আমীরের জন্যে যারা অপেক্ষমান!!!
আজকের সমাজের উপর প্রবাহিত বাতাসে জিহাদ বিরোধী যেসব খর-কোটা উড়তে দেখা যায় তার একটি হলো,
জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত।
অনেক ভাই ই আছেন যারা মনে করেন জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত,আমীর ছাড়া জিহাদ হবেনা।
এমনকি লেবাসধারী কিছু আলেমের মুখ থেকেও শোনা যায়,
জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত,
যেহেতু আমীর নেই তাই জিহাদও নেই,
কিংবা তাদেরকে যখন জিহাদের কথা বলাহয় তখন বলে, আগে আমীরের ব্যাবস্থা হোক পরে জিহাদে যাবো,
আমীর ছাড়া তো জিহাদ নেই।
এমন ধারনা পোষনকারী ও ওজর পেশকারী ভাইদের সমিপেই আমার এ পোষ্ট।
প্রিয় ভাই!
আপনার জিহাদ বিরোধী এ কথাটি সুন্নাহ ও বাস্তবতারও বিরোধী।
বিশ্বাস নাহয় আসুন
সুন্নাহ ও বাস্তবতার নিরিখে আপনার কথাটিকে যাচাই করি,
চলুন তাহলে.....
আমরা শরিয়ত এবং বাস্তবতায় দুই ধরনের আমীর দেখতে পাই যথা,
১/ আমীর অর্থাৎ খলিফাতুল মুসলিমীন।
যিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধি হয়ে থাকেন।
যেমন, হযরত মুহাম্মাদ সাঃ ও তাঁর পরবর্তি চার খলিফা।
যে আমীরকে আমরা খলিফাও বলি।
২/ আমীর, কোন দেশ, গুষ্ঠি বা দলের আমীর।
যেমন,দাওয়াতে তাবলীগের আমী,রাজনৈতিক দলের আমীর বা যেকোন দলের আমীর।
যাকে আমরা নেতাও বলে থাকি।
এখন প্রশ্ন হলো,
আপনি জিহাদের জন্যে যে আমীরের শর্তারোপ করেন,
সেই আমীর কোন প্রকারের??
যদি বলেন ১ম প্রকারের আমীর (খলিফাতুল মুসলিমীন)
তাহলে তো আপনার দাবী রাসুল সাঃ এর হাদীসের বিরোধ হয়ে যায়,
কেননা মিশকাতুল মাসাবীহতে আবুদাউদ এর সুত্রে বর্নিত হয়েছে যে,
হযরত হুযাইফা রাঃ আল্লাহর রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল সাঃ এই কল্যাণের (ইসলাম কায়েমের বা খেলাফতের) পর কি কোন অকল্যাণ আসবে??
তিনি বললেন হ্যা।
হুযাইফা রাঃ বললেন,তা হতে উত্তরনের উপায়কি??
তিনি বললেন,তরবারী।
মিশকাত,পৃঃ৪৬৩।
উল্যেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, পুর্নাঙ্গ ইসলাম বা খেলাফত না থাকাবস্থায়, তলোয়ার এর মাধ্যমে খেলাফত ফিরে আসবে।
সুতরাং বুঝা গেল, খেলাফতের খলিফা
না থাকাবস্থায়ও জিহাদ চলবে।বরং জিহাদের মাধ্যমেই খিলাফাহ ফিরে আসবে।
অন্য এক হাদীসে রাসুল সাঃ বলেছেন,
খিলাফত ৩০বছর থাকবে, এরপর রাজতন্ত্র চলে আসবে। তিরমিযী।
অন্যত্র বর্নিত হয়েছে, এর পর রাজতন্ত্র এর পর সৈরতন্ত্র, এরপর আবার খিলাফত আলা মিনহাজিন নাবুওয়্যাহ হবে।
মোটকথা ৩০বছর পর এমন সময় আসবে যখন খিলাফত থাকবে না।আর খেলাফত না থাকলে তো খলিফা থাকার প্রশ্নই আসেনা।
সুতরাং বুঝা গেল খেলাফতের পর এমন সময় আসবে যখন কোন খলিফা বা আমীর থাকবে না।
অথচ আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন,
আমার উম্মতের একটি দল হকের উপর কিতাল করতে থাকবে, যারা কিয়ামত পর্যন্ত বিজয়ী থাকবে। আবুদাউদ।
অন্যত্র বলেছেন,
যতক্ষন পর্যন্ত আমার সর্বশেষ উম্মত দাজ্জালকে হত্যা না করবে,
ততক্ষন পর্যন্ত জিহাদ চলবে,কোন ন্যায় বিচারকের ন্যায় বিচার বা কোন অত্যাচারীর অত্যাচার তাকে বন্ধ করতে পারবে না। আবুদাউদ।
অন্যত্র বলেছেন,
জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
উল্যেখিত হাদীস সমুহ দ্বারা বুঝা যায় রাসুল সাঃ এর হাদীসে বর্নিত খিলাফাত না থাকার সময়েও জিহাদ থাকবে।
সুতরাং একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, আমীর
(খলিফাতুল মুসলিমীন) না থাকাবস্থায়ও জিহাদ চলবে।।
সুতরাং আপনার ১ম প্রকার আমীরের ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া উত্তর আমরা মানতে পারলাম না।
হে আমার ভাই!
আপনি যদি বলেন,
আমীর দ্বারা ২য় প্রকারের আমীর উদেশ্য।
তাহলে আলহামদু লিল্লাহ!
এমন আমীর জিহাদের ময়দানে অভাব নেই, যারা শরিয়াহ সম্পর্কে পুর্ন জ্ঞান রাখেন।
এবং শরয়ী ভাবে মুজাহিদীনদের পরিচালিত করছেন।
সুতরাং বুঝা গেল জিহাদ ফরজ হওয়ার জন্যে আমীর শর্ত নয়।
আর যে আমীরের শর্ত করা হয়, এমন আমীরের অভাব নেই।
তাই জিহাদ ফরজ হওয়ার যেসব শর্ত রয়েছে যেমন,
মুসলিমদের কোন ভূমি কুফফার কর্তৃক বেদখল হওয়া,
কোন মুসলিম ভূমিতে কুফরের আগ্রাসন চললে,
কোন মুসলিমকে বন্দি করলে ইত্যাদি শর্ত সমুহ।সেগুলোর কোন একটি বাস্তবায়িত হলেও আমাদের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে যাবে।
হে ভাই আমার!
সর্বদ্রষ্টা মহান আল্লাহকে হাজির-নাজির বিশ্বাস করে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, ইসলাম ও মুসলিমদের বর্তমান সময়কার মত সঙ্গীন মুহুর্তে আপনার উপর জিহাদ ফরজ হয়েছে কিনা??
এখনো জিহাদে বের হওয়ার সময় হয়েছে কিনা??
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
আজকের সমাজের উপর প্রবাহিত বাতাসে জিহাদ বিরোধী যেসব খর-কোটা উড়তে দেখা যায় তার একটি হলো,
জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত।
অনেক ভাই ই আছেন যারা মনে করেন জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত,আমীর ছাড়া জিহাদ হবেনা।
এমনকি লেবাসধারী কিছু আলেমের মুখ থেকেও শোনা যায়,
জিহাদের জন্যে আমীর শর্ত,
যেহেতু আমীর নেই তাই জিহাদও নেই,
কিংবা তাদেরকে যখন জিহাদের কথা বলাহয় তখন বলে, আগে আমীরের ব্যাবস্থা হোক পরে জিহাদে যাবো,
আমীর ছাড়া তো জিহাদ নেই।
এমন ধারনা পোষনকারী ও ওজর পেশকারী ভাইদের সমিপেই আমার এ পোষ্ট।
প্রিয় ভাই!
আপনার জিহাদ বিরোধী এ কথাটি সুন্নাহ ও বাস্তবতারও বিরোধী।
বিশ্বাস নাহয় আসুন
সুন্নাহ ও বাস্তবতার নিরিখে আপনার কথাটিকে যাচাই করি,
চলুন তাহলে.....
আমরা শরিয়ত এবং বাস্তবতায় দুই ধরনের আমীর দেখতে পাই যথা,
১/ আমীর অর্থাৎ খলিফাতুল মুসলিমীন।
যিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধি হয়ে থাকেন।
যেমন, হযরত মুহাম্মাদ সাঃ ও তাঁর পরবর্তি চার খলিফা।
যে আমীরকে আমরা খলিফাও বলি।
২/ আমীর, কোন দেশ, গুষ্ঠি বা দলের আমীর।
যেমন,দাওয়াতে তাবলীগের আমী,রাজনৈতিক দলের আমীর বা যেকোন দলের আমীর।
যাকে আমরা নেতাও বলে থাকি।
এখন প্রশ্ন হলো,
আপনি জিহাদের জন্যে যে আমীরের শর্তারোপ করেন,
সেই আমীর কোন প্রকারের??
যদি বলেন ১ম প্রকারের আমীর (খলিফাতুল মুসলিমীন)
তাহলে তো আপনার দাবী রাসুল সাঃ এর হাদীসের বিরোধ হয়ে যায়,
কেননা মিশকাতুল মাসাবীহতে আবুদাউদ এর সুত্রে বর্নিত হয়েছে যে,
হযরত হুযাইফা রাঃ আল্লাহর রাসুল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন হে আল্লাহর রাসুল সাঃ এই কল্যাণের (ইসলাম কায়েমের বা খেলাফতের) পর কি কোন অকল্যাণ আসবে??
তিনি বললেন হ্যা।
হুযাইফা রাঃ বললেন,তা হতে উত্তরনের উপায়কি??
তিনি বললেন,তরবারী।
মিশকাত,পৃঃ৪৬৩।
উল্যেখিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, পুর্নাঙ্গ ইসলাম বা খেলাফত না থাকাবস্থায়, তলোয়ার এর মাধ্যমে খেলাফত ফিরে আসবে।
সুতরাং বুঝা গেল, খেলাফতের খলিফা
না থাকাবস্থায়ও জিহাদ চলবে।বরং জিহাদের মাধ্যমেই খিলাফাহ ফিরে আসবে।
অন্য এক হাদীসে রাসুল সাঃ বলেছেন,
খিলাফত ৩০বছর থাকবে, এরপর রাজতন্ত্র চলে আসবে। তিরমিযী।
অন্যত্র বর্নিত হয়েছে, এর পর রাজতন্ত্র এর পর সৈরতন্ত্র, এরপর আবার খিলাফত আলা মিনহাজিন নাবুওয়্যাহ হবে।
মোটকথা ৩০বছর পর এমন সময় আসবে যখন খিলাফত থাকবে না।আর খেলাফত না থাকলে তো খলিফা থাকার প্রশ্নই আসেনা।
সুতরাং বুঝা গেল খেলাফতের পর এমন সময় আসবে যখন কোন খলিফা বা আমীর থাকবে না।
অথচ আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন,
আমার উম্মতের একটি দল হকের উপর কিতাল করতে থাকবে, যারা কিয়ামত পর্যন্ত বিজয়ী থাকবে। আবুদাউদ।
অন্যত্র বলেছেন,
যতক্ষন পর্যন্ত আমার সর্বশেষ উম্মত দাজ্জালকে হত্যা না করবে,
ততক্ষন পর্যন্ত জিহাদ চলবে,কোন ন্যায় বিচারকের ন্যায় বিচার বা কোন অত্যাচারীর অত্যাচার তাকে বন্ধ করতে পারবে না। আবুদাউদ।
অন্যত্র বলেছেন,
জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
উল্যেখিত হাদীস সমুহ দ্বারা বুঝা যায় রাসুল সাঃ এর হাদীসে বর্নিত খিলাফাত না থাকার সময়েও জিহাদ থাকবে।
সুতরাং একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, আমীর
(খলিফাতুল মুসলিমীন) না থাকাবস্থায়ও জিহাদ চলবে।।
সুতরাং আপনার ১ম প্রকার আমীরের ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া উত্তর আমরা মানতে পারলাম না।
হে আমার ভাই!
আপনি যদি বলেন,
আমীর দ্বারা ২য় প্রকারের আমীর উদেশ্য।
তাহলে আলহামদু লিল্লাহ!
এমন আমীর জিহাদের ময়দানে অভাব নেই, যারা শরিয়াহ সম্পর্কে পুর্ন জ্ঞান রাখেন।
এবং শরয়ী ভাবে মুজাহিদীনদের পরিচালিত করছেন।
সুতরাং বুঝা গেল জিহাদ ফরজ হওয়ার জন্যে আমীর শর্ত নয়।
আর যে আমীরের শর্ত করা হয়, এমন আমীরের অভাব নেই।
তাই জিহাদ ফরজ হওয়ার যেসব শর্ত রয়েছে যেমন,
মুসলিমদের কোন ভূমি কুফফার কর্তৃক বেদখল হওয়া,
কোন মুসলিম ভূমিতে কুফরের আগ্রাসন চললে,
কোন মুসলিমকে বন্দি করলে ইত্যাদি শর্ত সমুহ।সেগুলোর কোন একটি বাস্তবায়িত হলেও আমাদের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে যাবে।
হে ভাই আমার!
সর্বদ্রষ্টা মহান আল্লাহকে হাজির-নাজির বিশ্বাস করে নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, ইসলাম ও মুসলিমদের বর্তমান সময়কার মত সঙ্গীন মুহুর্তে আপনার উপর জিহাদ ফরজ হয়েছে কিনা??
এখনো জিহাদে বের হওয়ার সময় হয়েছে কিনা??
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
Comment