একটা সময় আপনি ছিলেন উদ্ভ্রান্তের ন্যায়। আপনার অন্তরটা ছিল অস্থির। প্রশান্তির ছোঁয়া পেতে কতো দিকেই না মোড় নিয়েছিলেন। কখনো বন্ধুদের নিয়ে হৈ হুল্লোড়, কখনো বা অহেতুক বাক্যালাপে, কিংবা হারিয়ে গিয়েছিলেন মূর্খ সব সংগীতশিল্পীদের সুরের ব্যঞ্জনায়।
কতো কতো ঘণ্টায় না নষ্ট করেছিলেন টুপির নিচে রাখা আজকের এই চুলগুলোর পিছনে! স্কুল - কলেজ কিংবা প্রাইভেটে যাওয়ার পথে বিভিন্ন দোকানের ধূলিময় গ্লাসে চেয়ে চেয়ে হেটেছেন, কতোটা স্মার্ট অনুমানের উদ্দেশ্যে।
প্রশান্তি খুজেছিলেন মোবাইলে গেমস খেলায়, ক্রিকেটের স্কোরে আর প্রিয় প্লেয়ারের চার, ছক্কা, সেঞ্চুরিতে।
অতঃপর আপনার রব আপনাকে দয়া করলেন দ্বীনের জ্ঞান দিয়ে। আস্তে আস্তে পাল্টাচ্ছিল আপনার পছন্দ অপছন্দ। ভালোবাসতে শিখলেন আল্লাহকে, তাঁর রাসূল আর প্রিয় উম্মাহকে। প্রিয় শায়খের জ্বালাময়ী বক্তব্যে হৃদস্পন্দন কতোবা___র বেড়েছে। উম্মাহর ব্যথা বুকে নিয়ে ঘরে ফিরতেন, ঘর থেকে বাহির হতেন। শরীর গরম হয়ে আসত প্রিয় শায়খের জিহাদী বয়ানে। কতো কতো দলকেই না ভালোবেসেছিলেন, সবিশেষ ঘৃনাও করেছেন ভ্রান্ত মতাদর্শের বলে। অতঃপর আল্লাহ আপনাকে স্পষ্ঠ পথ বাতলে দিলেন।
আপনার সামনে দুপুরের সূর্যের ন্যায় স্পষ্ঠ হয়ে গেল সঠিক জামাআ আর সঠিক পন্থা।
অনেক অনেক দিন হয়ে গেছে সত্য পথের সাথীও হয়ে উঠলেন।
অতঃপর দিন যতো গড়াচ্ছে আপনার উৎসাহ উদ্দীপনার শক্ত প্রাচীরটা কেমন জানি বরফের ন্যায় ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। এখন তো আর গাঁ গরম করে এগুচ্ছেন না। পিরামিডের মতো শুরুটা অনেক বিশাল কিন্তু আস্তে আস্তে......!
কোথায় আপনার প্রস্তুতি, কোথায় আপনার দাওয়াহ, কোথায় আপনার সেই উৎসাহ।
দেখুন তো কোরআনের এই দাবির সাথে আপনি মিলে যাচ্ছেন কিনা!
সূরা হাদীদ, আয়াত ১৬।
أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓاۡ أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ ٱللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ ٱلْحَقِّ وَلَا يَكُونُواۡ كَٱلَّذِينَ أُوتُواۡ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ ٱلْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْۖ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَٰسِقُونَ
যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য সে সময় কি এখনও আসেনি যে আল্লাহর স্মরণে আর যে প্রকৃত সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যাবে? আর তারা যেন সেই লোকদের মত না হয়ে যায় যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তাদের উপর অতিবাহিত হয়ে গেল বহু বহু যুগ আর তাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়ল। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।
হে ভাই! যিনি আমার লেখা পড়ছেন। ভেবে দেখুন তো আপনি সত্যি সত্যিই এই রোগে আক্রান্ত কিনা।
হে ভাই আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন যা আপনার রব অর্পন করেছেন।
দায়িত্বে অবহেলা করবেন না। নতুবা শুনুন আল্লাহর ভাষায় এর পরিণতি।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِۧ فَسَوْفَ يَأْتِى ٱللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ*وٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَآئِمٍۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।(মায়েদাঃ৫৪)।
...
এটা কোনো বিষয় না আপনি কতোদিন ধরে সঠিক জামাআর সাথে কাজ করছেন। বরং যখনই আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে সড়ে পড়বেন তখনই আপনার স্থলে অন্যকে নিয়ে আসবেন। এটাই আপনার রবের সুন্নাহ।
কাজেই দৃঢ় থাকুন ভাই আমার।
আল্লাহ বলেন ;
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ ٱصْبِرُواۡ وَصَابِرُواۡ وَرَابِطُواۡ وَٱتَّقُواۡ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মু’মিনগণ! ধৈর্য অবলম্বন কর, দৃঢ়তা প্রদর্শন কর, নিজেদের প্রতিরক্ষাকল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবুত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।( আলে ইমরান, আয়াত ২০০)
ভাই আমার, আপনার দুই হাতকে প্রসারিত করুন। ডাকুন আপনার রবকে যেন আপনার অন্তরকে তিনি হেদায়েদের পথে অটল রাখেন। আল্লাহ যেন আপনার ইমান আমলকে উন্নতির দিকেই ধাবিত রাখেন।
কতো কতো ঘণ্টায় না নষ্ট করেছিলেন টুপির নিচে রাখা আজকের এই চুলগুলোর পিছনে! স্কুল - কলেজ কিংবা প্রাইভেটে যাওয়ার পথে বিভিন্ন দোকানের ধূলিময় গ্লাসে চেয়ে চেয়ে হেটেছেন, কতোটা স্মার্ট অনুমানের উদ্দেশ্যে।
প্রশান্তি খুজেছিলেন মোবাইলে গেমস খেলায়, ক্রিকেটের স্কোরে আর প্রিয় প্লেয়ারের চার, ছক্কা, সেঞ্চুরিতে।
অতঃপর আপনার রব আপনাকে দয়া করলেন দ্বীনের জ্ঞান দিয়ে। আস্তে আস্তে পাল্টাচ্ছিল আপনার পছন্দ অপছন্দ। ভালোবাসতে শিখলেন আল্লাহকে, তাঁর রাসূল আর প্রিয় উম্মাহকে। প্রিয় শায়খের জ্বালাময়ী বক্তব্যে হৃদস্পন্দন কতোবা___র বেড়েছে। উম্মাহর ব্যথা বুকে নিয়ে ঘরে ফিরতেন, ঘর থেকে বাহির হতেন। শরীর গরম হয়ে আসত প্রিয় শায়খের জিহাদী বয়ানে। কতো কতো দলকেই না ভালোবেসেছিলেন, সবিশেষ ঘৃনাও করেছেন ভ্রান্ত মতাদর্শের বলে। অতঃপর আল্লাহ আপনাকে স্পষ্ঠ পথ বাতলে দিলেন।
আপনার সামনে দুপুরের সূর্যের ন্যায় স্পষ্ঠ হয়ে গেল সঠিক জামাআ আর সঠিক পন্থা।
অনেক অনেক দিন হয়ে গেছে সত্য পথের সাথীও হয়ে উঠলেন।
অতঃপর দিন যতো গড়াচ্ছে আপনার উৎসাহ উদ্দীপনার শক্ত প্রাচীরটা কেমন জানি বরফের ন্যায় ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে। এখন তো আর গাঁ গরম করে এগুচ্ছেন না। পিরামিডের মতো শুরুটা অনেক বিশাল কিন্তু আস্তে আস্তে......!
কোথায় আপনার প্রস্তুতি, কোথায় আপনার দাওয়াহ, কোথায় আপনার সেই উৎসাহ।
দেখুন তো কোরআনের এই দাবির সাথে আপনি মিলে যাচ্ছেন কিনা!
সূরা হাদীদ, আয়াত ১৬।
أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓاۡ أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ ٱللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ ٱلْحَقِّ وَلَا يَكُونُواۡ كَٱلَّذِينَ أُوتُواۡ ٱلْكِتَٰبَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ ٱلْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْۖ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَٰسِقُونَ
যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য সে সময় কি এখনও আসেনি যে আল্লাহর স্মরণে আর যে প্রকৃত সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হয়ে যাবে? আর তারা যেন সেই লোকদের মত না হয়ে যায় যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, অতঃপর তাদের উপর অতিবাহিত হয়ে গেল বহু বহু যুগ আর তাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়ল। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।
হে ভাই! যিনি আমার লেখা পড়ছেন। ভেবে দেখুন তো আপনি সত্যি সত্যিই এই রোগে আক্রান্ত কিনা।
হে ভাই আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন যা আপনার রব অর্পন করেছেন।
দায়িত্বে অবহেলা করবেন না। নতুবা শুনুন আল্লাহর ভাষায় এর পরিণতি।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِۧ فَسَوْفَ يَأْتِى ٱللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ*وٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَآئِمٍۚ ذَٰلِكَ فَضْلُ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।(মায়েদাঃ৫৪)।
...
এটা কোনো বিষয় না আপনি কতোদিন ধরে সঠিক জামাআর সাথে কাজ করছেন। বরং যখনই আপনি আপনার দায়িত্ব থেকে সড়ে পড়বেন তখনই আপনার স্থলে অন্যকে নিয়ে আসবেন। এটাই আপনার রবের সুন্নাহ।
কাজেই দৃঢ় থাকুন ভাই আমার।
আল্লাহ বলেন ;
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ ٱصْبِرُواۡ وَصَابِرُواۡ وَرَابِطُواۡ وَٱتَّقُواۡ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মু’মিনগণ! ধৈর্য অবলম্বন কর, দৃঢ়তা প্রদর্শন কর, নিজেদের প্রতিরক্ষাকল্পে পারস্পরিক বন্ধন মজবুত কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।( আলে ইমরান, আয়াত ২০০)
ভাই আমার, আপনার দুই হাতকে প্রসারিত করুন। ডাকুন আপনার রবকে যেন আপনার অন্তরকে তিনি হেদায়েদের পথে অটল রাখেন। আল্লাহ যেন আপনার ইমান আমলকে উন্নতির দিকেই ধাবিত রাখেন।
Comment