অনেক দিন আগের কথা - আমি কোথাও যাচ্ছিলাম। খুব সম্ভব শীতের সময় হবে, রাস্তার পাশে ওয়াজ হচ্ছিলো। শীত কালীন মজাদার ওয়াজ। যাই হোক কিছু কথা কানে আসলো - যা ছিলো মারাত্মক বিদয়াত এবং ভ্রান্ত আকিদার কথা বার্তা। কিন্তু ওয়ায়েজ - এমন আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে যাচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো গিয়ে তাকে থামাই আর বলি এসব মিথ্যা বন্ধ কর। কিন্তু পারিনি।
সেদিন রাতে আমার মনে হল ঠিক এই ভাবে আমি আমার সমাজ টা আজ এই অবস্থায় চলে এসেছে। ঠিক এই ভাবে আমরা শুদ্ধ দ্বীন থেকে বহু দূরে চলে গেছি। কারন আমরা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা অন্যায় কে বাধা দেয়া ছেড়ে দিয়েছি। কালের পরিক্রমায় আজ পাপ আমাদের জীবনের উপকরণ হয়ে গেছে, পাপের উপকরণ ছাড়া আমরা বাচার কথা চিন্তাও করতে পারিনা! আমি বাড়িয়ে বলছিনা।
আল্লাহ ইল্ম উঠিয়ে নেন না বরং আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইল্ম উঠে যায়। আজ আমাদের প্রত্যকে টা অবস্থার জন্য কোন না কোন ভাবে আমাদের এই পাপ দায়ী, আমরা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা দ্বীনের ব্যাপারে উদসিন হয়ে গেছিলাম।
সেই রাতে তো আমি কিছু করতে পারিনি তবে সেই ঘটনা টা আমি ভুলেও যাইনি।
সেই ঘটনার স্মরনে আমি আমার ভাইদের কাছে অনুরোধ করব - আপনারা আপনাদের সাধ্য মত আল্লাহর দ্বীনের যতটুকু ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন - তা বলবেন। নিজের ভিতরে কোন কথা চেপে রাখবেন না যদি তা একটি মাত্র বাক্যও হয়। আপনি দেখেন কাফের রা, আর তাদের দালাল রা তাদের মতবাদ প্রচার প্রসার করার জন্য অক্লান্ত কথা বলে যায় - তাহলে আমরা আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কথা বলতে কেন ক্লান্ত হব!
আমরা অনেকে ভাবি - আরে এটা তো ছোট বিষয়। জি হয়ত আসলেই ছোট বিষয়, কিন্তু আল্লাহর দ্বীনের বিষয়! সুতরাং আপনি বলেন, তা যত ছোটই হোক না কেন। অনবরত আল্লাহর দ্বীন এবং আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলার মধ্যে অনেক অনেক ফায়দা আছে। যখনই যে হালাত এ সম্ভব আপনি অন্যের সাথে দ্বীনের কথা বলেন, আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলেন। তারা না শুনুক, আপনি শুনিয়ে দেন। কাউকে দাওয়াত দিচ্ছেন - আল্লাহর কালাম থেকে তাকে কিছু শুনান। আল্লাহর কালামের সাথে তার সম্পর্ক করে দেন। তাকে জিজ্ঞেস করেন দ্বীনের ব্যাপারে তুমি যে কোন একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপন কর -এর পরে চল আমরা দেখি এই ব্যাপারে কুরআন কি বলে -
একটি বাস্তব ঘটনা দিয়ে শেষ করব ইনশা আল্লাহ। আমি এক ভাই এর ঘটনা জানি -
তিনি অনেক দিন যাবত তাঁর বন্ধুদের মাঝে দাওয়াত দিচ্ছিলেন। তো এতে কোন পরিবর্তন আসছিলোনা। ভাই ও প্রায় হতাশ হয়ে যান এরকম অবস্থা। এমন সময়ে ভাই কোন এক লেকচারে শুনলেন আল্লাহর রাসুলের দাওয়াহ ছিলো সবচেয়ে উত্তম - আর তিনি কুরআন দিয়েই দাওয়াহ দিয়েছেন। পরে সেই ভাই চিন্তা করলেন - আরে! তাইতো কুরআন অপেক্ষা উত্তম আর কি হতে পারে! আমার এত কিছু চিন্তা করা কি দরকার? কুরআনে যা আছে আমি সেটাই পড়ে শুনিয়ে দিবো। হেদায়েত এর মালিক তো আল্লাহ। যেই ভাবা সেই কাজ। সেই ভাই উনার এক বন্ধুকে নিয়ে মসজিদে কুরআন থেকে কোন একটা সুরা বাংলা অর্থ সহ পড়ে শুনালেন। আর কিচ্ছুনা। এর পরে চলে আসলেন। এরপর থেকেই উনার সেই বন্ধু দ্বীনের পথে চলে আসলো! ঠিক এর পরেই।
তাই আমাদের ঘর, আমাদের আলোচনা, আমাদের দাওয়াহ, আমাদের চিন্তা এবং চেতনায় আমরা আল্লাহ, তাঁর দ্বীন, তাঁর কালাম, তাঁর রাসুল, তাঁর রাসুলের সুন্নাহ - এই গুলো কে নিয়ে আসি। যত অল্পই হোক আর যত বেশিই হোক।
আল্লাহ আপনি আমার জন্য এবং আমাদের জন্য আমল করা কে সহজ করে দিন - আমিন।
সেদিন রাতে আমার মনে হল ঠিক এই ভাবে আমি আমার সমাজ টা আজ এই অবস্থায় চলে এসেছে। ঠিক এই ভাবে আমরা শুদ্ধ দ্বীন থেকে বহু দূরে চলে গেছি। কারন আমরা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা অন্যায় কে বাধা দেয়া ছেড়ে দিয়েছি। কালের পরিক্রমায় আজ পাপ আমাদের জীবনের উপকরণ হয়ে গেছে, পাপের উপকরণ ছাড়া আমরা বাচার কথা চিন্তাও করতে পারিনা! আমি বাড়িয়ে বলছিনা।
আল্লাহ ইল্ম উঠিয়ে নেন না বরং আলিমদের উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইল্ম উঠে যায়। আজ আমাদের প্রত্যকে টা অবস্থার জন্য কোন না কোন ভাবে আমাদের এই পাপ দায়ী, আমরা কথা বলা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা দ্বীনের ব্যাপারে উদসিন হয়ে গেছিলাম।
সেই রাতে তো আমি কিছু করতে পারিনি তবে সেই ঘটনা টা আমি ভুলেও যাইনি।
সেই ঘটনার স্মরনে আমি আমার ভাইদের কাছে অনুরোধ করব - আপনারা আপনাদের সাধ্য মত আল্লাহর দ্বীনের যতটুকু ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন - তা বলবেন। নিজের ভিতরে কোন কথা চেপে রাখবেন না যদি তা একটি মাত্র বাক্যও হয়। আপনি দেখেন কাফের রা, আর তাদের দালাল রা তাদের মতবাদ প্রচার প্রসার করার জন্য অক্লান্ত কথা বলে যায় - তাহলে আমরা আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কথা বলতে কেন ক্লান্ত হব!
আমরা অনেকে ভাবি - আরে এটা তো ছোট বিষয়। জি হয়ত আসলেই ছোট বিষয়, কিন্তু আল্লাহর দ্বীনের বিষয়! সুতরাং আপনি বলেন, তা যত ছোটই হোক না কেন। অনবরত আল্লাহর দ্বীন এবং আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলার মধ্যে অনেক অনেক ফায়দা আছে। যখনই যে হালাত এ সম্ভব আপনি অন্যের সাথে দ্বীনের কথা বলেন, আল্লাহর ব্যাপারে কথা বলেন। তারা না শুনুক, আপনি শুনিয়ে দেন। কাউকে দাওয়াত দিচ্ছেন - আল্লাহর কালাম থেকে তাকে কিছু শুনান। আল্লাহর কালামের সাথে তার সম্পর্ক করে দেন। তাকে জিজ্ঞেস করেন দ্বীনের ব্যাপারে তুমি যে কোন একটি প্রসঙ্গ উপস্থাপন কর -এর পরে চল আমরা দেখি এই ব্যাপারে কুরআন কি বলে -
একটি বাস্তব ঘটনা দিয়ে শেষ করব ইনশা আল্লাহ। আমি এক ভাই এর ঘটনা জানি -
তিনি অনেক দিন যাবত তাঁর বন্ধুদের মাঝে দাওয়াত দিচ্ছিলেন। তো এতে কোন পরিবর্তন আসছিলোনা। ভাই ও প্রায় হতাশ হয়ে যান এরকম অবস্থা। এমন সময়ে ভাই কোন এক লেকচারে শুনলেন আল্লাহর রাসুলের দাওয়াহ ছিলো সবচেয়ে উত্তম - আর তিনি কুরআন দিয়েই দাওয়াহ দিয়েছেন। পরে সেই ভাই চিন্তা করলেন - আরে! তাইতো কুরআন অপেক্ষা উত্তম আর কি হতে পারে! আমার এত কিছু চিন্তা করা কি দরকার? কুরআনে যা আছে আমি সেটাই পড়ে শুনিয়ে দিবো। হেদায়েত এর মালিক তো আল্লাহ। যেই ভাবা সেই কাজ। সেই ভাই উনার এক বন্ধুকে নিয়ে মসজিদে কুরআন থেকে কোন একটা সুরা বাংলা অর্থ সহ পড়ে শুনালেন। আর কিচ্ছুনা। এর পরে চলে আসলেন। এরপর থেকেই উনার সেই বন্ধু দ্বীনের পথে চলে আসলো! ঠিক এর পরেই।
তাই আমাদের ঘর, আমাদের আলোচনা, আমাদের দাওয়াহ, আমাদের চিন্তা এবং চেতনায় আমরা আল্লাহ, তাঁর দ্বীন, তাঁর কালাম, তাঁর রাসুল, তাঁর রাসুলের সুন্নাহ - এই গুলো কে নিয়ে আসি। যত অল্পই হোক আর যত বেশিই হোক।
আল্লাহ আপনি আমার জন্য এবং আমাদের জন্য আমল করা কে সহজ করে দিন - আমিন।
Comment