বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের অর্জিত ধন-সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্থান-যাকে তোমরা পছন্দ কর-আল্লাহ্, তাঁর রসূল ও তাঁর রাহে জিহাদ করা থেকে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর, আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত, আর আল্লাহ্ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।
[সূরা আত তাওবাহ;০৯:২৪]
🍁🍁🍁
যারা আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা বানিজ্য, স্ত্রী-সন্তান এসবে মগ্ন হয়ে থাকে, এসবের দোহাই দিয়ে, ফারয আমল জিহাদকে অবজ্ঞা করে, জিহাদ থেকে দূরে থাকে, তাদের জন্য এই আয়াতের রয়েছে শিক্ষা ও সতর্ক বার্তা। আর জিহাদ ছাড়ার কারনে তারা যিল্লতিতে নিমজ্জিত হয়।
🍀🍀🍀
আর এই যিল্লতি ২প্রকারের:
১. ব্যক্তি জীবনের উপর
২. মুসলিম উম্মাহ এর উপর
🌟
আজকের মুসলমানদের উপর দুই প্রকারের অপমানই নজরে আসছে। মুসলমাদের উপর কাফিরদের বানানো গনতন্ত্র আজ প্রতিষ্ঠিত, যার ফলে প্রতিটি পদে মুসলমান আজ লাঞ্চিত হচ্ছে। কারন তারা এসব কুফরীতন্ত্রকে আপন করে, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লার আদেশ-নিষেধ অমান্য করছে, তারা মুহাম্মাদ স. এর প্রতি আনুগত্য ছেড়ে দিয়েছে, আর দুনিয়ার মোহে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছে। ফারয জিহাদকে ছাড়ার পর, প্রথমেই সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি হয়েছে, তাহলো- খিলাফাত ধ্বংস হওয়া, নেক আমলের তৌফিক কমে যাওয়া, সমাজে অশান্তি, অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়া, এসবই যিল্লতির আলামত, যা উপরোক্ত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন দ্বীনের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তো শাস্তির অপেক্ষা কর…
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তূদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা আত তাওবাহ;০৯:৩৮-৩৯)
ইমাম কুরতুবি র. এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে,
এই আয়াতে আল্লাহ সু. জিহাদ ছাড়ার ভয়াবহ পরিণাম এবং জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকার শাস্তি অনেক কঠিনভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মাটি জড়িয়ে ধরার ব্যাখ্যায় বলেন যে, জিহাদের আহবান করার পরও তোমরা দুনিয়ার আরাম ও আয়েশ ব্যস্ত আছ, নাকি এর মানে হলো যে, তোমাদের কাছে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে দুনিয়ায় বেঁচে থাকা বেশি প্রিয়?
আরো বলেন যে, জিহাদকে অপছ্ন্দ করে দুনিয়াবী কারনে ছেড়ে দেওয়া, মুসলমানদের উপর হারাম করা হয়েছে। আর যখন কারো আমীর জিহাদের জন্য আহবান করে, তখন জিহাদ ফারদুল আইন হয়ে যায়। তখন সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আমীরের আনুগত্য করা এবং শরয়ী কারন ব্যতিত অংশগ্রহণ থেকে দুরে থাকা যাবে না।
তাহলে আজকের মুসলমানদের ব্যাপারে কি বলবেন, যারা জিহাদকে একদম ছেড়ে দিয়ে ভুলে বসে আছে, যখন কি না জিহাদ ফারদুল আইন হয়ে পড়েছে।
জিহাদ ত্যাগ করা মুনাফিকদের আলামত বলা হয়েছে। তাছাড়া আল্লাহ কুরআনে অসংখ্য বার জিহাদ ত্যাগের ভয়াবহতা নিয়ে সতর্ক করেছেন। নিম্নোক্ত আয়াতসমূহে খেয়াল করুন:
পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে থাকতে পেরে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান ও মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করতে অপছন্দ করেছে এবং বলেছে, এই গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না।
বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত।
অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বদলাতে অনেক বেশী কাঁদবে।
বস্তূতঃ আল্লাহ্ যদি তোমাকে তাদের মধ্য থেকে কোন শ্রেণীবিশেষের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং অতঃপর তারা তোমার কাছে অভিযানে বেরোবার অনুমতি কামনা করে, তবে তুমি বলো যে, তোমরা কখনো আমার সাথে বেরোবে না এবং আমার পক্ষ হয়ে কোন শত্রুর সাথে যুদ্ধ করবে না, তোমরা তো প্রথমবারে বসে থাকা পছন্দ করেছ, কাজেই পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথেই বসে থাক।
(সূরা আত তাওবাহ;০৯:৮১-৮৩)
অতএব, হে আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
সকল মায়া – মমতা, দুনিয়ার ভালবাসা, দুনিয়াবী সকল বিষয়াদী সহ সব কিছুই ছেড়ে সম্মানের রাস্তায় আসুন। বর্তমানে যে অপমান, নির্যাতন, যিল্লতি উম্মাহর উপর ছেয়ে গেছে, তা থেকে মুক্তির একটিই পথ, আল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল ইযযত আমাদের মুজাহিদদের মধ্যে শামিল করুন এবং শহীদ হওয়ার তৌফিক দিন। আমীণ।
🌟🌟🌟
[সূরা আত তাওবাহ;০৯:২৪]
🍁🍁🍁
যারা আত্নীয় স্বজন, ব্যবসা বানিজ্য, স্ত্রী-সন্তান এসবে মগ্ন হয়ে থাকে, এসবের দোহাই দিয়ে, ফারয আমল জিহাদকে অবজ্ঞা করে, জিহাদ থেকে দূরে থাকে, তাদের জন্য এই আয়াতের রয়েছে শিক্ষা ও সতর্ক বার্তা। আর জিহাদ ছাড়ার কারনে তারা যিল্লতিতে নিমজ্জিত হয়।
🍀🍀🍀
আর এই যিল্লতি ২প্রকারের:
১. ব্যক্তি জীবনের উপর
২. মুসলিম উম্মাহ এর উপর
🌟
আজকের মুসলমানদের উপর দুই প্রকারের অপমানই নজরে আসছে। মুসলমাদের উপর কাফিরদের বানানো গনতন্ত্র আজ প্রতিষ্ঠিত, যার ফলে প্রতিটি পদে মুসলমান আজ লাঞ্চিত হচ্ছে। কারন তারা এসব কুফরীতন্ত্রকে আপন করে, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লার আদেশ-নিষেধ অমান্য করছে, তারা মুহাম্মাদ স. এর প্রতি আনুগত্য ছেড়ে দিয়েছে, আর দুনিয়ার মোহে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছে। ফারয জিহাদকে ছাড়ার পর, প্রথমেই সবচেয়ে বড় যে ক্ষতিটি হয়েছে, তাহলো- খিলাফাত ধ্বংস হওয়া, নেক আমলের তৌফিক কমে যাওয়া, সমাজে অশান্তি, অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়া, এসবই যিল্লতির আলামত, যা উপরোক্ত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন দ্বীনের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, তো শাস্তির অপেক্ষা কর…
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তূদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা আত তাওবাহ;০৯:৩৮-৩৯)
ইমাম কুরতুবি র. এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে,
এই আয়াতে আল্লাহ সু. জিহাদ ছাড়ার ভয়াবহ পরিণাম এবং জিহাদ থেকে পিছিয়ে থাকার শাস্তি অনেক কঠিনভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মাটি জড়িয়ে ধরার ব্যাখ্যায় বলেন যে, জিহাদের আহবান করার পরও তোমরা দুনিয়ার আরাম ও আয়েশ ব্যস্ত আছ, নাকি এর মানে হলো যে, তোমাদের কাছে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে দুনিয়ায় বেঁচে থাকা বেশি প্রিয়?
আরো বলেন যে, জিহাদকে অপছ্ন্দ করে দুনিয়াবী কারনে ছেড়ে দেওয়া, মুসলমানদের উপর হারাম করা হয়েছে। আর যখন কারো আমীর জিহাদের জন্য আহবান করে, তখন জিহাদ ফারদুল আইন হয়ে যায়। তখন সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আমীরের আনুগত্য করা এবং শরয়ী কারন ব্যতিত অংশগ্রহণ থেকে দুরে থাকা যাবে না।
তাহলে আজকের মুসলমানদের ব্যাপারে কি বলবেন, যারা জিহাদকে একদম ছেড়ে দিয়ে ভুলে বসে আছে, যখন কি না জিহাদ ফারদুল আইন হয়ে পড়েছে।
জিহাদ ত্যাগ করা মুনাফিকদের আলামত বলা হয়েছে। তাছাড়া আল্লাহ কুরআনে অসংখ্য বার জিহাদ ত্যাগের ভয়াবহতা নিয়ে সতর্ক করেছেন। নিম্নোক্ত আয়াতসমূহে খেয়াল করুন:
পেছনে থেকে যাওয়া লোকেরা আল্লাহর রসূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে থাকতে পেরে আনন্দ লাভ করেছে; আর জান ও মালের দ্বারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করতে অপছন্দ করেছে এবং বলেছে, এই গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না।
বলে দাও, উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম। যদি তাদের বিবেচনা শক্তি থাকত।
অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বদলাতে অনেক বেশী কাঁদবে।
বস্তূতঃ আল্লাহ্ যদি তোমাকে তাদের মধ্য থেকে কোন শ্রেণীবিশেষের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং অতঃপর তারা তোমার কাছে অভিযানে বেরোবার অনুমতি কামনা করে, তবে তুমি বলো যে, তোমরা কখনো আমার সাথে বেরোবে না এবং আমার পক্ষ হয়ে কোন শত্রুর সাথে যুদ্ধ করবে না, তোমরা তো প্রথমবারে বসে থাকা পছন্দ করেছ, কাজেই পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথেই বসে থাক।
(সূরা আত তাওবাহ;০৯:৮১-৮৩)
অতএব, হে আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
সকল মায়া – মমতা, দুনিয়ার ভালবাসা, দুনিয়াবী সকল বিষয়াদী সহ সব কিছুই ছেড়ে সম্মানের রাস্তায় আসুন। বর্তমানে যে অপমান, নির্যাতন, যিল্লতি উম্মাহর উপর ছেয়ে গেছে, তা থেকে মুক্তির একটিই পথ, আল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল ইযযত আমাদের মুজাহিদদের মধ্যে শামিল করুন এবং শহীদ হওয়ার তৌফিক দিন। আমীণ।
🌟🌟🌟
Comment