জুলফিকার – আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
এক ভাই – ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
জুলফিকার- ভাই আপনি কেমন আছেন , পরিবারের সবাই কেমন আছে ? দ্বীনের দাওয়াত কেমন চলছে ?
এক ভাই- আলহামদুলিল্লাহ্* ! তবে ভাই দ্বীনের দাওয়াতের অবস্থা তেমন ভালো নয় , কীভাবে কি করব তা কিছুই বুঝে আসছে না আবার রয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা , ঢাকা শহরে তো ঘর থেকে বের হলেই অনেক খরচ। সাধ্যমত যতটুকুই পারছি করার চেষ্টা করছি ।
জুলফিকার- সাধ্যমত !!! সাধ্যমত আবার কিসের ! আপনার সাধ্য কতটুকু আছে তা আপনি বুঝলেন কীভাবে ?
এক ভাই – ভাই সাধ্যমত মানে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি করে থাকি ।
জুলফিকার- যেমন –
এক ভাই – যেমন – আমি দৈনিক অন্যান্য কাজ করার পর ১ ঘণ্টা কয়েকজন ভাইকে দ্বীনের বিষয়ে তালিম দেই , এর পর আমি আমার অন্যান্য কাজে সময় দিয়ে থাকি ।
জুলফিকার- ভাই আপনি আপনার সাধ্যমত করেন নাই , আপনি আরও সময় দিতে পারতেন ।
এক ভাই – ভাই আমি এই ১ ঘণ্টা সময় ও বের করেছি , অন্যান্য কাজের মধ্য থেকে কিছু কাজ বাদ দিয়ে , তাহলে আমি কীভাবে আমার সাধ্যমত কাজ করি নাই , একটু বুঝিয়ে বলুন তো ?
জুলফিকার- ভাই আপনি হয়তো জানেন যে , ইব্রাহিম (আঃ) কে নমরুদ আগুনে নিক্ষেপ করেছিল , এবং ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্য আর ছিল না তাই তিনি আল্লাহ্*র কাছে সাহায্য চায় , এবং আল্লাহ্* তাকে হেফাজত করেন । ভাই এখানেই একটু চিন্তার বিষয় । আমরা মনে করি ইব্রাহিম (আঃ) সাধ্যমত চেষ্টা করেছে , চেষ্টা করেছিল মুসা (আঃ) যখন ফেরাউনের বাহিনী তাদের পিছনে ছিল আর এক পর্যায়ে তাদের সামনে থাকে সমুদ্র , তখন আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের সমুদ্র পার হওয়ার জন্য রাস্তা করে দিয়েছিলেন , অর্থাৎ মুসা (আঃ) তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করেছে আর তাঁর সাধ্য যখন শেষ তখন আল্লাহ্* সাহায্য করেছেন , একই ভাবে ইউনুস (আঃ) সহ আরও অনেক নবি – রসুলগণ ।
এবার মূল কথায় আসি , ইব্রাহিম (আঃ), মুসা (আঃ) কি জানতেন তাঁর সাধ্য অতটুকু বা এর পরে তাঁর আর সাধ্য নেই , কেন মুসা (আঃ) তাঁর সাথীদের নিয়ে তো সমুদ্রে সাঁতার দেওয়া পর্যন্ত ও যেতে পারতেন কিন্তু এখানেই আমার কথা মনোযোগ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করেন , মুসা (আঃ) এর কিন্তু সেই সাধ্য ছিল অর্থাৎ সমুদ্রে ঝাপ দেওয়ার পর কি আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের বাঁচাতে পারতেন না ? অবশ্যই পারতেন । অনেক অজ্ঞ নাস্তিক রয়েছে তারা হয়তো বলবে পারতেন না , ওদের জন্য ও আল্লাহ্* উদাহরন দিয়ে রেখেছেন , ইউনুস (আঃ) কে শুধু পানি থেকে নয় , পানির মধ্যে মাছের পেটের থেকে ও বাঁচিয়ে । আমার কথার হয়তো এখনো কিছু বুঝে আসে নি তাই না , এবার ইনশা-আল্লাহ বুঝে আসবে । কার সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা বান্দা ঠিক করতে পারবে না আর বান্দা তার নিজের সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা সে নিজেও জানে না । বান্দার সাধ্য শেষ কোথায় তা জানা যাবে যখন আল্লাহ্*র নুসরাহ অর্থাৎ সাহায্য আসবে ।
যখন আগুন ইব্রাহিম (আঃ) কে গ্রাস করতে নিবে তার আগেই আল্লাহ্*র সাহায্য আসে আর ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্যের লিমিট সেখানেই শেষ হয় একই ভাবে মুসা (আঃ) , ইউসুফ (আঃ) এর ক্ষেত্রে ও দেখতে পাবেন । তাই এক কথায় বলা যায় আল্লাহ্*র সাহায্য না আসা পর্যন্ত আপনার সাধ্য শেষ হয় নি , অর্থাৎ আরও রয়েছে ।
প্রশ্নঃ ভাই আমি তো দৈনিক ১ ঘণ্টা সময় দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে থাকি তাহলে আমি এখানে কীভাবে বুঝব যে আমার আর ও সাধ্য রয়েছে দাওয়াত দেওয়ার জন্য , তাহলে কি আমি ঘটার পর ঘণ্টা দাওয়াত দিতে থাকবো ? বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলুন ----
{ চলবে ......... ইনশা-আল্লাহ }
এক ভাই – ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ
জুলফিকার- ভাই আপনি কেমন আছেন , পরিবারের সবাই কেমন আছে ? দ্বীনের দাওয়াত কেমন চলছে ?
এক ভাই- আলহামদুলিল্লাহ্* ! তবে ভাই দ্বীনের দাওয়াতের অবস্থা তেমন ভালো নয় , কীভাবে কি করব তা কিছুই বুঝে আসছে না আবার রয়েছে অর্থনৈতিক সমস্যা , ঢাকা শহরে তো ঘর থেকে বের হলেই অনেক খরচ। সাধ্যমত যতটুকুই পারছি করার চেষ্টা করছি ।
জুলফিকার- সাধ্যমত !!! সাধ্যমত আবার কিসের ! আপনার সাধ্য কতটুকু আছে তা আপনি বুঝলেন কীভাবে ?
এক ভাই – ভাই সাধ্যমত মানে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি করে থাকি ।
জুলফিকার- যেমন –
এক ভাই – যেমন – আমি দৈনিক অন্যান্য কাজ করার পর ১ ঘণ্টা কয়েকজন ভাইকে দ্বীনের বিষয়ে তালিম দেই , এর পর আমি আমার অন্যান্য কাজে সময় দিয়ে থাকি ।
জুলফিকার- ভাই আপনি আপনার সাধ্যমত করেন নাই , আপনি আরও সময় দিতে পারতেন ।
এক ভাই – ভাই আমি এই ১ ঘণ্টা সময় ও বের করেছি , অন্যান্য কাজের মধ্য থেকে কিছু কাজ বাদ দিয়ে , তাহলে আমি কীভাবে আমার সাধ্যমত কাজ করি নাই , একটু বুঝিয়ে বলুন তো ?
জুলফিকার- ভাই আপনি হয়তো জানেন যে , ইব্রাহিম (আঃ) কে নমরুদ আগুনে নিক্ষেপ করেছিল , এবং ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্য আর ছিল না তাই তিনি আল্লাহ্*র কাছে সাহায্য চায় , এবং আল্লাহ্* তাকে হেফাজত করেন । ভাই এখানেই একটু চিন্তার বিষয় । আমরা মনে করি ইব্রাহিম (আঃ) সাধ্যমত চেষ্টা করেছে , চেষ্টা করেছিল মুসা (আঃ) যখন ফেরাউনের বাহিনী তাদের পিছনে ছিল আর এক পর্যায়ে তাদের সামনে থাকে সমুদ্র , তখন আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের সমুদ্র পার হওয়ার জন্য রাস্তা করে দিয়েছিলেন , অর্থাৎ মুসা (আঃ) তাঁর সাধ্যমত চেষ্টা করেছে আর তাঁর সাধ্য যখন শেষ তখন আল্লাহ্* সাহায্য করেছেন , একই ভাবে ইউনুস (আঃ) সহ আরও অনেক নবি – রসুলগণ ।
এবার মূল কথায় আসি , ইব্রাহিম (আঃ), মুসা (আঃ) কি জানতেন তাঁর সাধ্য অতটুকু বা এর পরে তাঁর আর সাধ্য নেই , কেন মুসা (আঃ) তাঁর সাথীদের নিয়ে তো সমুদ্রে সাঁতার দেওয়া পর্যন্ত ও যেতে পারতেন কিন্তু এখানেই আমার কথা মনোযোগ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করেন , মুসা (আঃ) এর কিন্তু সেই সাধ্য ছিল অর্থাৎ সমুদ্রে ঝাপ দেওয়ার পর কি আল্লাহ্* মুসা (আঃ) ও তাঁর সাথীদের বাঁচাতে পারতেন না ? অবশ্যই পারতেন । অনেক অজ্ঞ নাস্তিক রয়েছে তারা হয়তো বলবে পারতেন না , ওদের জন্য ও আল্লাহ্* উদাহরন দিয়ে রেখেছেন , ইউনুস (আঃ) কে শুধু পানি থেকে নয় , পানির মধ্যে মাছের পেটের থেকে ও বাঁচিয়ে । আমার কথার হয়তো এখনো কিছু বুঝে আসে নি তাই না , এবার ইনশা-আল্লাহ বুঝে আসবে । কার সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা বান্দা ঠিক করতে পারবে না আর বান্দা তার নিজের সাধ্য কতটুকু রয়েছে তা সে নিজেও জানে না । বান্দার সাধ্য শেষ কোথায় তা জানা যাবে যখন আল্লাহ্*র নুসরাহ অর্থাৎ সাহায্য আসবে ।
যখন আগুন ইব্রাহিম (আঃ) কে গ্রাস করতে নিবে তার আগেই আল্লাহ্*র সাহায্য আসে আর ইব্রাহিম (আঃ) এর সাধ্যের লিমিট সেখানেই শেষ হয় একই ভাবে মুসা (আঃ) , ইউসুফ (আঃ) এর ক্ষেত্রে ও দেখতে পাবেন । তাই এক কথায় বলা যায় আল্লাহ্*র সাহায্য না আসা পর্যন্ত আপনার সাধ্য শেষ হয় নি , অর্থাৎ আরও রয়েছে ।
প্রশ্নঃ ভাই আমি তো দৈনিক ১ ঘণ্টা সময় দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে থাকি তাহলে আমি এখানে কীভাবে বুঝব যে আমার আর ও সাধ্য রয়েছে দাওয়াত দেওয়ার জন্য , তাহলে কি আমি ঘটার পর ঘণ্টা দাওয়াত দিতে থাকবো ? বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলুন ----
{ চলবে ......... ইনশা-আল্লাহ }
Comment