জাহেলিয়াতকে প্রতিরোধের উপায়
জাহেলিয়াতের অনেক ব্যাপক বিস্তৃত রূপ থাকলেও এর মূল ভিত্তি হলো নফসের কুপ্রবৃত্তি ও মানুষ হয়ে অন্য মানুষের গোলামী করা। এর মাধ্যমে নিজের নফসকে কিংবা অন্য মানুষকে প্রভুর আসনেই বসানো হয়। কিন্তু বিশ্বপ্রকৃতি যেহেতু আল্লাহর হুকুমের অনুগত-তাই এটা প্রাকুতিক নিয়মের সম্পূর্ন্ পরিপন্থী। মানুষ তার জীবনের একটি অংশে আল্লাহর আইন মানতে বাধ্য, আর ব্যবহারিক জীবনে সে স্বাধীন। তাই স্বাধীন অংশে যদি মানুষ আল্লাহর আইন মেনে না চলে তাহলে মানুষ তার নিজের সত্ত্বার ভেতরেই একটা সংঘর্ষ বাধিয়ে দেয়।
জাহেলিয়াতকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। কারণ, জাহেলিয়াত নিছক কোনো মতবাদ নয়, বরং বর্তমান বিশ্বে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শেকড় গেড়ে বসেছে এবং জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকরা এর পৃষ্ঠপোষকতার জন্য নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। এ কায়েমী স্বার্থবাদীরা তাদের প্রবর্তিত রীতিনীতি, আইন-বিধান, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ সবকিছুই প্রতিষ্ঠিত করে জেঁকে বসেছে। জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকরা সংগঠিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। তারা সকল শক্তি নিয়ে সারাক্ষণ তাদের প্রবর্তিত ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধানের জন্য তৎপর। শুধু তাই নয়, যাকেই তারা সমস্যা তথা কাঁটা মনে করে, অর্থআৎ তাদের এ জাহেলিয়াতকে উচ্ছেদের জন্য কেউ যদি উঠে দাঁড়ায় তাহলে সংঘবদ্ধভাবে, একযোগে তার বিরুদ্ধে লেগে যায় এবং প্রয়োজনবোধে তারা তাকে হত্যা করতেও কুন্ঠিত হয় না।
সুতরাং, একটি সুসংগঠিত, সংঘবদ্ধ, প্রতিষ্ঠিত ও অত্যাধিুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার জন্য নিছক ওয়াজ-নসিহত, তাত্ত্বিক আলোচনা বা ইসলামি আইনের শ্রেষ্ঠত্বের গুণকীর্ত্ন কখনোই ফলপ্রসূ হতে পারে না। আজকের বস্তুবাদিী সমাজের পুরোটাই যেখানে জাহেলিয়াত নিয়ন্ত্রিত, একটি সুসংগঠিত বিপুল জনগোষ্ঠী, সরকার, সামরিক বাহিনী যেখানে জাহেলিয়াতের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষক, সেখানে মৌখিকভাবে ইসলামের আদর্শ প্রচার করে সফলতা পাওয়া তো-দূরের কথা বাতিলের মুখামুকি দাঁড়ানোটাও সম্ভব নয়। তাই জাহেলিয়াতের উচ্ছেদকল্পে ও আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা অবতীর্ণ হবে তাদেরকে অবশ্যই ঈমানের অপ্রতিরোধ্য বলে বলীয়ান ও সুসংগঠিত হয়ে, সর্বাত্মক জিহাদের পরিকল্পনা নিয়ে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হতে হবে। বস্তুগত দিক থেকে না হলেও তাদেরকে সাংগঠনিক কাঠামে, পারস্পরিক সম্পর্ক, আমীরের আনুগত্য, নৈতিক উৎকর্স ও প্রয়োজনীয় সকল দিক থেকে জাহেলি সংগঠনগুলোর চেয়ে আরো বেশি সুশৃংখল ও শক্তিশালী হতে হবে। জাহেলিয়াতের স্রোতের মুখে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে তার গতি রোধ করে দিতে হবে।
[সংগ্রহীত: আগামী বিপ্লবের ঘোষণাপত্র-সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ(রহ.)]
জাহেলিয়াতের অনেক ব্যাপক বিস্তৃত রূপ থাকলেও এর মূল ভিত্তি হলো নফসের কুপ্রবৃত্তি ও মানুষ হয়ে অন্য মানুষের গোলামী করা। এর মাধ্যমে নিজের নফসকে কিংবা অন্য মানুষকে প্রভুর আসনেই বসানো হয়। কিন্তু বিশ্বপ্রকৃতি যেহেতু আল্লাহর হুকুমের অনুগত-তাই এটা প্রাকুতিক নিয়মের সম্পূর্ন্ পরিপন্থী। মানুষ তার জীবনের একটি অংশে আল্লাহর আইন মানতে বাধ্য, আর ব্যবহারিক জীবনে সে স্বাধীন। তাই স্বাধীন অংশে যদি মানুষ আল্লাহর আইন মেনে না চলে তাহলে মানুষ তার নিজের সত্ত্বার ভেতরেই একটা সংঘর্ষ বাধিয়ে দেয়।
জাহেলিয়াতকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। কারণ, জাহেলিয়াত নিছক কোনো মতবাদ নয়, বরং বর্তমান বিশ্বে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শেকড় গেড়ে বসেছে এবং জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকরা এর পৃষ্ঠপোষকতার জন্য নিজেদের সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। এ কায়েমী স্বার্থবাদীরা তাদের প্রবর্তিত রীতিনীতি, আইন-বিধান, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ সবকিছুই প্রতিষ্ঠিত করে জেঁকে বসেছে। জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকরা সংগঠিত এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত। তারা সকল শক্তি নিয়ে সারাক্ষণ তাদের প্রবর্তিত ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধানের জন্য তৎপর। শুধু তাই নয়, যাকেই তারা সমস্যা তথা কাঁটা মনে করে, অর্থআৎ তাদের এ জাহেলিয়াতকে উচ্ছেদের জন্য কেউ যদি উঠে দাঁড়ায় তাহলে সংঘবদ্ধভাবে, একযোগে তার বিরুদ্ধে লেগে যায় এবং প্রয়োজনবোধে তারা তাকে হত্যা করতেও কুন্ঠিত হয় না।
সুতরাং, একটি সুসংগঠিত, সংঘবদ্ধ, প্রতিষ্ঠিত ও অত্যাধিুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার জন্য নিছক ওয়াজ-নসিহত, তাত্ত্বিক আলোচনা বা ইসলামি আইনের শ্রেষ্ঠত্বের গুণকীর্ত্ন কখনোই ফলপ্রসূ হতে পারে না। আজকের বস্তুবাদিী সমাজের পুরোটাই যেখানে জাহেলিয়াত নিয়ন্ত্রিত, একটি সুসংগঠিত বিপুল জনগোষ্ঠী, সরকার, সামরিক বাহিনী যেখানে জাহেলিয়াতের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষক, সেখানে মৌখিকভাবে ইসলামের আদর্শ প্রচার করে সফলতা পাওয়া তো-দূরের কথা বাতিলের মুখামুকি দাঁড়ানোটাও সম্ভব নয়। তাই জাহেলিয়াতের উচ্ছেদকল্পে ও আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা অবতীর্ণ হবে তাদেরকে অবশ্যই ঈমানের অপ্রতিরোধ্য বলে বলীয়ান ও সুসংগঠিত হয়ে, সর্বাত্মক জিহাদের পরিকল্পনা নিয়ে রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হতে হবে। বস্তুগত দিক থেকে না হলেও তাদেরকে সাংগঠনিক কাঠামে, পারস্পরিক সম্পর্ক, আমীরের আনুগত্য, নৈতিক উৎকর্স ও প্রয়োজনীয় সকল দিক থেকে জাহেলি সংগঠনগুলোর চেয়ে আরো বেশি সুশৃংখল ও শক্তিশালী হতে হবে। জাহেলিয়াতের স্রোতের মুখে সীসাঢালা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে তার গতি রোধ করে দিতে হবে।
[সংগ্রহীত: আগামী বিপ্লবের ঘোষণাপত্র-সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ(রহ.)]
Comment