Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ নিয়ে এতো বাহানা করেন কেন ইসলামের অন্য বিধান নিয়ে তো বাহানা করেন না

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ নিয়ে এতো বাহানা করেন কেন ইসলামের অন্য বিধান নিয়ে তো বাহানা করেন না

    জিহাদ কি? এবং কেন বাহানা করেন জিহাদ নিয়ে

    পবিত্র কুরআনুল কারীমে জিহাদ সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ৪৮৪ আয়াতেরও বেশি আয়াত নাযিল করেছেন। কলমের জিহাদ, যুলুমের বিরুদ্ধে আওয়ায বুলন্দ (উচূঁ করা) করার জিহাদ– অবশ্যই এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ জিহাদ।
    কিন্তু এটি হল জিহাদের শাব্দিক অর্থ।

    আর শরীয়াতের দৃষ্টিভঙ্গিতে জিহাদ মানে হলো,
    🔪🔪 ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ🔪🔪
    মানে আল্লাহর পথে জ্বান ও মাল দিয়ে লড়াই করা।

    উদাহরণ স্বরূপ, মদীনার অলি-গলিতে যখন জিহাদের জন্য আহবান করা হতো, অর্থাৎ জিহাদের ডাক আসত, তখন এটি কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, মানে আল্লাহর পথে লড়াই করাকেই বুঝানো হত।

    যদি কলমের জিহাদ, সন্তান লালন পালনের জিহাদ সহ আরো সকল জিহাদই সেই জিহাদ হতো,

    তাহলে এমন একজন সাহাবীর নাম বলুন, যিনি এমন বলেছেন যে,

    হে আল্লাহর রাসূল! (সা.) আমার হাতে কলম আছে। আমাকে বলুন, আমি কার কার বিরুদ্ধে কলমের জিহাদ করব???

    কুরআন মাজীদে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা বলেন-

    📖তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তূতঃ আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।
    [সূরা আল বাক্বারা,০২ : ২১৬]
    📖
    আল্লাহর পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন।
    [সূরা আল বাক্বারা,০২ : ২৪৪]
    📖
    আল্লাহ্ যদি একজনকে অপরজনের দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া বিধ্বস্ত হয়ে যেতো। কিন্তূ বিশ্ববাসীর প্রতি আল্লাহ্ একান্তই দয়ালু, করুণাময়।(কারন তিনি জিহাদ এর হুকুম নাযিল করে যুলুম-ফাসাদকে ধ্বংস করার এবং শান্তি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করেছেন)
    [সূরা আল বাক্বারা,০২ : ২৫১]
    📖
    তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
    [সূরা আত ত্বওবা,০৯ : ২৯]

    জিহাদ এত মর্যাদাময় এবং উত্তম একটি ইবাদাত যে, একে নেকীর কুঞ্জি বলা হয়ে থাকে।

    রাসূলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞেস করা হলো,
    কোন আমলটি সবচেয় উত্তম বা কোন আমল টি সবচেয়ে বেশী ফযিলতময়?

    🌟রাসূলুল্লাহ সা. বললেন,
    আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা।
    জিজ্ঞেস করা হলো: এরপর কোনটি?
    রাসূলুল্লাহ সা. জবাব দিলেন: জিহাদ, এটি নেকীর কুঞ্জি।
    [তিরমিযি:১৬৫৮]

    এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সা. নিকট এসে বলল, আমাকে এমন কাজের কথা বলে দিন, যা জিহাদের সমতুল্য হয়।

    তিনি বলেন, আমি তা পাচ্ছি না।

    (অতঃপর বললেন): তুমি কি এতে সক্ষম হবে যে, মুজাহিদ যখন বেড়িয়ে যায়, তখন থেকে তুমি মাসজিদে প্রবেশ করবে এবং দাড়িয়ে ইবাদাত করবে এবং আলস্য করবে না, আর সিয়াম পালন করতে থাকবে এবং সিয়াম ভাঙ্গবে না।

    ব্যক্তিটি বলল, এটা কে পারবে?

    আবু হুরাইরাহ রা. বলেন, ‘মুজাহিদের ঘোড়া রশির দৈর্ঘ্য পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে, এতেও তার জন্য নেকী লিখা হয়।’
    (সহীহ বুখারী-২৭৮৫)

    🔪জিহাদ একটি ফরয ইবাদাত, এর অস্বীকারকারী মুসলমান হতে পারে না।

    মুহাম্মাদ স. আমাদের জান্নাতের রাস্তা দেখিয়েছেন,

    🔪তালোয়ারের ছায়ায় জান্নাত জানিয়েছেন।

    আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত মুজাহিদের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম।

    কুরআনুল মাজীদে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা শহীদকে মৃত বলাতো দূরের কথা, মৃত অনুমান করতেও মানা করেছেন। কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এই সকল ফযীলত, শুধু মাত্র আল্লাহ রাস্তায় কিতাল বা লড়াই করে নিজের জানকে কুরবান করা শহীদের জন্যই বর্ণনা করা হয়েছে।

    অন্যগুলো হলো, শহীদের শ্রেণী বিভাগ, যেমন: বিনা বিচারে খুন হওয়া, দূর্ঘটনায় বা মহামারীতে মারা যাওয়া ইত্যাদি …

    মুনাফিক কখনো জিহাদ করে না, জিহাদকে পছন্দ করে না, জিহাদের নাম শুনলেই মুড়চে যায়, যে কোন বাহানা বের করতে পাগলপ্রায় হয়ে যায়, যে কিভাবে এর থেকে নিজেকে বাচাঁনো যায়।

    পবিত্র কুরআন আল্লাহ মুনাফিকদের ব্যাপারে বলেছেন যে, যখন জিহাদের হুকুম নাযিল হলো, মুনাফিকরা নারাজ হয়ে গেল আর বলে ওঠল, আল্লাহ কেন জিহাদের হুকুম দিয়ে দিলেন??!!

    আর একই ধারাবাহিকতায় প্রত্যেক যুগেই মুনাফিকরা জিহাদের বিরুধীতা করে এসেছে, এখনো করছে,,।

    কিন্তু হে মুনাফিকরা! শুনে রাখ,
    আল্লাহ রাসূল স. বলেছেন,
    “আমার উম্মাতের একটি দল হকের পথে যুদ্ধ করতে থাকবে এবং কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত তারা বিজয়ী থাকবে।”
    [সাহিহ মুসলিম, কিতাবুল ইমারাহ ২০/৪৭১৮]

    ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার রাস্তায় জান ও মাল দ্বারা জিহাদকারীর মধ্যে শামিল করুন,
    যারা জিহাদ করার আগ্রহ রাখে, তাদের জন্য সহজতা দান করুন,
    বিশ্বের সকল হক্ব মুজাহিদীনদের রহম করুন, সাহায্য করুন,
    আমাদেরকে আপনার একনিষ্ট গোলামদের মধ্যে শামিল করুন। আমীণ

  • #2
    জাঝাকাল্লাহ খাইরন ভাই। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের জিহাদের ময়দানে কবুল করুন।

    Comment

    Working...
    X