মুসলিম উম্মাহর সুন্নাহ হিসেবে আমাদের মধ্যে আজ সম্ভবত আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। আমরা আজ নাম সর্বস্ব উম্মাহ'তে পরিনত হয়েছি। আফসোস, অনেকে তো এই নামের নিশানা টুকুও মুছে ফেলতে চায়। নিজের এই মুসলিম পরিচয় নিয়েও তারা সংকোচ বোধ করে। অনেকে আবার এই মুসলিম পরিচয়কে নিজের মত করে সাজিয়ে নেয় যার সাথে উম্মাতে মুহাম্মাদির সুন্নাহ'র দূরতম কোন সম্পর্ক নাই! এগুলো যেমন আমাদের গাফেলতি তেমনি কাফেরদের চক্রান্ত। কিন্তু দিন শেষে যদি বলা হয় কে বেশি দোষী? তাহলে উত্তর হবে আমরা নিজে!
কেন? এটার উত্তর আসলে খুব সহজ। আল্লাহ কুরআনে কিছু নীতি ঠিক করে দিয়েছেন। কিছু ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। এগুলো ইসলামের মৌলিক বিষয়। এগুলোর সাথে কোন আপোষ নাই, কোন আপোষ নাই এর অর্থ - আমাদের নিজেদের জান, মাল এবং রক্তের বিনিময়েও এসব মৌলিক নীতিসমুহের সাথে কোন আপোষ নাই। কথাটা বুঝতে কিছু সমস্যা হতে পারে কারন আমরা অনেকেই তো এখন বাস্তবতা থেকে এত বেশি দূরে এবং কাফেরদের চক্রান্তে এমন ভাবে বিক্রি হয়েছি যে এগুলো আমাদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতেই পারে।
১ম কথাঃ
আল্লাহ বলেছেন (ভাবার্থে)- আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহন যোগ্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম, কিংবা আমি ইসলাম কে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম, কিংবা আজ তোমাদের জন্য ইসলাম কে পরিপূর্ণ করে দিলাম। সার কথা হচ্ছে আমাদের জন্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। এর বাইরে অন্য যে কোন দ্বীন/ধর্ম মতাদর্শ আমাদের জন্য না, আংশিক কিংবা পরিপূর্ণ। একটা সহজ বিষয় আমরা বুঝতে ব্যার্থ হই সেটা হচ্ছে - ইসলাম আমার বা আপনার মনমত, পছন্দ মত চলতে পারেনা, আর যদি সেভাবেই চলত তাহলে আজ আমাদের অবস্থা কাফের মুশরিকদের মতই হত। যাদের কেউ তাদের কিতাব কে পরিবর্তন করে ফেলেছে কিংবা কেউ পাথর কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ কুরআন কে আমাদের জন্য অবিকৃত ভাবে সংরক্ষন করেছেন এটা প্রত্যেক মুসলিম স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু অধিকাংশই যে প্রশ্ন কখনই করেনা তা হচ্ছে - কেন? আল্লাহ কেন কুরআন কে আমাদের জন্য সংরক্ষন করে রাখলেন? এটা কি এই জন্য যে, আমরা কুরআনের কিছু অংশ কে গ্রহন করব আর কিছু কে পরিত্যাগ করব? তাহলে আমার আর আপনার জন্য কুরআন নিজেই সাক্ষ্য হয়ে যাবে! এই ব্যাপারে দুশচিন্তা করার যথেষ্ট কারন আছে!
সারমর্ম হচ্ছে -আল্লাহ দ্বীনের কিছু মৌলিক নিতিমালা নির্ধারন করে দিয়েছেন, এর বাইরে যদি কেউ যায় তবে সে সীমা লঙ্ঘন করল। আল্লাহ যা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সীমা হিসেবে যে কেউ তা অতিক্রম করবে সে নিজেই নিজের জিম্মায় ইসলামের সীমা অতিক্রম করবে। একই সাথে আরো একটি প্রশ্ন করা দরকার - আমি কি ইসলামের জন্য খুব বড় কেউ! আমি না থাকলে কি ইসলামের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে! আজ যারা ইসলামের আগ পিছ নিয়ে কাট ছাট করতে চায় তাদের কাছে প্রশ্ন - কুরআনের কয়টা আয়াত আপনার কাছে নাজিল হয়েছে?
আর যাদের কাছে কুরআনের একটা আয়াতও নাজিল হয়নি তাদের মুখের ইসলাম কে আমরা কোন লজ্জায় নিজের জিন্দেগীতে নিয়ে আসি এটা নিয়ে ভাবা দরকার! হ্যা আমরা যাদের মুখের কথা বিশ্বাস করি তাদের কাছেও কোন আয়াত নাজিল হয়নি, কিন্তু তারা যা কিছু সত্যসহ নাজিল হয়েছে তার বিরুদ্ধে যায়না, তারা নিজের মনমত দ্বীনের সীমানা কে অতিক্রম করেনা।
২য় কথাঃ
উমর রাঃ একটা কথা বলেছিলেন, আমরা ছিলাম এক লাঞ্চিত জাতি। আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের কে সম্মানিত করেছেন। আর এখন যদি আমরা ইসলাম ব্যাতিত অন্য কিছুর মধ্যে আমাদের সম্মান খুজতে চেষ্টা করি আল্লাহ আমাদের কে আবার লাঞ্চিত করবেন।
এই দুই উপস্থাপনা থেকে আমি যা বলতে চাইলাম তা হল - ইসলাম ব্যাতিত আমাদের কোন সম্মান নাই- ব্যাস শেষ, কথা শেষ।
৩য় কথাঃ
কিন্তু বাস্তবতা হল আমরা এই সব বিক্রি করে দিয়ে আজ এক উদ্বাস্তু জাতিতে পরিনত হয়েছি। উম্মাহ হিসেবে আমরা এত দুর্বল হয়ে গেছি যে - সামান্য কিছু ইহুদীদের কাছ থেকে আমরা আমাদের প্রথম কেবলা বাইতুল মাকদিস কে ফিরিয়ে আনতে পারিনা। এটা এজন্য নয় যে ইসরায়েলের খুব শক্তি আর আমরা শক্তিহীন। বরং এটা এজন্য যে, বাইতুল মাকদিস এর জন্য ইহুদীদের যে গিরাহ আছে আমাদের তা নাই।
উম্মাহ হিসেবে আজ আমাদের গিরাহ বলতে কিছু নাই! এজন্য আমাদের মারো কাটো কোন কিছুতেই কিছু যায় আসেনা। যতক্ষণ আমার স্বার্থ ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা নাই। হায় রে উম্মাহ!
আজ মুসলিম উম্মাহ এর রক্ত সাদা হয়ে গেছে। ঠান্ডা হয়ে গেছে। কাফের আর মুরতাদরা তাদের মিথ্যা গোলামদের জন্য অস্ত্র ধরতে ভয় পায়না কিন্তু মুসলিম উম্মাহ নিজের আত্মরক্ষার জন্য হলেও অস্ত্র ধরতে ভয় পায়! সারা দুনিয়ার কাফের রা যখন মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করতে অস্ত্র ধরতে লজ্জা পায়না তখন উম্মাহ নিজের মা বোনের ইজ্জত বাচাতে অস্ত্র ধরতে লজ্জা পায়!
আসলিহা মুসলিম উম্মাহ'র সুন্নাহ! আমাদের সুন্নাহ! আজ অ্যামেরিকার খ্রিস্টানরা আর ইজ্রায়েলের ইহুদিরা নিজেদের সাথে অস্ত্র রাখাকে সম্মান এবং গর্বের মনে করে, কিন্তু আমরা এই সুন্নাতের সবচেয়ে বড় হক্কদার হয়ে নিজেদের সাথে অস্ত্র রাখতে ভয় পাই! আর যখন গিরাহ এভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় তখন সবাই এসে আমাদের ছিন্ন ভিন্ন করে দিবে এটাই স্বাভাবিক। যেদিন থেকে আমাদের গিরাহ হারিয়ে গেছে সেদিন থেকেই আমাদের এই রক্ত বন্যা আর জিল্লতির জিন্দেগি শুরু।
সব শেষে আমার এবং ভাইদের জন্য শাইখ কাসেম আর রিমি হাফিজাহুল্লাহ এর কথাটাই মনে পড়ে গেলো -
কেন? এটার উত্তর আসলে খুব সহজ। আল্লাহ কুরআনে কিছু নীতি ঠিক করে দিয়েছেন। কিছু ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন। এগুলো ইসলামের মৌলিক বিষয়। এগুলোর সাথে কোন আপোষ নাই, কোন আপোষ নাই এর অর্থ - আমাদের নিজেদের জান, মাল এবং রক্তের বিনিময়েও এসব মৌলিক নীতিসমুহের সাথে কোন আপোষ নাই। কথাটা বুঝতে কিছু সমস্যা হতে পারে কারন আমরা অনেকেই তো এখন বাস্তবতা থেকে এত বেশি দূরে এবং কাফেরদের চক্রান্তে এমন ভাবে বিক্রি হয়েছি যে এগুলো আমাদের কাছে দুর্বোধ্য মনে হতেই পারে।
১ম কথাঃ
আল্লাহ বলেছেন (ভাবার্থে)- আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহন যোগ্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম, কিংবা আমি ইসলাম কে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম, কিংবা আজ তোমাদের জন্য ইসলাম কে পরিপূর্ণ করে দিলাম। সার কথা হচ্ছে আমাদের জন্য দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। এর বাইরে অন্য যে কোন দ্বীন/ধর্ম মতাদর্শ আমাদের জন্য না, আংশিক কিংবা পরিপূর্ণ। একটা সহজ বিষয় আমরা বুঝতে ব্যার্থ হই সেটা হচ্ছে - ইসলাম আমার বা আপনার মনমত, পছন্দ মত চলতে পারেনা, আর যদি সেভাবেই চলত তাহলে আজ আমাদের অবস্থা কাফের মুশরিকদের মতই হত। যাদের কেউ তাদের কিতাব কে পরিবর্তন করে ফেলেছে কিংবা কেউ পাথর কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ কুরআন কে আমাদের জন্য অবিকৃত ভাবে সংরক্ষন করেছেন এটা প্রত্যেক মুসলিম স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু অধিকাংশই যে প্রশ্ন কখনই করেনা তা হচ্ছে - কেন? আল্লাহ কেন কুরআন কে আমাদের জন্য সংরক্ষন করে রাখলেন? এটা কি এই জন্য যে, আমরা কুরআনের কিছু অংশ কে গ্রহন করব আর কিছু কে পরিত্যাগ করব? তাহলে আমার আর আপনার জন্য কুরআন নিজেই সাক্ষ্য হয়ে যাবে! এই ব্যাপারে দুশচিন্তা করার যথেষ্ট কারন আছে!
সারমর্ম হচ্ছে -আল্লাহ দ্বীনের কিছু মৌলিক নিতিমালা নির্ধারন করে দিয়েছেন, এর বাইরে যদি কেউ যায় তবে সে সীমা লঙ্ঘন করল। আল্লাহ যা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সীমা হিসেবে যে কেউ তা অতিক্রম করবে সে নিজেই নিজের জিম্মায় ইসলামের সীমা অতিক্রম করবে। একই সাথে আরো একটি প্রশ্ন করা দরকার - আমি কি ইসলামের জন্য খুব বড় কেউ! আমি না থাকলে কি ইসলামের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে! আজ যারা ইসলামের আগ পিছ নিয়ে কাট ছাট করতে চায় তাদের কাছে প্রশ্ন - কুরআনের কয়টা আয়াত আপনার কাছে নাজিল হয়েছে?
আর যাদের কাছে কুরআনের একটা আয়াতও নাজিল হয়নি তাদের মুখের ইসলাম কে আমরা কোন লজ্জায় নিজের জিন্দেগীতে নিয়ে আসি এটা নিয়ে ভাবা দরকার! হ্যা আমরা যাদের মুখের কথা বিশ্বাস করি তাদের কাছেও কোন আয়াত নাজিল হয়নি, কিন্তু তারা যা কিছু সত্যসহ নাজিল হয়েছে তার বিরুদ্ধে যায়না, তারা নিজের মনমত দ্বীনের সীমানা কে অতিক্রম করেনা।
২য় কথাঃ
উমর রাঃ একটা কথা বলেছিলেন, আমরা ছিলাম এক লাঞ্চিত জাতি। আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে আমাদের কে সম্মানিত করেছেন। আর এখন যদি আমরা ইসলাম ব্যাতিত অন্য কিছুর মধ্যে আমাদের সম্মান খুজতে চেষ্টা করি আল্লাহ আমাদের কে আবার লাঞ্চিত করবেন।
এই দুই উপস্থাপনা থেকে আমি যা বলতে চাইলাম তা হল - ইসলাম ব্যাতিত আমাদের কোন সম্মান নাই- ব্যাস শেষ, কথা শেষ।
৩য় কথাঃ
কিন্তু বাস্তবতা হল আমরা এই সব বিক্রি করে দিয়ে আজ এক উদ্বাস্তু জাতিতে পরিনত হয়েছি। উম্মাহ হিসেবে আমরা এত দুর্বল হয়ে গেছি যে - সামান্য কিছু ইহুদীদের কাছ থেকে আমরা আমাদের প্রথম কেবলা বাইতুল মাকদিস কে ফিরিয়ে আনতে পারিনা। এটা এজন্য নয় যে ইসরায়েলের খুব শক্তি আর আমরা শক্তিহীন। বরং এটা এজন্য যে, বাইতুল মাকদিস এর জন্য ইহুদীদের যে গিরাহ আছে আমাদের তা নাই।
উম্মাহ হিসেবে আজ আমাদের গিরাহ বলতে কিছু নাই! এজন্য আমাদের মারো কাটো কোন কিছুতেই কিছু যায় আসেনা। যতক্ষণ আমার স্বার্থ ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা নাই। হায় রে উম্মাহ!
আজ মুসলিম উম্মাহ এর রক্ত সাদা হয়ে গেছে। ঠান্ডা হয়ে গেছে। কাফের আর মুরতাদরা তাদের মিথ্যা গোলামদের জন্য অস্ত্র ধরতে ভয় পায়না কিন্তু মুসলিম উম্মাহ নিজের আত্মরক্ষার জন্য হলেও অস্ত্র ধরতে ভয় পায়! সারা দুনিয়ার কাফের রা যখন মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করতে অস্ত্র ধরতে লজ্জা পায়না তখন উম্মাহ নিজের মা বোনের ইজ্জত বাচাতে অস্ত্র ধরতে লজ্জা পায়!
আসলিহা মুসলিম উম্মাহ'র সুন্নাহ! আমাদের সুন্নাহ! আজ অ্যামেরিকার খ্রিস্টানরা আর ইজ্রায়েলের ইহুদিরা নিজেদের সাথে অস্ত্র রাখাকে সম্মান এবং গর্বের মনে করে, কিন্তু আমরা এই সুন্নাতের সবচেয়ে বড় হক্কদার হয়ে নিজেদের সাথে অস্ত্র রাখতে ভয় পাই! আর যখন গিরাহ এভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় তখন সবাই এসে আমাদের ছিন্ন ভিন্ন করে দিবে এটাই স্বাভাবিক। যেদিন থেকে আমাদের গিরাহ হারিয়ে গেছে সেদিন থেকেই আমাদের এই রক্ত বন্যা আর জিল্লতির জিন্দেগি শুরু।
সব শেষে আমার এবং ভাইদের জন্য শাইখ কাসেম আর রিমি হাফিজাহুল্লাহ এর কথাটাই মনে পড়ে গেলো -
আমরা তো সেই জাতি যারা প্রতিশোধ নিতে ভুল করিনা বা পথিমধ্যে নিস্তব্ধ হয়ে যাইনা।
Comment