Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসুন শহিদদের কারামত পড়ে নিজেরাও শাহাদাতের পথে এগিয়ে চলি !!! পর্ব-২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসুন শহিদদের কারামত পড়ে নিজেরাও শাহাদাতের পথে এগিয়ে চলি !!! পর্ব-২

    মুজাহিদীনের দোয়া
    আফগানিস্তানের এক বিখ্যাত মুজাহিদ মাওলানা আরসালান । তিনি রাশিয়ান বাহিনীর মধ্যে এত ভীতির সঞ্চার করেছিলেন যে, রাশিয়ান বাহিনী সর্বদা তাঁর ব্যাপারে সৈন্যদেরকে সতর্ক করতো । তারা সৈন্যদের বলত, তিনি(আরসালান) মানুষের গোশত পর্যন্ত ভক্ষণ করেন । এই মাওলানা আরসালান আমাকে বলেন, একবার এক খণ্ডযুদ্ধে আমাদের কাছে মাত্র একটি রকেট লাঞ্চার ও একটি ট্যাংক বিধ্বংসী গোলা ছিল । আমরা নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলাম, যেনো একটি রকেটই শত্রুবাহিনীর ধ্বংসের জন্য যথেষ্ঠ হয়ে যায় । আমরা সম্মুখপথে ২০০টি ট্যাংক এবং একদল সৈন্য দেখলাম, যারা আমাদের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত । আমরা আল্লাহর নাম নিয়ে রকেটে আগুন জালিয়ে বিস্ফোরক ভর্তি রকেটটি তীব্র গতিতে নিক্ষেপ করলাম । আল্লাহর রহমতে শত্রুবাহিনীর ৮৫টি ট্যাংক ও একটি অস্ত্রবাহী গাড়ি ধ্বংস হয়ে গেল । শত্রুরা পরাজিত হলো এবং আমরা অনেককে বন্দি করলাম । আমি (লেখক) সেই যুবককে দেখেছি যে রকেটিতে আগুন জালিয়েছিল ।

    পাখির বেষ্টনী
    মাওলানা আরসালান আমাকে বলেন, একবার যুদ্ধের ময়দানে নিরাপদ স্থানে পৌঁছার আগেই রাশিয়ান বাহিনী আমাদের আক্রমন করল । এই আকস্মিক আক্রমনে আমরা ভাবনাতুর হয়ে পড়লাম । ঘটনাক্রমে ফাঁকে ফাঁকে পাখিরা এসে আমাদের মাথার ওপর চক্কর দিচ্ছিল । ফলে শত্রুবাহিনীর বিমান আমাদের ওপর আক্রমন করতে পারছিল না । পাখিদের এই অভূতপূর্ব সাহায্য আমরা নিজেদের প্রস্তুত করে শত্রুবাহিনীর বিমানকে ভূপাতিত করলাম ।
    মাওলানা জালাল উদ্দিন হক্কানি (একজন বিখ্যাত মুজাহিদ) আমকে বর্ণনা করেন, আমি বিভিন্ন সময় বিমানের চারদিকে পাখিদের উড্ডয়ন দেখেছি, যাতে মুজাহিদরা বোমার আঘাত থেকে নিরাপদ থাকে ।
    আব্দুল জব্বার নিয়াজি আমাকে বলেন, আমি দুবার শত্রুবাহিনীর বিমানের নিচে পাখির উড্ডয়ন দেখেছি ।
    কুরবান মুহাম্মদ আমাকে বলেন, একবার আমি ৩০০-এর অধিক পাখিকে বিমান কর্তৃক তাড়িত হতে দেখলাম ; কিন্তু একটি পাখিও আহত হয়নি ।
    আলহাজ মুহাম্মদ জাল (ঘানার প্রদেশের মুজাহিদ) আমকে বলেন, কম হলেও দশবারের অধিক সময় আমি পাখির ঝাঁককে শত্রুবাহিনীর বিমানের চারপাশে উড়তে দেখেছি, যাদের ওড়ার গতি ছিল শব্দের গতি অপেক্ষা দ্রুততর ।

    চারদিক থেকে আগুনের পরিবেষ্টন

    আরসালান আমাকে বলেন, আমরা শাতুরি নামক এক স্থানে ছিলাম । শত্রুবাহিনীর ২,০০০ সৈন্যের মোকাবিলায় আমরা ছিলাম মাত্র ২৫ জন মুজাহিদ। যুদ্ধ শুরু হলো । দীর্ঘ চার ঘন্টা পর শত্রুরা পরাজিত হলো । তাদের ৮০ জনের অধিক নিহত হয়েছে এবং ২৬ জনকে আমরা বন্দি করলাম। আমরা বন্দিদের বললাম, তোমাদের সৈন্যরা কেন পালিয়ে গেল ? তারা বলল, আফগান মুজাহিদরা চারদিক থেকে আমাদের ওপর বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করেছে । আরসালান বলেন, আমাদের কাছে বোমা ও গুলি কোনোটিই সে সময় মজুদ ছিল না । প্রত্যেকের ছিল স্বতন্ত্র অস্ত্র এবং আমরা সবাই একই দিকে আক্রমণ করেছিলাম ।
    তিনি আমাকে আরো বলেন, একবার শত্রুবাহিনীর বিপুলসংখ্যক সৈন্য আমাদের আক্রমণ করে । অথচ আমরা ছিলাম অল্প ক’জন মুজাহিদ । শত্রুবাহিনীর সহযোগিতার জন্য আকাশে বিমান প্রদক্ষিণ করছিল । আমাদের গোলা-বারুদের পরিমাণও ছিল নিঃশেষ অবস্থায় । ফলে আমরা বন্দি হওয়ার আশঙ্কা করছিলাম । মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া শুরু করলাম । হঠাৎ চারদিক থেকে শত্রুবাহিনীর ওপর বৃষ্টির ফোঁটার মতো গুলি ও বোমা পতিত হওয়া শুরু হলো । একপর্যায়ে তারা পরাজিত হলো। আমরা ব্যতিত সেই যুদ্ধের ময়দানে জীবিত কেউ অবশিষ্ট ছিল না । তিনি বলেন, তারা ছিল আল্লাহর মনোনীত ফেরেশতা ।

    ফেরেশতাদের গায়েবি অশ্ববাহিনী
    মাওলানা আরসালান আমাকে বলেন, আরজুন নামক এক স্থানে কমিউস্টিরা আমাদের ওপর আক্রমণ চালালে আমরা শত্রুদের ওপর হামলা করি । যুদ্ধের একপর্যায়ে আমরা জয়লাভ করি । এতে শত্রুবাহিনীর ৫০০-এর অধিক সৈন্য নিহত হয় এবং ৮৩ জন সৈন্য আমাদের হাতে বন্দি হয় । আমরা বন্দিদের বললাম, তোমরা কেন পরাজিত হলে ? তোমাদের কেন এত সৈন্য নিহত হলো, যেখনে মাত্র একজন মুজাহিদ শহীদ হলো ? বন্দিরা বলল, তোমরা মুজাহিদদের ঘোড়ায় আরোহন করে আমাদের দিকে আক্রমণ করতে দেখলাম । যখনই আমরা আঘত করি, ঘোড়াগুলো অদৃশ্য হয়ে যায় । আমরা তাদের একটি গুলিও বিদ্ধ করতে পারিনি ।
    ওই ঘটনার প্রামণিকতা কুরআনে পাওয়া যায়, যখন বদরের প্রান্তে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের দ্বারা সাহায্য করেন ।
    আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-
    স্বরণ কর সেই সময়ের কথা (বদর যুদ্ধ) যখন তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, আমি তোমাদের সঙ্গে রয়েছি, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহে সাহস সঞ্চার করে তাদেরকে ধীরস্থির রাখো । অচিরেই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব । কাজেই গর্দানের ওপর আঘাত করো এবং তাদের জোড়ায় জোড়ায় কাটো । [সূরা আনফাল ৮:১২]
    আল্লাহ তায়ালা আরো ইরশাদ করেন-
    অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক, আর তারা যদি তখনই তোমাদের ওপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা চিহ্নিত ঘোড়ার ওপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্য পাঠাতে পারেন। [ সূরা আলে ইমরান ৩:১২৫]
    এই আয়াতের তাফসিরে ইমাম কুরতুবি রাহ. বলেন, যেসব সৈন্য ধৈর্য ধারণ করে এবং মহান পালনকর্তার কাছ থেকে পুরস্কারের আশা রাখে, অবশ্যই আসমান থেকে ফেরেশতাগণ তাদের কাছে অবতরণ করবে । তাদের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে সহযোগিতা করবে । কেননা কিয়ামত পরযন্ত মুজাহিদদেরকে এইরূপ সাহায্য করার জন্যই আল্লাহ তায়ালা এদেরকে সৃষ্টি করেছেন ।
    হযরত হাসান বসরী রহ. বলেন, এই পাঁচ হাজার ফেরেশতা কিয়ামত পর্যন্ত মুমিনদের জন্য সাহায্যকারীরূপে বরাদ্দ । ইমাম মুসলিম রহ. হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণনা করেন, ‘চিহ্নিত’ বলতে এক বিশেষ ধরনের নিদর্শনকে বোঝানো হয়েছে । বিভিন্ন তাফসিরে বর্ণিত আছে, ‘চিহ্নিত’ বলতে ঘোড়ার ওপর আরোহণকারী ফেরেশতা বোঝানো হয়েছে । কেননা উপস্থিত সবার চেয়ে তারা ভিন্ন প্রকৃতির হন ।
    হাদিস শরিফে এসেছে –
    হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন: বদরের ময়দানে একজন মুসলিম সাহাবি এক মুশরিককে ধাওয়া করলেন । হঠাৎ মাথার ওপর থেকে ঘোড়ার ওপর চাবুক মারার আওয়াজ শুরতে পেলেন । অশ্বারোহী চিৎকার করে বলছে, হে হাইসাম, সামনে অগ্রসার হও । তিনি সেই মুশরিককে দেখলেন উপুড় হয়ে পড়ে আছে । তার দাঁত ভেঙে গেছে আর চেহারা পরিপূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে । মনে হয় তার চেহারার ওপর কেউ চাবুকের আঘাত করেছে । একজন আনসারি বিস্মিত হয়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি সত্য বলেছ । এটা হল তৃতীয় আসমান হতে আগত সাহায্য । [ সহিহ মুসলিম ]
    মুহাম্মদ ইয়াসির আমাকে বর্ণনা করেন, শত্রুবাহিনী ট্যাংক-বহর নিয়ে শহরে প্রবেশ করার পর তারা মুসলিম বাহিনীর ঘোড়ার আস্তাবল অনুসন্ধান করতে লাগল । মানুষ আশ্চর্য হয়ে বলতে লাগল, তারা তো ঘোড়ার আরোহন করতেই জানেন না । তখন তারা উপলব্ধি করল, এ ঘোড়াগুলো আল্লাহ প্রদত্ত ফেরেশতা ।

    আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
    নিজে আনসার হব, অন্যকে আনসার বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

  • #2
    আল্লাহু আকবার কাবিরা!
    জাযাকাল্লাহ খাইরান।
    আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে লেখার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন।...আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      মাশা্আল্লাহ ভাই! আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনত কবুল করুন আমিন
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        সুন্দর পোস্ট করার জন্য ভাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
        ✈✈জীবনে তুমি ঝুকি নাও, জিতলে তুমি নেতৃত্ব দিবে আর না জিতলে তুমি পরবর্তী কাউকে পথ দেখাবে🔫🔫 ।

        Comment

        Working...
        X