আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর সাথে ব্যবসা।

[tarek bin ziad]

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর সাথে ব্যবসা।

إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ (111)
অর্থ: ‘আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান-মাল এই মুল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহে; অথপর মারে ও মরে। তাওরাত, ইঞ্জীল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন- দেনের উপর, যা তোমরা করছ তার সাথে। আর এ হল মাহান সাফল্য’।
এই আয়াত বলছে: আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের জান- মাল ক্রয় করে নিয়েছেন। বিনিময়ে দিয়েছেন জান্নাত। আল্লাহ তায়ালা তো মুমিনদের জান- মাল ক্রয় করেছেন জান্নাতের বিনিময়ে। কিন্তু এখোন আল্লাহ তায়ালা তার ক্রয়কৃত বস্তু বুঝে পাননি এবং মুমিনরাও তাদের বিনিময় বুঝে পাইনি। তাহলে কবে কোথায় হবে এই নেয়া-দেওয়া এই বুঝে পাওয়া? এ প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ তায়ালা একটু পরেই দিচ্ছেন। ‘তারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে। ফলে তারা মারবে এবং মরবে। তাহলে বুঝা গেল প্রত্যেকে যার যার মাল বুঝে পাওয়ার জায়গা হচ্ছে জিহাদের ময়দান। তাই মনে রাখি, আল্লাহ তায়ালার চুক্তি কিন্তু প্রত্যেক মুমিনের সাথে হয়েছে। কিন্তু চুক্তির মাল এবং বিনিময় কিন্তু দেওয়া-দেওয়া হইনি। অর্থাৎ ক্রয় বিক্রয়ের ফলাফল প্রকাশ পাইনি। ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার জন্য প্রয়োজন জিহাদের ময়দান। যারা জিহাদের ময়দানে যাবে তাদের ফলাফল প্রকাশ পাবে আর যাবে না তাদের ফলাফল প্রকাশ পাবে না।
কিন্তু আফসোস শত আফসোস!!!!!! আমরা আজ আল্লাহ তায়ালার থেকে আমাদের বিনিময় বুঝে পওয়ার জন্য অগ্রসর হচ্ছি না। অলসতার ঘোর ভেঙ্গে এখোন ঝাপিয়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ছি না।
এবং ধীক একদল মৃত্যুর ভয়ে ভিতো আলেমদের জন্য যারা এই আয়াতের উল্টা ব্যক্ষা করে। কেউ নিচ্ছে তাবলিগের দিকে। কেউ নিচ্ছে খানকার দিকে। আবার কেউ নিচ্ছে যারা ইসলামের নামে গনতন্ত্রের শ্লোগান দিচ্ছে। ইসলামকে কেন্দ্র করে পার্লমেন্টে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের দিকে। এরা কেউই এই আয়াত পুরাটা পড়ে না পুরাটা পড়লেও তার ব্যক্ষা করে না। শুধু এতোটুকুরই ব্যক্ষা করে যতোটুকু করলে তাদের মতলব অর্জন হবে।

[ফানা ফিল্লাহ]

মাশা-আল্লাহ ভাই
এটা তো এমন ব্যাবসা, যার ফল হয়ঃসমস্ত গোনাহ মাফ,এবং জান্নাতের প্রবেশ আর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি।সুরা সাফ্ব

আমাদের কেও আল্লাহ্* কবুল করুক আমিন

[খুররাম আশিক]

প্রিয় আখি, আপনাকে ধন্যবাদ। আমি ইলম ও জিহাদ ভাইকে অনুরোধ করবো উক্ত আয়াতের আরো সুন্দর করে ব্যাখ্যা আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে। প্রিয় ভাই, ইলম ও জিহাদ। আমি আশা করি আপনি আমার অনুরোধটুকু গুরুত্বে নিবেন। এই আয়াতটি নিয়ে আমি প্রায় চিন্তা করি, আল্লাহ আয়াতে কী বলছে! আর আমরা কি করছি।

[Allah Viru]

সম্মানিত ভাই, সুন্দর পোস্ট করেছেন ।
যেহেতু এটি কোরআনের আয়াত সেক্ষেত্রে বানান ও বাক্যের প্রতি সর্বোচ্চ যত্নবান হওয়া জরুরী ।"আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি কে অধিক?" প্রতিশ্রুতি রক্ষায় হবে । আয়াতের রেফারেন্স দিলে পোস্টটির সুন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেত । সম্মানিত ভাই এই আয়াতের ক্ষেত্রে আপনার ব্যাখ্যাটি আমার যথেষ্ট ভাল লেগেছে ।

[হেলাল]

মাশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

[tsoi]

তারা শুধু এইটুকু বলে থাকে ''আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান-মাল এই মুল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।''
এবং তারা ভাবে তারা খুব চালাক !!!

[খুররাম আশিক]

যারা বলেন দল করা নিয়ে একটি দলিল দিন। দলিল দিয়েও যে, আপনারা এ পথে( জিহাদের পথে) চলে আসবেন তার প্রমাণ কি???
এই আয়াতটি কি দলিলের জন্য যথেষ্ট নয়? । জিহাদ করার মাধ্যমে খেলাফা ও মুসলিমদের রক্ষা করা এই আয়াতেরই দাবী। আপনাদের কথামত যদি খকিফা না থাকলে দল করা ( যেই দল জিহাদের জন্য পূর্ব শর্ত) তাহলে জিহাদ বন্ধ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর দেওয়া বাজারও বন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি বলেন খলিফা ছাড়া জিহাদ চলে না তাহলে বলব আল্লাহর এই ওয়ালাদা শুধু একটি সময়ের জন্য ছিলো এখন কোনো ওয়াদা নেই। নাউজুবিল্লাহ। এর দ্বারা ইসলাম সব সময়ের জন্য ব্যপক হলো না, একটি সময়ের জন্য খাছ হয়ে গেলো!!!

[bokhtiar]

যারা দল করাকে না জায়েজ মনে করে, আসে এটি জিহাদে না যাওয়ার একটি বাহানা। আল্লাহ আমাদের ঈমান চোরদের কবল থেকে হিফাজত করুন,আমিন।