কিছু কথা ও একটি জিজ্ঞাসা

[Fursaan]

কে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে তার সালাত নির্ভুল?
.
সালাতে হাবিজাবি চিন্তা, মনোযোগ না থাকা, এমনকি কখনো গুণাহর চিন্তা আসে নাই, এমন বুজুর্গ কেউ কি আছেন?
.
এমনকি সালাতে বড় ভুলও হতে পারে, যার জন্য আছে সিজদা সাহু।
.
.
আচ্ছা, এর সমাধানে কেউ কি কখনো বলেছে, "তোমার তো মিয়া সালাত'ই সহিহ শুদ্ধ না, সালাতে কতো ভুল করো! যাও, আগে নিজেরে শুধরাও, পরে আসিও সালাত পড়তে। লজ্জা লাগেনা আল্লাহর সামনে বেয়াদবের মতো দাঁড়াও?"
.
.
জিহাদও একটি ইবাদত। জিহাদ যারা করেন তাদেরও ভুল হয়, তারা শতভাগ নির্ভুল না। কিন্তু এই ভুলের কারণে কি তাদের সম্পূর্ণ আমল ছেড়ে দেয়া উচিত, নাকি জিহাদ করার পাশাপাশি শোধরানোর প্রচেষ্টা করে যাওয়া উচিত?
.
.
এখানে ২টি দল আছে। মুনাফিক, যাদেরকে আমরা 'আদর' করে মোডারেট বলে ডাকি, আর খারেজী, যাদেরকে আমরা আপাতত দা'ঈশ (আইএস) নামে দেখছি।
.
মুনাফিকরা সর্বদা মুজাহিদদের খুঁত খুঁজতে থাকে। আর, এসবের দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে বিরত রাখতে চায়। নানা অজুহাত দেখায়। কই, কোন অজুহাতে সালাত ছাড়া তো কখনই জায়েজ না, তবে জিহাদ ত্যাগ করা কিভাবে জায়েজ হয়?
.
অপরদিকে, খারেজীরা নিজেদের জিহাদকে নির্ভুল মনে করে। তাদের ভুলগুলো শোধরাতে চায় না। কাঁচা বাংলায় ঘাড়ত্যাড়া যাকে বলে।
.
.
জিহাদ চলবে ক্বিয়ামাত অবধি। কোন মুনাফিকের অজুহাত জিহাদের পথে বাঁধা হবে না, না কোন খারেজীর ফিতনা জিহাদের স্ফুলিঙ্গকে দমিয়ে রাখত পারবে।

আল-আন‘আম ৬:২৬

وَاِنۡ یُّہۡلِکُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡفُسَہُمۡ وَمَا یَشۡعُرُوۡنَ

" আর তারা ধ্বংস করে কেবল নিজদেরকে, অথচ তারা অনুভব করে না।"
.
.
হযরত আবদুর রহমান ইবনে যায়েদ ইবনে আসলাম তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
.
'যতকাল পর্যন্ত আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হবে, ততকাল পর্যন্ত জিহাদ সতেজ ও সুমিষ্ট থাকবে। আর অদূর ভবিষ্যতে মানুষের জীবনে এমন একটি সময় আসবে, যে যুগের শিক্ষিত লোকেরা বলবে, এটা জিহাদের যুগ নয়।
.
অতএব, যে ব্যক্তি সেই যুগটি পাবে, তার জন্য সেটি হবে জিহাদের শ্রেষ্ঠ যুগ।
.
সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! একজন মুসলমান কি এ কথা বলতে পারে?
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হ্যাঁ, এমন কথা মুসলমানরাই বলবে, যারা আল্লাহ, ফেরেশতা ও সমস্ত মানুষের অভিশাপে অভিশপ্ত।'
.
(হাদীস নং ৩৭১, আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ৭৫১; কিতাবুস সুনান, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭৬)
.
.
ইবনে মাসউদ রা. বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি,
.
যতদিন তোমাদের মাঝে জিহাদ সজীব ও সতেজ থাকবে ততদিন তোমরা কল্যাণের উপর থাকবে। শেষ যমানায় কিছু লোক জিহাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করবে।
.
তখনও তোমরা জিহাদ করতে থাকবে, যুদ্ধ করতে থাকবে। কারণ, তখন জিহাদের খুবই সজীব-সতেজ পরিবেশ থাকবে। -(মুসনাদে আবী আলা, ৫৩৯৬)

-সংগৃহীত

[s_forayeji]

'যতকাল পর্যন্ত আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হবে, ততকাল পর্যন্ত জিহাদ সতেজ ও সুমিষ্ট থাকবে। আর অদূর ভবিষ্যতে মানুষের জীবনে এমন একটি সময় আসবে, যে যুগের শিক্ষিত লোকেরা বলবে, এটা জিহাদের যুগ নয়।
.
অতএব, যে ব্যক্তি সেই যুগটি পাবে, তার জন্য সেটি হবে জিহাদের শ্রেষ্ঠ যুগ।

শুধু মাত্র এ লাইন কয়টির জন্য হলেও যাঝাকাল্লাহ!

[খুররাম আশিক]

আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আল্লাহ কবুল করুন, আমীন।

[Abu Zor Gifari]

আপনার এ লেখায় উল্লিখিত সবগুলো হাদীসসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট পড়েছিলাম এবং শেয়ারও দিছিলাম আজ থেকে ৩/৪ বছর আগে! সেই যে একবার পড়েছিলাম এরপর আর কোনদিন চোখে পড়ে নি! আজ নতুন করে দেখে বিস্মিত হলাম। হাদীসগুলো হেদায়েত জীবনের প্রথমদিককার হওয়ায় রক্ত-মাংসের সাথে যেন জড়িয়ে ছিল।

[হেলাল]

আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
আল্লাহ ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।