বেদনাদায়ক মূহুর্ত
যখন মুনাফিকিনরা জালালাবাদ দখল করতে শুরু করল, আমরা পাহাড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।
আমরা বুঝে উঠতে পারিনি যে এত দ্রুত এই ঘটনা সমূহ ঘটতে থাকবে এবং আমাদেরকে কাবুল থেকে চলে আসতে হবে। সেই সময়ে, শায়েখের (উসামা বিন লাদেন) সাথে থাকা তার ছেলেরা, তারা তিনজন ছিল।
তাদের একজন ছিল খালিদ, আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুণ, যিনি পরবর্তীতে শায়েখের সাথেই শাহাদাত বরন করেন। খালিদ ছিল তাদের মাঝে বড়। আমরা জালালাবাদ শহর থেকে বের হয়ে গেলাম এবং তোরা-বোরা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হতে লাগলাম। সেই বিকালে, আসর এবং মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে, এক ভাই তাদের তিন ভাইকে নিয়ে আসল,
যাতে তারা তাদের পিতাকে বিদায় দিয়ে আসতে পারে। শায়খ সেই ভাইকে বিশ্বাস করতেন যে তার ছেলেদেরকে একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে, যেখান থেকে তারা পরিবারের নিকট ফিরতে পারবে।
যখন বিদায়ের মুহূর্ত এসে উপস্থিত হল, শায়খ তাদেরকে এক কিনারে নিয়ে গেলেন। আর আমি কিছুটা দুর থেকে দাড়িয়ে তাদেরকে দেখছিলাম। এক পিতা তার তিন ছেলেকে বিদায় জানাচ্ছেন, এটা না জেনেই যে কখন আর কবে কোথায়, তিনি তাদের দেখা পাবেন; এটা না জেনেই যে এটাই কি তাদের প্রথম বিদায়,
না শেষ বিদায়! আমি দেখলাম যে শায়খ তাদেরকে বিদায় দিচ্ছেন এবং বলছেন যে এই আঙ্কেলের সাথে যাও, যে তাদেরকে পরিবারের নিকটে নিয়ে যাচ্ছিল।
তার বড় ছেলের (খালিদ) চোখ কান্নার পানি দ্বারা পূর্ণ ছিল আর শায়খ নিজেও অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। আর ছোট ছেলে বয়সের কারণে সেই মুহূর্তের মর্মটা ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি, সুতরাং সে শায়খের নিকট বলল যে, কিন্তু বাবা, আমার সমস্যা হল যে আমিতো আমার নতুন ব্যগ কাবুলেই রেখে এসেছি!
এখন আমি সেটা কিভাবে পাবো?, সে কি আর এটা জানতো যে, সেই সময় পর্যন্ত তো ক্রুসেডাররা কাবুল দখল করে নিয়েছে। শায়খ বললেন, কোন সমস্যা নেই, আমার ছেলে! তোমার আঙ্কেল তোমাকে নতুন আরেকটি কিনে দিবে!’ তারপরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এটা একটি বেদনায়ক মুহূর্ত ছিল যে; বাবা ছেলে থেকে আর ছেলে বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল, আর উভয়ের কেউই জানতো না যে কবে এবং কোথায় তারা আবার মিলিত হবে।
- Days with the Imam, Dr. Ayman al Zawahiri
যখন মুনাফিকিনরা জালালাবাদ দখল করতে শুরু করল, আমরা পাহাড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।
আমরা বুঝে উঠতে পারিনি যে এত দ্রুত এই ঘটনা সমূহ ঘটতে থাকবে এবং আমাদেরকে কাবুল থেকে চলে আসতে হবে। সেই সময়ে, শায়েখের (উসামা বিন লাদেন) সাথে থাকা তার ছেলেরা, তারা তিনজন ছিল।
তাদের একজন ছিল খালিদ, আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুণ, যিনি পরবর্তীতে শায়েখের সাথেই শাহাদাত বরন করেন। খালিদ ছিল তাদের মাঝে বড়। আমরা জালালাবাদ শহর থেকে বের হয়ে গেলাম এবং তোরা-বোরা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হতে লাগলাম। সেই বিকালে, আসর এবং মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ে, এক ভাই তাদের তিন ভাইকে নিয়ে আসল,
যাতে তারা তাদের পিতাকে বিদায় দিয়ে আসতে পারে। শায়খ সেই ভাইকে বিশ্বাস করতেন যে তার ছেলেদেরকে একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিবে, যেখান থেকে তারা পরিবারের নিকট ফিরতে পারবে।
যখন বিদায়ের মুহূর্ত এসে উপস্থিত হল, শায়খ তাদেরকে এক কিনারে নিয়ে গেলেন। আর আমি কিছুটা দুর থেকে দাড়িয়ে তাদেরকে দেখছিলাম। এক পিতা তার তিন ছেলেকে বিদায় জানাচ্ছেন, এটা না জেনেই যে কখন আর কবে কোথায়, তিনি তাদের দেখা পাবেন; এটা না জেনেই যে এটাই কি তাদের প্রথম বিদায়,
না শেষ বিদায়! আমি দেখলাম যে শায়খ তাদেরকে বিদায় দিচ্ছেন এবং বলছেন যে এই আঙ্কেলের সাথে যাও, যে তাদেরকে পরিবারের নিকটে নিয়ে যাচ্ছিল।
তার বড় ছেলের (খালিদ) চোখ কান্নার পানি দ্বারা পূর্ণ ছিল আর শায়খ নিজেও অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। আর ছোট ছেলে বয়সের কারণে সেই মুহূর্তের মর্মটা ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারেনি, সুতরাং সে শায়খের নিকট বলল যে, কিন্তু বাবা, আমার সমস্যা হল যে আমিতো আমার নতুন ব্যগ কাবুলেই রেখে এসেছি!
এখন আমি সেটা কিভাবে পাবো?, সে কি আর এটা জানতো যে, সেই সময় পর্যন্ত তো ক্রুসেডাররা কাবুল দখল করে নিয়েছে। শায়খ বললেন, কোন সমস্যা নেই, আমার ছেলে! তোমার আঙ্কেল তোমাকে নতুন আরেকটি কিনে দিবে!’ তারপরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এটা একটি বেদনায়ক মুহূর্ত ছিল যে; বাবা ছেলে থেকে আর ছেলে বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছিল, আর উভয়ের কেউই জানতো না যে কবে এবং কোথায় তারা আবার মিলিত হবে।
- Days with the Imam, Dr. Ayman al Zawahiri
Comment