আমাদের নবি রহমতের নবি , দয়ার নবি এবং মায়ার নবি সকলেই বলে ও মানে । কিন্তু আমাদের নবি মহাযুদ্ধের নবি অনেকই বলতে ও মানতে চাই না । অথচ নবি করীম সা. তার নিজের ব্যাপারে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, আমি ‘মালহামার নবি’ অর্থাৎ মহাযুদ্ধের নবি । এক হাদিসে রাসুল সা. নিজের ব্যাপারে বলেন-
انا... نبي الملحمة .... و نبي الرحمة
“ আমি মালহামা (মহাযুদ্ধের ) নবি ... আমি রহমতের নবি” । (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ১৮৭০৪ ; সহিহ ইবনে হিব্বান , হাদিস নং ৬৪২০)
انا رسول الرحمة ، وانا رسول الملحمة..... بعثت بالجهاد ولم أبعث بالزراع .
“আমি রহমতের রাসুল... আমি মালহামা (মহাযুদ্ধের ) রাসুল... আমি জিহাদের সহিত প্রেরিত হয়েছি ক্ষেত-কৃষি করতে প্রেরিত হই নি ” । [কানযুল উম্মাল , হাদিস নং- ৩২১৬৭]
إن الله بعثني ملحمة ومرحمة لم يبعثني تاجرا ولا زراعا .
“ নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে রহমতওয়ালা এবং মহামুদ্ধওয়ালা নবি বানিয়ে পাঠিয়েছেন । আমাকে ব্যবসায়ী ও কৃষক বানিয়ে প্রেরণ করেননি ।” [ কানযুল উম্মাল, হাদিস নং- ১০৫০০/১০৫০১]
পুর্ববর্তী আসমানী কিতাবেও তাঁর সা. এই গুণের কথা বলা হয়েছে । ইমাম সারাখসি রাহিমাহুল্লাহ তাওরাতে বর্ণিত কথা আপন কিতাবে এভাবে নকল করেছেন -
وصفته في التوراة : نبي الملحمة عيناه حمراء و ان من شدة القتال.
“তাওরাতে তাঁর গুণাবলীঃ মহাযুদ্ধওয়ালা নবি, যুদ্ধেও কঠোরতার কারণে তাঁর চোখ রক্তিম বর্ণের হবে ।” [ শরহে সিয়ারে আল কাবির ১/১৯]
রাসুল সা. তাঁর ইন্তেকালের সময় ঘরে উত্তরাধিকারী সম্পত্তি হিসেবে বন্টন করার মত এমন কোন মাল রেখে যাননি তবে যে জিনিস রেখে গিয়েছিলেন সেটা হচ্ছে তাঁর সা. ঘরে নয়টি তরবাবি ঝুলানো ছিল । তেমনি রুমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে ‘উসামার রা. বাহিনী’কে প্রেরণ করার ফায়সালা করেছিলেন । তো তাদের রওয়ানা দেয়ার সময় তিনি সা. মৃত্যুরোগে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি অনেক দূর্বল হয়ে গিয়েছিলেন এতদসত্ত্বেও তিনি সা. আপন সাহাবিকে রা. সকল পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিয়ে এই নসিহত করেছিলেন - যা আজকের জন্যে নসিহতের উপযুক্ত-
اغز باسم الله وفي سبيل الله فقاتل من كفر بالله .
“ বিসমিল্লাহ তথা আল্লাহর নাম নিয়ে (কিতালের জন্যে ) আল্লাহর রাস্তায় বের হও,আর যে আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে তার সাথে লড়ায় করো ।”
Comment