তুর্কীর নাম উল্লেখ নেইঃ-
১৪ অক্টোবরের বক্তব্যে যেখানে হায়াত তাহরির আস শাম রাশিয়ার বিরুদ্ধে কামান দাগাচ্ছে সেখানে তুর্কী বা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদগানের কোন উল্লেখ নেই। তারা বার্তাটির পঞ্চম ধারায় তুর্কীর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন , যেখানে তারা দেশের বাইরের লোকদেরকে মুক্ত অঞ্চল রক্ষার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রাশিয়া - ইরান ও আসাদ অক্ষশক্তির হুমকি মোকাবেলায় তুর্কীর চেয়ে বেশী সহযোগিতা আর কেউ করেনি, তারা ইদলিবে চেক পোস্ট স্থাপন করেছে।
যাইহোক, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই যে দলটি প্রকাশ্যে তুর্কী সহায়তার কথা স্বীকার করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ যদিও অতীতে তাদের আমির আবু মুহাম্মদ আল জোলানি তুর্কীর সাথে তাঁর সংগঠনের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলেন, তারপরও জ্বিহাদী পরিমণ্ডলে বিষয়টি নানা সমস্যার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, এরদগান বাহিনীর সাথে যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে দূষণীয় আখ্যা দেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী সরব ছিলেন আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসী। তিনি আল কায়েদা পন্থী একজন আলেম। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে মাকদিসী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তুর্কী - রাশিয়ার সম্মিলিত বিমান হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটা কেবল ভবিষ্যতে তথাকথিত খিলাফতের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথকে সুগম করবে। ( দলটির পূর্বসূরি আল নুসরা ফ্রন্ট ২০১৩ সালে ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সেই থেকেই তারা আবু বকর আল বাগদাদীর উদ্যোগের বিরধিতা করে আসছে ) ।
সাম্প্রতিক সপ্তাহ গুলোতে মাকদিসী তুর্কীর সাথে জ্বিহাদীদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তাঁর সমালোচনা জারি রাখেন। তিনি বলেন তুর্কীরা তাদের বিভিন্ন " চুক্তি ও ষড়যন্ত্রে " গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে জিহাদীদেরকে ব্যবহার করে যাচ্ছে মাত্র। মাকদিসী এটাও বলেন যে এসকল জ্বিহাদীরাই আবার তাদের "ব্যর্থতাকে" বৈধতা দেয়ার জন্য ভুলভাবে ২০০১ সালে তালেবানের পশ্চাদপসরণের সাথে অথবা ২০১৬ সালে ইয়েমেনের মুকাল্লা থেকে AQAP র সৈন্য অপসারণের সিদ্ধান্তের সাথে তুলানা করবে। তিনি আরও বলেন মহৎ ব্যক্তিদের ( অর্থাৎ তালিবান ও আল কায়েদা ) কর্মকাণ্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন ও কলঙ্কিত করার মাধ্যমে নিজেদের ভুলগুলোকে ন্যায় সঙ্গত প্রমাণ করার হীন চেষ্টা করা জ্বিহাদীদের উচিৎ হবে না।
যদিও মাকদিসী তাঁর ভাষণের মাধ্যমে তুর্কীর সাথে সম্পর্কের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন তথাপি অন্যান্য জ্বিহাদীরা ( এর মধ্যে কিছু আছে আল কায়েদার শাখা ) অতীতে বরাবরই এ ব্যাপারে অধিক ক্ষমাপরায়ণ ছিলেন ।
তুর্কীকে বাদ দিয়ে রাশিয়া - ইরান ও আসাদ ওক্ষশক্তির পক্ষে ইদিলিবের পতন ঘটানো নিশ্চিতভাবেই সম্ভব ছিল। হায়াত তাহরির আস শাম ও তাদের নেতা আবু মুহাম্মদ আল জোলানিও এটা খুব ভালভাবে জানেন । কিন্তু আদর্শিক ও কৌশলগত মত পার্থক্যের কারনে তাদের অবশ্যই এই ব্যাপারে জড়াতে হবে। অধিকন্তু, জ্বিহাদীরা তুর্কীদের অধিনস্ত হতে চান না । এমনটি হলে তাদের অনেক কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে অথবা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হবে। তুর্কী সমর্থিত আরেকটি প্রধান বিদ্রোহী সংগঠন "ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট" দ্রুততার সাথে সচি চুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। .......চলবে ইনশাআল্লাহ .......
১৪ অক্টোবরের বক্তব্যে যেখানে হায়াত তাহরির আস শাম রাশিয়ার বিরুদ্ধে কামান দাগাচ্ছে সেখানে তুর্কী বা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদগানের কোন উল্লেখ নেই। তারা বার্তাটির পঞ্চম ধারায় তুর্কীর প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন , যেখানে তারা দেশের বাইরের লোকদেরকে মুক্ত অঞ্চল রক্ষার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। রাশিয়া - ইরান ও আসাদ অক্ষশক্তির হুমকি মোকাবেলায় তুর্কীর চেয়ে বেশী সহযোগিতা আর কেউ করেনি, তারা ইদলিবে চেক পোস্ট স্থাপন করেছে।
যাইহোক, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই যে দলটি প্রকাশ্যে তুর্কী সহায়তার কথা স্বীকার করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ যদিও অতীতে তাদের আমির আবু মুহাম্মদ আল জোলানি তুর্কীর সাথে তাঁর সংগঠনের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছিলেন, তারপরও জ্বিহাদী পরিমণ্ডলে বিষয়টি নানা সমস্যার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, এরদগান বাহিনীর সাথে যেকোনো ধরনের সহযোগিতাকে দূষণীয় আখ্যা দেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী সরব ছিলেন আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসী। তিনি আল কায়েদা পন্থী একজন আলেম। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে মাকদিসী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তুর্কী - রাশিয়ার সম্মিলিত বিমান হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটা কেবল ভবিষ্যতে তথাকথিত খিলাফতের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথকে সুগম করবে। ( দলটির পূর্বসূরি আল নুসরা ফ্রন্ট ২০১৩ সালে ইসলামিক স্টেটের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং সেই থেকেই তারা আবু বকর আল বাগদাদীর উদ্যোগের বিরধিতা করে আসছে ) ।
সাম্প্রতিক সপ্তাহ গুলোতে মাকদিসী তুর্কীর সাথে জ্বিহাদীদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তাঁর সমালোচনা জারি রাখেন। তিনি বলেন তুর্কীরা তাদের বিভিন্ন " চুক্তি ও ষড়যন্ত্রে " গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষে জিহাদীদেরকে ব্যবহার করে যাচ্ছে মাত্র। মাকদিসী এটাও বলেন যে এসকল জ্বিহাদীরাই আবার তাদের "ব্যর্থতাকে" বৈধতা দেয়ার জন্য ভুলভাবে ২০০১ সালে তালেবানের পশ্চাদপসরণের সাথে অথবা ২০১৬ সালে ইয়েমেনের মুকাল্লা থেকে AQAP র সৈন্য অপসারণের সিদ্ধান্তের সাথে তুলানা করবে। তিনি আরও বলেন মহৎ ব্যক্তিদের ( অর্থাৎ তালিবান ও আল কায়েদা ) কর্মকাণ্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন ও কলঙ্কিত করার মাধ্যমে নিজেদের ভুলগুলোকে ন্যায় সঙ্গত প্রমাণ করার হীন চেষ্টা করা জ্বিহাদীদের উচিৎ হবে না।
যদিও মাকদিসী তাঁর ভাষণের মাধ্যমে তুর্কীর সাথে সম্পর্কের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন তথাপি অন্যান্য জ্বিহাদীরা ( এর মধ্যে কিছু আছে আল কায়েদার শাখা ) অতীতে বরাবরই এ ব্যাপারে অধিক ক্ষমাপরায়ণ ছিলেন ।
তুর্কীকে বাদ দিয়ে রাশিয়া - ইরান ও আসাদ ওক্ষশক্তির পক্ষে ইদিলিবের পতন ঘটানো নিশ্চিতভাবেই সম্ভব ছিল। হায়াত তাহরির আস শাম ও তাদের নেতা আবু মুহাম্মদ আল জোলানিও এটা খুব ভালভাবে জানেন । কিন্তু আদর্শিক ও কৌশলগত মত পার্থক্যের কারনে তাদের অবশ্যই এই ব্যাপারে জড়াতে হবে। অধিকন্তু, জ্বিহাদীরা তুর্কীদের অধিনস্ত হতে চান না । এমনটি হলে তাদের অনেক কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে অথবা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হবে। তুর্কী সমর্থিত আরেকটি প্রধান বিদ্রোহী সংগঠন "ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট" দ্রুততার সাথে সচি চুক্তিকে সাদরে গ্রহণ করেছে। .......চলবে ইনশাআল্লাহ .......
Comment