Announcement

Collapse
No announcement yet.

শহীদী অভিযানের ব্যাপারে ইসলামের নীতি..

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শহীদী অভিযানের ব্যাপারে ইসলামের নীতি..

    কুরআন, সুন্নাহ এবং হক্কানী আলেম-ওলামাদের অনেক বক্তব্য থেকে শহীদী অভিযানের সমর্থন পাওয়া যায়
    আল্লাহ বলেনঃ “আর মানুষের মধ্যে এমন আছে যে নিজেকে বিক্রয় করে দেয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির খোঁজে, আর আল্লাহ নিশ্চয়ই নিজের বান্দাদের ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপে অনুগ্রহশীল ।” [২:২০৭]
    এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাসীর বলেনঃ “সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত যে এই আয়াতটি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী প্রতিটি মুজাহিদের ব্যাপারে নাজিল হয়েছে … আর যখন হিশাম ইবনু ‘আমির শত্রুদলের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়লেন, কিছু লোক এ ব্যাপারে আপত্তি করল । তখন উমার বিন খাত্তাব এবং আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) এই আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন ।” [তাফসীর ইবনে কাসীর ১/২১৬]
    হিশাম ইবনু ‘আমির যখন শত্রুপক্ষের মধ্যে ঝাপ দিয়েছিলেন তখন এর ফলাফল সম্পর্কে পুরোপুরিই জানতেন যে প্রায় নিশ্চিতভাবেই তিনি নিহত হবেন, ঠিক যেমনটা শহীদী অভিযানে হয়ে থাকে । দেখা যাচ্ছে, উমার ইবনু খাত্তাব এবং আবূ হুরায়রাহ কাজটি সমর্থন করেছিলেন ।
    ইমাম মুসলিম তার সহীহ সনদে আবূ বাক্র বিন মূসা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ “আমি আবূ হুরায়রাহ্কে শত্রুর উপস্থিতিতে বলতে শুনেছি, “আল্লাহর রসূল (সঃ) বলেছেন, “জান্নাতের দরজা তরবারির ছায়াতলে !” তখন একজন শক্ত সমর্থ লোক উঠে দাঁড়াল এবং বলল, “হে আবূ মূসা ! আপনি আল্লাহর রসূল (সঃ)-কে এই কথা বলতে শুনেছেন ?” তিনি বললেন, “হ্যাঁ !” তখন লোকটি নিজের সাথীদের কাছে ফিরে গিয়ে বলল, “তোমাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে সালাম ।” তারপর নিজের তরবারির খাপটি ভেঙ্গে ফেলল এবং শত্রুর দিকে খোলা তরবারি নিয়ে এগিয়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকল ।”
    বদরের যুদ্ধ সম্পর্কে ইমাম মুসলিমের একটি সহীহ হাদীস আছে, আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ “মুশরিকরা (এখন আমাদের দিকে) এগিয়ে আসল, আর রসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “উঠ এবং জান্নাতে প্রবেশ কর, যার প্রস্থ আসমান ও জমিনের সমান ।” উমাইর বিন আল-হুমাম আল-আনসারী (রাঃ) বললেনঃ হে রসূলুল্লাহ (সঃ) ! জান্নাত কি আসমান ও জমিনের সমান ?” তিনি বললেনঃ “হ্যাঁ” । উমাইর বললেনঃ “ভাল, ভাল !” রসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ ” কিসে তোমাকে এই শব্দগুলো উচ্চারণ করতে উদ্বুদ্ধ করল ? (অর্থাৎ “ভাল, ভাল !”)” তিনি (উমাইর) বললেন, “হে রসূলুল্লাহ (সঃ) ! অন্য কিছু নয় বরং এই ইচ্ছা যে, আমি যেন তার (জান্নাতের) অধিবাসীদের একজন হতে পারি ।” তিনি (রসূলুল্লাহ (সঃ)) বললেনঃ “তুমি (নিশ্চয়ই) তাদের একজন ।” এরপর উমাইর (রাঃ) নিজের থলি হতে কিছু খেজুর বের করে খেতে লাগলেন । এরপর বললেন, “যদি এই সবগুলি খেজুর খাওয়া পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকি তবে তা হবে একটি দীর্ঘ জীবন ।” (বর্ণনাকারী বলেন): “সে তার সাথে যত খেজুর ছিল সব ফেলে দিল এবং শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতে করতে নিহত হয়ে গেল ।”
    উপরের দুটো বর্ণনাতেই, যে সাহাবারা আক্রমন পরিচালনা করেছেন, তারা প্রায় নিশ্চিতভাবেই জানতেন যে, অভিযানে তারা নিহত হবেন, কিন্তু তারা এরপরও আক্রমন পরিচালনা করেন এবং তাদের এই কাজগুলো শরীয়তে প্রশংসিত হয়েছে ।
    মুসতাদরাকে হাকিমে বর্ণিত হয়েছে, এক লোক রসূলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে আসলেন এবং বললেনঃ “আপনি কি বলেন, যদি আমি নিজেকে মুশরিকদের মধ্যে নিক্ষেপ করি এবং মৃত্যু পর্যন্ত তাদের সাথে লড়তে থাকি ? আমি কি জান্নাতে যাব ?” তিনি (রসূলুল্লাহ (সঃ) ) বললেনঃ “হ্যাঁ ।” অতঃপর লোকটি নিজেকে মুশরিকদের মধ্যে নিক্ষেপ করল এবং এবং লড়াই করতে করতে নিহত হয়ে গেল ।
    এই হাদীসটিও শহীদী অভিযানের পক্ষে একটি সুস্পষ্ট দলীল, যাতে শত্রুদলের ক্ষতি করার জন্যে নিজেকে তাদের মধ্যে নিক্ষেপ করা হয় ।
    ইমাম আহমাদ (রঃ) তার মুসনাদে আহমাদে, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল (সঃ) বলেছেন, “আমাদের রব্ব দু’জন ব্যক্তির ব্যাপারে বিস্মিত হনঃ একজন যে নিজের বিছানা ছাড়ে, নামাযের জন্য, আর একজন ব্যক্তি যে আল্লাহর রাস্তায় অভিযান চালায় এবং তার সঙ্গী-সাথীরা পরাস্ত হয়েছে, আর সে বুঝতে পারে পরাজয়ে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে গেলে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে – কিন্তু সে (যুদ্ধক্ষেত্রে) ফিরে যায় যতক্ষণ না তার রক্ত প্রবাহিত হয় । আল্লাহ বলেনঃ “আমার বান্দাকে দেখ ! সে (যুদ্ধে) ফিরে গেল, আমার কাছে যা আছে সে ব্যাপারে আশা ও ভয় রেখে, যতক্ষণ না তার রক্ত প্রবাহিত হল ।”
    যে ব্যক্তিটি যুদ্ধে ফিরে যায় সে সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে জানে যে সে ফিরে গেলে নিহত হবে, কিন্তু আল্লাহ তার আমলকে স্বাগত জানান এবং কাজের প্রশংসা করেন ।
    মুয়া’জ ইবন ‘আফরা (রাঃ) আল্লাহর রাসূলকে (সঃ) জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ “কি করলে আল্লাহ তার বান্দাদের ব্যাপারে হাসেন ?” তিনি বললেন, “বান্দার নিজেকে বর্ম ব্যতিতই শত্রুদলের মধ্যে নিমগ্ন করা ।” মুয়া’জ তখন নিজের বর্ম খুলে ফেললেন এবং নিহত হওয়া পর্যন্ত শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকেন ।
    সুবহানাল্লাহ !
    যার ব্যাপারে আল্লাহ হাসেন তার মর্যাদা কোন স্তরে ?
    ইমাম কুরতুবী (রঃ) বলেছেনঃ “যখন মুসলিমদের সেনাদল পারস্যবাসীদের মুখোমুখি হল, তখন মুসলিমদের ঘোড়াগুলো পারস্যবাসীদের হাতীগুলো থেকে ভয়ে পলায়ন করছিল । মুসলিমদের একজন কাদা দিয়ে একটি হাতি তৈরি করেন এবং তার ঘোড়াকে এটার সাথে অভ্যস্ত করে তুললেন (যাতে নতুন একটি প্রাণী দেখে ঘোড়াটি ভয় পেয়ে না যায়) । পরের দিন, তার ঘোড়া হাতি থেকে পালাল না, তাই তিনি নেতৃত্বদানকারী হাতিটিকে আক্রমণ করলেন । তাকে বলা হয়েছিল, “এটা নিশ্চিতভাবেই তোমার মৃত্যুর কারণ হবে ।” তিনি বলেছিলেন, “এতে দুঃখের কিছু নেই, যে আমি মারা যাব এবং মুসলিমরা বিজয়ী হবে ।”
    এবং উপরের উল্লেখিত ছাড়াও এর মত আরো অনেক হাদীস এবং ঘটনা বর্ণিত আছে । এতে করে এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর জন্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করে নিশ্চিতজ্ঞানের সাথে যে এই আক্রমণ তার মৃত্যুর কারণ হবে ঠিক যেভাবে শহীদী অভিযানে করা হয়ে থাকে, এবং এতে ইসলাম এবং মুসলিমদের জন্যে উল্লেখযোগ্য রকমের উপকার থাকে, তাহলে শরীয়তে এটা বিশাল পুরষ্কারের যোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয় । শহীদী অভিযান একটি নতুন কৌশল যা পূর্বযুগে সাহাবাদের নিজেকে শত্রুদলের মধ্যে নিক্ষেপ করার ন্যায়, যেখানে মৃত্যুর সম্ভাবনা নিশ্চিত । এখানে একমাত্র পার্থক্য হল যে শহীদী অভিযানে, একজন মুজাহিদ নিজেই নিজের মৃত্যুর কারণ, আর পূর্বে উল্লেখিত ঘটনাগুলোতে মুজাহিদের মৃত্যুর কারণ শত্রু । কিন্তু আলেমরা উল্লেখ করেছেন যে, এই পার্থক্য ধর্তব্য নয়, কারণ এখানে নিয়্যত (আল্লাহর কালামকে উচ্চ করা) এবং শেষ ফলাফল (মৃত্যু) দু’টো ক্ষেত্রেই এক । আর নিয়্যতটাই হল মূলতঃ গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়াও, নিম্নের দলীল এ ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত করেঃ
    আল্লাহর দীনকে সমুন্নত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার সবচাইতে শক্তিশালী দলীল হল গুহার বালক এবং আসহাবে উখদূদের ঘটনাটি । ঘটনাটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে । গ্রন্থটিতে পূরো ঘটনাটি পাওয়া যাবে । আমাদের আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক অংশটুকু আমরা এখানে উল্লেখ করব । ঘটনার সারাংশঃ পূর্বের জাতিগুলোর মধ্যে একটিতে, একজন রাজা এক বালককে তার ঈমান আনয়নের কারণে শাস্তি প্রদান করছিল । সে (রাজা) বালকটিকে বিভিন্ন উপায়ে মারার চেষ্টা করে, যেমন পাহাড়ের চূড়া থেকে ফেলে দেয়া বা সমুদ্রে ডুবিয়ে মারা … কিন্তু বালকটি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে দু’আ করতে থাকে এবং বেঁচে যায় । বর্ণনা অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত যা ঘটেঃ
    “… সে (বালকটি) রাজাকে বললঃ “যতক্ষণ তুমি আমার কথামত কাজ না কর, আমাকে মারতে পারবে না !” রাজা বললঃ “সেটা কি ?” সে উত্তর দিল, “সমস্ত লোকজনকে একটি সমতল ভূমিতে জমায়েত কর আর আমাকে একটি (গাছের) গুঁড়ির সাথে বাঁধ । তারপর আমার তূন থেকে একটি তীর নিয়ে ধনুকের মধ্যখানে রাখ এবং বল, ‘বালকটির রব্ব, আল্লাহর নামে !’ , এরপর আমাকে তীর মার । যদি তুমি এটা কর, আমাকে মেরে ফেলবে (মারতে সক্ষম হবে) ।” সেইমত, রাজা সমস্ত লোকজনকে একটি সমতল ভূমিতে এক করলেন এবং ছেলেটিকে একটি (গাছের) গুঁড়ির সাথে বাঁধলেন । এরপর তূন থেকে একটি তীর নিয়ে, ধনুকের মধ্যখানে বসালেন এবং বললেন, “বালকটির রব্ব আল্লাহর নামে !” এবং তীর নিক্ষেপ করল । তীর বালকটির কপালের পাশে আঘাত করল । সে নিজের কপালের পাশে হাত রাখল এবং মৃত্যুবরণ করল । আর লোকজন বলে উঠল, “আমরা বালকটির রব্বের উপর ঈমান আনলাম… আমরা বালকটির রব্বের উপর ঈমান আনলাম
    তখন রাজাকে বলা হল, “তুমি কি দেখছ যা তুমি ভয় করেছিলে ? আল্লাহর কসম ! যা তুমি ভয় করেছিলে তাই ঘটেছে ! লোকের ঈমান এনে ফেলেছে (বালকটির রব্বের উপর) ।” তখন রাজা প্রতিটি রাস্তার সন্ধিস্থলে পরিখার (খননের) আদেশ দিলেন । পরিখা খনন করার পর সেগুলোতে আগুন জালানো হল আর রাজা ঘোষণা করলেন, “যে কেউ নিজের ধর্ম ত্যাগে সম্মত হবে না, তাকে আগুনে ফেলে দাও বা আগুনে ঝাঁপ দিতে বল ।” আর ঘটনাটি এরকমই ঘটেছিল, শেষ পর্যন্ত এক মহিলা নিজের সন্তানকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেয়ার ব্যাপারে দ্বিধা বোধ করলেন, তার বাচ্চাটি এমতাবস্থায় বলে উঠল, “হে আমার মা ! ধৈর্য ধর, কারণ তুমি সত্যের উপরে আছ !”
    হাদীসটি থেকে এটা পরিষ্কার, যে বালকটি নিজেই নিজের মৃত্যুর কারণ ঘটিয়েছিল যাতে জনমানুষ ইসলাম গ্রহন করে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে যায় । আর তাই, এরকম একটি আমল শরীয়ত অনুযায়ী আত্মহত্যা নয় । বরং, এটা সবচাইতে প্রশংসিত আমলগুলোর অন্যতম ।
    এখানে এটাও প্রমাণিত হল যে, ঠিক যেমন বালকটি ইসলামের জন্যে নিজের মৃত্যুর কারণ ঘটালো, শহীদী অভিযান পরিচালকের জন্যেও নিজের মৃত্যু ঘটানো বৈধ যদি এতে ইসলামের উল্লেখযোগ্য উপকারিতা থাকে (যা আলেম ও মুজাহিদরা নির্ণয় করবেন) । যদি কেউ দাবি করতে চায় যে বালকটি নিজের হাতে নিজের মৃত্যু ঘটায়নি, সেক্ষেত্রে আলেমরা উল্লেখ করেছেন যে একজন আত্মহত্যাকারী সে নিজেই নিজেকে হত্যা করুক বা অন্য কাউকে দিয়ে নিজেকে গুলি করাক, তার উপর একই হুকুম বর্তায় । তাই, হত্যার ধরন ধর্তব্য নয়, বরং আত্মহত্যার ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর গুরুত্বপূর্ণ) । একইভাবে শাহাদাৎ সন্ধানকারীর ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, সে নিজের হাতে নিজেকে হত্যা করেছে নাকি শত্রুর হাতে মরেছে যতক্ষণ তার নিয়্যত সহীহ থাকে অর্থাৎ আল্লাহর কালামকে উচ্চ করা এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা, কাফিরদেরকে আতংকিত করা ইত্যাদি, আর আল্লাহই সর্বাপেক্ষা জ্ঞাত ।
    এজন্যই শহীদী অভিযান বৈধ কারণ এতে নিজের জীবন উৎসর্গ করা হয়, আল্লাহর কালামকে উচ্চ করার জন্য, তার দীন প্রসারের জন্য, তার শত্রুদের আতংকিত করার জন্য এবং তার বান্দাদের (মুসলিমদের) লড়াই এর প্রতি উৎসাহিত করতে

  • #2
    জাযাকাল্লাহ আখি। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ কবুল করুন, আমিন।
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      জাঝাকাল্লাহ, ভাই খুব গুরুত্তপুর্ন আলচনা আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফিরদাউন দান করুন আমির।
      আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

      Comment

      Working...
      X