আফগানের {খান্দাহারে} হঠাৎ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। নিরীহ মানুষেদের উপর চলছে নির্যাতনের স্টীমরোলার। সেখানেরই এক বাসিন্ধা, নাম মোল্লা মোহাম্মাদ ওমর। এক মাদ্রাসায় খেদমত করেন। অসাধারন বাগ্মি। বক্তব্যে যেন আগুনের ফুলকি ঝরে। একদিন আলোচনা করেলেন শহীদ হলে জান্নাতে কী কী মিলবে সে বিষয়ে, আলোচনা করলেন সুন্দরী ডাগর ডাগর চোখবিশিষ্ট হুরদের ব্যাপারে। এমন বক্তব দিলেন, যা শুনে ঘরে বসে থাকা যায়না।
শ্রোতাদের মাঝে এক বৃদ্ধ বাবা ও ছিল। সে ছিল আবু আব্দুল্লাহ নামে পরিচিত। আব্দুল্লাহ তার একমাত্র ছেলে। নিজের একমাত্র ছেলেকে জিহাদের ময়দানে পাঠাবেন বলে ঠিক করলেন। মোল্লা সাহেবের কাছে গিয়ে বললেন, মোল্লা সাহেব! আমার একটা ছেলে আছে আব্দুল্লাহ। তার বিয়ের কথা চলছে। ভাল ভাল পাত্রীর খোজ আছে। কিন্তু তুমি যে পাত্রীর কথা তোমার বক্তবে বলেছো। সেটা আরেক বার বল! ......... তোমার কথা শুনার পর আমি আমার ছেলের জন্য দুনিয়ার আর কোন মেয়েকে পছন্দ করতে পারছিনা। মোল্লা সাহেব বললেন এমন একটা দুইটা না সত্তরটা বউ হবে শহীদের। বৃদ্ধঃ এ...ত বউ...মা! মোল্লা সাহেব! আমার দুনিয়ার কোন বউমা চাইনা। আমি তো এমন বউমাই খুঁজছি। আমি রাজি এমন বউমাকে পাওয়ার জন্য। মোল্লা সাহেব! আপনি বিবাহের ব্যাবস্থা করুন!
আমি কিভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করবো?
কেন, সাথে করে নিয়ে যাবেন। আর এই নিন দেনমোহর! বিবাহটা হলে আমার ও ওর মায়ের জান্নাতে যাওয়াটা ও সহজ হবে। ও আচ্ছা... এক ঢিলে দুই পাখী স্বীকার! খুব ভাল বুদ্ধিতো।
কাফেলা প্রস্তুত। ছেলেকে বিয়ের সাজে সাজালেন। সবকিছুর ব্যবস্থা করছেন আর মনে মনে পড়ছেন......
কাফেলা চলতে শুরু করলো। ছেলের হাত ধরে বৃদ্ধ বাবাও চলছে। আর বলছে, বাবা! আমি চাইনা যে, তুমি ফিরে আসো। আল্লাহ যেন কিয়ামতের আগে তোমার সাথে আমার দেখা না করান। বাবা চিন্তা করনা! আমি অচিরেই তোমার সাথে মিলবো ইনশাল্লাহ।
শহরের শেষ সিমা পর্যন্ত হেটে গেলেন ছেলের সাথে। বিদায় বেলা একটা ব্যাগ দিলেন ছেলের হাতে।
এটা কী বাবা?
এটা তোমার বিয়ের পোশাক। সাদা কাফন আর হানুত। ময়দানে যাওয়ার সময় পরে বের হবে। হানুত ও লাগাবে। কখনো তোমাকে ভিরু হিসাবে দেখতে চাইনা। বাবা বিদায় নিলেন।
মোল্লা সাহেব কাফেলা নিয়ে রওনা হলেন। আব্দুল্লাহ সামনেই ছিল। তুমুল লড়াই শুরু হল। আব্দুল্লাহর বিরত্ব দেখে সবাই অবাক। কাফেরদের কচুকাটা করে সামনে বাড়ছে। এক পর্যায়ে কাফেররা তাকে ঘিরে নিলো। আর বের হতে পারলেন না। শহীদ হয়ে গেলেন। মুজাহিদরা গনিমত নিয়ে বাড়ির পথ ধরলো।
মোল্লা সাহেব বললেন, আমি নিজে আবু আব্দুল্লাহকে খবর দিবো। তোমরা কেউ কিছু বলবে না। তিনি নিজের একমাত্র ছেলেকে আবেগের সাথে পাঠিয়েছিলেন, এখন বিলাপও করতে পারেন। এতে তার সওয়াব কমে যাবে। আর আমি এমনটা চাইনা।
ঐ তো খান্দাহার! বিজয়ী কাফেলাকে স্বাগত জানাতে লোকেরা ছুটে আসছে। আবু আব্দুল্লাহ সবার সামনেই ছিলেন। মোল্লাকে দেখা মাত্রই...... মোল্লা সাহেব! আল্লাহ কি আমার হাদিয়া গ্রহন করেছেন। তাহলে আমার আনন্দ অন্যথায় আজ আমার শোকের দিন।
হ্যা বড় ভালবেসেই গ্রহন করেছেন। এখন হয়তো আব্দুল্লাহ আপনার বউমার সাথে মজা করছেন।
আবু আব্দুল্লাহ সিজদায় পরে গেলেন ও আনন্দের অশ্রু ঝরিয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলেন “আলহামদুলিল্লাহ আমি বড় সার্থক, আমি বড় ভাগ্যবান”
তোমরাও তোমাদের নজরানা আল্লার কাছে পেশ কর! তিনি নিশ্চই কবুল করবেন............।।
শ্রোতাদের মাঝে এক বৃদ্ধ বাবা ও ছিল। সে ছিল আবু আব্দুল্লাহ নামে পরিচিত। আব্দুল্লাহ তার একমাত্র ছেলে। নিজের একমাত্র ছেলেকে জিহাদের ময়দানে পাঠাবেন বলে ঠিক করলেন। মোল্লা সাহেবের কাছে গিয়ে বললেন, মোল্লা সাহেব! আমার একটা ছেলে আছে আব্দুল্লাহ। তার বিয়ের কথা চলছে। ভাল ভাল পাত্রীর খোজ আছে। কিন্তু তুমি যে পাত্রীর কথা তোমার বক্তবে বলেছো। সেটা আরেক বার বল! ......... তোমার কথা শুনার পর আমি আমার ছেলের জন্য দুনিয়ার আর কোন মেয়েকে পছন্দ করতে পারছিনা। মোল্লা সাহেব বললেন এমন একটা দুইটা না সত্তরটা বউ হবে শহীদের। বৃদ্ধঃ এ...ত বউ...মা! মোল্লা সাহেব! আমার দুনিয়ার কোন বউমা চাইনা। আমি তো এমন বউমাই খুঁজছি। আমি রাজি এমন বউমাকে পাওয়ার জন্য। মোল্লা সাহেব! আপনি বিবাহের ব্যাবস্থা করুন!
আমি কিভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করবো?
কেন, সাথে করে নিয়ে যাবেন। আর এই নিন দেনমোহর! বিবাহটা হলে আমার ও ওর মায়ের জান্নাতে যাওয়াটা ও সহজ হবে। ও আচ্ছা... এক ঢিলে দুই পাখী স্বীকার! খুব ভাল বুদ্ধিতো।
কাফেলা প্রস্তুত। ছেলেকে বিয়ের সাজে সাজালেন। সবকিছুর ব্যবস্থা করছেন আর মনে মনে পড়ছেন......
কাফেলা চলতে শুরু করলো। ছেলের হাত ধরে বৃদ্ধ বাবাও চলছে। আর বলছে, বাবা! আমি চাইনা যে, তুমি ফিরে আসো। আল্লাহ যেন কিয়ামতের আগে তোমার সাথে আমার দেখা না করান। বাবা চিন্তা করনা! আমি অচিরেই তোমার সাথে মিলবো ইনশাল্লাহ।
শহরের শেষ সিমা পর্যন্ত হেটে গেলেন ছেলের সাথে। বিদায় বেলা একটা ব্যাগ দিলেন ছেলের হাতে।
এটা কী বাবা?
এটা তোমার বিয়ের পোশাক। সাদা কাফন আর হানুত। ময়দানে যাওয়ার সময় পরে বের হবে। হানুত ও লাগাবে। কখনো তোমাকে ভিরু হিসাবে দেখতে চাইনা। বাবা বিদায় নিলেন।
মোল্লা সাহেব কাফেলা নিয়ে রওনা হলেন। আব্দুল্লাহ সামনেই ছিল। তুমুল লড়াই শুরু হল। আব্দুল্লাহর বিরত্ব দেখে সবাই অবাক। কাফেরদের কচুকাটা করে সামনে বাড়ছে। এক পর্যায়ে কাফেররা তাকে ঘিরে নিলো। আর বের হতে পারলেন না। শহীদ হয়ে গেলেন। মুজাহিদরা গনিমত নিয়ে বাড়ির পথ ধরলো।
মোল্লা সাহেব বললেন, আমি নিজে আবু আব্দুল্লাহকে খবর দিবো। তোমরা কেউ কিছু বলবে না। তিনি নিজের একমাত্র ছেলেকে আবেগের সাথে পাঠিয়েছিলেন, এখন বিলাপও করতে পারেন। এতে তার সওয়াব কমে যাবে। আর আমি এমনটা চাইনা।
ঐ তো খান্দাহার! বিজয়ী কাফেলাকে স্বাগত জানাতে লোকেরা ছুটে আসছে। আবু আব্দুল্লাহ সবার সামনেই ছিলেন। মোল্লাকে দেখা মাত্রই...... মোল্লা সাহেব! আল্লাহ কি আমার হাদিয়া গ্রহন করেছেন। তাহলে আমার আনন্দ অন্যথায় আজ আমার শোকের দিন।
হ্যা বড় ভালবেসেই গ্রহন করেছেন। এখন হয়তো আব্দুল্লাহ আপনার বউমার সাথে মজা করছেন।
আবু আব্দুল্লাহ সিজদায় পরে গেলেন ও আনন্দের অশ্রু ঝরিয়ে চিৎকার করে বলতে লাগলেন “আলহামদুলিল্লাহ আমি বড় সার্থক, আমি বড় ভাগ্যবান”
তোমরাও তোমাদের নজরানা আল্লার কাছে পেশ কর! তিনি নিশ্চই কবুল করবেন............।।
Comment