এক ভাইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি -
-
"আমার প্রিয় দ্বীনের ভাইয়েরা আপনাদের সাথে আমি আজ একটা বিষয় শেয়ার করতে চাচ্ছি ইনশা আল্লাহ, এটা এজন্য যে, আমি আশা রাখি ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ এর থেকে সবার আগে আমাকে এবং আমাদেরকে কল্যান দান করবেন।
আজ রাতে হঠাত করে আমার ছোট মেয়ের খুব জ্বর আসে। সাধারণত আমার মেয়ের জ্বর আসলে প্রচন্ড জ্বর আসে ১০৩/১০৪ এরকম। তার বয়স ৩ বছর এর মত। এবং তার এই জ্বর একবার হলে কমপক্ষে ২/৩ দিন থাকে। যাই হোক আমি দেখলাম তার জ্বর আস্তে আস্তে শুধু বাড়ছে। এমন অবস্থা যে তার শরীর থরথর করে কাঁপছিলো। একটু পরে এমন অবস্থা খারাপ হয়ে গেলো যে - সে জ্বরের ঘোরে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। যেমন বারবার ভয় পেয়ে বিছানা থেকে উঠে যাচ্ছিলো আর বলছে - বাবা এখানে আগুন ধরে গেছে, জ্বরের তীব্রতায় তার মনে হচ্ছিলো যে আগুন ধরে গেছে। আর তার নিঃশ্বাস এর তাপ থেকেই আমি বুঝতে পারছিলাম তার শরীরের ভিতরে আরো বেশি গরম! এমন অবস্থা দাড়ালো যে সে আর বিছানাতে শুয়েই থাকতে পারলোনা, আমি তাকে কোলে নিয়ে নিলাম। একটু পরে বললো বাবা পেটে ব্যাথা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর, আমি তাকে শুইয়ে দিলাম। একে তো জ্বর, তার উপরে পেট ব্যাথা - সে কাঁপতে কাঁপতে বললো - বাবা পেটে ব্যাথা।
আমি বললাম - আচ্ছা মা তুমি শোও আমি দুয়া পড়ে দেই আল্লাহ ভালো করে দিবেন ইনশা আল্লাহ। আমি তাকে শুইয়ে দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়তে শুরু করলাম। আর মনে মনে আল্লাহ কে বললাম ইয়া আল্লাহ - আপনি জানেন আমার হাল। আমার মেয়ে আমাকে অভিযোগ জানালো বাবা পেটে ব্যাথা, কিন্তু আমার মেয়ে যা জানেনা তা হচ্ছে তার বাবা তার মতই অসহায়! ইয়া আল্লাহ আমি আমার মেয়ের মতই অসহায় - আমার মেয়ের আবদার নিয়ে আপনার কাছে আপনার রাসুলের শিখিয়ে দেয়া পদ্ধতিতে আপনার কালামের মাধ্যমে আপনার কাছেই সাহায্য চাচ্ছি আল্লাহ - আর বাকি সব তো আপনারই জিম্মায়। আমি আর আমার মেয়ে আমরা দুইজনেই আপনার অনুগ্রহের ভিখারী।
৭ বার সুরা ফাতিহা পড়ব এই নিয়াতে পড়তে পড়তে ৭ বার শেষ হবার আগেই আমি বুঝতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে এবং মেয়ে আমার ঘুমিয়ে গেছে। আমি এর পরে আর কিছু দুয়া পড়ে শেষ করলাম এবং আল্লাহর কাছে তার সুস্থতার ব্যাপারে দুয়া চাইলাম। এর কিছু পরে তার শরীরে আবার হাত দিয়ে দেখলাম - আবার জ্বর চলে আসছে। আমি নিজেকে বললাম - আল্লাহর কালাম দিয়ে সুস্থতা চেয়েছি আল্লাহর কাছে - জ্বর থাকতেই পারেনা। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটা রাত ২টা বা ২.৩০ টার ঘটনা। রাত ৪ টার কিছু পরে আমার মেয়ে আমাকে বলছে - বাবা এটা (জ্বর) ভালো হয়ে গেছে, মশারি খুলে দাও (কারণ গরম লাগছে)।আমি বললাম মা, আল্লাহ ভালো করে দিয়েছে? মেয়ে বললো - হ্যা আল্লাহ ভালো করে দিয়েছে। আমি বললাম মা বল - আলহামদুলিল্লাহ। আমার মেয়ে বললো - আলহামদুলিল্লাহ, এরপরে ঘুমের দুয়া পড়ে ঘুমিয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আমাকে ভুল ভাববেন না, আমি শুধু নিজের গল্প শুনানোর জন্য এটি শেয়ার করিনি। এটির অন্য একটি কারণ আছে - যা আমি একটু পরে বলছি ইনশাআল্লাহ। আমার স্ত্রী মাঝে মাঝেই আমাকে বলেন - আপনি একটু ছেলে মেয়েদের ঝাড়েন না কেন? (ঝাড় ফুক) আমি কিছু বলতে পারিনা। কারণ অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় আমার শরীর এবং মন আল্লাহর দারস্থ হয়ে আল্লাহর কালামের মাধ্যমে সাহায্য - চাওয়া এই ব্যাপারে এক হয়না। অর্থাৎ নিজের হাল আল্লাহর কাছে পূর্ণ সমর্পণ এবং আল্লাহর কালাম এবং আল্লাহর নুসরাহ এর ব্যাপারে যথাযথ তাওয়াক্কুল, ইখলাস এগুলো উপস্থিত থাকেনা। যার কারণে ঝাড় ফুক করা হয়না, করলেও আমার ইখলাসের অভাবের কারণে আমি উপকার থেকে বঞ্চিত হই।
এই কথা শেয়ার করার মূল কারণ - এটিই।
আল্লাহ যেন আমাদের কে সকল অবস্থায় (ভালো কিংবা মন্দ) আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ সমর্পনকারী হিসেবে - আল্লাহর কাছে ভিক্ষা এবং সাহায্য চাওয়ার তাউফিক দান করেন।
আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকটি দুয়াই শুনেন - কিন্তু আল্লাহ গাফেল অন্তরের দুয়া কবুল করেন না।
আল্লাহ তার বান্দাদের ব্যাপারে গাফেল নন, আল্লাহ সব অবস্থাতেই তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে যথেষ্ট।
আল্লাহর কালাম নিশ্চিত শিফা।
কল্যান পাওয়ার জন্য ইখলাস অন্যতম শর্ত।
হে আল্লাহ আপনি সবার আগে আমাকে এবং আমাদের সবাইকে এর থেকে উপকৃত হবার তাউফিক দান করেন।
"
আমিন
-
"আমার প্রিয় দ্বীনের ভাইয়েরা আপনাদের সাথে আমি আজ একটা বিষয় শেয়ার করতে চাচ্ছি ইনশা আল্লাহ, এটা এজন্য যে, আমি আশা রাখি ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ এর থেকে সবার আগে আমাকে এবং আমাদেরকে কল্যান দান করবেন।
আজ রাতে হঠাত করে আমার ছোট মেয়ের খুব জ্বর আসে। সাধারণত আমার মেয়ের জ্বর আসলে প্রচন্ড জ্বর আসে ১০৩/১০৪ এরকম। তার বয়স ৩ বছর এর মত। এবং তার এই জ্বর একবার হলে কমপক্ষে ২/৩ দিন থাকে। যাই হোক আমি দেখলাম তার জ্বর আস্তে আস্তে শুধু বাড়ছে। এমন অবস্থা যে তার শরীর থরথর করে কাঁপছিলো। একটু পরে এমন অবস্থা খারাপ হয়ে গেলো যে - সে জ্বরের ঘোরে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখা শুরু করলো। যেমন বারবার ভয় পেয়ে বিছানা থেকে উঠে যাচ্ছিলো আর বলছে - বাবা এখানে আগুন ধরে গেছে, জ্বরের তীব্রতায় তার মনে হচ্ছিলো যে আগুন ধরে গেছে। আর তার নিঃশ্বাস এর তাপ থেকেই আমি বুঝতে পারছিলাম তার শরীরের ভিতরে আরো বেশি গরম! এমন অবস্থা দাড়ালো যে সে আর বিছানাতে শুয়েই থাকতে পারলোনা, আমি তাকে কোলে নিয়ে নিলাম। একটু পরে বললো বাবা পেটে ব্যাথা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর, আমি তাকে শুইয়ে দিলাম। একে তো জ্বর, তার উপরে পেট ব্যাথা - সে কাঁপতে কাঁপতে বললো - বাবা পেটে ব্যাথা।
আমি বললাম - আচ্ছা মা তুমি শোও আমি দুয়া পড়ে দেই আল্লাহ ভালো করে দিবেন ইনশা আল্লাহ। আমি তাকে শুইয়ে দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়তে শুরু করলাম। আর মনে মনে আল্লাহ কে বললাম ইয়া আল্লাহ - আপনি জানেন আমার হাল। আমার মেয়ে আমাকে অভিযোগ জানালো বাবা পেটে ব্যাথা, কিন্তু আমার মেয়ে যা জানেনা তা হচ্ছে তার বাবা তার মতই অসহায়! ইয়া আল্লাহ আমি আমার মেয়ের মতই অসহায় - আমার মেয়ের আবদার নিয়ে আপনার কাছে আপনার রাসুলের শিখিয়ে দেয়া পদ্ধতিতে আপনার কালামের মাধ্যমে আপনার কাছেই সাহায্য চাচ্ছি আল্লাহ - আর বাকি সব তো আপনারই জিম্মায়। আমি আর আমার মেয়ে আমরা দুইজনেই আপনার অনুগ্রহের ভিখারী।
৭ বার সুরা ফাতিহা পড়ব এই নিয়াতে পড়তে পড়তে ৭ বার শেষ হবার আগেই আমি বুঝতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে এবং মেয়ে আমার ঘুমিয়ে গেছে। আমি এর পরে আর কিছু দুয়া পড়ে শেষ করলাম এবং আল্লাহর কাছে তার সুস্থতার ব্যাপারে দুয়া চাইলাম। এর কিছু পরে তার শরীরে আবার হাত দিয়ে দেখলাম - আবার জ্বর চলে আসছে। আমি নিজেকে বললাম - আল্লাহর কালাম দিয়ে সুস্থতা চেয়েছি আল্লাহর কাছে - জ্বর থাকতেই পারেনা। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এটা রাত ২টা বা ২.৩০ টার ঘটনা। রাত ৪ টার কিছু পরে আমার মেয়ে আমাকে বলছে - বাবা এটা (জ্বর) ভালো হয়ে গেছে, মশারি খুলে দাও (কারণ গরম লাগছে)।আমি বললাম মা, আল্লাহ ভালো করে দিয়েছে? মেয়ে বললো - হ্যা আল্লাহ ভালো করে দিয়েছে। আমি বললাম মা বল - আলহামদুলিল্লাহ। আমার মেয়ে বললো - আলহামদুলিল্লাহ, এরপরে ঘুমের দুয়া পড়ে ঘুমিয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আমাকে ভুল ভাববেন না, আমি শুধু নিজের গল্প শুনানোর জন্য এটি শেয়ার করিনি। এটির অন্য একটি কারণ আছে - যা আমি একটু পরে বলছি ইনশাআল্লাহ। আমার স্ত্রী মাঝে মাঝেই আমাকে বলেন - আপনি একটু ছেলে মেয়েদের ঝাড়েন না কেন? (ঝাড় ফুক) আমি কিছু বলতে পারিনা। কারণ অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় আমার শরীর এবং মন আল্লাহর দারস্থ হয়ে আল্লাহর কালামের মাধ্যমে সাহায্য - চাওয়া এই ব্যাপারে এক হয়না। অর্থাৎ নিজের হাল আল্লাহর কাছে পূর্ণ সমর্পণ এবং আল্লাহর কালাম এবং আল্লাহর নুসরাহ এর ব্যাপারে যথাযথ তাওয়াক্কুল, ইখলাস এগুলো উপস্থিত থাকেনা। যার কারণে ঝাড় ফুক করা হয়না, করলেও আমার ইখলাসের অভাবের কারণে আমি উপকার থেকে বঞ্চিত হই।
এই কথা শেয়ার করার মূল কারণ - এটিই।
আল্লাহ যেন আমাদের কে সকল অবস্থায় (ভালো কিংবা মন্দ) আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ সমর্পনকারী হিসেবে - আল্লাহর কাছে ভিক্ষা এবং সাহায্য চাওয়ার তাউফিক দান করেন।
আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকটি দুয়াই শুনেন - কিন্তু আল্লাহ গাফেল অন্তরের দুয়া কবুল করেন না।
আল্লাহ তার বান্দাদের ব্যাপারে গাফেল নন, আল্লাহ সব অবস্থাতেই তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে যথেষ্ট।
আল্লাহর কালাম নিশ্চিত শিফা।
কল্যান পাওয়ার জন্য ইখলাস অন্যতম শর্ত।
হে আল্লাহ আপনি সবার আগে আমাকে এবং আমাদের সবাইকে এর থেকে উপকৃত হবার তাউফিক দান করেন।
"
আমিন
Comment