সারা দুনিয়ার সমস্ত কাফের এবং মুরতাদ মৌলিক ভাবে এবং আদর্শগত ভাবে এক, যদিও তাদের মধ্যে বাহ্যিক ভিন্নতা থাকুক না কেন। আল্লাহ বলছেন, কাফের রা পরস্পরের আউলিয়া। কাফেরদের এই সম্মিলিত যুদ্ধ যে শুধু সামরিক ভাবে তাই নয়। বরং এই যুদ্ধের অনেক বড় একটা অংশ হচ্ছে ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড বা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। অর্থাৎ মুজাহিদিন দের সাথে তো যুদ্ধ চলছেই আর এর বাইরে যে সব সাধারন মুসলিম রয়ে গেছে তাদেরকেও তারা এই যুদ্ধের বাইরে রাখেনি।
তবে কথাটা আমি যত সহজে বলে দিলাম বাস্তবে পুরা বিষয় টা অত সহজ না। ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড, সাইঅপ্স (PSYOP -Psychological Ops), প্রোপাগান্ডা যাই বলেন না কেন সব একই জিনিষ। আজকের আলোচনার জন্য আমরা ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড কে প্রোপাগান্ডা নামে সামনে আগাবো ইনশা আল্লাহ।
প্রোপাগান্ডা শুধু মাত্র আজকের সময়ের জন্য আলোচিত এমন না, বরং এর ব্যাবহার অনেক প্রাচীন। মজার ব্যাপার হচ্ছে আজ পর্যন্ত যা পরিবর্তন হয়নি তা হচ্ছে প্রোপাগান্ডার ব্যাবহার। প্রপাগান্ডা ব্যাবহার হত যুদ্ধের ময়দানে। যদিও এখন যুদ্ধের বাইরেও কোন কোন ক্ষেত্রে প্রোপাগান্ডা ব্যাবহার হয় যেটা আমাদের আলোচ্য না। প্রপাগান্ডার একটি প্রাচীন উদাহরন আমরা দেখি। সেটি হচ্ছে পারাস্য সম্রাজ্যের সাথে প্রাচীন মিশরীয় সম্রাজ্যের যুদ্ধের সময় পারস্য বাহিনীর যুদ্ধের সময় বিড়াল সহ বিভিন্ন পশু ব্যাবহার। কারন তারা জানত মিশরীয়রা তাদের বিভিন্ন বিশ্বাসের কারনে বিড়াল বা এরকম প্রানী হত্যা করতে পারবে না বা যুদ্ধের ময়দানে এটা তাদের কে দ্বিধান্বিত করে ফেলবে। একই ভাবে যুগে যুগে যুদ্ধের সময় প্রোপাগান্ডার ব্যাবহার অসংখ্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম ওয়ার, গালফ ওয়ার, ডেজার্ট শিল্ড, ইন্তিফাদা সহ সমস্ত বড় বড় ওয়ারফেয়ারে প্রোপাগান্ডার উপস্থিতি বিস্ময়কর! যুদ্ধের একটি অন্যতম কৌশল হচ্ছে শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেয়া। বিভিন্ন ভাবে এটি করা হয়। তবে এটি করার সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ উপায় হচ্ছে একটি সফল প্রোপাগান্ডা কৌশল। এতকথা বলার পিছনে আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা এটি মাথায় গেথে নেন, যুদ্ধ এবং প্রোপাগান্ডা একটি আরেকটির সাথে জড়িত। একটি তীর এর কাজ যেমন বিদ্ধ করা, ঘায়েল করা, প্রোপাগান্ডা এমন একটি তীর, যার কাজ বিদ্ধ করা, ঘায়েল করা। পার্থক্য হচ্ছে একটি শারীরিক আরেক টি মানসিক। হ্যা, দুটির মধ্যে আরেক টি বড় পার্থক্য আছে। তা হচ্ছে প্রথম টি আপনি বুঝতে পারবেন, দেখতে পারবেন এমন কি প্রতিহত ও করতে পারবেন তবে দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আপনি খুব সম্ভব বুঝতেই পারবেন না যে এটি একটি তীর এবং সেটা আপনাকে হত্যা করার জন্যই!
যা বলছিলাম - তবে কথাটা আমি যত সহজে বলে দিলাম বাস্তবে পুরা বিষয় টা অত সহজ না। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে সারা দুনিয়া আজ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত। কিন্তু কাফেররা যত ধনীই হোক আর যত অস্ত্রই তাদের থাকুক না কেন এ কাজটি এত সহজ না। কারন যুদ্ধ অর্থ কে নিঃশেষ করে মরুভুমি যেভাবে পানিকে শোষণ করে সেভাবে। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে - সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েও যে আপনি শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নাই। কারন মডার্ন ওয়ারফেয়ার অনেক বদলে গেছে। এখন জয় পরাজয়ের সংজ্ঞা অনেক জটিল! যেমন একটি উদাহরন দেই, ভিয়েতনাম ওয়ারে ভিয়েতনামের মাটিতে অ্যামেরিকান সোলজাররা হয়ত বিজয়ী বা বিজয়ী হতে পারত, কিন্তু অ্যামেরিকান রা নিজেদের মাটিতে নিজেদের জাতির কাছে পরাজিত হয়ে গেছিলো। কারন তাদের নিজেদের জাতি শেষ দিকে ভিয়েতনামে তাদের সেনাবাহিনির এই জুলুম কে চিনতে পেরেছিল এবং তারা এর প্রতিবাদ করেছিল। এই বিষয় গুলো এজন্য সামনে নিয়ে আসা যেন আমরা যথা সম্ভব পুরা বিষয় টার একটা বড় ছবি সুস্পষ্ট ভাবে দেখতে পারি, কারন প্রোপাগান্ডা বিষয় টাই অনেক ব্যাপক।তাহলে আগের কথা ফিরে আসি নিঃসন্দেহে কাফের রা এক মহাযুদ্ধে ব্যাস্ত আছে। এটা সহজ নয় কিংবা কখনই সম্ভব ছিলোনা এই প্রোপাগান্ডা বা টেকিং কন্ট্রোল অভার হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড ছাড়া।
সহজ ধরে নেন, কাফের রা এভাবে চিন্তা করলো - আচ্ছা এত যুদ্ধ করার কি দরকার? যুদ্ধ টা কিসের জন্য? কিসের সাথে? একটি আদর্শের সাথে। একটি বিশ্বাসের সাথে। আর সেই আদর্শ বা বিশ্বাসের নাম হচ্ছে ইসলাম। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ নোট যে, প্রতিটি যুদ্ধের পেছনে থাকে একটি আদর্শের প্রচার, বিস্তার বা জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া। আর এটা আল্লাহ ও বলেছেন, ভাবার্থে, তাদের (কাফেরদের) শত্রুতা আপনার সাথে (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নয় বরং তাদের শত্রুতা আল্লাহর দ্বীনের সাথে। কথায় ফিরে আসি, কাফের রা এভাবে চিন্তা করলো - আচ্ছা এত যুদ্ধ করার কি দরকার? যুদ্ধ টা কিসের জন্য? কিসের সাথে? একটি আদর্শের সাথে। একটি বিশ্বাসের সাথে। এখন কেমন হয় আমি যদি এই আদর্শকেই চেঞ্জ করে ফেলতে পারি। অর্থাৎ, আমি এই আদর্শের সাথে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়ে এই আদর্শ কে আমার নিজের মত চেঞ্জ করে ফেলি, তাহলেই তো হয়ে যায়। আপনি হয়ত ভাবছেন,
ইসলাম আমার ধর্ম, এই আদর্শের উপরে আমার বাপ দাদা বড় হয়েছে আমি বড় হয়েছি আর এটা চেঞ্জ করে ফেলবে - আমি সেটা ধরতে পারবোনা? আরে আজিব! তাই হয় নাকি?
উত্তর হচ্ছে না আপনি ধরতে পারবেন না এবং আপনি ধরতে পারবেন না বলেই এটার নাম প্রোপাগান্ডা। তবে আসলে এই প্রশ্ন না করে উচিত প্রশ্ন টি হচ্ছে - তাহলে কাফের রা আমার ইসলাম কি অলরেডি চেঞ্জ করে ফেলেছে?
এটার উত্তর -
চলবে ইনশা আল্লাহ
--------------
প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ https://82.221.139.217/showthread.ph...;&%232482;-!!!
তবে কথাটা আমি যত সহজে বলে দিলাম বাস্তবে পুরা বিষয় টা অত সহজ না। ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড, সাইঅপ্স (PSYOP -Psychological Ops), প্রোপাগান্ডা যাই বলেন না কেন সব একই জিনিষ। আজকের আলোচনার জন্য আমরা ব্যাটল অফ হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড কে প্রোপাগান্ডা নামে সামনে আগাবো ইনশা আল্লাহ।
প্রোপাগান্ডা শুধু মাত্র আজকের সময়ের জন্য আলোচিত এমন না, বরং এর ব্যাবহার অনেক প্রাচীন। মজার ব্যাপার হচ্ছে আজ পর্যন্ত যা পরিবর্তন হয়নি তা হচ্ছে প্রোপাগান্ডার ব্যাবহার। প্রপাগান্ডা ব্যাবহার হত যুদ্ধের ময়দানে। যদিও এখন যুদ্ধের বাইরেও কোন কোন ক্ষেত্রে প্রোপাগান্ডা ব্যাবহার হয় যেটা আমাদের আলোচ্য না। প্রপাগান্ডার একটি প্রাচীন উদাহরন আমরা দেখি। সেটি হচ্ছে পারাস্য সম্রাজ্যের সাথে প্রাচীন মিশরীয় সম্রাজ্যের যুদ্ধের সময় পারস্য বাহিনীর যুদ্ধের সময় বিড়াল সহ বিভিন্ন পশু ব্যাবহার। কারন তারা জানত মিশরীয়রা তাদের বিভিন্ন বিশ্বাসের কারনে বিড়াল বা এরকম প্রানী হত্যা করতে পারবে না বা যুদ্ধের ময়দানে এটা তাদের কে দ্বিধান্বিত করে ফেলবে। একই ভাবে যুগে যুগে যুদ্ধের সময় প্রোপাগান্ডার ব্যাবহার অসংখ্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম ওয়ার, গালফ ওয়ার, ডেজার্ট শিল্ড, ইন্তিফাদা সহ সমস্ত বড় বড় ওয়ারফেয়ারে প্রোপাগান্ডার উপস্থিতি বিস্ময়কর! যুদ্ধের একটি অন্যতম কৌশল হচ্ছে শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেয়া। বিভিন্ন ভাবে এটি করা হয়। তবে এটি করার সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ উপায় হচ্ছে একটি সফল প্রোপাগান্ডা কৌশল। এতকথা বলার পিছনে আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনারা এটি মাথায় গেথে নেন, যুদ্ধ এবং প্রোপাগান্ডা একটি আরেকটির সাথে জড়িত। একটি তীর এর কাজ যেমন বিদ্ধ করা, ঘায়েল করা, প্রোপাগান্ডা এমন একটি তীর, যার কাজ বিদ্ধ করা, ঘায়েল করা। পার্থক্য হচ্ছে একটি শারীরিক আরেক টি মানসিক। হ্যা, দুটির মধ্যে আরেক টি বড় পার্থক্য আছে। তা হচ্ছে প্রথম টি আপনি বুঝতে পারবেন, দেখতে পারবেন এমন কি প্রতিহত ও করতে পারবেন তবে দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আপনি খুব সম্ভব বুঝতেই পারবেন না যে এটি একটি তীর এবং সেটা আপনাকে হত্যা করার জন্যই!
যা বলছিলাম - তবে কথাটা আমি যত সহজে বলে দিলাম বাস্তবে পুরা বিষয় টা অত সহজ না। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে সারা দুনিয়া আজ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত। কিন্তু কাফেররা যত ধনীই হোক আর যত অস্ত্রই তাদের থাকুক না কেন এ কাজটি এত সহজ না। কারন যুদ্ধ অর্থ কে নিঃশেষ করে মরুভুমি যেভাবে পানিকে শোষণ করে সেভাবে। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে - সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েও যে আপনি শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নাই। কারন মডার্ন ওয়ারফেয়ার অনেক বদলে গেছে। এখন জয় পরাজয়ের সংজ্ঞা অনেক জটিল! যেমন একটি উদাহরন দেই, ভিয়েতনাম ওয়ারে ভিয়েতনামের মাটিতে অ্যামেরিকান সোলজাররা হয়ত বিজয়ী বা বিজয়ী হতে পারত, কিন্তু অ্যামেরিকান রা নিজেদের মাটিতে নিজেদের জাতির কাছে পরাজিত হয়ে গেছিলো। কারন তাদের নিজেদের জাতি শেষ দিকে ভিয়েতনামে তাদের সেনাবাহিনির এই জুলুম কে চিনতে পেরেছিল এবং তারা এর প্রতিবাদ করেছিল। এই বিষয় গুলো এজন্য সামনে নিয়ে আসা যেন আমরা যথা সম্ভব পুরা বিষয় টার একটা বড় ছবি সুস্পষ্ট ভাবে দেখতে পারি, কারন প্রোপাগান্ডা বিষয় টাই অনেক ব্যাপক।তাহলে আগের কথা ফিরে আসি নিঃসন্দেহে কাফের রা এক মহাযুদ্ধে ব্যাস্ত আছে। এটা সহজ নয় কিংবা কখনই সম্ভব ছিলোনা এই প্রোপাগান্ডা বা টেকিং কন্ট্রোল অভার হার্টস অ্যান্ড মাইন্ড ছাড়া।
সহজ ধরে নেন, কাফের রা এভাবে চিন্তা করলো - আচ্ছা এত যুদ্ধ করার কি দরকার? যুদ্ধ টা কিসের জন্য? কিসের সাথে? একটি আদর্শের সাথে। একটি বিশ্বাসের সাথে। আর সেই আদর্শ বা বিশ্বাসের নাম হচ্ছে ইসলাম। এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ নোট যে, প্রতিটি যুদ্ধের পেছনে থাকে একটি আদর্শের প্রচার, বিস্তার বা জোরপুর্বক চাপিয়ে দেয়া। আর এটা আল্লাহ ও বলেছেন, ভাবার্থে, তাদের (কাফেরদের) শত্রুতা আপনার সাথে (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নয় বরং তাদের শত্রুতা আল্লাহর দ্বীনের সাথে। কথায় ফিরে আসি, কাফের রা এভাবে চিন্তা করলো - আচ্ছা এত যুদ্ধ করার কি দরকার? যুদ্ধ টা কিসের জন্য? কিসের সাথে? একটি আদর্শের সাথে। একটি বিশ্বাসের সাথে। এখন কেমন হয় আমি যদি এই আদর্শকেই চেঞ্জ করে ফেলতে পারি। অর্থাৎ, আমি এই আদর্শের সাথে সরাসরি যুদ্ধে না গিয়ে এই আদর্শ কে আমার নিজের মত চেঞ্জ করে ফেলি, তাহলেই তো হয়ে যায়। আপনি হয়ত ভাবছেন,
ইসলাম আমার ধর্ম, এই আদর্শের উপরে আমার বাপ দাদা বড় হয়েছে আমি বড় হয়েছি আর এটা চেঞ্জ করে ফেলবে - আমি সেটা ধরতে পারবোনা? আরে আজিব! তাই হয় নাকি?
উত্তর হচ্ছে না আপনি ধরতে পারবেন না এবং আপনি ধরতে পারবেন না বলেই এটার নাম প্রোপাগান্ডা। তবে আসলে এই প্রশ্ন না করে উচিত প্রশ্ন টি হচ্ছে - তাহলে কাফের রা আমার ইসলাম কি অলরেডি চেঞ্জ করে ফেলেছে?
এটার উত্তর -
চলবে ইনশা আল্লাহ
--------------
প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ https://82.221.139.217/showthread.ph...;&%232482;-!!!
Comment