Announcement

Collapse
No announcement yet.

প্রশ্ন: তথাকথিত রাজনীতির দ্বারা ক্ষমতায় আসা অত:পর কুরআন দ্বারা দেশ পরিচালনা। কতটুকু য&

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • প্রশ্ন: তথাকথিত রাজনীতির দ্বারা ক্ষমতায় আসা অত:পর কুরআন দ্বারা দেশ পরিচালনা। কতটুকু য&

    আসসালামু আলাইকুম ভাইয়েরা,, একটি ব্যাপার জানা অনেক জরুরি৷ আর তা হল আমার এক বন্ধু হল যার জিহাদের সম্পুর্ণ বুঝ আছে। এমনকি সে ইমাম মাহদি (আ) এর আগমনের অপেক্ষায়ও আছে। আল কায়েদা ও তালেবান এর প্রতি তার যথেষ্ট ভালবাসা রয়েছে। সে আগে রাজনীতি করতো কিন্তু এখন সরে এসেছে।
    কিন্তু সমস্যা হল তার বিশ্বাস জিহাদ হলো কৌশল। আর মনে খিলাফত প্রতিষ্ঠার নিয়ত নিয়ে কেউ যদি তথাকথিত রাজনীতি ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসে তবে তখন সে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে।
    তাকে কোনো ভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না বিষয়টি যে ভুল। অবশ্য সে জামাত করে না। কিন্তু তার পুণরায় এই জঘন্য রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার আশংকা আমি করি। আমি আলিম না হওয়ায় কোরআন এর কোনো আয়াত বা হাদিস দ্বারা বিষয়টি ভুল প্রমাণ করতে পারছি না। দয়া করে সাহায্য করুন। জাযাকাল্লাহ খাইর।

  • #2
    সম্মানিত আলেম ভাইয়েরা বিষয় টা লক্ষ করলে ভালো হইত!


    প্রিয় আবু হুরাইরাহ ভাই!
    আপনি তাকে সায়েখ আসেম ওমর হাফিযাহুল্লাহ এর লিখিত একটি কিতাব আছে, ( দুটি জীবনব্যবস্হার লড়াই, ইসলাম ও গণতন্ত্র) কিতাব পড়ান আর, সায়েখ আবু ইমরান হাফিযাহুল্লাহ এর বয়ান সুনান, আর তার জন্য দুয়া করেন ইন্শাআল্লাহ ভাইয়ের বুঝে আসবে।
    আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

    Comment


    • #3
      একজন দায়ীর কাজ হলো অবুঝ মুমিন/কাফিরকে দাওয়াত দেওয়া, কুরআন আমাদের এটিই বলে। মাদউকে আপনার পথে আল্লাহ না চাইলে কখনোই আনতে পারবেন না। অযথা সময় নষ্ট করা মুমিনের গুন নয়।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        কোনো আলেম কিংবা অভিজ্ঞ কোন ভাই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু লিখলে অনেক উপকৃত হতাম।

        Comment


        • #5
          Originally posted by আবু হুরাইরাহ View Post
          কোনো আলেম কিংবা অভিজ্ঞ কোন ভাই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু লিখলে অনেক উপকৃত হতাম।

          =========♠ গণতন্ত্রের মাধ্যমে কি ইসলামী বিপ্লব সম্ভব?♠========


          ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বর্পূণ, এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট চিন্তা ও গবেষনার প্রয়োজন। এখানে যে বক্তব্যটি পেশ করছি তা মূলত জামায়াতে ইসলামীর সাথে ভালোভাবে যুক্ত দু’জন বিজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যকার আলোচনা। তাঁরা জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কেই আলোচনা করেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি যে, এি আলোচনাটির পরিধি ব্যাপক। এ বিষয়টি পাকিস্তানের সকল ইসলামী দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; বরং এক দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা পৃথিবীর ইসলামী দলসমূহের সাথেই বিষয়টি জড়িত। তুরস্কে রয়েছে একটি ইসলামী শক্তিশালী দল, তিউনিসিয়ায় ইসলামী একটি দল আধিক্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, এ দিকে মিসরসহ অন্যান্য জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের চেষ্ট চলছে। খোদ পাকিস্তানের এক অংশে ইসলামী দলগুলো বেশ শক্তি অর্জন করে ফেলেছে।
          এজন্য এ প্রশ্নের উপর যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন যে, পশ্চিমা গণতন্ত্রের মাধ্যমে= [বাহ্যিক কিছু পরিবর্তন এনে ‘ইসলামী গণতন্ত্র’ নাম দিয়ে]= কি ইসলামী বিপ্লব (অথবা ইসলামের বিজয়, শরিয়ত প্রতিষ্ঠা, নেযামে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি) অর্জন করা সম্ভব? এ বিষয়ে আপনিও একটি মন্তব্য বলুন; আমরা ইনশাআল্লাহ ‘আল-বুরহান’-এর আগামী সংখ্যায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।’ – ড.মুহাম্মদ আমিন৯ থেকে ১৫ পর্যন্ত বিশেষ তারিখে শাহ নেওয়াজ ফারুকী সাহেবের শুক্রবারের আলোচনায় ‘জামায়াতে ইসলামীর অতুলনীয় গবেষনামূলক, ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক চেষ্টা-প্রচেষ্টা।
          ’ শিরোনামে যে আলোচনাটি পেশ করেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জামায়াতে ইসলামীর শক্তি বর্ণনা করতে গিয়ে যা বললেন, তা এই,১. মাওলানা মওদুদী রহ. এর চিন্তাধারা হল, ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থা, যা গোটা পৃথিবীর উপর কর্তৃত্ব বিস্তারের দাবি রাখে।
          যা কার্যতও সম্ভব; এমন কি তা এখন পৃথিবীব্যাপী একটি কাজে পরিণত হয়েছে। জনাব ফারুকী সাহেবের বক্তব্য, ‘জামায়াতে ইসলামীর শক্তি পৃথিবীর অন্য যে কোনো দলের চেয়ে বেশি।’ [পৃষ্ঠা:১১]২. পাকিস্তানে ইসলামী দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর আগমনকে কেন্দ্র করে যে সব প্রোপাগান্ডা ছড়ান হয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয়।
          বরং পকিস্তানের আদর্শপরিচয়, প্রতিরক্ষা ও উন্নতির ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর বড় একটি অবস্থান রয়েছে। অন্যদিকে (পাকিস্তানের) লিবারেল ও কমিউনিস্টরা জামায়াতে ইসলামীকে নিজেদের আসল শত্রু মনে করে। [পৃষ্ঠা:১১]৩. জামায়াতে ইসলামী ছাত্র ও শ্রমিকদলসমূহে কমিউনিস্ট ও লিবারেলদের আধিপত্য উপড়ে ফেলেছে। [পৃষ্ঠা:১১]৪. জামায়াতে ইসলামী সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক ও ইসলামিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব। [পৃষ্ঠা:১২]৫. জামায়াতে ইসলামী উম্মতের ঐক্যের প্রতীক। সেইসাথে জামায়াতে ইসলামী গোটা মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার যোগ্যতা রাখে। [পৃষ্ঠা:১১]৬. জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বারবার নির্বাচনী পরাজয়কে বরণ করার অসাধারণ সক্ষমতা রয়েছে। [পৃষ্ঠা:১২]প্রথম কথা তো এই, শক্তি একটি বহুমুখী ভাবনা। শক্তির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, উদ্দেশ্য অর্জনে সফল হওয়ার যোগ্যতা। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য হল, রেযায়ে ইলাহী অর্জন; এ অর্থে জামায়াতে ইসলামী নিশ্চিত একটি শক্তিশালী দল। মুখলেস লোকেরা এর সঙ্গ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ এই লক্ষ্য অর্জনে সফলও হয়ে যেতে পারে।
          কিন্তু জামায়েতে ইসলামী এ অর্থে শক্তিশালী নয় যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারা দীনের যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে তা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধান্য বিস্তার করছে। আসলে বাস্তবতা হল, যত দিন যাচ্ছে এ নেযামটি ততই দুর্বল হয়ে পড়ছে।
          আমার ধারণা, জামায়াতে ইসলামী অনেক সাধনা করে যে শক্তি অর্জন করেছে তা দিনদিন কমেই চলেছে। আমরা যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রচলিত কার্য পরিকল্পনার উপর দ্বিতীয়বার নযর না দিই তাহলে অচিরেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমরা নিশ্চিত পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ব।মুহতারাম ফারুকী সাহেব জামায়াতে ইসলামীর যেসব শক্তির কথা আলোচনা করলেন, যদি আমরা তার পর্যালোচনা করি তাহলে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপদ্ধতির দুর্বলতাগুলো আরো পরিস্কার হয়ে যাবে। কর্ম পদ্ধতির দুর্বলতার মূল কারণ হল, মাওলানা মওদুদী রহ. পশ্চিমাকে খালেস জাহিলিয়্যাত সাব্যস্ত করলেও, পশ্চিমা চিন্তা-চেতনা ও কর্মপদ্ধতির উপর তিনি যে পর্যালোচনা পেশ করেছেন তা অপরিপূর্ণ ও আবেগী একটি পর্যালোচনা ছিল। মাওলানা মওদুদী রহ এর আবেগী পর্যালোচনার সবচে’ বড় দৃষ্টান্ত তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার মধ্যেই বিদ্যমান। তিনি ইসলামকে একটি পরির্পূণ জীবনব্যবস্থারূপে পেশ করেছেন ঠিক; কিন্তু এই জীবনব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকেই তিনি যথেষ্ট মনে করেছেন। তিনি যে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছেন তা এ দৃষ্টিকোণ থেকে সীমাবদ্ধ যে, তাঁর চিন্তাধারা হল, এর জন্য পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ধ্বংস হওয়া জরুরী নয়। বরং তিনি এ ধরণের সরকারব্যবস্থাকেই দীন বিজয়ের মাধ্যম হিসাবে জোর দিয়ে থাকেন। তিনি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনীতি ও পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থাকে গতানুগাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মত মনে করেন না। বরং তিনি যখন ইসলামী নেতৃত্বের রূপরেখার কথা আলোচনা করেন তখন গণতান্ত্রিক ধারার সম্রাটদের ব্যাপারে তারদীদের কথা বললেও গণতন্ত্রের ব্যাপারে তারদীদ ফাতওয়া দেন না। তাঁর মতে খেলাফতে রাশেদাও শরী’য়া ভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা ভিন্ন অন্য কিছু নয়।মাওলানা মওদুদীর চিন্তাধারাকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে (চাই তা পাকিস্তানে হোক, বাংলাদেশে হোক কিংবা হিন্দুস্তানে) প্রকৃত পক্ষে তা গণতান্ত্রিক সেসব বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। এই চেষ্টা-প্রচেষ্টার ফলে নবী কারীম সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগ থেকে সুলতান আব্দুল হামিদ সানী পর্যন্ত ইসলামী শাসন যেভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল, তা কোনোদিন আনা সম্ভব নয়। বরং এটি উল্টো গণতান্ত্রিক নেযামকে ইসলামী নেযাম নাম দিয়ে জায়েয সাব্যস্ত করার নামান্তর। গণতান্ত্রিক কাজকর্ম জনগণের শাসনেরই বহিঃপ্রকাশ। আর জনগণের শাসন স্বাধীনতা ও প্রবৃত্তির উন্নতি দান করে, রবের ইবাদত ও আল্লাহর সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে উন্নতি দান করতে পারে না।গতানুগতিক ও গণতান্তিক প্রচেষ্টার সফলতা- চাই তার ধরণ ইসলামী হোক বা গাইরে ইসলামী- রেযায়ে ইলাহীর প্রচেষ্টাকে উন্নত করতে পারে না। এসব আন্দোলন সফল যখন হয় তখন ইসলামী বিপ্লবের প্রচেষ্টা সোশাল ডেমোক্র্যাট ও লেবারেল আদর্শের সঙ্গে মিলে যায়। এ কথাটি লিয়াকত আলী খান সাহেব ১৯৪৯ সালে খুব ভালভাবে অনুধাবন করে ছিলেন। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে ইসলামী নাম দিয়ে জায়েয সাব্যস্ত করা, পাকিস্তানে একটি আদর্শ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে সবচে’ বড় বাধা”।তুরস্কের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত হয়েছে যে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে কোনো ইসলামী দল রাষ্ট্রের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে না; বরং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ইসলামী দলের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। আর এ কাজ পাকিস্তানে তো অসম্ভবই; কারণ আমরা নির্বাচনে শুধু হেরেই যাচ্ছি (এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের উপর বড় এহসান)। এ দিকে আরববিশ্বের বর্তমান অবস্থার ফলাফল তো পরিস্কার। যদি এ কথা সঠিক হয়ে থাকে যে, আরবের ইসলামী আন্দোলনগুলো মাওলানা মওদুদী রহ. এর গবেষনার ফসল, তাহলে আমি আবারো বলব যে, এই চিন্তাধারা ও মানসিকতা এক দিক থেকে গোটা মুসলিম বিশ্বে গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে ইসলামের নাম দিয়ে জায়েয সাব্যস্ত করা, ও অপর দিকে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অবদান রেখেছে। এই কথাটি এ বিষয়ের কারণেও পরিস্কার যে, ইসলামী দল, ছাত্র ও শ্রমিক দল, জাতীয়তাবাদী দল, সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি বা ইউনিয়নসমূহের ইশতেহার ও কার্যপদ্ধতির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না।গণতন্ত্রিক ব্যবস্থা আচরণগতভাবে সেক্যুলারাইজেশনকে বাস্তবায়ন করার সর্বোৎকৃষ্ট প্রক্রিয়া। আসলে যখন থেকে গণতন্ত্র সবার কাছে গৃহিত হতে শুরু করেছে, সেভাবে দ্বীনের মজবুতিও নিঃশেষ হতে শুরু করেছে। এ কারণে সেক্যুলার দলগুলতো তো বটেই ইসলামী দলগুলোর জন্যও তাদের কর্মীদের থেকে কুরবানী চাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে। এক দিকে খালেস ইসলামী দলগুলোর আলোচনা মতাদর্শহীনভাবে থেকে যাচ্ছে; অপরদিকে তাঁরা তাদের কর্মপন্থা ধীরে ধীরে সেক্যুলার বানাতে বাধ্য হচ্ছে; কেননা, সেক্যুলার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় গৃহিত হওয়া শুধু জনসাধারণের অধিকার ও স্বার্থের সাথেই নির্ধারিত। এ অবস্থাগুলোতে খালেস ইসলামী দলসমূহ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য নেযামের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির স্থলে দল থেকে পলায়ন করার উপর বাধ্য হচ্ছে। এ আশঙ্কার কথা মাওলানা আমিন আহসান ইসলাহী ১৯৫৭ সালে মাছিগোটের ইজতেমায় আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কত দল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে মহান লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য; কিন্তু দলগুলো প্রতিষ্ঠা লাভের পর ধাপে ধাপে তা নিজেই স্বতন্ত্র একটি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে পরিণত হয়ে যাচ্ছে, আর আসল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।’আজ জামায়াতে ইসলামী (বিশেষকরে করাচীতে) নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সেক্যুলার শক্তিগুলোর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া থেকে পালাতে শুরু করেছে এবং গণতান্ত্রিক কাজকর্ম থেকেও পানাহ চাচ্ছে। এ বিষয়টি এ কথার প্রমাণ যে, কর্মীদের মধ্যে ইসলামের মজবুতী ও শাহাদাতের আগ্রহ নিঃশেষ হতে শুরু করেছে। যত দিন যাবে সেক্যুলারাইজেশনের কাজকর্ম জামায়াতে ইসলামীকে ততই একটি সাধারণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে থাকবে। চলমান প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর শক্তি বেড়েও যেতে পারে এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, তখন গণতান্ত্রিক কাজকর্ম ইসলামের নামে জায়েয হিসাবে জনসাধারণ সবাই মেনে নিবে। এ অর্থে নয় যে, হুকুমতে ইলাহী প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। কেননা, জনসাধারণের ইচ্ছার সাথে সম্পর্কিত বিধান আবশ্যকীয়ভাবে আল্লাহর ইবাদতকে নাকচ করে দেয়। যদি ইসলামী বিপ্লবকে স্থায়ী করতে হয় এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, যেন আমাদের শক্তি হুকুমতে ইলাহীর জন্য ব্যয় হয়, তাহলে আবশ্যকীয়ভাবে মাওলানা মওদুদী রহ. এর গবেষনার পূর্ণতা দানের প্রতি আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে। আর যদি হয় ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা , তাহলে তাকে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। যে ইসলামী রাষ্ট্রের নাম হচ্ছে খেলাফত, ইমারত, সালতানাত; কিন্তু গণতন্ত্র নয়। বাস্তবতা হল, গণতান্ত্রিক ধারায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব।জামায়াতে ইসলামীর জন্য এমন চেষ্টা-সাধনা শুরু করা দরকার, যার প্রভাবে বরং সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানসমূহও ইসলামী শাসনের অধীনস্ত হওয়ার যোগ্য হয়ে যাবে। ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা গতানুগতিক কোনো মতবাদের অনুসরণ করতে পারে না। না এই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা শুরু করার জন্য অন্য একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকা বা পাওয়া আবশ্যক। মসজিদ ভিত্তিক ইত্তেহাদ হচ্ছে এসব ইদারার ভিত্তি। জামায়াতে ইসলামীর এ কথাটি খুব ভালভাবে বোঝা দরকার যে, এর মূল সম্বোধিত ব্যক্তি জনসাধারণ নয়; বরং গোটা দেশের ইসলামী তানযীম ও ইদারাসমূহের কর্মীরা। ইসলামী বিপ্লব এ বিষয়ের দাবি রাখে যে, তার কর্মীদেরকে দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ মসজিদে সমাবেশ করবে এবং মহল্লা ও বাজারের প্রঙ্গনসমূহে আলোচনার মাধ্যমে এ শক্তিকে সেক্যুলার রাষ্ট্রীয় ইদারার পরিবর্তে মসজিদে স্থানান্তর করবে। এ পদ্ধতিকে ইসলামী বিপ্লবের কাজকর্মের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। শক্তির এ নতুন ধারায় আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর প্রভাব বিস্তার করে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে চাই।
          আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আবু হুরাইরাহ View Post
            কোনো আলেম কিংবা অভিজ্ঞ কোন ভাই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু লিখলে অনেক উপকৃত হতাম।
            গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দ


            পশ্চিমাদের বানানো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যেমনিভাবে কখনো পেশাবের মাধ্যমে ওযু হবে না। মোটকথা, নাপাকের মাধ্যমে যেমনিভাবে, পবিত্রতা হাসিল হবে না তেমনিভাবে, অনৈসলামিক ও পশ্চিমাদের বানানো কুফরী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেও কখনো ইসলাম কায়েম হবে না। যখন দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার দ্বীন বিজয়ী হবে তখন তা সেই একটি পদ্ধতিইে হবে যে পদ্ধতি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গ্রহণ করেছেন।

            (মুফতি নিযামুদ্দিন শামযায়ী রাহিমাহুল্লাহ)

            গণতন্ত্র এমন একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শ, জীবনব্যবস্থা তথা দ্বীন যা ইসলামের সাথে মৌলিকভাবে সাংঘর্ষিক। আদর্শিক ও প্রায়োগিকভাবে গণতন্ত্র কুফর ও শিরক। গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনভাবেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না।যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষেত্রেবিশেষে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ গণতন্ত্রকে অনুমোদন দিয়েছেন বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে, কিন্তু সাধারণত ঐতিহাসিকভাবে উলামায়ে দেওবন্দ গণতন্ত্রের বিরোধিতা করে এসেছেন। আর যেসব পরিস্থিতিতে বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করা শর্তসাপেক্ষে কেউ কেউ গণতন্ত্রকে বৈধতা দিয়েছিলেন, কোন ক্ষেত্রেই গণতন্ত্রের মাধ্যমে সেই স্বার্থগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সুতরাং নিজ সময়ের প্রেক্ষাপটে তাঁদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা সঠিক সিদ্ধান্তই নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বর্তমানে এবিষয়টি সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কোন সাময়িক এবং সীমিত স্বার্থ অর্জনের জন্যও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা অর্থহীন, এবং দীর্ঘমেয়াদে চরম ক্ষতির কারণ।দুঃখজনকভাবে সত্যপথ থেকে বিচ্যুত, ইরজা ও আপোসকামিতা দ্বারা কলুষিত এবং চিন্তার দিক দিয়ে বিভ্রান্ত নব্য দেওবন্দিরা গণতন্ত্রকে উলামায়ে দেওবন্দের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাচ্ছে। উলামায়ে দেওবন্দকে অজুহাত হিসাবে দাড় করিয়ে বৈধতা দিতে চাচ্ছে গণতন্ত্রের পদ্ধতি গ্রহণের। তাদের নানা ধরণের হেয়ালিপূর্ণ কথার ফুলঝুড়িতে কিছু ভাইদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশা দূর করার জন্য গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দের বিভিন উক্তির সংকলন করা হয়েছে এই পুস্তিকায়। আশা করি আগ্রহী পাঠক এ থেকে উপকৃত হবেন।


            আবু হুরাইরাহ ভাই আপনি এখান থেকে ডাউনলোড করুন।

            গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দ ।

            1/ https://www.scribd.com/document/3841...inst-Democracy

            2/http://www.mediafire.com/file/59hn24j9my2mwfl/Deoband_democracy_pdf.pdf

            3/https://mega.nz/#!Gf4zFIzL!Qgs8Ck3HwjJcUKt62uJctLZww9MX0ExvMPJAC6Q WyAk

            আবু হুরাইরাহ ভাই আপনি ইস্তেখারা করিয়া দেখতে পারেন যে, আপনার জন্য তাকে দাওয়াত দেওয়া ভালাই হবে নাকি না দেওয়া ভালাই হইবে। হে আল্লাহ ভাইকে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন।
            আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

            Comment


            • #7
              আখি,এ বিষয়ে ফোরামে যে লেখাগুলো এসেছে সেগুলো কমেন্ট বক্সে আপনাকে কপি পেস্ট করে দিচ্ছি।লিংক দেওয়ার নিয়ম আমার জানা নেই তাই লিংক দিতে পারছিনা।
              প্রথমে -সাইয়েদ কুতুব রহ: এর একটি লেখা,তাহরীদ মিডিয়ার ভাইয়েরা অনুবাদ করেছেন।

              দ্বীন যার, প্রতিষ্ঠা পদ্ধতিও তার - সাইয়্যেদ কুতুব রাহিঃ

              দ্বীন যার, প্রতিষ্ঠা পদ্ধতিও তার

              সাইয়্যেদ কুতুব রাহিঃ

              সালাত আদায় যেমন আল্লাহর বিধান, নামাজ আদায়ের পদ্ধতিটাও তার প্রনীত। মুল নামাজের যেমন বিকল্প ব্যবস্থা নাই। ঠিক তেমনি ভাবে সালাত আদায়ের পদ্ধতির মধ্যেও বিকল্প ব্যবস্থার কল্পনা করা যায় না। এবং এর ব্যতিক্রম হলে সেই নামাজ বাতিল বলে গন্য হবে। ঠিক তেমনি ভাবে আল্লাহ তায়ালা দ্বীনকে বাস্তব মডেল হিসাবে আমাদের সামনে উপস্থাপনের মাধ্যমে এ নীতি চূরান্তভাবে নির্ধারন করে দিয়েছেন। তাই অন্য কোন নিয়ম-পদ্ধতি, রীতি নীতি এখানে গ্রহনযোগ্য নয় এবং তার দ্বারা এ দ্বীন পুন:প্রতিষ্ঠিত হওয়াও সম্ভব নয়।

              ভালো করে বুঝতে হবে যে, আকিদা বিশ্বাস ও সমাজ পরিবর্তন করা যেমন দ্বীনের উদ্দেশ্য তেমনি এ আন্দোলনের পদ্ধতি পরিবর্তন না করাও এ দ্বীনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এদ্বীন তার নিজস্ব আকিদা বিশ্বাসের ছাঁচে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত উম্মাহ গড়ে তোলে। এ জীবনব্যবস্থা মানুষের উপর মূহুর্তেই বিরাট এক নীতির বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাকে বিব্রত করতে রাজি নয়; বরং তাদের চিন্তা-চেতনা ও কর্মধারায় মানবীয় প্রকৃতির সাথে সংগতি রেখে যতটুকু পরিবর্তন সহনীয় ততোটুকু বিধান প্রয়োগ করে। তাই আকিদা সংশোধন করা আর কর্মজীবন সংশোধন করাকে ইসলাম কোন পৃথক কর্মসূচী মনে করে না, বরং একই সাথে উভয় দিকটি সংশোধন করে।

              আমাদের প্রত্যেকের জানা উচিত যে, ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য ইসলামের রয়েছে সম্পুর্ন নিজস্ব কর্মপদ্ধতি। এ পদ্ধতি সকল দিক থেকে বাস্তবসম্মত, ফলপ্রসূ, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও চিরস্থায়ী। এ শাশ্বত দ্বীনের সুনির্ধারিত অন্যান্য বিধিবিধানের যেমন কোনো পরিবর্তন নেই, তেমনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মপদ্ধতিরও কোনো পরিবর্তন নেই। এ কর্মপদ্ধতির মৌলিক দিকগুলো বিশেষ কোনো যুগ, দেশ বা পরিবেশের জন্য তৈরি করা হয়নি বরং সকল যুগ, দেশ ও পরিবেশে একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এ শুধু সাহাবায়ে কেরামের জন্য নির্ধারিত একটি মডেল না।

              তাই যখন যে ভুখন্ডে দুনিয়ায় কোনো মানবগোষ্টি দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু করবে, তাদেরকে এ নীতিই গ্রহন করতে হবে।গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র নামে জাহেলী কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে দ্বীন প্রতিষ্ঠা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। অন্য কোনো ব্যাপারেও যেমন মানবরচিত মতবাদের সাথে ইসলামের কোনো সামঞ্জস্য নেই, তেমনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অন্য কোনো জীবনব্যবস্থার পদ্ধতির সাথে ইসলামি পদ্ধতির জোড়া-তালি ফলপ্রসূ নয়। এবং তার কোনো প্রয়োজনও নেই। কারণ, মানবরচিত মতবাদ সর্বদাই সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মানুষকে পরিমাপ করে।

              আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহর দেয়া পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে জাহেলী সমাজ পরিবর্তন কখনো সম্ভব হবে না। আমরা ইসলাম কিভাবে গ্রহন করলাম- তার সাথে ইসলামের কল্যান পাওয়া না পাওয়ার বিরাট সম্পর্ক রয়েছে; বরং এর উপরই নির্ভর করে দ্বীনের শাশ্বত কল্যান। আমরা লাভ করতে পারবো, নাকি তা থেকে বঞ্চিত হবো!

              আমরা যদি ইসলামকে নিছক পাণ্ডিত্যপূন্য একটি মতবাদ হিসাবে গ্রহন করি, জ্ঞানগর্ভ পংতি আওড়িয়ে মজলিস গরম করি বা মানুষকে বিস্মিত করার জন্য আসমানি গ্রন্থ অধ্যায়ন করি তাহলে আল্লাহপ্রদত্ব বিপ্লবী ধারাকে দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবো। এর মাধ্যমে আমরা এটাই বুঝাতে চাই যে, মানবজাতির সংস্কারের জন্য আল্লাহপ্রদত্ত পদ্ধতির চেয়ে মানুষের বানানো পদ্ধতিগুলো বেশি কার্যকর ! মানুষের বানানো প্রদ্ধতিকে সংশোধন করে আল্লাহর দ্বীনের পদ্ধতির সমপর্যায়ে উন্নিত করতে চেষ্টা করে। এধরনের চিন্তা চেতনা আল্লাহর দ্বীনের সাথে কত মারাত্নক বিদ্রুপ তা কলমের ভাষায় বুঝানো সম্ভব নয়।

              এটা দীর্ঘদিন বিজাতীদের শাসনাধীন থাকায় গড়ে উঠা পরাজিত মানষিকতার নগ্ন বহি:প্রকাশ। তবে হ্যাঁ এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইসলামী আদর্শ প্রচার করা, লিখনী শক্তির মাধ্যমে এর বিধিবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করা; এগুলো ইসলামেরই কাজ বটে। কিন্ত এটাও মনে রাখতে হবে এ গুনকীর্তন ও নিছক প্রচারনার দ্বারা কখনো সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এ জন্য বাস্তব সংগ্রামের বিকল্প নেই।

              মনে রাখতে হবে ইসলামি সাহিত্য, আলোচনা ও ওয়াজ নচিহত দ্বারা শুধু দ্বীন প্রতিষ্টার সংগ্রামে নিয়োজিত মুজাহিদরাই উপকৃত হতে পারে। তাত্তি্ক আলোচনা সাধারন মানুষের ততটা ফলপ্রসূ হয় না। তাই ইসলামের মৌলিক আকিদাহ গ্রহন করা ও মৌলিক হুকুম-আহকাম পালন করা যতোটা অপরিহার্য, দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত ও রাসুল সা: জীবনে উপস্থাপিত পদ্ধতি অবলম্বন করাও ততোটা আবশ্যকীয়। তাই তো আল্লাহ পাক বলেনঃ { অবশ্যই এ কুরআন এমন এক পথের দিক নির্দেশনা দেয়, যা অতি (সরল) ও মজবুত এবং যে সব ঈমানদার মানুষেরা নেক আমল করে, এ কুরআন তাদেরকে এ সু-সংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য আল্লাহর নিকট রয়েছে এক মহা পুরস্কার। (সুরা বনী ইসরাইল: ৯) }।

              Comment


              • #8
                Originally posted by তানভির হাসান View Post
                সম্মানিত আলেম ভাইয়েরা বিষয় টা লক্ষ করলে ভালো হইত!


                প্রিয় আবু হুরাইরাহ ভাই!
                আপনি তাকে সায়েখ আসেম ওমর হাফিযাহুল্লাহ এর লিখিত একটি কিতাব আছে, ( দুটি জীবনব্যবস্হার লড়াই, ইসলাম ও গণতন্ত্র) কিতাব পড়ান আর, সায়েখ আবু ইমরান হাফিযাহুল্লাহ এর বয়ান সুনান, আর তার জন্য দুয়া করেন ইন্শাআল্লাহ ভাইয়ের বুঝে আসবে।
                এগুলোর পাশাপাশি আব্দুল হাদী আদনান দা:বা: এর লেখা গ্রীক দেবতার মন্দিরে গ্রীক দেবীর মূর্তি,শায়েখ যুবায়ের হুসাইন হাফি: এর লেখা দারুল উলুম দেওবন্দের শত্রু-মিত্র বই থেকে খিলাফাহ ও গণতন্ত্র অংশটি এবং মাওলানা আবু মুসআব লিখিত "অতিজজবাতি তরুণ" বইটি পড়তে দিতে পারেন।ibne taymia ভাইয়ের পোস্টকৃত "অনুনয় বিনুনয় নয়,সশস্ত্র সংগ্রামই উত্তরণের পথ" লেখাটাও এ বিষয়ে মুফিদ হবে ইনশাআল্লাহ।আবু আনওয়ার আল হিন্দী দা:বা: এর "একটি কৌশলগত পর্যালোচনা" এবং বালুর প্রাসাদ:জামাতে ইসলামের বিভ্রান্ত মাননহাজ শিরোনামের লেখাগুলোও দেখতে পারেন।
                সবচেয়ে ভাল হবে যদি আরবী জানা থাকে তাহলে শায়খ উসামার রহ:" তাওজিহাতুন মানহাজিয়্যা" শিরোনামের বক্ত্রতাগুলো শোনানো বা এর লিখিত রূপ বইগুলো পড়ানো।মিম্বারুততাওহিদ ওয়াল জিহাদে পাবেন ওটা।১-৩ পর্ব।

                Comment


                • #9
                  যদি "বালুর প্রাসাদ মানহাজ"দিয়ে দ্বীন কায়েম করা সম্ভব হতো তাহলে.....

                  অনেক ইসলামী রাজনৈতিক দল
                  মনে করে গণতন্ত্রের মাধ্যমে রাস্ট্রক্ষমতা দখল করবে,তারপর ধীরে ধীরে পরিবর্তন ঘটিয়ে ইসলাম কায়েম করে ফেলবে।তারা আরো মনে করে যে আগে রাস্ট্রক্ষমতা দখল,তারপর খিলাফাহ এবং শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা।ক্ষমতা দখল করার আগ পর্যন্ত জিহাদ মাফ,ওয়ালা বারা মাফ,তাওহীদের দাওয়াত মাফ,শিরকি ব্যবস্হায় অংশগ্রহণের গুনাহ মাফ।ইসলামী হুকুমত কায়েমের উদ্দেশ্যে কুফরী সংবিধান রক্ষার শপথ নেওয়াও হালাল,গাইরুল্লাহর বিধানে পরিচালিত ব্যবস্হায় যুক্ত হওয়া,কুফরী আইনের দ্বারস্হ হওয়া
                  সব কিছুই হালাল।তারা মনে করেন দ্বীন কায়েমের মহৎ উদ্দেশ্যে তাওহীদ নিয়ে এসব শিথিলতা কোন সমস্যা না,বরং এই শিথিলতা করতে করতেই একদিন রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে এসে পড়বে,তখন না হয় পুরোপুরি দ্বীন কায়েম করে ফেলব।
                  তারা একবারও ভাবেন না এভাবে তাওহীদের ব্যাপারে শিথিলতা করে ইসলামবিরোধী পদ্ধতি অবলম্বন করে গণতন্ত্র দিয়ে যদি দ্বীন কায়েম করে ফেলা সম্ভব হতো তাহলে...
                  -১.যখন উতবা ইবনে রবিআ সমগ্র কুরাইশের প্রতিনিধি হয়ে রাসুল সা: এর কাছে এসে বলেছিল-তুমি কি চাও?যদি সম্পদ চেয়ে থাক তাহলে আমরা তোমাকে সবচে বড় সম্পদশলী বানিয়ে দিব..যদি সম্মান চাও আমরা তোমাকে সর্দার মেনে নিব.. যদি রাজত্ব চাও তাহলে সারা আরবের রাজত্ব তোমাকে দিয়ে দিব...
                  যদি গণতন্ত্রের মতো ব্যবস্হা গ্রহণ করে আল্লাহর বিধানে শিথিলতা করে দ্বীন কায়েম করে ফেলা সম্ভব হতো তাহলে রাসুল সা: সাময়িকভাবে তাওহীদের দাওয়াত গোপন রেখে রাজত্ব কেন গ্রহণ করলেননা?এরপর ধীরে ধীরে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে দ্বীন কায়েম করে ফেললেই তো হতো!
                  ২-যদি গণতন্ত্রের মতো শিরকী ব্যবস্হায় অংশগ্রহণ করে দ্বীন কায়েম করে ফেলা যেত তাহলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হুজাফা আসসাহমীকে যখন রোমের বাদশা বন্দী করে বলেছিল-খ্রিষ্টান হও,আমার অর্ধেক রাজত্ব তোমাকে দিব,না হলে গরম তেলে তোমাকে নিক্ষেপ করব..
                  যদি গণতন্ত্রের মতো শিরকি ব্যবস্হার অংশ হয়ে দ্বীন কায়েম করা যেত তাহলে তিনি মৌখিকভাবে কুফরি কথার ভান করে রোমের রাজত্বে শরীক হয়ে যেতেন..(যেহেতু প্রাণনাশের হুমকির কারণে তাঁর জন্য সেটা জায়েয ছিল)তারপর না হয় ধীরেধীরে পুরো রোমকেই ইসলামী রাস্ট্র বানিয়ে ফেলতেন!কিন্তু রোম এভাবে বিজয় হয়নি,যতটুকু বিজয় হয়েছে শহীদদের রক্তের বিনিময়েই হয়েছে।
                  ৩-যদি একটা রাষ্ট্রপ্রধানের পদ লাভ করতে পারলেই দ্বীন কায়েমের পথ উন্মুক্ত হয়ে যেত (যদিও সেখানে দ্বীনের অন্যান্য সব বিধান পালন করা সম্ভব না হয়,এবং দ্বীনের অনেক "মাদনী আহকামের" ব্যাপারে শিথিলতা করতে হয়)তাহলে রাসুল সা: হাবশায় হিজরত করা সাহাবীদেরকে দ্বিতীয়বার হিজরত করিয়ে মদীনায় ফিরিয়ে আনতেন না।বরং
                  মদীনার সব সাহাবীদেরকে নিয়ে হাবশায় রওয়ানা দিতেন।অথবা কমপক্ষে হাবশার সাহাবীদেরকে সেখানেই থেকে যাওয়ার অনুমতি দিতেন।যেহেতু তখন হাবশা ছিল তখনকার যুগের পরাশক্তিগুলো কতৃক স্বীকৃত রাষ্ট্র,আর মদীনা ছিল আজকের তালেমবানের আফগান আর আশশাবাবের সোমালিয়ার মতো তৎকালীন "জাতিসংঘ" ও পরাশক্তিদের কাছে স্বীকৃতিবিহীন রাস্ট্র।তারপরো আল্লাহর রাসুল সা: মদীনায় থেকে জিহাদ কিতাল ও তাওহীদের দাওয়াতের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের পথকেই বেছে নিয়েছেন।
                  আল্লাহর বিধানের উপর অটল থাকতে গিয়ে তথাকথিত হেকমত মাসলাহাত বর্জন করার কুরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবাজীবন থেকে হাজারো দেয়া যাবে।কিন্তু আমরা এ উদাহরণগুলো উল্লেখ করলাম যেখানে প্রতিক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শিথিলতার বিনিময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের সুযোগ....
                  এভাবে দ্বীন কায়েমের স্বপন দেখা শরীয়তসম্মত কিনা সে প্রশন যদি নাও করি, বরং বাস্তবসম্মতও যদি হতো...
                  আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন।আমীন।

                  Comment


                  • #10
                    আখি ফিল্লাহ,, এ বিষয়ে মানহাজ ফোরামে হয়তো আরো লেখা পেয়ে যাবেন।একটু খোঁজাখোঁজি করে দেখুন।
                    Last edited by abu hatem ar razi; 10-27-2018, 07:47 PM.

                    Comment


                    • #11
                      বাংলা || ইসলাম ও গণতন্ত্র – মাওলানা আসিম উমর হাফিজাহুল্লাহ।

                      এখান থেকে ডাউনলোড করুন।
                      আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

                      Comment


                      • #12
                        প্রিয় ভাইয়েরা আমার,, আমার মত পাপী ও তুচ্ছ একজন বান্দাকে আপনারা এভাবে সাহায্য করবেন তা আমার ধারণায় ছিলনা। আল্লাহ আপনাদের সবাইকে কবুল করুক এবং জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুক। আমিন।

                        Comment


                        • #13
                          ان الحمد لله والصلاة والصلاة والسلام علي رسول الله وعلي اله و أصحابه أجمعين
                          গনতন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে কুরয়ান দিয়ে দেশ পরিচালনার দাবিদার অনেক। কিন্তু বিষয়টি খুবই অযৌত্তিক।এ দাবীদাররা হয়ত এ বিষয়ে অজ্ঞ নয়ত জেনে-বুঝে মানুষকে গোমরাহ করার কাজে লিপ্ত।এ বিষয়ে অনেক কথা আছে।সব কথা বলার সুযোগ নেই। বাস্তবতার আলোকে কিছু কথা বলব ইনশাআল্লাহ।যা আশা করি সবার বোধগম্য হবে ইনশাআল্লাহ ।(বিশেষভাবে বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক দলগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এ আলোচনা,এ কারনে এখানে বাংলাদেশ সংবিধান থেকে আলোচনা আসবে বুঝানোর সুবিধার্থে)।
                          পুরো পোস্ট ধর্য্য সহকারে খেয়াল করে পড়ার অনুরোধ রইল। খেয়াল করে না পড়লে বুঝে না ও আসতে পারে।
                          *কুরয়ানী আইনে দেশ পরিচালনা বলতে আমরা বুঝি সব বিষয়ে আইন কুরয়ান-সুন্নাহর হওয়া।ও কুরয়ান সুন্নাহর বিপরীত কোন আইন না থাকা।এখানে আইন হবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার।এর বিপরীতে কারো আইন হবেনা।আর আল্লাহর আইন দেওয়াই আছে। এর জন্য আবার আলাদা সংবিধান বানাতে হবেনা।
                          *বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান কুফুরী (অন্য সব দেশেরটা ও কুফুরী)।এখানে আল্লাহর আইন নেই। মানব রচিত আইনে এ সংবিধান রচিত।এটা ইসলামী সব গনতান্ত্রিকই স্বীকার করবে।
                          *তাহলে এখন ফলাফল দাড়াচ্ছে, বর্তমান সংবিধান কুফুরী আর গনতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় এসে এ সংবিধান বাদ দিয়ে কুরয়ানের আইন কায়েম করবে। কারন এ সংবিধান থাকলে কুরয়ানী আইন প্রতিষ্ঠা হলোনা।যেহেতু সংবিধান কুরয়ানী আইনের বিপরীত।তাই এটিকে বাদ করতে হবে।
                          * এখন আমরা দেখব গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার চেয়ার দখল করে সংবিধান বা সংবিধানের কোন বিধান কেউ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে কিনা?যদি কেউ অন্য পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সংবিধানে তার ব্যাপারে কি বলা হয়েছে?
                          *সংবিধানের বিধানগুলো ২ প্রকার।১-মৌলিক। যেগুলো কোনভাবে পরিবর্তন করা যাবেনা।২-যেগুলো মৌলিক নয়।বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যাবে।
                          সংবিধানেরদশম ভাগের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সংবিধানের মৌলিক নয় এমন বিধানগুলো কিভাবে পরিবর্তন করা যাবে।
                          সেখানে বলা হয়েছে , সংবিধান সংশোধনের জন্য বিল জমা দিতে হবে, বিলে কোন বিধান সংশোধন করতে হবে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। স্পষ্ট করে উল্লেখ না থাকলে এ বিল গ্রহন করা হবেনা।বিল গ্রহন করা হলে এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের ভোট হবে ও সর্বনিন্ম ৩ ভাগের ২ ভাগ সংসদ সদস্য এ বিলের পক্ষে ভোট দিতে হবে।যদি এর কম ভোট বিলের পক্ষে হয় তাহলে এটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেনা।ও সংবিধানের সে বিধান পরিবর্তন হবেনা।যদি এ পরিমান সংসদ সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে এটি রাষ্টপ্রতির কাছে যাবে সে ৭ দিনের মাঝে এ বিল মঞ্জুর করবেন। তাহলে সে বিধান পরিবর্তন হবে।
                          *এখানে আমরা দেখলাম কিভাবে সংবিধানের অমৌলিক বিধান পরিবর্তন করা যাবে।
                          এখন আমরা দেখব সংবিধানের মৌলিক বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা। এ ব্যাপারে সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭ এর খ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
                          “১৪২ নং অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন কিছু বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা এর মাঝে আছে প্রথম,২য় ও ৩য় ভাগের সকল বিধান ও একাদশ ভাগের ১৫০ নং আনুচ্ছেদ সহ অন্যান্য মৌলিক বিধান”
                          *তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম সংবিধানের বিধান ২ ধরনের। ১-মৌলিক যা অপরীবর্তনীয়।এ অপরীবর্তনীয় বিধানের মাঝে প্রথম ও ২য় ভাগের বিধান ও অন্তর্ভুক্ত।
                          ২-অমৌলিক। যেগুলো পরিবর্তন করা যাবে ১৪২ অনুচ্ছেদে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে।
                          *এখন আমরা দেখব যে বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা সে বিধানগুলোর মাঝে কি কি বিধান রয়েছে।সেখানে কোন কুফরী বিধান আছে কিনা?
                          এখানে অনেক কুফরী বিধান আছে আমি মাত্র ২ টি উল্লেখ করব।
                          সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭ এর ১ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন।
                          ৭ এর ২ অনুচ্ছেদে আছে এই বাংলাদেশের সংবিধান প্রজাতন্ত্রের মানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
                          *২য় ভাগে ৮ এর ২ নং অনুচ্ছেদে আছে গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষবাদ,জাতীয়তাবা দ এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পরিচালনার মূলোনীতি।
                          *তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম এ সংবিধানের যে সকল বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেগুলোর মাঝে রয়েছে বড় বড় কুফর।

                          **এখন ইসলামী গনতান্ত্রিকদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা গনতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে কি গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংবিধান পরিবর্তন করবেন নাকি ক্ষমতার মাধ্যমে?
                          যদি বলেন গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে যেভাবে চলে সেভাবে করব তাহলে আমি বলি, যে সংবিধানের শপথ নিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন সে সংবিধানেই লিখা আছে এভাবে করতে পারবেন না।এভাবে সংবিধানের কুফরী আইন পরিবর্তন করা যাবেনা।
                          আর যদি বলেন যে, না আমরা ক্ষমতায় গিয়ে একসাথে সব কুরয়ানী আইন কায়েম করব এ সংবিধান বাদ দিব।সংবিধানের সব আইন বাদ দিব তাহলে ও আমি বলি আপনারা এমন করতে পারবেন না।
                          কেননা যখন এমন করবেন তখন আপনারা এ সংবিধানের বিরুদ্ধে চলে গেলেন অথচ ক্ষমতায় আসার আগে কিছুক্ষন আগে মাত্র এ সংবিধান মনে প্রানে গ্রহন করেছেন এ কথা বলে সংবিধানের শপথ নিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসেছেন।
                          তখন মনে রাখতে হবে এ সংবিধানের শপথ কিন্তু আপনি একা নেননি।আপনার সাথে দেশের সব সরকারী বাহিনীর লোকেরা ও এর শপথ নিয়েছে।আর আপনারা যখন গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যাবেন বাংলাদেশের ৩০০ আসন কিন্তু আপনারাই পাবেন না। কিছু আসনে আওয়ামী,বি এনপির লোক ও থাকবে। তারা ও কিছু এ সংবিধানের শপথ নিয়েছে।
                          যখন আপনি হঠাত করে সংবিধান বাতিল করবেন কিভাবে করবেন?আপনার সাথের অন্যদলের সংসদ সদস্যরা তখন কি করবে। তাদেরকে কিভাবে দমন করবেন?আপনি ভালো মানুষ একদিনে ক্ষমতায় এসে আল্লাহর আইন প্রতিষঠা করলেন কিন্তু যে সেনাবাহিনী এ সংবিধানের শপথ নিয়েছে তারা তো সবাই ভালোনা।তাদেরকে কিভাবে হাত করবেন? তারা কি আপনাকে ছেড়ে দিবে আপনি সংবিধান পরিবর্তন করলে?
                          কখনো ছেড়ে দিবেনা।তখন তারা আপনাকে ক্ষমতার চেয়ার থেকে নামিয়ে দিবে ও আপনার ফাসির রায় হবে।কেননা আপনি সংবিধান বাতিল করে দিয়েছেন বে আইনী পদ্ধতিতে।এভাবে সংবিধান বাতিল করলে আপনার এ শাস্তি হবে এটার শপথ নিজেই নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।
                          এটার দলীল কি? এটার দলীল কুফরী সংবিধানে আছে।
                          সনবিধানের ৭ এর ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে অসাংবিধানিক কোন পন্থায় কোন ব্যক্তি যদি এ সংবিধানের কোন বিধানের প্রতি জনগনের ভক্তি নষ্ট করে,বা এ সংবিধান বাতিলের উস্কানি দেয়।বা কেউ বাতিল করতে চায় কেউ তাকে সমর্থন করে বা এ জাতীয় কোন কাজের প্লান নেয় এটা জানতে পারলে যারা এ কাজে জড়িত সবার ফাসি হবে। তারা ফাসির যোগ্য।
                          যদি সংবিধানের কোন বিধান অসাংবিধানিক পন্থায় বাতিল করার প্লান ও এটাকে সমর্থন একজন লোককে ফাসির অপরাধী বানিয়ে দেয়। তাহলে আপনি যখন এত বড় অপরাধ করবেন(সংবিধানের দৃষ্টিতে)সংবিধানই বাতিল করে ফেলবেন তাহলে আপনাকে কি ছেড়ে দেওয়া হবে?
                          তখন আপনাকে রক্ষা করবে কে?
                          যদি বলেন সেনাবাহীনীকে আমরা আমাদের পক্ষে নিয়ে আসব তাহলে বলব এটা সম্ভব নয়। কারন তারা প্রথমেতো সংবিধানের শপথ নিয়েছে দ্বিতীয়ত তারা বিদেশের চাপে আপনাকে নামিয়ে দিবে।
                          *আর যদি বলেন আমাদের নিজস্ব লোক আমরা সেনাবাহীনীতে ঢুকাব যারা খারাপ তাদেরকে বাদ দিব তাহলে গনতান্ত্রিক অন্যান্য দল আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। বিদেশ থেকে আপনাদেরকে চাপ দিবে।অন্য গনতান্ত্রিক দলের মাধ্যমে আপনার সাথে যুদ্ধ বাধাবে।বিদেশ থেকে তাদেরকে সাহায্য করবে। তখন কি করবেন? হয়ত তখন ক্ষমতা ছাড়তে হবে নয়ত যুদ্ধ করতে হবে। আর আপনারা যুদ্ধ কিভাবে করবেন তখন ? করলে তো এখনই করতেন।
                          তাহলে কিভাবে আপনি এমন স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতায় গিয়ে কুরয়ান কায়েম করবেন? আপনি হয়ত অজ্ঞ না হয় ধোকাবাজ।
                          *এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার আপনারা যে সংবিধানের শপথ নিয়ে আছেন সে সংবিধানে যা আছে সবকিছুই আপনারা মেনে নিয়েছেন। এ কারনে কেউ সংবিধানের পন্থা ছাড়া ভিন্ন কোন পন্থায় এ সংবিধানের কোন বিধান বাতিল করতে চাইলে তাদেরকে ফাসি দিতে হবে তাদের এ নীতির সাথেও আপনি একমত।
                          তাহলে ফলাফল দাড়াচ্ছে একদিকে বলছেন আমরা ইসলাম কায়েম করব এ সংবিধান বাতিল করব। অপরদিকে বলছেন যারা এ সংবিধান বাতিল করবে এ সংবিধানের বিপরীত কোন কিছু কায়েম করতে চাইবে তাদেরকে ফাসি দিতে আমরা প্রস্তুত।তাদেরকে আমরা ফাসি দিব।
                          এ কেমন দ্বিমুখী আচরণ আপনাদের?
                          যদি আপনি এ দ্বিমুখী আচরন না বুঝে করেন তাহলে এ ব্যাপারে অজ্ঞ। আর বুঝে করলে ধোকাবাজ।

                          আল্লাহ তায়ালা আমদেরকে বুঝার তৌফিক দিন।আমিন।

                          বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সংবিধানের লিখাগুলো আমি সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লিখেছি বুঝানোর জন্য ও সময়ের অভাবে।
                          এ কারনে সংবিধানের পিডিএফ লিংক দিয়ে দিলাম। যাদের ইচ্ছা নামিয়ে যে অধ্যায়গুলো বললাম দেখে নিতে পারেন।
                          (লিংক ডিলেট করা হলো)

                          Comment


                          • #14
                            সংবিধানের পিডিএফ লিংক দেওয়া হল

                            Comment


                            • #15
                              আমরা যেনো ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ইতিহাস ভুলে না যায়। তারাও কিন্তু ভোটে জিতে ক্ষমতায় গিয়েছিল, মাস খানেকও কিন্তু টিকতে পারেনি, ত্বাগুত সেনাবাহিনী তাদের ক্ষমতা চিনিয়ে নিয়েছে।
                              والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                              Comment

                              Working...
                              X