে কি জিহাদের দায়িত্ব শেষ? অন্য কাউকে আমীর বানিয়ে জিহাদ করা কি ফরয হবে না?
    .
    তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে একটা হক জিহাদি তানজীম বিদ্যমান থাকার পরও কোন ওযর ব্যতীত তার সাথে মিলিত না হয়ে নতুন তানজীম খোলে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করার বৈধতা শরীয়ত দেয় কি’না?
    যারা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় শহিদ হয় তাদের কে তোমরা মৃত্যু ধরানাও করোনা বরং তারা জিবিত

  • #2
    جزاکم الله احسن الجزاء
    و بارک فی علمک

    Comment


    • #3
      আখি, খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        জাঝাকাল্লাহ্ খায়রান প্রিয় ভাই

        Comment


        • #5
          জাজাকাল্লাহ

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লহা। ভাই
            চালিয়ে যান। আল্লাহ আমাদের সহায়ক ।
            সরবকালে,সর্ব স্থান, সর্ব হালাতে ।
            আরো ইলমী মাক্বালা পেতে আশা ব্যক্ত করছি । শুকরান ।
            যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ ।
              খুবি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ।

              Comment


              • #8
                وقال آخرون: هو على كل واحد حتى يقوم به من في قيامه الكفاية، فيسقطُ فرض ذلك حينئذ عن باقي المسلمين، كالصلاة على الجنائز وغسلهم الموتى ودفنهم، وعلى هذا عامة علماء المسلمين .

                * * *

                قال أبو جعفر: وذلك هو الصواب عندنا لإجماع الحجة على ذلك، ولقول الله عز وجل: فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً وَكُلا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى [سورة النساء: 95]، فأخبر جل ثناؤه أنّ الفضل للمجاهدين، وأن لهم وللقاعدين الحسنى، ولو كان القاعدون مضيِّعين فرضًا لكان لهم السُّوأى لا الحسنى.
                حدثني موسى بن هارون، قال: حدثنا عمرو بن حماد، قال: حدثنا أسباط، عن السدي: " كتب عليكم القتال وهو كره لكم وعسى أن تكرهوا شيئًا وهو خيرٌ لكم وعسى أن تحبوا شيئًا وهو شر لكم "، وذلك لأن المسلمين كانوا يكرهون القتال، فقال: " عسى أن تكرهوا شيئًا وهو خيرٌ لكم " يقول: إن لكم في القتال الغنيمةَ والظهور والشهادة، ولكم في القعود أن لا تظهروا على المشركين، ولا تُستْشهدوا، ولا تصيبوا شيئًا.

                4079 - حدثني محمد بن إبراهيم السلمي، قال: حدثني يحيى بن محمد بن مجاهد، قال: أخبرني عبيد الله بن أبي هاشم الجعفي، قال: أخبرني عامر بن واثلة قال: قال ابن عباس: كنت رِدْفَ النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا ابن عباس ارضَ عن الله بما قدَّرَ، وإن كان خلافَ هواك، فإنه مثبَتٌ في كتاب الله. قلت: يا رسول الله، فأين؟ وقد قرأت القرآن ! قال: في قوله: " وعسى أن تكرهوا شيئًا وهو خير لكم وعسى أن تحبوا شيئًا وهو شر لكم والله يعلم وأنتم لا تعلمونঅন্যান্য ওলামায়ে কিরামগন বলেন( উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ) জিহাদ প্রতিটি ব্যক্তির উপর ফরজ যতক্ষণ পর্যন্ত এই পরিমাণ লোক এর জন্য দাড়িয়ে যায় যেই পরিমান লোক এর জন্য দাড়িয়ে গেলে এর যথেষ্টতা আদায় হয়ে যায়। তখন অন্যান্য মুসলিমদের থেকে এর ফরজিয়াত অকার্যকর হয়ে যায়। যেমন জানাজার নামাজ এবং মৃত ব্যক্তিকে গসল দেওয়া এবং তাকে দাফন দেওয়া এবং এটি হল মুসলমানদের ব্যাপক আলেমদের মতামত। ( এতে প্রমাণিত হল যে জিহাদের জন্য ইমামের অনুমতি শর্ত নয়)
                ( আরেকটি কথা) আবু জাফরের মতে এটাই হল সঠিক যেটার উপর সকল প্রমাণ একত্রিত হয়েছে। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন আল্লাহ তায়ালার ঐ সকল মুজাহিদদেরকে একধাপ বেশি সম্মান দিয়েছে যারা তাদের জান মাল নিয়ে জিহাদ করেছেন যারা বসে আছে তাদের থেকেও। এবং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই আল্লাহ কল্লানের ওয়াদা করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা সংবাদ দিলেন মর্যাদা হল মুজাহিদদের জন্য আর তাদের এবং যারা বসে রয়েছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যান । কিন্তু যারা বসে রয়েছে তারা যদি কোন ফরজকে নষ্ট করে তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি তখন তাদের জন্য ভালো কিছু নেই ।( এতে প্রমাণিত হয়েছে যারা খানকায় বসে আছে তাদের জন্য রয়েছে শাস্তি) আমাদেরকে মূসা বিন হারুন হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং আমাদেরকে তিনি বলেন আমাদেরকে আমর বিন হাম্মাদ হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং আমাদেরকে আসবাত সাদি থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তোমাদের জন্য জিহাদকে ফরজ করা হয়েছে অথচ ইহা তোমাদের জন্য অপছন্দের বিষয়। তোমরা সম্ভবত কোন বস্তুকে অপছন্দ করবে অথচ ইহা তোমাদের জন্য ভালো। এবং সম্ভবত তোমরা কোন বস্তুকে পছন্দ করবে অথচ তা হবে তোমাদের জন্য মন্দ‌ । এবং তা হল মুসলিমরা কিতালকে অপছন্দ করে। তখন তিনি বলেন সম্ভবত তোমরা কোন বস্তুকে অপছন্দ করবে এবং ইহা হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তিনি বলেন যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য বিজয় অথবা গনীমত অথবা শাহাদাত।
                এবং তোমরা যদি বসে থাক তাহলে তোমরা মুশরিকদের উপর বিজয় লাভ করতে পারবে না। এবং তোমরা শহীদ হতে পারবে না এবং তোমরা গনিমত লাভ করবে না । আমাদেরকে মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহিম সালমি হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে ইহাহইয়াহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুজাহিদ হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন আমাদেরকে উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু হাশেম জাফি হাদিস বর্ণনা করেছেন আমাদেরকে আমের বিন ওয়াসেলাহ সংবাদ দিয়েছে ইবনে আব্বাস বলেন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে ছিলাম । তখন তিনি বলেন আল্লাহ যাকিছু তোমার জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাও যদিও ইহা তোমার অপছন্দ হয়ে থাকে কেননা ইহা কিতাবুল্লাহর মধ্যে প্রমানিত রয়েছে। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল ইহা কোথায় তখন তিনি বললেন তুমি কিতাব উল্লাহ পড়েছ এবং তিনি বলেন وقد قرأت القرآن ! قال: في قوله: " وعسى أن تكرهوا شيئًا وهو خير لكم وعسى أن تحبوا شيئًا وهو شر لكم والله يعلم وأنتم لا تعلمون
                পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                Comment


                • #9
                  এখন কেয়ামতের আগের যুগ কোনটা হক দল আবার কোনটা বাতিল এটাই বর্তমানে বুজা কঠিন। তাই আমি মনে করি এখন আমাদের কুরআন হাদীস পড়া উচিৎ এবং সে অনুপাতে আমল করে কবরে যাওয়া উচিৎ।
                  পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ জী ভাই "ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই" এটা আমাদের সমাজের একটা বড় ফেতনা,
                    ভাই যার মনে উম্মাহর জন্য কষ্ট আছে
                    জাহান্নমের ভয় আছে
                    আখিরাতের উপর বিশ্বাস আছে
                    সে কিভাবে বসে থাকতে পারে।

                    Comment

                    Working...
                    X