[left[color="#000080"]][size=5[color="#b22222"]]জিহাদ সত্য মিথ্যা নয়[/size]-১ [/color][/left]
[/color]]সংশয়-১[/color]
কোরাআনুল কারীমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মক্কী জীবনের বর্ণনা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত-তাবলীগ, মক্কার কাফের মুশরীক কতৃক প্রদত্ত কষ্ট-ক্লেশ ও নির্যাতন এবং এর উপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ধৈর্য ও সবরের বর্ণনা দিতে গিয়ে যে সমস্ত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা হলঃ
◊ فَلَا تُطِعِ الْكَافِرِيْنَ وَجَاهَدْهُمْ بِهِ جِهَادًا كَبِيْرًا
উক্ত আয়াতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতকে শুধু জিহাদই নয়; বরং বড় জিহাদ বলা হয়েছে। অথচ এতে যুদ্ধ-বিগ্রহের কোন বিষয়ই নেই। বরং এটা তো ঐ সময়ের কথা যখন আল্লাহ তায়ালা ঘোষনা করেছেনঃ كفوا ايديكم
অর্থাৎ ‘তোমরা নিজেদের হাতগুলোকে গুটিইয়ে রাখ’ এই সুস্পষ্ট ঘোষনার মাধ্যমে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সুতরাং জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ যদি শুধু যুদ্ধ-বিগ্রহের নাম হতো, তাহলে কোরআন শরীফে দাওয়াত ও তাবলীগের এর মেহনত কে কেন জিহাদ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে? এর দ্বারা বুঝা যায় দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত করাটা ও এক প্রকার জিহাদ।
সমাধান-১
উক্ত আয়াতে جاهد শব্দের অর্থ হল কাফেরদের কাছে তাবলীগ করার ক্ষেত্রে খুব চেষ্টা কর, অক্লান্ত পরিশ্রম কর, মেহনত কর আর এই মেহনত ও পরিশ্রমের সাথে আল্লাহর দিকে দাওয়াত ও আহবান করাকেই জিহাদ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। কেননা, আরবী ভাষায় কষ্ট ও মেহনতের কাজকে জিহাদ বলা হয়ে থাকে। চাই এটা কোন মন্দ কাজের ক্ষেত্রে হোক বা ভালো কাজের ক্ষেত্রে হোক। কিন্তু আরবী ভাষায় কোন একটা বিষয়কে জিহাদ নাম দেওয়ার কারনে সেটা শরিয়ত কতৃক নির্দারীত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হয়ে যায় না। এমনকি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হওয়ার প্রশ্ন ও আসে না। কারণ, শরয়ী বিধানাবলী নির্দারীত হয়ে থাকে তার পারিভাষীক অর্থের প্রতি লক্ষ্য করে, শাব্দিক দিক হতে নয়।
সমাধান-২
যে কোন কাজের জন্য জিহাদ শদটি ব্যবহার করাটাই যদি জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ হওয়ার দলিল হয়, তাহলে সুরায়ে লুকমানের এই আয়াত সম্পর্কে কি বলবেন? যাতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
وَاِنْ جَاهَدَكَ عَلَيْ اَنْ تُشْرِكَ بِيْ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ لا فَلَا تُطِعْهُمَا....
অর্থঃ তোমাদের মাতা-পিতা যদি অনেক চেষ্টা (জিহাদ) করে যে, তোমরা আমার সাথে শিরক কর, তাহলে তাদের এই কথা কখনো মানবে না। (সুরাঃ লুকমান-১৫)
এখন লক্ষ্য করুন! উক্ত আয়াতে কুফুর ও শিরকের দিকে পিতা-মাতার দাওয়াত দেওয়াকে জিহাদ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। সুতরাং এখন যদি কেউ বলে, কুফুর ও শিরকের দিকে দাওয়াত দেওয়াটা ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ তাহলে আপনি তাকে কি বলবেন?
নিঃসন্দেহে আপনি তাকে এটাই বলবেন যে, এখানে জিহাদ শব্দটি শাব্দিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, পারিভাষীক বা শরয়ী অর্থে নয়। আর আমাদের আলোচনা তো জিহাদের পারিভাষীক বা শরয়ী অর্থ নিয়েই। সুতরাং আপনার প্রশ্নটি অবান্তর, সঠিক নয়।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন...(আমীন)
Comment