“অনেক শিক্ষার্থী যখন শুনে,কোন ব্যক্তি জিহাদ ব্যতিত অন্য কোন ভাল কাজ করার ইচ্ছা পোষন করে তখন সে তাকে বাধা দেয় না বিরত ও রাখেনা।"
কিন্ত যখন কেউ জিহাদের কাজে এগিয়ে যায় এবং কফফারদের সাথে লড়াই করতে চায়, যেটা সর্বোত্তম ইবাদাত(যেমনটা সত্য নবী সাঃ বলেছেন)। তখন সে তাকে তা হতে ফিরিয়ে রাখতে চায় এবং যে কোন উপায়ে বাধা দেয়। তাহলে এটা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদের ইবাদতকে অপছন্দ করা ও তার সাথে শত্রুতা ব্যতিত আর কি ??
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَرِحَ الْمُخَلَّفُونَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَافَ رَسُوْلِ اللهِ وَكَرِهُوْا اَنْ يُّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ فِيْ سَبِيلِ اللهِ وَقَالُوْا لا تَنْفِرُوْا فِيْ الحَرِّ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ اَشَدُّ حَرَّا لَوْ كَانُوْا يَفْقَهُوْنَ0 فَلْيَضْحَكُوْا قَلِيلا ولْيَبْكُوا كَثِيرًا جَزَاءً بِما كَانُوا يَكْسِبُونَ (سورة التوبة:81)
“যারা রাসূল সাঃ এর বিরোধীতা করে জিহাদ না গিয়ে বসে ছিল তারা খুশি এবং তারা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জান-মাল দিয়ে লড়াই করতে অপছন্দ করে।
আর তারা বলে- তোমরা এই গরমে হয়ো না। হে নবী আপনি বলে দিন, জাহান্নামের আগুন আরো উত্তপ্ত, যদি তারা বুঝত! অতএব- তারা অল্প হেসে নিক, অতপর বেশি কাঁদবে। তারা যা উপার্জন করেছে, তারই প্রতিদান সরুপ।’’ (সুরাঃ
আল্লামা সা’দী (রঃ) বলেন,
“আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, জিহাদ থেকে পিছিয়ে থেকে আনন্দ প্রকাশ করা ও জিহাদের ন্যপারে পরোয়া না করাই, মুনাফিকদের ঈমান না থাকা ও ঈমানের উপর কুফরকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রমাণ।
রাসূল (সাঃ) এর বিরোধীতা করে জিহাদ বিমুখ হয়ে আনন্দিত হওয়া! এতে জিহাদে বের না হওয়ার সাথে আরেকটি বিষয় যুক্ত হলো, তা হচ্ছে আনন্দির হওয়া হারামের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
মুনাফিকরা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জান-মাল দিয়ে জিহাদ কিরাকে অপছন্দ করে। এটা মু’মিনদের স্বভাবের বিপরীত। কেননা, মু’মিনগণ কোন কারণ বশত পিছিয়ে থাকলেও চিন্তিত হন এবং চরমভাবে দুঃখিত হন। মু’মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল দিয়ে জিহাদ করতে ভালবাসেন।
কেননা তাদের অন্তরে রয়েছে প্রগাঢ় ঈমান। আর তারা আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ, প্রতিদান ইত্যাদীর আশা করে। অপরদিকে মুনাফিকরা বলে, তোমরা গরমে বের হয়ো না, অর্থাৎ গরমে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। তারা সাময়ীক প্রশান্তীকে চিরস্থায়ী আনন্দের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
হে মুসলিম ভাই ! কেন তারা তোমাকে বাধা দেয় ও ফিরিয়ে রাখে, যখন তুমি জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষন করো? এর কারণ ও রহস্য কি ?
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قد يَعْلَمُ الله المُعَوِّقِينَ مِنكُم والقَائِلِينَ لإِخْوَانِهنمْ هَلُمَّ الينا ولا يَأْتُوْنَ الْبَأسَ إلّا قَلِيلَا
“নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যপারে জানেন, জারা তোমাদেরকে জিহাদ থেকে ফিরিয়ে রাখে। তারা তাদের বন্ধুদেরকে বলে, তোমরা আমাদের সাথে থাক। তারা নিজেরা ও জিহাদে বের হয় না, তবে খুব কম।”
ঈমাম ত্ববারী (রঃ) বলেন,
قد يعلم الله الذين يعوقون الناس منكم عن رسول الله صلي الله عليه وسلم فيصدونهم عنه , وعن شهود الحرب معه, نفاقا منهم. وتخذيلا عن الإسلام واهله ( والقَئِلِينَ لإِخْوانِهِم هَلُمَّ أِلَينَا) : أي تعالوا الينا, ودعوا محمدا, فلا نشهدوا معه مشهده, فانا نخاف عليكم الهلاك بهلاكه ( ولَا يَأتُونَ الْبَأسَ إلا قَلِيلَا) يقول: ولا يشهدون الحرب والقتال ان شهدوا إلا تعذيرا . انتهي
"আল্লাহ তায়ালা ভালভাবেই জানেন, যারা লোকদেরকে রাসূল সাঃ থেকে ফিরিয়ে রাখে ও তার সাথে জিহাদে শরীক হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটা তাদের নিফাকের কারণে এবং ইসলাম ও মুলিমদেরকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে।
“এবং যারা তাদের ভাইদেরকে বলেঃ আমাদের কাছে আস” অর্থাৎ আমাদের সাথে থাকে ও মুহাম্মাদকে (সাঃ) ছাড়। তার সাথে জিহাদে শরীক হইয়ো না। কেননা আমরা তোমাদের ব্যপারে আশঙ্কা করছি,হয়ত তারা ধ্বংস হয়ে গেলে তোমরা ও শেষ হয়ে যাবে।
‘আর তারা নিজেরাও জিহাদে শরীক হয়না, তবে খুব অল্প অর্থাৎ তারা জিহাদে বের হয়ই না, যদিও শরীক হয়, তবে ভিন্ন কারণে”।
(মূলঃ শাইখ খালিদ আল হুসাইনান রহঃ)
কিন্ত যখন কেউ জিহাদের কাজে এগিয়ে যায় এবং কফফারদের সাথে লড়াই করতে চায়, যেটা সর্বোত্তম ইবাদাত(যেমনটা সত্য নবী সাঃ বলেছেন)। তখন সে তাকে তা হতে ফিরিয়ে রাখতে চায় এবং যে কোন উপায়ে বাধা দেয়। তাহলে এটা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদের ইবাদতকে অপছন্দ করা ও তার সাথে শত্রুতা ব্যতিত আর কি ??
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَرِحَ الْمُخَلَّفُونَ بِمَقْعَدِهِمْ خِلَافَ رَسُوْلِ اللهِ وَكَرِهُوْا اَنْ يُّجَاهِدُوْا بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْ فِيْ سَبِيلِ اللهِ وَقَالُوْا لا تَنْفِرُوْا فِيْ الحَرِّ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ اَشَدُّ حَرَّا لَوْ كَانُوْا يَفْقَهُوْنَ0 فَلْيَضْحَكُوْا قَلِيلا ولْيَبْكُوا كَثِيرًا جَزَاءً بِما كَانُوا يَكْسِبُونَ (سورة التوبة:81)
“যারা রাসূল সাঃ এর বিরোধীতা করে জিহাদ না গিয়ে বসে ছিল তারা খুশি এবং তারা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জান-মাল দিয়ে লড়াই করতে অপছন্দ করে।
আর তারা বলে- তোমরা এই গরমে হয়ো না। হে নবী আপনি বলে দিন, জাহান্নামের আগুন আরো উত্তপ্ত, যদি তারা বুঝত! অতএব- তারা অল্প হেসে নিক, অতপর বেশি কাঁদবে। তারা যা উপার্জন করেছে, তারই প্রতিদান সরুপ।’’ (সুরাঃ
আল্লামা সা’দী (রঃ) বলেন,
“আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন যে, জিহাদ থেকে পিছিয়ে থেকে আনন্দ প্রকাশ করা ও জিহাদের ন্যপারে পরোয়া না করাই, মুনাফিকদের ঈমান না থাকা ও ঈমানের উপর কুফরকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রমাণ।
রাসূল (সাঃ) এর বিরোধীতা করে জিহাদ বিমুখ হয়ে আনন্দিত হওয়া! এতে জিহাদে বের না হওয়ার সাথে আরেকটি বিষয় যুক্ত হলো, তা হচ্ছে আনন্দির হওয়া হারামের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
মুনাফিকরা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জান-মাল দিয়ে জিহাদ কিরাকে অপছন্দ করে। এটা মু’মিনদের স্বভাবের বিপরীত। কেননা, মু’মিনগণ কোন কারণ বশত পিছিয়ে থাকলেও চিন্তিত হন এবং চরমভাবে দুঃখিত হন। মু’মিনগণ আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল দিয়ে জিহাদ করতে ভালবাসেন।
কেননা তাদের অন্তরে রয়েছে প্রগাঢ় ঈমান। আর তারা আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ, প্রতিদান ইত্যাদীর আশা করে। অপরদিকে মুনাফিকরা বলে, তোমরা গরমে বের হয়ো না, অর্থাৎ গরমে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। তারা সাময়ীক প্রশান্তীকে চিরস্থায়ী আনন্দের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
হে মুসলিম ভাই ! কেন তারা তোমাকে বাধা দেয় ও ফিরিয়ে রাখে, যখন তুমি জিহাদে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষন করো? এর কারণ ও রহস্য কি ?
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قد يَعْلَمُ الله المُعَوِّقِينَ مِنكُم والقَائِلِينَ لإِخْوَانِهنمْ هَلُمَّ الينا ولا يَأْتُوْنَ الْبَأسَ إلّا قَلِيلَا
“নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যপারে জানেন, জারা তোমাদেরকে জিহাদ থেকে ফিরিয়ে রাখে। তারা তাদের বন্ধুদেরকে বলে, তোমরা আমাদের সাথে থাক। তারা নিজেরা ও জিহাদে বের হয় না, তবে খুব কম।”
ঈমাম ত্ববারী (রঃ) বলেন,
قد يعلم الله الذين يعوقون الناس منكم عن رسول الله صلي الله عليه وسلم فيصدونهم عنه , وعن شهود الحرب معه, نفاقا منهم. وتخذيلا عن الإسلام واهله ( والقَئِلِينَ لإِخْوانِهِم هَلُمَّ أِلَينَا) : أي تعالوا الينا, ودعوا محمدا, فلا نشهدوا معه مشهده, فانا نخاف عليكم الهلاك بهلاكه ( ولَا يَأتُونَ الْبَأسَ إلا قَلِيلَا) يقول: ولا يشهدون الحرب والقتال ان شهدوا إلا تعذيرا . انتهي
"আল্লাহ তায়ালা ভালভাবেই জানেন, যারা লোকদেরকে রাসূল সাঃ থেকে ফিরিয়ে রাখে ও তার সাথে জিহাদে শরীক হওয়া থেকে বাধা দেয়। এটা তাদের নিফাকের কারণে এবং ইসলাম ও মুলিমদেরকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে।
“এবং যারা তাদের ভাইদেরকে বলেঃ আমাদের কাছে আস” অর্থাৎ আমাদের সাথে থাকে ও মুহাম্মাদকে (সাঃ) ছাড়। তার সাথে জিহাদে শরীক হইয়ো না। কেননা আমরা তোমাদের ব্যপারে আশঙ্কা করছি,হয়ত তারা ধ্বংস হয়ে গেলে তোমরা ও শেষ হয়ে যাবে।
‘আর তারা নিজেরাও জিহাদে শরীক হয়না, তবে খুব অল্প অর্থাৎ তারা জিহাদে বের হয়ই না, যদিও শরীক হয়, তবে ভিন্ন কারণে”।
(মূলঃ শাইখ খালিদ আল হুসাইনান রহঃ)
Comment