মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনুর লেখা একটি বিখ্যাত বই 'ফির্কাহ নাজিয়াহ' থেকে।
নাজাতপ্রাপ্ত দলের রাস্তা (পথ নির্দেশিকা)
--------------------------------------
১১। এ দল ইসলাম ও শরীয়ত পরিপন্থী মানব রচিত আইন ও বিচারের বিরোধিতা করে। বরং এরা মানব জাতিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কিতাব অনুযায়ী বিচার কায়েম করার প্রতি আহ্বান করে। আর এতেই রয়েছে তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ। কারণ, এটি মহান আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান। তিনিই জানেন কিসে তাদের কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ। তাছাড়া এ কিতাব অপরিবর্তনীয়- সময়ের বিবর্তনের সাথে কখনোই এর পরিবর্তন হবে না। এটি সর্ব কালের সর্ব শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমান বিশ্বমানবতা বিশেষ করে মুসলমানদের দুর্ভোগ ও পেরেশানির অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত অসার সংবিধানে বিচার কার্য পরিচালনা করছে। জীবনাচারে কোরআন ও সুন্নাহর অনুবর্তন অনুপস্থিত। তাদের অপমান-অপদস্ত হবার এটিই মূল কারণ। এ অবস্থার পরিবর্তন কখনোই হবে না যদি না তারা পরিপূর্ণরূপে ইসলামের শিক্ষার দিকে ফিরে আসে। ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সমষ্টিগতভাবে। সামাজিকভাবে হোক কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ (الرعد 11)
নিশ্চয় আল্লাহ কোনো কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। (সূরা রাদ, ১৩: আয়াত ১১)।
১২। এ দল সকল মুসলিমকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের প্রতি আহ্বান করে। জিহাদ সার্মথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ। তবে সে জিহাদ হতে হবে নীচের নিয়ম অনুযায়ী,
প্রথমত: জিহবা ও লেখনীর মাধ্যমে। মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষকে সত্যিকারের ইসলাম আঁকড়ে ধরার দাওয়াত দিতে হবে। আরো দাওয়াত দিতে হবে শিরকমুক্ত তাওহিদ লালন করার প্রতি। আর এ দিকটির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, কারণ শিরক আজ বেশীর ভাগ মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারির মত। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেনঃ
لا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتّى تَلْحَقَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِى بِالْمٌشْرِكِيْنَ وَ حَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِي الْاوْثَانَ (صحيح رواه أبو داود ومعناه في مسلم)
অর্থাৎ, কিয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা মুশরিকদের সাথে মিলে যায় এবং যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা (পাথরের) মূর্তি পূজা করে। (আবু দাউদ, সহিহ)।
দ্বিতীয়ত: সম্পদের মাধ্যমে। যেমন ইসলাম প্রচার ও দাওয়াত কাজে সম্পদ ব্যয় করা। এ সংক্রান্ত বই-পত্র ছাপিয়ে বিতরণ করা। দুর্বল ঈমানদারদের ঈমানকে মজবুত করে তুলতে বহুমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন কল্পে ব্যয় করা।
তৃতীয়ত: জীবন দিয়ে জিহাদ করা। যেমন, ইসলামকে জয়যুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করা। যাতে আল্লাহর কালেমা ঊঁচু হয় এবং কাফিরদের কথা নীচু হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন :
جَاهِدُوْا الْمُشْرِكِيْنَ بِأًمْوالِكُمْ وَ اَنْفُسِكُمْ وَالْسِنَتِكُمْ (صحيح رواه أبو داود)
অর্থাৎ, তোমরা নিজ সম্পদ, জীবন ও জিহ্বার মাধ্যমে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর। (আবু দাউদ, সহিহ)।
জিহাদের প্রকার ও তার বিধান
১। ফরযে আইন
কাফিররা কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে আক্রমন করলে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা সকল মুসলমানের উপর সমানভাবে ফরয হয়ে পড়ে। যেমন অধুনা ফিলিস্তীন। যা আজ ইহুদিরা জোর করে দখল করে আছে। এদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করে মাসজিদুল আকসাকে মুক্ত করার জন্য জান-মাল দিয়ে অব্যহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সামর্থবান সকল মুসলমানের উপর ফরজ। এ দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে অথবা পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করলে জিহাদ শুরা করা পর্যন্ত সকলে পাপী বলে সাব্যস্ত হবে।
২। ফরযে কিফায়া
প্রয়োজনীয় সংখাক মুসলিম এ জিহাদের জন্য তৈরী হয়ে গেলে বাকীরা দায়মুক্তি পেয়ে যাবে।
তবে পৃথিবীর সকল মানুষ যাতে ইসলামি বিধান মেনে চলতে শুরু করে সে লক্ষ্যে ইসলামের দাওয়াত দুনিয়া ব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ কাজে কেউ বাধা দিলে দাওয়াতের কাজ নির্বিঘ্ন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে।
নাজাতপ্রাপ্ত দলের রাস্তা (পথ নির্দেশিকা)
--------------------------------------
১১। এ দল ইসলাম ও শরীয়ত পরিপন্থী মানব রচিত আইন ও বিচারের বিরোধিতা করে। বরং এরা মানব জাতিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কিতাব অনুযায়ী বিচার কায়েম করার প্রতি আহ্বান করে। আর এতেই রয়েছে তাদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ। কারণ, এটি মহান আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান। তিনিই জানেন কিসে তাদের কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ। তাছাড়া এ কিতাব অপরিবর্তনীয়- সময়ের বিবর্তনের সাথে কখনোই এর পরিবর্তন হবে না। এটি সর্ব কালের সর্ব শ্রেণীর লোকদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমান বিশ্বমানবতা বিশেষ করে মুসলমানদের দুর্ভোগ ও পেরেশানির অন্যতম কারণ হচ্ছে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান বাদ দিয়ে মানব রচিত অসার সংবিধানে বিচার কার্য পরিচালনা করছে। জীবনাচারে কোরআন ও সুন্নাহর অনুবর্তন অনুপস্থিত। তাদের অপমান-অপদস্ত হবার এটিই মূল কারণ। এ অবস্থার পরিবর্তন কখনোই হবে না যদি না তারা পরিপূর্ণরূপে ইসলামের শিক্ষার দিকে ফিরে আসে। ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সমষ্টিগতভাবে। সামাজিকভাবে হোক কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ (الرعد 11)
নিশ্চয় আল্লাহ কোনো কওমের অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। (সূরা রাদ, ১৩: আয়াত ১১)।
১২। এ দল সকল মুসলিমকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের প্রতি আহ্বান করে। জিহাদ সার্মথ্য অনুযায়ী প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজ। তবে সে জিহাদ হতে হবে নীচের নিয়ম অনুযায়ী,
প্রথমত: জিহবা ও লেখনীর মাধ্যমে। মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষকে সত্যিকারের ইসলাম আঁকড়ে ধরার দাওয়াত দিতে হবে। আরো দাওয়াত দিতে হবে শিরকমুক্ত তাওহিদ লালন করার প্রতি। আর এ দিকটির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, কারণ শিরক আজ বেশীর ভাগ মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারির মত। এ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেনঃ
لا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتّى تَلْحَقَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِى بِالْمٌشْرِكِيْنَ وَ حَتَّى تَعْبُدَ قَبَائِلٌ مِنْ أمَّتِي الْاوْثَانَ (صحيح رواه أبو داود ومعناه في مسلم)
অর্থাৎ, কিয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা মুশরিকদের সাথে মিলে যায় এবং যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু কবিলা (পাথরের) মূর্তি পূজা করে। (আবু দাউদ, সহিহ)।
দ্বিতীয়ত: সম্পদের মাধ্যমে। যেমন ইসলাম প্রচার ও দাওয়াত কাজে সম্পদ ব্যয় করা। এ সংক্রান্ত বই-পত্র ছাপিয়ে বিতরণ করা। দুর্বল ঈমানদারদের ঈমানকে মজবুত করে তুলতে বহুমুখী কর্মসূচী গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন কল্পে ব্যয় করা।
তৃতীয়ত: জীবন দিয়ে জিহাদ করা। যেমন, ইসলামকে জয়যুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করা। যাতে আল্লাহর কালেমা ঊঁচু হয় এবং কাফিরদের কথা নীচু হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন :
جَاهِدُوْا الْمُشْرِكِيْنَ بِأًمْوالِكُمْ وَ اَنْفُسِكُمْ وَالْسِنَتِكُمْ (صحيح رواه أبو داود)
অর্থাৎ, তোমরা নিজ সম্পদ, জীবন ও জিহ্বার মাধ্যমে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর। (আবু দাউদ, সহিহ)।
জিহাদের প্রকার ও তার বিধান
১। ফরযে আইন
কাফিররা কোনো মুসলিম রাষ্ট্রকে আক্রমন করলে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা সকল মুসলমানের উপর সমানভাবে ফরয হয়ে পড়ে। যেমন অধুনা ফিলিস্তীন। যা আজ ইহুদিরা জোর করে দখল করে আছে। এদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করে মাসজিদুল আকসাকে মুক্ত করার জন্য জান-মাল দিয়ে অব্যহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সামর্থবান সকল মুসলমানের উপর ফরজ। এ দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে অথবা পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করলে জিহাদ শুরা করা পর্যন্ত সকলে পাপী বলে সাব্যস্ত হবে।
২। ফরযে কিফায়া
প্রয়োজনীয় সংখাক মুসলিম এ জিহাদের জন্য তৈরী হয়ে গেলে বাকীরা দায়মুক্তি পেয়ে যাবে।
তবে পৃথিবীর সকল মানুষ যাতে ইসলামি বিধান মেনে চলতে শুরু করে সে লক্ষ্যে ইসলামের দাওয়াত দুনিয়া ব্যাপি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ কাজে কেউ বাধা দিলে দাওয়াতের কাজ নির্বিঘ্ন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে।
Comment