যত সময় যাবে তত দাগ পরিষ্কার হবে। কিসের দাগ? ঈমান বনাম কুফর এর। সে দাগ কেমন? সেটা কি চোখে দেখা যায়? এপার ওপার এমন কিছু? না সে দাগ আপাত ভাবে চোখে দেখা যায়না, সে দাগ এমন না যে - ঈমান ওয়ালারা দাগের এ পাশে আসো আর কুফর এর দল ওই পাশে যাও।
কিন্তু দাগ পরিষ্কার হচ্ছে, হবে - আল্লাহ ওয়াদা করেছেন কুফর কে ঈমান থেকে পৃথক করেই ছাড়বেন। রাসুল সাঃ বলেছেন এমন সময় আসবে মানুষ রাতে মুমিন থাকবে সকালে কাফির হয়ে উঠবে আর দিনে মুমিন থাকবে কিন্তু রাতে কাফির হয়ে যাবে। (আও কামা কলা আলাইহিস সালাম)
প্রশ্ন হচ্ছে - আমি ঈমানের ভিতরে আছি নাকি কুফর এর ভিতরে আছি? আমি কোন দাগের ভিতরে আছি? কারন আল্লাহ আমার কাছে খাস কোন সতর্কবানী পাঠাবেন এমন না। আল্লাহর ফায়সালা আসবে, আর ঐ ফায়সালা আসবে ঈমান এবং কুফর আলাদা হয়ে যাবার পর। এমন ফিতান আসবে যে সামান্য সন্দেহ থাকলেও সে ঝরে যাবে, ফিতনা তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কেমন ব্যাপার টা? প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধে কেউ হয়ত কোন রকম একটা ডাল বা পাথর এর মাথা ধরে টিকে আছে তার ১০০% মনোযোগ সেই দিকেই থাকতে হবে টিকে থাকার দিকে, পাথর কে ধরে রাখার দিকে। এক মুহূর্তের অসতর্কতা তাকে তলিয়ে নিয়ে চলে যাবে। সামান্য স্রোত যদি তাকে ছাড় না দেয় তাহলে দাজ্জালের ফিতনা আমাদের কে ছাড় দিয়ে দিবে বা আমরা দাজ্জালের ফিতনাকে সামাল দিয়ে নিজেদের ঈমান কে ঠিক রাখতে পারবো এমন মনে করা কে - কি বলা যায়!
আমি বললাম দাজ্জাল এর ফিতান। এটা কেমন ফিতান? রাসুল সাঃ বলেছেন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত এর চেয়ে বড় কোন ফিতান আর নাই। দাজ্জাল হচ্ছে কিয়ামতের আগে সবচেয়ে বড় ফিতান!!! দাজ্জালের ফিতান এতই ভয়াবহ যে রাসুল সাঃ বলেছেন প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মত কে দাজ্জালের ফিতান সম্পর্কে সাবধান করেছেন কিন্তু আমি তোমাদের কে তার বর্ণনাও দিয়ে দিচ্ছি দাজ্জাল হচ্ছে আওয়ার - এক চোখ কানা কিন্তু তোমাদের রব্ব আওয়ার নন। এরকম আরো অনেক অনেক হাদিস। কেন দাজ্জালের ফিতান এত ভয়াবহ? অনেক অনেক কারন আর সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে - দাজ্জাল নিজেকে খোদা প্রমান করবে আল্লাহও দাজ্জাল কে তেমন ক্ষমতা দিবেন। চিন্তা করে দেখি - দাজ্জাল ছাড়াই আমরা সামান্য কিছু দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য আল্লাহর হুকুম কে সাইডে সরিয়ে রাখি, আর যখন দাজ্জাল নিজে প্রকাশ পাবে তখন কি হবে!
বিষয় টা শুধু দাজ্জাল নিয়ে নয়, দাজ্জাল এর কথা টা শুধু মাত্র একটা উদাহরন হিসেবে। মূল বিষয় টা হচ্ছে - দ্বীন এবং দ্বীনের জ্ঞান থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে অবস্থান করি। আমার এখনো মনে আছে - কোন এক বই মেলায় আসাদুজ্জামান নূর ঘোষণা দিয়েছিলো - এবারের বই মেলায় দাজ্জালের বই সিডি এগুলো বিক্রি করতে দেয়া হবেনা, কথাটা শুনে একটা হাদিসের কথা মনে পড়ে যায় (ভাবার্থে) - যখন দেখবে মানুষ দাজ্জালের ব্যাপারে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে বা এমন বলে যে দাজ্জাল এখনো অনেক দেরি তখন বুঝবে হয় দাজ্জাল চলে এসেছে অথবা সময় খুবই নিকটে।
দাজ্জাল আসার একটা চিহ্ন হচ্ছে মানুষ দাজ্জাল কে নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিবে।
যে কথা বলছিলাম - দ্বীন এবং দ্বীনের জ্ঞান থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে অবস্থান করি।
আল্লাহ বলেছেন আমি আজ তোমাদের জন্য দ্বীন কে পরিপূর্ণ করে দিলাম - কম বেশি প্রত্যেক মুসলিম এই আয়াত টা জানে। কিন্তু এই আয়াতের বাস্তবায়ন টা কেমন হতে পারে? কুরআন শুধু কোন কিতাব না, এই আয়াতের বাস্তবায়নের স্বরূপ কেমন হতে পারে তার একটা উদাহরন হচ্ছে কুরআনেরই আরেকটা আয়াত আর সেটা হচ্ছে - আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম/দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। এটার ই বা বাস্তবায়ন কেমন? এই আয়াতের বাস্তবায়নের স্বরূপ কেমন হতে পারে তার একটা উদাহরন হচ্ছে কুরআনেরই আরেকটা আয়াত আর সেটা হচ্ছে, "তাহলে কি তোমরা আল্লাহর কিতাবের এক অংশ গ্রহন কর আর আরেক অংশ ছেড়ে দাও - "আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
এখন আমাদের সন্তানেরা অনেক ব্যাস্ত দুনিয়ার ইলম শেখার জন্য কিন্তু আমাদের সন্তানেরা কি এই আসন্ন ফিতান সম্পর্কে জানে? দুনিয়ার ডিগ্রি, দুনিয়ার সফলতার জন্য আমরা আমাদের সন্তানদের কত কিছুই না শেখাই,কিন্তু দ্বীন এর ব্যাপারে, অনন্ত জীবনের সফলতার ব্যাপারে আমরা তাদের কতটুকু শেখাই? আমরা নিজেরা কত টুকু শিখি?
বানী ঈসরাইলের একটি ঘটনা হয়ত আমরা জানি যে - তাদের শিরক এর অপরাধে আল্লাহ তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে বলেছিলেন নিজেদের কে হত্যা করে। কেন? কারন শিরক আসলে এত বড় পাপ যে এই পাপের সামনে নিজেকে হাজার বার হত্যা করে ফেলাও অনেক কম। এখন আমরা আমাদের সন্তানদের বড় করি শিরক এর আবহে আমাদের কোন খোঁজ ই নাই যে এটা শিরক!! দাজ্জাল তো না হয় আপাতত বাদ ই দিলাম!
আমি জানি কথা গুলো বিক্ষিপ্ত হচ্ছে - এটা আমার অক্ষমতা এবং বিষয়টাও আসলে এমনই। এক শায়েখ কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো শায়েখ ইসলামে সব কিছু শুধু হারাম কেন? শায়েখ বলেছিলেন কারন সমস্ত হারাম গুলো কে টুকিয়ে নিয়ে এসে তুমি সেগুলোর ব্যাপারে আমার থেকে হালাল ফাতওয়া আশা করছো, তাই। আমরা আজ দ্বীন থেকে এত দূরে চলে গেছি যে তা এখন অনুধাবন করাও কঠিন! এবার এটাও ঠিক যে আমরা এই দ্বীন কে অস্বীকার ও করতে চাইনা। এই দুই এর সমন্বয় করতে গিয়ে আমরা যা করেছি তা হচ্ছে - দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের ভিতরে যে শুন্যতা ছিলো সেগুলোর মধ্যে এখন চলে আসছে নানা রকম ভ্রান্ত ধারনা এমন কি শিরক পর্যন্ত যাকে আমরা আসলে দ্বীন ই ভাবছি!
যেমন মক্কায় প্রথম যে মূর্তি উপাসনা শুরু হয়েছিলো তা কিন্তু শিরক কে প্রতিপাদ্য করে নয়, বরং তারা তো ভেবেছিলো এটা আসলে একটা খুব ভালো কাজ! আর এটা হয়েছিলো দ্বীন এর ব্যাপারে তাদের উদাসিনতা এবং অজ্ঞতার কারনে।
সব শেষে আমি কি বলতে চাচ্ছি?
আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের হাতে সময় খুব কম - একবারেই নাই এমন ধরা যায়। কিন্তু কিভাবে আমার কথার সত্যতা প্রমান করবো! এটা তো প্রায় অসাধ্য কাজ বলা যায়। ঐ যে আমরা সরে গেছি অনেক অনেক দূর। তারপরেও আমাদের কাজ একে অপরকে সাবধান করা। আমাদের জন্য সময় অনেক কম। রাসুল সাঃ হাদিস গুলো সব সামনে চলে আসছে, দেখেন না হয় ফিতান এর কিতাব খুলে। এর জন্য অনেক বড় আলিম হতে হবে না। "ফিতান হাদিস বাংলা" লিখে সার্চ দিয়ে দেখেন। না হয় শুধু বুখারী মুসলিম এর হাদিস গুলোই দেখেন যার ব্যাপারে আপনার বিশ্বাস আছে।
আমরা একটা মারাত্মক সময় পার করছি - ওয়াল্লাহি যদি আমরা বুঝতাম !!! এখন এই শেষ সময়ে আমাদের আপ্রান চেস্টা করা নিজেদের দ্বীন কে বুঝা এবং জানা। আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা তাঁর রাসুল সাঃ এর উপরে যে দ্বীন নাজিল করেছেন, রাসুল সাঃ যে দ্বীন প্রচার করেছেন আমি সেই দ্বীনের কথা বলছি। কোন ফুলান কিংবা মুফতি ব্র্যাডলি এর কথা বলছিনা। একটু সময় নিয়ে চিন্তা করেন - আমি বা আপনি ইসলাম সম্পর্কে যেভাবে জানি - এটা আমরা কার থেকে শিখেছি। কে আমাদের কেই এই ইসলাম শিখিয়েছে? আমি যে ভাবছি, আমি তো ইসলামের উপরেই আছি এই ইসলাম টা আমি কোথা থেকে শিখেছি? এই ব্যাপারে আসলেই আল্লাহ কি বলেছেন? কুরআনে কি বলা আছে? রাসুল সাঃ কি বলেছেন? আমার ঈমান কি ঠিক আছে? নাকি তা নস্ট হয়ে গেছে? সাহাবারা মদিনার রাস্তায় চিৎকার করে উঠতেন - আমি মুনাফিক হয়ে গেছি ! ওয়াল্লাহি।
কিন্তু আমরা আজ পরিপূর্ণ ঈমানের বিলাসিতা নিজের উপরে চাপিয়ে নিয়েছি। কিন্তু যদি ভুল হয়? আমি আমার সন্তান কে যেভাবে বড় করেছি যদি তা ভুল হয়! একটা জমি কেনার আগে ফ্ল্যাট কেনার আগে আমরা কত হিসাব মিলাই আখেরাত এর জিন্দেগির হিসাব টা ঠিক থাকলো কিনা এই হিসাব লাস্ট কবে মিলিয়েছি!!
সে মৃত্যু একবারই এর পরে আর কোন মৃত্যু নাই। সেই দিনের জন্য আমি আপনি আমার পরিবার কতটকু প্রস্তুত?
আল্লাহ আপনি আমাদের উপরে রহম করুন - আমীন
কিন্তু দাগ পরিষ্কার হচ্ছে, হবে - আল্লাহ ওয়াদা করেছেন কুফর কে ঈমান থেকে পৃথক করেই ছাড়বেন। রাসুল সাঃ বলেছেন এমন সময় আসবে মানুষ রাতে মুমিন থাকবে সকালে কাফির হয়ে উঠবে আর দিনে মুমিন থাকবে কিন্তু রাতে কাফির হয়ে যাবে। (আও কামা কলা আলাইহিস সালাম)
প্রশ্ন হচ্ছে - আমি ঈমানের ভিতরে আছি নাকি কুফর এর ভিতরে আছি? আমি কোন দাগের ভিতরে আছি? কারন আল্লাহ আমার কাছে খাস কোন সতর্কবানী পাঠাবেন এমন না। আল্লাহর ফায়সালা আসবে, আর ঐ ফায়সালা আসবে ঈমান এবং কুফর আলাদা হয়ে যাবার পর। এমন ফিতান আসবে যে সামান্য সন্দেহ থাকলেও সে ঝরে যাবে, ফিতনা তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কেমন ব্যাপার টা? প্রবল স্রোতের বিরুদ্ধে কেউ হয়ত কোন রকম একটা ডাল বা পাথর এর মাথা ধরে টিকে আছে তার ১০০% মনোযোগ সেই দিকেই থাকতে হবে টিকে থাকার দিকে, পাথর কে ধরে রাখার দিকে। এক মুহূর্তের অসতর্কতা তাকে তলিয়ে নিয়ে চলে যাবে। সামান্য স্রোত যদি তাকে ছাড় না দেয় তাহলে দাজ্জালের ফিতনা আমাদের কে ছাড় দিয়ে দিবে বা আমরা দাজ্জালের ফিতনাকে সামাল দিয়ে নিজেদের ঈমান কে ঠিক রাখতে পারবো এমন মনে করা কে - কি বলা যায়!
আমি বললাম দাজ্জাল এর ফিতান। এটা কেমন ফিতান? রাসুল সাঃ বলেছেন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত এর চেয়ে বড় কোন ফিতান আর নাই। দাজ্জাল হচ্ছে কিয়ামতের আগে সবচেয়ে বড় ফিতান!!! দাজ্জালের ফিতান এতই ভয়াবহ যে রাসুল সাঃ বলেছেন প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মত কে দাজ্জালের ফিতান সম্পর্কে সাবধান করেছেন কিন্তু আমি তোমাদের কে তার বর্ণনাও দিয়ে দিচ্ছি দাজ্জাল হচ্ছে আওয়ার - এক চোখ কানা কিন্তু তোমাদের রব্ব আওয়ার নন। এরকম আরো অনেক অনেক হাদিস। কেন দাজ্জালের ফিতান এত ভয়াবহ? অনেক অনেক কারন আর সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে - দাজ্জাল নিজেকে খোদা প্রমান করবে আল্লাহও দাজ্জাল কে তেমন ক্ষমতা দিবেন। চিন্তা করে দেখি - দাজ্জাল ছাড়াই আমরা সামান্য কিছু দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য আল্লাহর হুকুম কে সাইডে সরিয়ে রাখি, আর যখন দাজ্জাল নিজে প্রকাশ পাবে তখন কি হবে!
বিষয় টা শুধু দাজ্জাল নিয়ে নয়, দাজ্জাল এর কথা টা শুধু মাত্র একটা উদাহরন হিসেবে। মূল বিষয় টা হচ্ছে - দ্বীন এবং দ্বীনের জ্ঞান থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে অবস্থান করি। আমার এখনো মনে আছে - কোন এক বই মেলায় আসাদুজ্জামান নূর ঘোষণা দিয়েছিলো - এবারের বই মেলায় দাজ্জালের বই সিডি এগুলো বিক্রি করতে দেয়া হবেনা, কথাটা শুনে একটা হাদিসের কথা মনে পড়ে যায় (ভাবার্থে) - যখন দেখবে মানুষ দাজ্জালের ব্যাপারে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে বা এমন বলে যে দাজ্জাল এখনো অনেক দেরি তখন বুঝবে হয় দাজ্জাল চলে এসেছে অথবা সময় খুবই নিকটে।
দাজ্জাল আসার একটা চিহ্ন হচ্ছে মানুষ দাজ্জাল কে নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিবে।
যে কথা বলছিলাম - দ্বীন এবং দ্বীনের জ্ঞান থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে অবস্থান করি।
আল্লাহ বলেছেন আমি আজ তোমাদের জন্য দ্বীন কে পরিপূর্ণ করে দিলাম - কম বেশি প্রত্যেক মুসলিম এই আয়াত টা জানে। কিন্তু এই আয়াতের বাস্তবায়ন টা কেমন হতে পারে? কুরআন শুধু কোন কিতাব না, এই আয়াতের বাস্তবায়নের স্বরূপ কেমন হতে পারে তার একটা উদাহরন হচ্ছে কুরআনেরই আরেকটা আয়াত আর সেটা হচ্ছে - আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম/দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। এটার ই বা বাস্তবায়ন কেমন? এই আয়াতের বাস্তবায়নের স্বরূপ কেমন হতে পারে তার একটা উদাহরন হচ্ছে কুরআনেরই আরেকটা আয়াত আর সেটা হচ্ছে, "তাহলে কি তোমরা আল্লাহর কিতাবের এক অংশ গ্রহন কর আর আরেক অংশ ছেড়ে দাও - "আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
এখন আমাদের সন্তানেরা অনেক ব্যাস্ত দুনিয়ার ইলম শেখার জন্য কিন্তু আমাদের সন্তানেরা কি এই আসন্ন ফিতান সম্পর্কে জানে? দুনিয়ার ডিগ্রি, দুনিয়ার সফলতার জন্য আমরা আমাদের সন্তানদের কত কিছুই না শেখাই,কিন্তু দ্বীন এর ব্যাপারে, অনন্ত জীবনের সফলতার ব্যাপারে আমরা তাদের কতটুকু শেখাই? আমরা নিজেরা কত টুকু শিখি?
বানী ঈসরাইলের একটি ঘটনা হয়ত আমরা জানি যে - তাদের শিরক এর অপরাধে আল্লাহ তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে বলেছিলেন নিজেদের কে হত্যা করে। কেন? কারন শিরক আসলে এত বড় পাপ যে এই পাপের সামনে নিজেকে হাজার বার হত্যা করে ফেলাও অনেক কম। এখন আমরা আমাদের সন্তানদের বড় করি শিরক এর আবহে আমাদের কোন খোঁজ ই নাই যে এটা শিরক!! দাজ্জাল তো না হয় আপাতত বাদ ই দিলাম!
আমি জানি কথা গুলো বিক্ষিপ্ত হচ্ছে - এটা আমার অক্ষমতা এবং বিষয়টাও আসলে এমনই। এক শায়েখ কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো শায়েখ ইসলামে সব কিছু শুধু হারাম কেন? শায়েখ বলেছিলেন কারন সমস্ত হারাম গুলো কে টুকিয়ে নিয়ে এসে তুমি সেগুলোর ব্যাপারে আমার থেকে হালাল ফাতওয়া আশা করছো, তাই। আমরা আজ দ্বীন থেকে এত দূরে চলে গেছি যে তা এখন অনুধাবন করাও কঠিন! এবার এটাও ঠিক যে আমরা এই দ্বীন কে অস্বীকার ও করতে চাইনা। এই দুই এর সমন্বয় করতে গিয়ে আমরা যা করেছি তা হচ্ছে - দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের ভিতরে যে শুন্যতা ছিলো সেগুলোর মধ্যে এখন চলে আসছে নানা রকম ভ্রান্ত ধারনা এমন কি শিরক পর্যন্ত যাকে আমরা আসলে দ্বীন ই ভাবছি!
যেমন মক্কায় প্রথম যে মূর্তি উপাসনা শুরু হয়েছিলো তা কিন্তু শিরক কে প্রতিপাদ্য করে নয়, বরং তারা তো ভেবেছিলো এটা আসলে একটা খুব ভালো কাজ! আর এটা হয়েছিলো দ্বীন এর ব্যাপারে তাদের উদাসিনতা এবং অজ্ঞতার কারনে।
সব শেষে আমি কি বলতে চাচ্ছি?
আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের হাতে সময় খুব কম - একবারেই নাই এমন ধরা যায়। কিন্তু কিভাবে আমার কথার সত্যতা প্রমান করবো! এটা তো প্রায় অসাধ্য কাজ বলা যায়। ঐ যে আমরা সরে গেছি অনেক অনেক দূর। তারপরেও আমাদের কাজ একে অপরকে সাবধান করা। আমাদের জন্য সময় অনেক কম। রাসুল সাঃ হাদিস গুলো সব সামনে চলে আসছে, দেখেন না হয় ফিতান এর কিতাব খুলে। এর জন্য অনেক বড় আলিম হতে হবে না। "ফিতান হাদিস বাংলা" লিখে সার্চ দিয়ে দেখেন। না হয় শুধু বুখারী মুসলিম এর হাদিস গুলোই দেখেন যার ব্যাপারে আপনার বিশ্বাস আছে।
আমরা একটা মারাত্মক সময় পার করছি - ওয়াল্লাহি যদি আমরা বুঝতাম !!! এখন এই শেষ সময়ে আমাদের আপ্রান চেস্টা করা নিজেদের দ্বীন কে বুঝা এবং জানা। আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা তাঁর রাসুল সাঃ এর উপরে যে দ্বীন নাজিল করেছেন, রাসুল সাঃ যে দ্বীন প্রচার করেছেন আমি সেই দ্বীনের কথা বলছি। কোন ফুলান কিংবা মুফতি ব্র্যাডলি এর কথা বলছিনা। একটু সময় নিয়ে চিন্তা করেন - আমি বা আপনি ইসলাম সম্পর্কে যেভাবে জানি - এটা আমরা কার থেকে শিখেছি। কে আমাদের কেই এই ইসলাম শিখিয়েছে? আমি যে ভাবছি, আমি তো ইসলামের উপরেই আছি এই ইসলাম টা আমি কোথা থেকে শিখেছি? এই ব্যাপারে আসলেই আল্লাহ কি বলেছেন? কুরআনে কি বলা আছে? রাসুল সাঃ কি বলেছেন? আমার ঈমান কি ঠিক আছে? নাকি তা নস্ট হয়ে গেছে? সাহাবারা মদিনার রাস্তায় চিৎকার করে উঠতেন - আমি মুনাফিক হয়ে গেছি ! ওয়াল্লাহি।
কিন্তু আমরা আজ পরিপূর্ণ ঈমানের বিলাসিতা নিজের উপরে চাপিয়ে নিয়েছি। কিন্তু যদি ভুল হয়? আমি আমার সন্তান কে যেভাবে বড় করেছি যদি তা ভুল হয়! একটা জমি কেনার আগে ফ্ল্যাট কেনার আগে আমরা কত হিসাব মিলাই আখেরাত এর জিন্দেগির হিসাব টা ঠিক থাকলো কিনা এই হিসাব লাস্ট কবে মিলিয়েছি!!
সে মৃত্যু একবারই এর পরে আর কোন মৃত্যু নাই। সেই দিনের জন্য আমি আপনি আমার পরিবার কতটকু প্রস্তুত?
আল্লাহ আপনি আমাদের উপরে রহম করুন - আমীন
Comment