যেসব কারণে আল-কায়দা টুইন টাওয়ার-পেন্টাগনে হামলা করলো।
লেখাটির লিংকটি অন্য একটা কাজকরতে গিয়ে হঠাৎ আমার সামনে পড়ে। একভাই তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেছিলেন। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে যেহেতু এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বিন্যাস্ত ভাবে পেশ করা হয়েছে। তাই লেখাটি অনেকদিন আগের হলেও এর প্রয়োজনীয়তা এখন আরো বেশী মনে হয়েছে। এই প্রজন্ম এই ঘটনার সত্য ইতিহাস যেন অন্তরে গেঁথে নিতে পারে সেই উদ্দ্যেশ্যেই এখানে পোষ্ট করা। আল্লাহ তায়ালা সকলকেই হকবুঝে আমল করার তৌফিক দিন আমীন!
মুল আলোচনায় যাওয়ার পুর্বে একটা বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন, যে লেখাটির শেষ পর্যন্ত পড়া পর্যন্ত নিজের মন মস্তিষ্ককে পশ্চিমা তাগুত মিডিয়ার প্রচারণা থেকে মুক্ত রাখবেন।
আসুন, এবার মুল আলোচনায় সু-স্বাগতম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দ্বিতীয় টার্মে শাসনকালে একবার ঘোষণা করলেন যে, 'আমেরিকা তার যোগ্যতা বলে এই পর্যায়ে এসে পৌছেছে যে সমগ্র পৃথিবীবাসীর উচিৎ আমেরিকার অনুসরণ করা; যাতে তারাও আমেরিকার মতো সফল হতে পারে।' বিল ক্লিনটন যখন এই কথা বলেছিলেন তখন আমেরিকার অবস্থা ছিলো যে তাদের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার পুর্ণ হওয়ার পরও প্রতিবছর জনপ্রতি প্রায় ৫০হাজার ডলার উদ্ধৃত থাকতো। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন খাদ্য সঙ্কটে ভোগতো তখন আমেরিকা তার অবশিষ্ট খাদ্যকে সমুদ্রে ফেলতো। ক্লিনটন যুগকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ হিসেবে ধরা হয়।
ঠিক এই মুহুর্তে ১৯৯৬সালে আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ. আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দস ফিরিয়ে দাও; আরব উপদ্বীপ থেকে ইয়াহুদী-খৃষ্টান মার্কিন সৈন্য হটিয়ে নাও; ইরাক থেকে অবরোধ উঠিয়ে নাও। কারণ তখন আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে ইরাকে প্রায় দশ লাখ শিশু খাদ্য-চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।
আমেরিকার কাছে শায়খ উসামার এই ইয়েমেনি হুংকার হাতির পিঠে মশা বসার মতোই মনে হলো। এদিকে উসামা বিন লাদেন শুরু করলেন আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ। নব্বই দশকে সোমালিয়া থেকে আল- কায়দার মুজাহিদরা মার্কিনিদের তাড়ানোর পর কেনিয়ার নাইরোবিতে অবস্থিত মার্কিন দুতাবাসে হামলা করেন। এরপরে এডেন সাগরে উপস্থিত মার্কিন রণতরীতে হামলা করেন। যেহেতু এসব হামলা আমেরিকার বাহিরে তাই এই সমস্ত হামলা সফল হবার পর শায়খ উসামা চিন্তা করেন আমেরিকার ভেতরে একটি ভয়ংকর হামলা পরিচালন করবেন। এটা এ কারণে যে যাতে করে মানুষের অন্তরে আমেরিকার প্রতি ভীতি দুর হয়ে যায়। মার্কিনিরা যে অপরাজেয় নয় তাও প্রমাণিত হয়ে যায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই গাযওয়াজে মেনহাটন রেইড তথা ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
আফগানিস্তানে শায়খ উসামার সার্বিক তত্ত্বাবধানে চার আরব ভাইদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের প্রধান লক্ষ্য ছিলো আমেরিকার তিনটি প্রধান কেন্দ্রে আঘাত হানা।
১- হোয়াইট হাউজে, কারণ বিশ্ব নির্যাতনের ছক এখানেই আকা হয়
২- পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক সদর দফতরে এবং
৩- আমেরিকার অর্থনৈতিক মেরুদন্ড টু ইন টাওয়ারে। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় মেনহাটন রেইড। নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন পুর্বে এইসব ভায়েরা আফগান থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে পুর্ব থেকেই প্রস্তুত আরো ১৩জন বিমান বিশেষজ্ঞ ভায়ের সাথে যুক্ত হন। এভাবে একত্রিত হলেন মোট ১৭জন ভাই। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় ১০টা বিমান ছিনতাই করবেন। পরে হামলার মুল পরিকল্পনাকারী খালিদ মোহাম্মাদ শেখের পরামর্শে কমিয়ে ৪টায় আনা হয়। নির্ধারিত তারিখে সকাল আটটায় হামলার সময় নির্ধারণ করা হয়। কারণ অন্য সময় হামলা হলে সাধারণ মানুষের বেশি ক্ষতির আশঙ্কা ছিলো।
আলহামদুলিল্লাহ ৪টা যাত্রী বিমান ছিনতাই করা হলো; একটি হোয়াইট হাউজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু মুল জায়গায় পৌছার পুর্বেই পথিমধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। অন্যটি রওনা হয় পেন্টাগনের উদ্দেশ্যে, যেহেতু পেন্টাগন সামরিক সদর অফিস ছিলো তাই হামলায় পেন্টাগনের কিছু ধ্বংস হয়। আর বাকী দুটো রওয়া হয় বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ১১০তলার টু ইন টাওয়ারের উদ্দেশ্যে। আল হামদুলিল্লাহ এটি পুরোপুরি সফল হয়। এভাবে সম্পন্ন হয় মেনহাটন রেইড অপারেশন। কিন্তু আমেরিকা মুজাহিদদেরকে বদনামী করার উদ্দেশ্যে শুধু টু ইন টাওয়ারে হামলার কথা বার বার জপে। বাকীগুলো ইচ্ছে করেই চেপে রাখতে চায়। কারণ টু ইন টাওয়ারের কথা বলে মানুষের যতটুকু মুজাহিদবিদ্বেষী করা যাবে; হোয়াইট হাউজ পেন্টাগনের কথা বলে ততটুকু করা যাবে না।
এখন প্রশ্ন হলো, এই হামলাটি কুরআন- সুন্নাহ ও মানবতার দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ হয়েছে? আসুন এর জবাব কুরআন-সুন্নাহ ও মানবাধিকারের আলোকেই খুজে বের করি।
•• কুরআন থেকে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ... সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা "তোমাদের উপর সীমালংঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালংঘন কর, যেমন সীমালংঘন তারা করেছে তোমাদের উপর"। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। (সুরা বাকারাহ - ১৯৪)
আর সুরা নাহলের ১২৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।' উক্ত দুটো আয়াতের মধ্যেই তাদের দ্বারা জুলুমের পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। (বিস্তারিত দেখতে তাফসীরে ইবনে কাসীর হাতে নিন) এবার চিন্তা করে বলুনতো ১৯৪৭ সাল ২০০১ সাল পর্যন্ত আমেরিকা ইসরাইলকে সাহায্য করে এবং ৯০দশকে ইরাক আক্রমণ পরে উক্ত দেশে পরে ২০০৩ পর্যন্ত অবরোধ করে যে পরিমাণ জুলুম ও সীমাসংঘন মুসলমানদের উপর করেছে, সে তুলনায় কি ৯/১১ এর বরকতময় হামলার সীমালংঘন বেশি হয়ে গেছে?
•• এবার সুন্নাহ থেকে-
২য় হিজরিতে মক্কার সর্দার আবু সুফিয়ান (তখন অমুসলিম ছিলেন) যখন সিরিয়া থেকে বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে মদীনা হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম সাহাবা রাজিআল্লাহু আনহুমদেরকে সাথে নিয়ে মক্কার ওই বণিক কাফেলা কেড়ে নেওয়ার জন্যে বের হয়ে হয়েছিলেন। কারণ মুসলমানরা তখন ভালোভাবেই জানতেন যে এই ব্যবসার লভ্যাংশ মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হবে, আর এগুলো হলো মুহাজির মুসলমানদের রেখে আসা সম্পদ। তাই এগুলো লুট করা প্রয়োজন। এরই জের ধরে পরে বদর যুদ্ধ হয়। এবার বলুন তো, ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টারের মাধ্যমে আমেরিকা যেসব অর্থ উপার্জন করে তা কি ইসলামি আন্দোলন ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় নি? আমেরিকা কেনো ইসরাইল ও দালাল মুরতাদ মুসলিমদেশের শাসকদেরকে অর্থ দেয়? আমেরিকার কি মুসলিম ভুমির খনিজদ্রব্য লুট করে নি?
•• খন্দকের যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবারা মদীনায় বিশ্রাম না নিয়ে আল্লাহর নির্দেশে সরাসরি ইয়াহুদি গোত্র বনী কুরাইজা অবরোধ করেন। পরে যখন ইয়াহুদিরা আত্মসমর্পণ করে তখন ইয়াহুদিদের প্রিয় ব্যক্তি বিশিষ্ট সাহাবী আহত সাদ বিন মুয়াজ রাজি.-এর সিদ্ধান্তে ইয়াহুদি পুরুষদেরকে জবাই করা হয় এবং তাদের স্ত্রী ও শিশুদেরকে বাদী বানানো হয়। পরে সাদ (রাঃ)-এর সিদ্ধান্ত আল্লাহর কাছে পছন্দ হয়েছে বলে ওহি আসে। দেখুন. এখানে পুরুষদের হত্যার ক্ষেত্রে এ কথা বলা হয় নি যে বেসামরিকদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে আর সামরিকদেরকে হত্যা করা হবে। তাহলে কেনো ৯/১১ এ সামরিক বেসামরিকের প্রশ্ন তোলায় হয়?
•• হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যে একটি শর্ত ছিলো যে যদি মক্কা থেকে কেউ যদি মুসলমান হয়ে মদীনায় আসে তাহলে তাকে মক্কাবাসীর হাওলায় দেওয়া হবে। সেই সুবাদে হযরত আবু জান্দাল ও আবু বসীর রাজি.কে মক্কার কাফিরদের হাতে অর্পণ করা হয়। কিন্তু উনারা মক্কা থেকে পালিয়ে সমুদ্রের উপকুলে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা ছোট খাট একটি গেরিলাবাহিনী তৈরি করেন। পরে এরা বিভিন্ন সময় মক্কার বনিক কাফেলায় হামলা শুরু করেন। তখনতো রাসুলুল্লাহ তাদেরকে নিষেধ করে বলেন নি যে তোমরা বেসামরিক কাফের উপর হামলা করিও না। তাহলে আজ যখন আমাদের ভায়েরা হারবি দেশের উপর হামলা চালান তখন কেনো ওরা এত নাক সিটকায়? (উপরের প্রতিটি ঘটনা সবার কাছে প্রসিদ্ধ. তাই সুত্র দিলাম না। তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে দেখুন বুখারী শরীফের কিতাবুল মাগাজি, নবীজীর সীরাত ও বেদায়া ওয়ান নেহায়াহ)
এবার মানবাধিকারের আলোকে
•• আমরা সবাই জানি বর্তমানে ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে আমাদের ভায়েরাও গাজা থেকে হাজার খানেক রকেট ছুড়েছেন। এতে কিন্তু ইসরাইলের অনেক নিরীহ লোক ও বেসামরিক স্থাপনারও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু এখানে কেউ গাজার রকেট ছোড়াকে অপরাধ হিসেবে দেখছে না। কারণ ইসরায়েল যে পরিমাণ ক্ষতি করছে এ তুলনায় গাজার জবাব কিচ্ছুই নয়। এবার তাহলে বলুন, আমেরিকা যে পরিমাণ ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি করেছে সে তুলনায় কি ৯/১১এর ক্ষতি তেমন কিছু?
আসুন এবার দেখি ৯/১১ এর হামলার পর আমাদের কী কী লাভ হয়েছে
যখন ৯/১১ হামলা হয় তখন রাজনীতি বোঝার মতো আমার বয়েস ছিল না। কিন্তু যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে এই ঘটনার পরক্ষণে বিশ্বের সমস্ত মুসলমান আনন্দিত হয়েছেন। কিন্তু যেহেতু মানুষ সর্বদা শক্তির পক্ষে তাই আমেরিকার আগ্রাসনে তারা ফিরে গেলেন সেই ভীরু পুর্বাস্থায় অবস্থায়। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা প্রথমে খুশি হয়েছেন তাই তাদের স্মরণে কুরআনের এই আয়াত পড়ছি- 'যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।' [সূরা তাওবাঃ ১৪]
৯/১১ এর পরে সমগ্র ইউরোপ- আমেরিকা ইসলাম নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত হয়। যার ফলে শুধু আমেরিকায়ই ৪৭ হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করে। ইউরোপ-আমেরিকার কোথাও কোনো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র এক সাথে এত লোক ইসলাম গ্রহণ করে নি। এটা কি ৯/১১এর বরকতের নিদর্শন নয় ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার মাধ্যমে হিটলারের পরাজয়ের কারণে আমেরিকা বিশ্বশান্তির ধ্বজাধারী(?) হয়ে যায়। আর ৮০ দশকে আফগানে জিহাদ আমেরিকার রহস্যজনক ভুমিকার কারণে আমেরিকাকে অনেক মুসলিম বন্ধু ভাবা শুরু করে। কিন্তু ৯/১১এর পর আজ আমেরিকা বিশ্বের সবার ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।
ক্লিনটনের আমলে যে আমেরিকা ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র; আজ সে আমেরিকার অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। ঋণে জর্জরিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পয়সার অভাবে এশিয়া সফর পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। *৯/১১ এর পুর্ব পর্যন্ত আমেরিকার নাম শুনলে সবার অন্তর কেপে উঠত। কিন্তু আজ কি কেউ আমেরিকাকে আগের মতো ভয় পায়? এটা কি আমাদের ওই মাত্র ১৭জন ভায়ের কুরবানীর ফলাফল নয়? আমরা তাদেরকে শহীদই মনে করি। আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দিন।
এখন হয় তো পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেছেন; তাই এ মুহুর্তে আমার এমন কথার রেফারেন্স চাচ্ছেন, এইতো? তাহলে শুনুন, ২০০৬সালে আল কায়দার অফিসিয়াল মিডিয়া আস সাহাব. মেনহাটন রেইড নামে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বের করে। যার মধ্যে উক্ত হামলার আলোচনা প্রমাণসহ উপস্থিত করা হয়। আল হামদুলিল্লাহ এই ফিল্মের আরবি ও উর্দু আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। এই লিঙ্ক ঘুরে আসুন। তা ছাড়া আলকায়দার বর্তমান আমীর আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি দা. বা. শায়খ উসামার জীবনী সম্বলিত একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। যার নাম হচ্ছে 'আইয়ামি মাআল ইমাম' (ইমামের সাথে আমার দিনগুলো); ভিডিওটির ২য় পর্বে তিনি এই হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। এটা দেখতে এই লিঙ্ক গুলো থেকে ভিডিও নামান - হাই, মিডিয়াম, মোবাইল কোয়ালিটি।
লেখাটির লিংকটি অন্য একটা কাজকরতে গিয়ে হঠাৎ আমার সামনে পড়ে। একভাই তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেছিলেন। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে যেহেতু এখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বিন্যাস্ত ভাবে পেশ করা হয়েছে। তাই লেখাটি অনেকদিন আগের হলেও এর প্রয়োজনীয়তা এখন আরো বেশী মনে হয়েছে। এই প্রজন্ম এই ঘটনার সত্য ইতিহাস যেন অন্তরে গেঁথে নিতে পারে সেই উদ্দ্যেশ্যেই এখানে পোষ্ট করা। আল্লাহ তায়ালা সকলকেই হকবুঝে আমল করার তৌফিক দিন আমীন!
মুল আলোচনায় যাওয়ার পুর্বে একটা বিষয় পরিষ্কার করা প্রয়োজন, যে লেখাটির শেষ পর্যন্ত পড়া পর্যন্ত নিজের মন মস্তিষ্ককে পশ্চিমা তাগুত মিডিয়ার প্রচারণা থেকে মুক্ত রাখবেন।
আসুন, এবার মুল আলোচনায় সু-স্বাগতম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দ্বিতীয় টার্মে শাসনকালে একবার ঘোষণা করলেন যে, 'আমেরিকা তার যোগ্যতা বলে এই পর্যায়ে এসে পৌছেছে যে সমগ্র পৃথিবীবাসীর উচিৎ আমেরিকার অনুসরণ করা; যাতে তারাও আমেরিকার মতো সফল হতে পারে।' বিল ক্লিনটন যখন এই কথা বলেছিলেন তখন আমেরিকার অবস্থা ছিলো যে তাদের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার পুর্ণ হওয়ার পরও প্রতিবছর জনপ্রতি প্রায় ৫০হাজার ডলার উদ্ধৃত থাকতো। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন খাদ্য সঙ্কটে ভোগতো তখন আমেরিকা তার অবশিষ্ট খাদ্যকে সমুদ্রে ফেলতো। ক্লিনটন যুগকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ হিসেবে ধরা হয়।
ঠিক এই মুহুর্তে ১৯৯৬সালে আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ উসামা বিন লাদেন রাহ. আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দস ফিরিয়ে দাও; আরব উপদ্বীপ থেকে ইয়াহুদী-খৃষ্টান মার্কিন সৈন্য হটিয়ে নাও; ইরাক থেকে অবরোধ উঠিয়ে নাও। কারণ তখন আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে ইরাকে প্রায় দশ লাখ শিশু খাদ্য-চিকিৎসার অভাবে মারা যায়।
আমেরিকার কাছে শায়খ উসামার এই ইয়েমেনি হুংকার হাতির পিঠে মশা বসার মতোই মনে হলো। এদিকে উসামা বিন লাদেন শুরু করলেন আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ। নব্বই দশকে সোমালিয়া থেকে আল- কায়দার মুজাহিদরা মার্কিনিদের তাড়ানোর পর কেনিয়ার নাইরোবিতে অবস্থিত মার্কিন দুতাবাসে হামলা করেন। এরপরে এডেন সাগরে উপস্থিত মার্কিন রণতরীতে হামলা করেন। যেহেতু এসব হামলা আমেরিকার বাহিরে তাই এই সমস্ত হামলা সফল হবার পর শায়খ উসামা চিন্তা করেন আমেরিকার ভেতরে একটি ভয়ংকর হামলা পরিচালন করবেন। এটা এ কারণে যে যাতে করে মানুষের অন্তরে আমেরিকার প্রতি ভীতি দুর হয়ে যায়। মার্কিনিরা যে অপরাজেয় নয় তাও প্রমাণিত হয়ে যায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই গাযওয়াজে মেনহাটন রেইড তথা ৯/১১ এর হামলার পরিকল্পনা করা হয়।
আফগানিস্তানে শায়খ উসামার সার্বিক তত্ত্বাবধানে চার আরব ভাইদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের প্রধান লক্ষ্য ছিলো আমেরিকার তিনটি প্রধান কেন্দ্রে আঘাত হানা।
১- হোয়াইট হাউজে, কারণ বিশ্ব নির্যাতনের ছক এখানেই আকা হয়
২- পেন্টাগনে আমেরিকার সামরিক সদর দফতরে এবং
৩- আমেরিকার অর্থনৈতিক মেরুদন্ড টু ইন টাওয়ারে। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় মেনহাটন রেইড। নির্ধারিত তারিখের কয়েকদিন পুর্বে এইসব ভায়েরা আফগান থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে পুর্ব থেকেই প্রস্তুত আরো ১৩জন বিমান বিশেষজ্ঞ ভায়ের সাথে যুক্ত হন। এভাবে একত্রিত হলেন মোট ১৭জন ভাই। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় ১০টা বিমান ছিনতাই করবেন। পরে হামলার মুল পরিকল্পনাকারী খালিদ মোহাম্মাদ শেখের পরামর্শে কমিয়ে ৪টায় আনা হয়। নির্ধারিত তারিখে সকাল আটটায় হামলার সময় নির্ধারণ করা হয়। কারণ অন্য সময় হামলা হলে সাধারণ মানুষের বেশি ক্ষতির আশঙ্কা ছিলো।
আলহামদুলিল্লাহ ৪টা যাত্রী বিমান ছিনতাই করা হলো; একটি হোয়াইট হাউজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু মুল জায়গায় পৌছার পুর্বেই পথিমধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়। অন্যটি রওনা হয় পেন্টাগনের উদ্দেশ্যে, যেহেতু পেন্টাগন সামরিক সদর অফিস ছিলো তাই হামলায় পেন্টাগনের কিছু ধ্বংস হয়। আর বাকী দুটো রওয়া হয় বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ১১০তলার টু ইন টাওয়ারের উদ্দেশ্যে। আল হামদুলিল্লাহ এটি পুরোপুরি সফল হয়। এভাবে সম্পন্ন হয় মেনহাটন রেইড অপারেশন। কিন্তু আমেরিকা মুজাহিদদেরকে বদনামী করার উদ্দেশ্যে শুধু টু ইন টাওয়ারে হামলার কথা বার বার জপে। বাকীগুলো ইচ্ছে করেই চেপে রাখতে চায়। কারণ টু ইন টাওয়ারের কথা বলে মানুষের যতটুকু মুজাহিদবিদ্বেষী করা যাবে; হোয়াইট হাউজ পেন্টাগনের কথা বলে ততটুকু করা যাবে না।
এখন প্রশ্ন হলো, এই হামলাটি কুরআন- সুন্নাহ ও মানবতার দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ হয়েছে? আসুন এর জবাব কুরআন-সুন্নাহ ও মানবাধিকারের আলোকেই খুজে বের করি।
•• কুরআন থেকে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ... সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা "তোমাদের উপর সীমালংঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালংঘন কর, যেমন সীমালংঘন তারা করেছে তোমাদের উপর"। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। (সুরা বাকারাহ - ১৯৪)
আর সুরা নাহলের ১২৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।' উক্ত দুটো আয়াতের মধ্যেই তাদের দ্বারা জুলুমের পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। (বিস্তারিত দেখতে তাফসীরে ইবনে কাসীর হাতে নিন) এবার চিন্তা করে বলুনতো ১৯৪৭ সাল ২০০১ সাল পর্যন্ত আমেরিকা ইসরাইলকে সাহায্য করে এবং ৯০দশকে ইরাক আক্রমণ পরে উক্ত দেশে পরে ২০০৩ পর্যন্ত অবরোধ করে যে পরিমাণ জুলুম ও সীমাসংঘন মুসলমানদের উপর করেছে, সে তুলনায় কি ৯/১১ এর বরকতময় হামলার সীমালংঘন বেশি হয়ে গেছে?
•• এবার সুন্নাহ থেকে-
২য় হিজরিতে মক্কার সর্দার আবু সুফিয়ান (তখন অমুসলিম ছিলেন) যখন সিরিয়া থেকে বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে মদীনা হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম সাহাবা রাজিআল্লাহু আনহুমদেরকে সাথে নিয়ে মক্কার ওই বণিক কাফেলা কেড়ে নেওয়ার জন্যে বের হয়ে হয়েছিলেন। কারণ মুসলমানরা তখন ভালোভাবেই জানতেন যে এই ব্যবসার লভ্যাংশ মুসলমানদের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হবে, আর এগুলো হলো মুহাজির মুসলমানদের রেখে আসা সম্পদ। তাই এগুলো লুট করা প্রয়োজন। এরই জের ধরে পরে বদর যুদ্ধ হয়। এবার বলুন তো, ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টারের মাধ্যমে আমেরিকা যেসব অর্থ উপার্জন করে তা কি ইসলামি আন্দোলন ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয় নি? আমেরিকা কেনো ইসরাইল ও দালাল মুরতাদ মুসলিমদেশের শাসকদেরকে অর্থ দেয়? আমেরিকার কি মুসলিম ভুমির খনিজদ্রব্য লুট করে নি?
•• খন্দকের যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবারা মদীনায় বিশ্রাম না নিয়ে আল্লাহর নির্দেশে সরাসরি ইয়াহুদি গোত্র বনী কুরাইজা অবরোধ করেন। পরে যখন ইয়াহুদিরা আত্মসমর্পণ করে তখন ইয়াহুদিদের প্রিয় ব্যক্তি বিশিষ্ট সাহাবী আহত সাদ বিন মুয়াজ রাজি.-এর সিদ্ধান্তে ইয়াহুদি পুরুষদেরকে জবাই করা হয় এবং তাদের স্ত্রী ও শিশুদেরকে বাদী বানানো হয়। পরে সাদ (রাঃ)-এর সিদ্ধান্ত আল্লাহর কাছে পছন্দ হয়েছে বলে ওহি আসে। দেখুন. এখানে পুরুষদের হত্যার ক্ষেত্রে এ কথা বলা হয় নি যে বেসামরিকদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে আর সামরিকদেরকে হত্যা করা হবে। তাহলে কেনো ৯/১১ এ সামরিক বেসামরিকের প্রশ্ন তোলায় হয়?
•• হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যে একটি শর্ত ছিলো যে যদি মক্কা থেকে কেউ যদি মুসলমান হয়ে মদীনায় আসে তাহলে তাকে মক্কাবাসীর হাওলায় দেওয়া হবে। সেই সুবাদে হযরত আবু জান্দাল ও আবু বসীর রাজি.কে মক্কার কাফিরদের হাতে অর্পণ করা হয়। কিন্তু উনারা মক্কা থেকে পালিয়ে সমুদ্রের উপকুলে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে তারা ছোট খাট একটি গেরিলাবাহিনী তৈরি করেন। পরে এরা বিভিন্ন সময় মক্কার বনিক কাফেলায় হামলা শুরু করেন। তখনতো রাসুলুল্লাহ তাদেরকে নিষেধ করে বলেন নি যে তোমরা বেসামরিক কাফের উপর হামলা করিও না। তাহলে আজ যখন আমাদের ভায়েরা হারবি দেশের উপর হামলা চালান তখন কেনো ওরা এত নাক সিটকায়? (উপরের প্রতিটি ঘটনা সবার কাছে প্রসিদ্ধ. তাই সুত্র দিলাম না। তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে দেখুন বুখারী শরীফের কিতাবুল মাগাজি, নবীজীর সীরাত ও বেদায়া ওয়ান নেহায়াহ)
এবার মানবাধিকারের আলোকে
•• আমরা সবাই জানি বর্তমানে ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে। এর জবাবে আমাদের ভায়েরাও গাজা থেকে হাজার খানেক রকেট ছুড়েছেন। এতে কিন্তু ইসরাইলের অনেক নিরীহ লোক ও বেসামরিক স্থাপনারও ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু এখানে কেউ গাজার রকেট ছোড়াকে অপরাধ হিসেবে দেখছে না। কারণ ইসরায়েল যে পরিমাণ ক্ষতি করছে এ তুলনায় গাজার জবাব কিচ্ছুই নয়। এবার তাহলে বলুন, আমেরিকা যে পরিমাণ ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি করেছে সে তুলনায় কি ৯/১১এর ক্ষতি তেমন কিছু?
আসুন এবার দেখি ৯/১১ এর হামলার পর আমাদের কী কী লাভ হয়েছে
যখন ৯/১১ হামলা হয় তখন রাজনীতি বোঝার মতো আমার বয়েস ছিল না। কিন্তু যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে এই ঘটনার পরক্ষণে বিশ্বের সমস্ত মুসলমান আনন্দিত হয়েছেন। কিন্তু যেহেতু মানুষ সর্বদা শক্তির পক্ষে তাই আমেরিকার আগ্রাসনে তারা ফিরে গেলেন সেই ভীরু পুর্বাস্থায় অবস্থায়। কিন্তু যেহেতু মুসলমানরা প্রথমে খুশি হয়েছেন তাই তাদের স্মরণে কুরআনের এই আয়াত পড়ছি- 'যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।' [সূরা তাওবাঃ ১৪]
৯/১১ এর পরে সমগ্র ইউরোপ- আমেরিকা ইসলাম নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত হয়। যার ফলে শুধু আমেরিকায়ই ৪৭ হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করে। ইউরোপ-আমেরিকার কোথাও কোনো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র এক সাথে এত লোক ইসলাম গ্রহণ করে নি। এটা কি ৯/১১এর বরকতের নিদর্শন নয় ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার মাধ্যমে হিটলারের পরাজয়ের কারণে আমেরিকা বিশ্বশান্তির ধ্বজাধারী(?) হয়ে যায়। আর ৮০ দশকে আফগানে জিহাদ আমেরিকার রহস্যজনক ভুমিকার কারণে আমেরিকাকে অনেক মুসলিম বন্ধু ভাবা শুরু করে। কিন্তু ৯/১১এর পর আজ আমেরিকা বিশ্বের সবার ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।
ক্লিনটনের আমলে যে আমেরিকা ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র; আজ সে আমেরিকার অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে গেছে। ঋণে জর্জরিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পয়সার অভাবে এশিয়া সফর পর্যন্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। *৯/১১ এর পুর্ব পর্যন্ত আমেরিকার নাম শুনলে সবার অন্তর কেপে উঠত। কিন্তু আজ কি কেউ আমেরিকাকে আগের মতো ভয় পায়? এটা কি আমাদের ওই মাত্র ১৭জন ভায়ের কুরবানীর ফলাফল নয়? আমরা তাদেরকে শহীদই মনে করি। আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দিন।
এখন হয় তো পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেছেন; তাই এ মুহুর্তে আমার এমন কথার রেফারেন্স চাচ্ছেন, এইতো? তাহলে শুনুন, ২০০৬সালে আল কায়দার অফিসিয়াল মিডিয়া আস সাহাব. মেনহাটন রেইড নামে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বের করে। যার মধ্যে উক্ত হামলার আলোচনা প্রমাণসহ উপস্থিত করা হয়। আল হামদুলিল্লাহ এই ফিল্মের আরবি ও উর্দু আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। এই লিঙ্ক ঘুরে আসুন। তা ছাড়া আলকায়দার বর্তমান আমীর আমীরুল মুজাহিদীন শায়খ আইমান আজ জাওয়াহিরি দা. বা. শায়খ উসামার জীবনী সম্বলিত একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। যার নাম হচ্ছে 'আইয়ামি মাআল ইমাম' (ইমামের সাথে আমার দিনগুলো); ভিডিওটির ২য় পর্বে তিনি এই হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। এটা দেখতে এই লিঙ্ক গুলো থেকে ভিডিও নামান - হাই, মিডিয়াম, মোবাইল কোয়ালিটি।
Comment