Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাগুত কারা জেনে নিন মৃত্যুর পূর্বে মুসলিম উম্মাহ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাগুত কারা জেনে নিন মৃত্যুর পূর্বে মুসলিম উম্মাহ

    পোষ্টটি ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে জানার
    সুযোগ করে দিন। আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।
    .
    ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
    ত্বা-গুত ( ﻃَّﺎﻏُﻮﺕِ )
    .
    প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা!
    আসসালামু আলইকুম ওয়া রাহমাতুলাহি
    ওয়াবারাকাতুহু।
    .
    ঈমানের মূল ভিত্তি তাওহীদ। আর
    তাওহীদের রয়েছে দুটি রূকন। একটি
    কুফর বিত্ ত্বা-গুত। অপরটি ঈমান বিল্লাহ।
    পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে -
    ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻜْﻔُﺮْ ﺑِﺎﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻭَﻳُﺆْﻣِﻦ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ
    ﺍﺳْﺘَﻤْﺴَﻚَ ﺑِﺎﻟْﻌُﺮْﻭَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺛْﻘَﻰٰ ﻟَﺎ ﺍﻧﻔِﺼَﺎﻡَ ﻟَﻬَﺎ
    .
    ‘যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার
    করলো আর আল্লাহর প্রতি ঈমান
    আনলো, সে এমন এক শক্ত রজ্জু
    ধারণ করলো যা কখনো ছিড়ে যাবার
    নয়’। (সুরা বাকারা ২:২৫৬)
    উপরোক্ত আয়াতে ( ﻓَﻤَﻦ ﻳَﻜْﻔُﺮْ
    ﺑِﺎﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ) হচ্ছে প্রথম রোকন,
    (َ ﻳُﺆْﻣِﻦ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ) হচ্ছে দ্বিতীয় রোকন
    এবং ( ﺑِﺎﻟْﻌُﺮْﻭَﺓِ ﺍﻟْﻮُﺛْﻘَﻰ ) শক্ত রজ্জু
    বলতে কলেমা ( ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎﻟﻠَّﻪ ) কে
    বুঝানো হয়েছে। আর এটাই মূলত:
    তাওহীদের কালেমা। তাগুতকে
    অস্বীকার করা এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান
    আনা হচ্ছে এই দ্বীনের মূল ভিত্তি ও
    এর প্রধান মূলনীতি।
    সকল নবী রাসুলদের মূল আহ্বান
    ছিলো এটি-ই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ
    (সুব.) বলেন-
    .
    ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺑَﻌَﺜْﻨَﺎ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﺃُﻣَّﺔٍ ﺭَّﺳُﻮﻟًﺎ ﺃَﻥِ ﺍﻋْﺒُﺪُﻭﺍ
    ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﺍ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕَ
    .
    ‘আমি প্রত্যেক জাতির নিকট রাসূল
    প্রেরণ করেছি আল্লাহর ইবাদত করার
    এবং তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ
    দেবার জন্য।’ (সুরা নাহল ১৬:৩৬)
    .
    এ আয়াতগুলো থেকে পরিষ্কারভাবে
    বুঝা যায় যে, ত্বা-গুতকে বর্জন করা
    ঈমানের একটি মৌলিক অঙ্গ। ত্বা-গুতকে
    বর্জন করার জন্য প্রয়োজন ত্বা-গুত
    সম্পর্কে জানা। অত:পর প্রধান প্রধান
    ত্বা-গুত গুলোকে চিহ্নিত করা। অত:পর
    ত্বা-গুতকে কিভাবে বর্জন করতে
    হবে তা জানা। অনেকের ধারণা ত্বা-গুত
    মানে হলো শয়তান। এ ধারণা মোটেই
    ঠিক নয়। বরং শয়তান একটি ত্বা-গুত।
    একমাত্র ত্বা-গুত নয়। তাই আমি
    আপনাদের সামনে প্রথমে ত্বা-গুতের
    পরিচয় তারপর প্রধান প্রধান ত্বা-
    গুতগুলোকে চিহ্নিত করা। অত:পর
    কিভাবে ত্বা-গুতকে বর্জন করতে
    হবে তা নিয়ে সামান্য আলোচনা পেশ
    করছি।
    .
    ○ ত্বা-গুত-এর সংজ্ঞাঃ
    (ত্বগা) ত্ব-গা’ শব্দটি ক্রিয়া। এর (মাসদার)
    (বা ক্রিয়ার মূল ধাতু) হল (তুগইয়ান); আর
    (তুগইয়ান) শব্দের অর্থ বন্যা। নদীর
    পানি প্রবাহ নদীর দুই তীর দ্বারা
    সীমাবদ্ধ থাকাই নিয়ম কিন্তু পানি যখনই তার
    তীরের সীমালংঘন করে উপচে
    উঠে দু’কুল ভাসিয়ে নিয়ে যায় তখনই
    তাকে আমরা বন্যা বলি। তদ্রুপ মানুষ
    আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে
    কেবল তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁরই
    আইন মেনে চলবে-এটিই আল্লাহর
    বিধান। কিন্তু ঐ মানুষ যখন আল্লাহর এবাদত
    করার পরিবর্তে নিজেই এবাদত নেয়া
    শুরু করে এবং আল্লাহর আইন মানার
    পরিবর্তে নিজেই আইন দেয়া শুরু
    করে অর্থাৎ আবদিয়্যাত বা দাসত্বের
    সীমানা অতিক্রম করে নিজেই মাবুদ বা
    রবের আসনে বসে পড়ে তখনই
    তাকে তাগুত বলা হয়। ইয়াহুদী-খৃষ্টানরা
    এভাবেই তাদের ধর্মীয় নেতা ও
    পীর-ফকীরদেরকে নিজেদের
    রব বানিয়েছিলো। পবিত্র কুরআনে
    ইরশাদ হয়েছে-
    .
    ﺍﺗَّﺨَﺬُﻭﺍ ﺃَﺣْﺒَﺎﺭَﻫُﻢْ ﻭَﺭُﻫْﺒَﺎﻧَﻬُﻢْ ﺃَﺭْﺑَﺎﺑًﺎ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻥِ
    ﺍﻟﻠَّﻪِ
    .
    ‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের
    পণ্ডিতগণ ও সংসার-বিরাগীদের রব
    হিসেবে গ্রহণ করেছে’
    (সুরা তাওবাহ ৯:৩১)
    তাই (লিসানুল আরব) এ বলা হয়েছে
    ‘যে বা যারা আল্লাহর অবাধ্যতার
    ক্ষেত্রে সীমালংঘন করে তারাই ত্বা-
    গুত।’
    সুতরাং যে কোন মানুষের
    ক্ষেত্রেই আল্লাহর আইন ব্যতীত
    অন্য আইনের প্রণয়ন ও অনুসরণ করাই
    হবে ত্বা-গুতের কাজ। আর যারা
    এগুলো করে তারাই ত্বা-গুত।
    .
    ○ (ত্বা-গুত) এর পারিভাষিক অর্থঃ
    ইসলামী শরীয়াতের পরিভাষায় ত্বা-গুত
    বলা হয় আল্লাহর পরিবর্তে যার আনুগত্য
    করা হয় এবং সে এটা পছন্দ করে। চাই
    সেটা ইবাদতের কোন অংশ বিশেষ
    হোক অথবা ইবাদতের বিশেষ কোন
    ক্ষেত্রে হোক। সুতরাং আল্লাহর
    ক্ষমতার পরিবর্তে কাউকে
    ক্ষমতাশালী মনে করে অথবা আল্লাহর
    ভালোবাসার মতো বা তার চেয়ে
    বেশী কাউকে ভালোবেসে যার
    আনুগত্য করা হয় সেই ত্বা-গুত। আল্লাহর
    আনুগত্য ও বিচার ফায়সালা মেনে
    নেওয়ার পরিবর্তে যাদের বিচার ফায়সালা
    মেনে নেওয়া হয় তারা ত্বা-গুত। আল্লাহর
    কাছে প্রার্থনা করা, তাকে ভয় করা, তার
    নামে মান্নত করা, কোরবানী করা ও
    পশু জবাই করা ইত্যাদির পরিবর্তে যাদের
    নামে এগুলো করা হয় (পীর-ফকির,
    মাজার, দর্গা-দুর্গা, মূর্তি-প্রতীমা
    ইত্যাদী) তারা ত্বা-গুত। আল্লাহর বিশেষ
    ক্ষমতা, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর
    ক্ষেত্রে যাদেরকে আল্লাহর
    সমকক্ষ স্বীকার করা হয়, অথবা আল্লাহর
    ক্ষমতা, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর আংশিক
    অধিকারী স্বীকার করা হয় তারা ত্বা-গুত
    (গণক, জ্যোতিষী, অদৃশ্যের
    জ্ঞানের দাবীদার পীর-ফকির)।
    এমনিভাবে মানব রচিত সংবিধান, আইন-কানুন
    ও আল্লাহ প্রদত্ত শরীআ’তের সাদৃশ্য
    মানব রচিত মানহায ও ইবাদতের পদ্ধতিও
    ত্বা-গুত। এমনিভাবে সকল প্রকার ফিৎনা-
    ফাসাদ , গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতার
    নেতৃত্ব দানকারী নেতা-নেত্রীরা
    ত্বা-গুত। কুরআন-সুন্নাহ বিবর্জিত শির্ক ও
    বিদআ’ত এবং বিভিন্ন রুসুম ও রেওয়াজের
    উদ্ভাবক ও পৃষ্ঠপোষক পীর-মুর্শিদ
    তত্বা-গুত। ত্বা-গুতের এসকল বৈশিষ্ট্য সমূহ
    পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বর্ণিত
    হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি
    আয়াত পেশ করছি।
    .
    ○ পবিত্র কুরআনের চারটি আয়াতে ত্বা-
    গুতের বৈশিষ্ট্যঃ
    ○ প্রথম আয়াত:
    .
    ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺍﺟْﺘَﻨَﺒُﻮﺍ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕَ ﺃَﻥ ﻳَﻌْﺒُﺪُﻭﻫَﺎ
    ﻭَﺃَﻧَﺎﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒُﺸْﺮَﻯٰ
    .
    ‘আর যারা ত্বা-গুতের উপাসনা পরিহার করে
    এবং আল্লাহঅভিমুখী হয় তাদের জন্য
    আছে সুসংবাদ; অতএব আমার
    বান্দাদেরকে সুসংবাদ দাও।’ (যুমার,
    ৩৯:১৭)
    এ আয়াত থেকে বুঝা গেলো যে,
    ত্বা-গুত হল সেই غيرالله (গায়রুলাহ),
    যার ইবাদত করা হয়ে থাকে, যাকে মান্য
    করা হয়, এবং যার একনিষ্ঠ অনুসরণ করা হয়,
    অথচ তা হারাম এবং নিষিদ্ধ।
    .
    ○ দ্বিতীয় আয়াত:
    .
    ﺃَﻟَﻢْ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍ ﻧَﺼِﻴﺒًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ
    ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺎﻟْﺠِﺒْﺖِ ﻭَﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻭَﻳَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ
    ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻫَٰﺆُﻟَﺎﺀِ ﺃَﻫْﺪَﻯٰ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺳَﺒِﻴﻠًﺎ
    .
    ‘তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা
    কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, যারা
    মান্য করে প্রতিমা ও তা-গুতকে এবং
    কাফেরদেরকে বলে যে, এরা
    মুসলিমদের তুলনায় অধিকতর সরল সঠিক
    পথে রয়েছে।’ (নিসা ৪:৫১)
    এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, ত্বা-গুত
    হল এমন غيرالله
    (গারুল্লাহ) যার প্রতি
    আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা হয়।
    ○ তৃতীয় আয়াত:
    .
    ﺃَﻟَﻢْ ﺗَﺮَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺰْﻋُﻤُﻮﻥَ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺑِﻤَﺎ
    ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﻳُﺮِﻳﺪُﻭﻥَ ﺃَﻥ
    ﻳَﺘَﺤَﺎﻛَﻤُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ ﻭَﻗَﺪْ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺃَﻥ
    ﻳَﻜْﻔُﺮُﻭﺍ ﺑِﻪِ ﻭَﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﻥ ﻳُﻀِﻠَّﻬُﻢْ ﺿَﻠَﺎﻟًﺎ
    ﺑَﻌِﻴﺪًﺍ
    .
    ‘তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবী
    করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে
    তার উপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার
    প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার
    পূর্বে। তারা ত্বা-গুতের কাছে বিচার
    নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে
    নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাকে
    অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায়
    তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত
    করতে।’ (নিসা, ৪:৬০)
    এ আয়াতে দেখা যায় যে, ত্বা-গুত হল
    এমন ( غير الله) (গায়রুলাহ) যার নিকট
    বিচার-ফয়সালা চাওয়া হয়। অর্থাৎ মানব রচিত
    সংবিধানে বিচার ফয়সালাকারী বিচারকগণ।
    যারা ত্বা-গুতের অর্থ শয়তান বলে
    থাকেন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে
    চাই যে, এ আয়াতেও কি ত্বা-গুত অর্থ
    শয়তান করবেন?
    শয়তানের এমন কোন এজলাস আছে
    কি যেখানে মানুষ দলে দলে তার
    কাছে বিচার-ফয়সালা নিয়ে যায়?
    .
    ○ চতুর্র্থ আয়াত:
    ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
    ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍ ﻳُﻘَﺎﺗِﻠُﻮﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕِ
    ﻓَﻘَﺎﺗِﻠُﻮﺍ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺀَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ۖ ﺇِﻥَّ ﻛَﻴْﺪَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ
    ﻛَﺎﻥَ ﺿَﻌِﻴﻔًﺎ
    .
    ‘যারা ঈমান এনেছে তারা যুদ্ধ করে
    আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী
    করেছে তারা যুদ্ধ করে তাগূতের
    পথে। সুতরাং তোমরা যুদ্ধ কর
    শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয়
    শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।’ (নিসা, ৪:৭৬)
    এ আয়াতে দেখা যায় যে, ত্বা-গুত হল
    সেই ( غير الله) (গায়রুলাহ) বা শক্তি
    যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একদল
    লোক প্রাণন্তকর সংগ্রাম করে।
    সুতরাং পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে
    ত্বা-গুত সেই ( غير الله ) (গায়রুলাহ)
    শক্তি, যার ইবাদত করা হয়, যার প্রতি আস্থা
    ও বিশ্বাস স্থাপন করা হয়, যার কাছে বিচার-
    ফয়সালা চাওয়া হয় এবং যাকে প্রতিষ্ঠিত করা
    হয়, যাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য
    প্রাণান্তকর সংগ্রাম করা হয়। আর একমাত্র
    কাফিররাই এই ত্বা-গুতের ইবাদত করে।
    .
    ○প্রধান প্রধান ত্বা-গুতঃ
    (১) শয়তান : গায়রুলাহর ইবাদতের দিকে
    আহ্বানকারী শয়তান। যে
    পরোক্ষভাবে নিজেই ইবাদত নেয়।
    (২) শাসক : ঐ সকল শাসক যারা নিজেরা
    সার্বভৌমত্বের দাবী করে এবং আলাহর
    আইন বাতিল করে মনগড়া আইন তৈরী
    করে। যেমন: ত্বা-গুতী রাষ্ট্রের
    মন্ত্রী-এমপি ও আমলাগণ।
    (৩) বিচারক: আল্লাহর নাযিলকৃত আইন-বিধান
    বাদ দিয়ে মানব রচিত আইন দিয়ে বিচার-
    ফয়সালাকারী বিচারক।
    (৪) পীর-ফকির : আল্লাহর ইবাদতের
    সাথে ভায়া-মাধ্যম ও অংশীদার হিসেবে
    ইবাদত গ্রহণকারী পীর-ফকির, কবর-
    মাজার, দরগা-খানকাহ্ যাদের ইবাদত করা হয়
    এবং তাদের ইবাদতের দিকে
    আহ্বানকারী মুরীদ ও ভক্তবৃন্দ।
    (৫) গণক, জ্যোতিষী, যাদুকর : ইলমূল
    গাইব বা ভবিষ্যত জ্ঞানের অধিকারী
    দাবীদার গণক, জ্যেতিষী, যাদুকর ও
    তাদের দিকে আহ্বানকারী ভক্তবৃন্দ।
    (৬) আল-হাওয়া : আলাহর হুকুম পালনের
    বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী আল-হাওয়া
    ওয়ান নাফস্ (প্রবৃত্তি)।
    (৭) তাক্বলিদে-আবা : কুরআন-সুনড়বাহ
    বাদ দিয়ে যেসকল বাপ-দাদা ও
    পূর্বপুরুষের দোহাই দিয়ে গায়রুলাহর
    ইবাদত করা হয় সেকল বাপ-দাদা ও
    পূর্বপুরুষরাও ত্বা-গুত। যদি তারা এটা পছন্দ
    করে থাকেন।

    ○ কিভাবে ‘কুফর বিত ত্বাগুত’ তথা
    ত্বাগুতকে বর্জন করতে হবে?
    ত্বাগুতকে পাঁচভাবে বর্জণ করতে
    হবে-
    ১। তাগুতের ইবাদত বাতিল এ আক্বীদা
    পোষণের মাধ্যমে-
    মানুষ যত ধরনের ইবাদতই তাগুতের জন্য
    নিবেদন করুক তা সবই বাতিল এ
    আক্বীদা বা বিশ্বাস অবশ্যই রাখতে
    হবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-
    .
    ﺫَٰﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣَﺎ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣِﻦ
    ﺩُﻭﻧِﻪِ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃ

    ِﻞُ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻜَﺒِﻴﺮُ
    .
    ‘আর এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আলাহই
    সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে
    ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়
    আলাহ তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ্জ
    ২২:৬২)
    ২। তাগুতকে পরিত্যাগ ও তাগুত থেকে
    দূরে থাকার মাধ্যমে:
    এর অর্থ হচ্ছে তাগুতের ইবাদত
    পরিত্যাগ করা, পরিহার করা। আল্লাহ (সুব
    বলেন-
    .
    ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺑَﻌَﺜْﻨَﺎ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﺃُﻣَّﺔٍ ﺭَّﺳُﻮﻟًﺎ ﺃَﻥِ ﺍﻋْﺒُﺪُﻭﺍ
    ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﺍ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕَ
    .
    ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই
    রাসুল পাঠিয়েছি এই মর্মে যে, তোমরা
    আলাহর ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে
    নিরাপদ দূরত্বে থাকো।‘ (সুরা নাহল
    ১৬:৩৬)
    ৩। দুশমনি বা শত্রুতার মাধ্যমে:
    আল্লাহ (সুব ইবরাহীম (আ এর ঘটনা
    বর্ণনা করত: বলেন-
    .
    ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺘُﻢ ﻣَّﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ‏[ ٢٦ :٧٥ ‏]
    ﺃَﻧﺘُﻢْ ﻭَﺁﺑَﺎﺅُﻛُﻢُ ﺍﻟْﺄَﻗْﺪَﻣُﻮﻥَ ‏[ ٢٦ :٧٦ ‏]
    ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻢْ ﻋَﺪُﻭٌّ ﻟِّﻲ ﺇِﻟَّﺎ ﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ‏[ ٢٦ : ٧٧ ]
    .
    ‘ইবরাহীম বললো: তোমরা এবং
    তোমাদের অতীত বাপ-দাদারা যে সব
    জিনিসের ইবাদত করে আসছো, সে
    গুলি কি কখনো তোমরা চোখ
    মেলে দেখেছো? এরা সবাইতো
    আমার দুশমন একমাত্র রাব্বুল আলামীন
    ছাড়া।’ (সূরা শুআরা ২৬:৭৫-৭৭)
    যে ব্যক্তির ন্যুনতম জ্ঞান আছে এবং
    দাবী করে যে সে আল্লাহর প্রতি
    ঈমান এনেছে সে কখনো তাগুতকে
    বন্ধু হিসেবে নিতে পারে না। বরং
    তাগুতের সাথে থাকবে তার দুশমনি বা
    শত্রুতা।
    ৪। ক্রোধ ও ঘৃণার মাধ্যমে: আল্লাহ
    (সুব ইরশাদ করেছেন-
    .
    ﻗَﺪْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻟَﻜُﻢْ ﺃُﺳْﻮَﺓٌ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ ﻓِﻲ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ
    ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣَﻌَﻪُ ﺇِﺫْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻟِﻘَﻮْﻣِﻬِﻢْ ﺇِﻧَّﺎ ﺑُﺮَﺁﺀُ ﻣِﻨﻜُﻢْ
    ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻔَﺮْﻧَﺎ ﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺑَﺪَﺍ
    ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌَﺪَﺍﻭَﺓُ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺣَﺘَّﻰٰ
    ﺗُﺆْﻣِﻨُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺣْﺪَﻩُ
    .
    ‘তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর
    সংঙ্গীগণের মধ্যে সুন্দর আদর্শ
    রয়েছে। তারা তাদের স¤প্রদায়কে
    বলেছিলো: তোমাদের সাথে এবং
    তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত
    করো, তার সাথে আমাদের কোনো
    সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে
    মানি না। তোমরা যতক্ষণ না এক আল্লাহর
    প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে, ততক্ষণ
    তোমাদের ও আমাদের মধ্যে
    থাকবে চির শত্রুতা, ক্রোধ ও ঘৃণা।’
    (সুরা মুমতাহিনা ৬০:৪)
    সুতরাং তাগুতকে অস্বীকারের দাবী
    হচ্ছে তাগুত এবং যে ব্যক্তি তার ইবাদত
    করে কাফেরে পরিণত হয়েছে
    উভয়কেই পরিত্যাগ করতে হবে এবং
    উভয়ের সাথে ঈমানদারদের থাকবে
    দুশমনি, ঘৃণা-বিদ্বেষ।
    ৫। অস্বীকার করার মাধ্যমে:
    ত্বাগুতকে অস্বীকার করা। তাগুতের
    যারা উপাসনা করে এবং নেতৃত্বের
    আসনে বসায় তাদেরকে অস্বীকার
    করা এবং যে ব্যক্তি কুফরী মতবাদের
    প্রবর্তন করে অথবা কুফরীর দিকে
    আহবান জানায় তাকে অস্বীকার করা।

  • #2
    jaj.barakallah allah apnaka aro bashi lekar tofiq dan koran.amin

    Comment


    • #3
      হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে তাগুতকে বর্জন করার তাওফিক দান করুন,আমিন।
      আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

      Comment


      • #4
        জাযাকুমুল্লাহ

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ। যুগোপযুগী খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। আমাদের সমাজের অনেক আলেমরাও ত্বাগুত চর্চায় লিপ্ত। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন

          Comment

          Working...
          X