বিসমিহি তাআলা
মাসায়েলে জ্বিহাদ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হে দ্বীন প্রিয় হীরতুল্য মাহবুব ভায়েরা !
কেমন আছেন আপনরা ?
আপনাদেরকে কথা দিয়েছিলাম যে, উপকারি কিছু নিয়ে আসব ।এই অনুযায়ি একদিন একটা পোষ্ট-ও করেছিলাম কিন্তু নিদারুন এক সমস্যার কারনে পরে আর আপনাদের সামনে হাদিয়া নিয়ে হাজির অতে পারি নি ।এই জন্য প্রথমে আমি আপনাদের কাছে আল্লাহর জন্য ক্ষমা চাই ।
তাহলে ভাই ...
এবার আসুন আমরা মুল বিষয়ে দৌড়ায় ইনশা আল্লাহ্* । গত পোষ্টে ৮টি মাস-আলাহ উল্লেখ করে ছিলাম , যেগুলো জ্বিহাদ ফরজে কিফায়া এর সময় প্রজোয্য । কিন্তু আজ হবে এর ব্যাতিক্রম।
মাস-আলাহ-৯
যখন ইহাদ ফরজে আঈন হয়ে যায়,তথা কোন কাফের মুসলিম বাহিনীর/জন-সাধারনের উপর হামলা করে বসল; কিংবা মুসলমানদের সীমানায় তাবু স্থাপন করল ইত্যাদি অবস্থাতে বাচ্চা তার বড়দের অনুমতি,গোলাম তার মুনিব থেকে,স্ত্রী তার স্বামী থেকে ,ঋনগ্রহনকারি ঋনদাতা থেকে অনুমতি নেওয়ার অর*্যোজন হয় না।
মাস-আলাহ-১০
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ বলেনঃ যদি কাফেররা মুসলমানদের উপর আকস্মিকভাবে আক্রমন করে বসে আর মুসলমানদের প্রতিরোধের কোন সুযোগ-ই না থাকে। গনভাবে মুসলমানদের গ্রেফতার করতে থাকে এমতাবস্থায় যে ব্যাক্তি বুঝতে পারে যে, তাকে গ্রেফতার করতে পারলে কাফেররা তাকে হত্যা করে দিবে ।তার জন্য আত্ম-সমর্পন করা ইছুতেই ঠিক না বরং যথাসাধ্য তাদের প্রতিরোধ করবে । এতে যদি সে মারা যায় তবে অবশ্যই শহিদ হবে ।
মাস-আলাহ-১১
যদি কোন মহিলার জন্য এমন আশংকা হয় যে, তাকে গ্রেফতার করে ব্যভিচার করা হবে ,তবে ঐ মহিলার জন্য প্রতীরোধ ওয়াজিব। নিজের সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ তৈরি করবে মৃত্যূ পর্যন্ত। মৃত্যূর ভায়ে যিনার জন্য রাজি হওয়া জায়েয নাই। অনুরুপ বেরেশ তথা সুন্দর আকর্ষনীয় বালকের জন্য একই বিধান।
মাস-আলাহ-১২
কাফের বাহিনী যদি মুসলিম শহরের ৪৮ মাইলের মাঝে চলে আসে ,তবে ঐ শহরের সকল মুসলমানের উপর জ্বিহাদ ফরযে আঈন হয়ে যায়। মুসলমানদেরকে কাফের বাহিনী শহরে প্রবেশের পূর্বেই প্রতিহত করা সকলের জন্য ফরজে আঈন হয়ে যায়।
মাস-আলাহ-১৩
আল্লামা কুরতুবী রহ বর্নণা করেনঃ যদি দুশমন মুসলমানদের শহরে একেবারে নিক্টে চলে আসে ,তবে মুসলমানদেরকে শহরের বাহিরে বের হয়ে দুশমনের মোকাবেলা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। যাতে করে আল্লাহ্* তাআলার দ্বীন বিজয়ী হয়। মুসলমানদের খিলাফাত হিফাজত থাকে এবং কাফের লাঞ্চিত হয়।
মাস-আলাহ-১৪
আল্লামা বগভী রহ বলেনঃ কাফির যখন ইসলামী রাষ্ট্রের নিকটে চলে আসবে, তখন ঐ শহর ও আশ-পাশ সকলের জন্য জ্বিহাদ ফরজে আঈন হয়ে যায়। এবং দূরবর্তীদের উপর ফরজে কিফায়া হয়।
মাস-আলাহ-১৫
যদি কোন ব্যাক্তির নিকটে আমান্তের মাল থাকে, আর যার আমানাত সে অনুপস্থিত থাকে ,তাহলে আমানাত যথাস্থানে পৌছে দেওয়ার জন্য একজন লোক নির্ধারন করে নিজে জিহাদে চলে যাবে ।
মাস-আলাহ-১৬
যদি শহরে দ্বীন ও ইসলামের মাসায়েল বর্ণনাকারী একজনই মাত্র আলেম থাকে ,তবে তার জন্য জিহাদে যাওয়া ওয়াজিব নয়। কারন সে যাওয়ার দ্বারা মাস-আলাহ বর্ণনাকারী বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।যাতে দ্বীন মিটে যাওয়ার কারন হয়ে দাঁড়াবে।
আজ ইনশা আল্লাহ্* এই পর্যন্ত-ই রইল। বাকি চোখ ফিরাবেন না দাওয়াইলাল্লাহ ফোরাম থেকে । আরো গুরুত্তপুর্ন খবরাখবর পেতে আখিদ্বয় নিবদ্ব রাখুন এই চ্যানেলেই।
আপনার নেক দুয়া-ই আমাদের ভুলবেন না ।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...।
মাসায়েলে জ্বিহাদ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হে দ্বীন প্রিয় হীরতুল্য মাহবুব ভায়েরা !
কেমন আছেন আপনরা ?
আপনাদেরকে কথা দিয়েছিলাম যে, উপকারি কিছু নিয়ে আসব ।এই অনুযায়ি একদিন একটা পোষ্ট-ও করেছিলাম কিন্তু নিদারুন এক সমস্যার কারনে পরে আর আপনাদের সামনে হাদিয়া নিয়ে হাজির অতে পারি নি ।এই জন্য প্রথমে আমি আপনাদের কাছে আল্লাহর জন্য ক্ষমা চাই ।
তাহলে ভাই ...
এবার আসুন আমরা মুল বিষয়ে দৌড়ায় ইনশা আল্লাহ্* । গত পোষ্টে ৮টি মাস-আলাহ উল্লেখ করে ছিলাম , যেগুলো জ্বিহাদ ফরজে কিফায়া এর সময় প্রজোয্য । কিন্তু আজ হবে এর ব্যাতিক্রম।
মাস-আলাহ-৯
যখন ইহাদ ফরজে আঈন হয়ে যায়,তথা কোন কাফের মুসলিম বাহিনীর/জন-সাধারনের উপর হামলা করে বসল; কিংবা মুসলমানদের সীমানায় তাবু স্থাপন করল ইত্যাদি অবস্থাতে বাচ্চা তার বড়দের অনুমতি,গোলাম তার মুনিব থেকে,স্ত্রী তার স্বামী থেকে ,ঋনগ্রহনকারি ঋনদাতা থেকে অনুমতি নেওয়ার অর*্যোজন হয় না।
মাস-আলাহ-১০
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল রহ বলেনঃ যদি কাফেররা মুসলমানদের উপর আকস্মিকভাবে আক্রমন করে বসে আর মুসলমানদের প্রতিরোধের কোন সুযোগ-ই না থাকে। গনভাবে মুসলমানদের গ্রেফতার করতে থাকে এমতাবস্থায় যে ব্যাক্তি বুঝতে পারে যে, তাকে গ্রেফতার করতে পারলে কাফেররা তাকে হত্যা করে দিবে ।তার জন্য আত্ম-সমর্পন করা ইছুতেই ঠিক না বরং যথাসাধ্য তাদের প্রতিরোধ করবে । এতে যদি সে মারা যায় তবে অবশ্যই শহিদ হবে ।
মাস-আলাহ-১১
যদি কোন মহিলার জন্য এমন আশংকা হয় যে, তাকে গ্রেফতার করে ব্যভিচার করা হবে ,তবে ঐ মহিলার জন্য প্রতীরোধ ওয়াজিব। নিজের সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ তৈরি করবে মৃত্যূ পর্যন্ত। মৃত্যূর ভায়ে যিনার জন্য রাজি হওয়া জায়েয নাই। অনুরুপ বেরেশ তথা সুন্দর আকর্ষনীয় বালকের জন্য একই বিধান।
মাস-আলাহ-১২
কাফের বাহিনী যদি মুসলিম শহরের ৪৮ মাইলের মাঝে চলে আসে ,তবে ঐ শহরের সকল মুসলমানের উপর জ্বিহাদ ফরযে আঈন হয়ে যায়। মুসলমানদেরকে কাফের বাহিনী শহরে প্রবেশের পূর্বেই প্রতিহত করা সকলের জন্য ফরজে আঈন হয়ে যায়।
মাস-আলাহ-১৩
আল্লামা কুরতুবী রহ বর্নণা করেনঃ যদি দুশমন মুসলমানদের শহরে একেবারে নিক্টে চলে আসে ,তবে মুসলমানদেরকে শহরের বাহিরে বের হয়ে দুশমনের মোকাবেলা করা ওয়াজিব হয়ে যায়। যাতে করে আল্লাহ্* তাআলার দ্বীন বিজয়ী হয়। মুসলমানদের খিলাফাত হিফাজত থাকে এবং কাফের লাঞ্চিত হয়।
মাস-আলাহ-১৪
আল্লামা বগভী রহ বলেনঃ কাফির যখন ইসলামী রাষ্ট্রের নিকটে চলে আসবে, তখন ঐ শহর ও আশ-পাশ সকলের জন্য জ্বিহাদ ফরজে আঈন হয়ে যায়। এবং দূরবর্তীদের উপর ফরজে কিফায়া হয়।
মাস-আলাহ-১৫
যদি কোন ব্যাক্তির নিকটে আমান্তের মাল থাকে, আর যার আমানাত সে অনুপস্থিত থাকে ,তাহলে আমানাত যথাস্থানে পৌছে দেওয়ার জন্য একজন লোক নির্ধারন করে নিজে জিহাদে চলে যাবে ।
মাস-আলাহ-১৬
যদি শহরে দ্বীন ও ইসলামের মাসায়েল বর্ণনাকারী একজনই মাত্র আলেম থাকে ,তবে তার জন্য জিহাদে যাওয়া ওয়াজিব নয়। কারন সে যাওয়ার দ্বারা মাস-আলাহ বর্ণনাকারী বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।যাতে দ্বীন মিটে যাওয়ার কারন হয়ে দাঁড়াবে।
আজ ইনশা আল্লাহ্* এই পর্যন্ত-ই রইল। বাকি চোখ ফিরাবেন না দাওয়াইলাল্লাহ ফোরাম থেকে । আরো গুরুত্তপুর্ন খবরাখবর পেতে আখিদ্বয় নিবদ্ব রাখুন এই চ্যানেলেই।
আপনার নেক দুয়া-ই আমাদের ভুলবেন না ।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...।
Comment