আসেন আমরা শুরুতেই স্বীকার করে নেই জাতি কিংবা উম্মাহ হিসবে দুনিয়াতে আমাদের মত নির্যাতিত, লাঞ্চিত, অপমানিত এবং মাজলুম আর কোন জাতি বা উম্মাহ নাই!
উম্মাহ হিসেবে আমাদের অনেক বড় একটি ভুল হচ্ছে আমরা নিজেদের আইডেন্টিটি ভুলে গেছি। আমাদের রিয়েল আইডেন্টিটি। আমাদের আসল পরিচয়। এই একটা লাইন আমাদের ফর্মুলার মত মনে রাখা দরকার। কারণ, অতীতের রেশ ধরে বর্তমানে উম্মাহ যে বিশ্বব্যাপী দুর্দশা, নির্যাতন, আগ্রাসন, জুলুমের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং শতাব্দী ব্যাপী কাফেরদের জঘন্য পরিকল্পনার সামনে উম্মাহর তথাকথিত নেতাদের গাদ্দারী, গাফেলতির জন্য বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ আজ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, তা -
বুঝতে হলে এবং উপলব্ধি করতে হলে
তার কারণ নির্ণয় করতে হলে
সর্বোপরি, এই দুর্দশা থেকে মুক্তির উপায় খুজে বের করতে হলে
অবশ্যই উম্মাহ হিসেবে আমাদেরকে আমাদের আসল পরিচয় খুজে বের করতে হবে। আমাদের আসল পরিচয়ে ফিরে যেতে হবে।
এই সমস্যার শুরুই হয়েছে নিজেদের পরিচয় পরিত্যাগ করে কিংবা বিক্রি করে নতুন পরিচয় গ্রহন করার জন্য। যা ছিলো আমাদেরকে শাসন এবং শোষণ করার জন্য কাফেরদের পরিকল্পনার মূলভিত্তি। এবং সেটি উচ্চারিত হওয়া দরকার, তা হচ্ছে - এই মুসলিম উম্মাহকে তার শেকড় থেকে আলাদা করে ফেলা, যে শেকড় এই উম্মাহকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো।
শেকড় থেকে আলাদা করে ফেলা অর্থ এই নয় যে, আমাদেরকে কোন ভুখন্ড থেকে আলাদা করে ফেলা! এই মুসলিম উম্মাহ পরিচিত হয় একটি মৌলিক পরিচয়ে, তা হচ্ছে তাদের ঈমানের পরিচয়ে, বিশ্বাসের পরিচয়ে, ইসলামের পরিচয়ে। এখন ইতিহাস থেকে কিছু কথা সামনে নিয়ে আসা দরকার। যেগুলো আমরা এতদিন শুধু বইয়ের পাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। আরবের উপরে অনারবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নাই কিংবা এই উম্মাহ এক দেহের মত। কিংবা আল্লাহর আদেশ - তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্ত করে ধরো। এমন আদেশ এবং সতর্কবানী যা আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআনে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো এবং অনেক আদেশ এবং সতর্কবানী যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের রাসুল এবং আমাদের কমান্ডার মুহাম্মাদ সাঃ হাদিসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে গেছেন।
আমাদের প্রতি রাসুল সাঃ এর আদেশ ছিলো (ভাবার্থে) - তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা, আমি যে আদর্শ রেখে যাচ্ছি তার উপরে অটল থাকো - (আও কামা কলা আলাইহিস সালাম)
কিছু কথা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া দরকার। ইসলাম কি? ইসলাম কি এই প্রশ্নের আগে আমরা একটু দেখে নেই, ইসলাম কি না -
১। ইসলাম কোন ফ্যান্টাসি, মনগড়া কিছু বিধানের সমস্টি - না।
২। ইসলাম কোন পার্ট টাইম, হবি টাইম, সিজনাল, যেমন খুশি তেমন সাজো, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই সমস্ত আবদার গ্রহণকারী ধর্মীয় বিধানমালা - না।
৩। ইসলাম কোন, এডিটেড, রিফর্মড, মোডারেটেড, কাস্টমাইজড, অ্যাডপ্টেড, ওপেন সোর্স ধর্মিয় কোড অফ কন্ডাক্টস - না।
৪। ইসলাম নিজের বিকাশ, প্রচার, প্রসার এবং সুরক্ষার জন্য অন্য কোন মতবাদ, আদর্শ বা কৌশল ধার করে বা এমন অনুমতি দেয় - না।
৫। ইসলাম তার অনুসারীদের একই সাথে ইসলাম থেকে কিছু এবং অন্য যে কোন আদর্শ/মতবাদ থেকে কিছু পালন করা এমন অনুমতি দেয় - না।
৬। ইসলাম তার নিজের সাথে আর অন্য যে কোন মতবাদ/আদর্শ কে পাশাপাশি সহাবস্থানে থাকার অনুমতি দেয় - না।
৭। ইসলাম তার অনুসারীদের ধর্ম এবং জীবনের ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয় - না।
ইসলাম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। একক কোন ব্যাক্তি বা গোত্র, সমাজের জন্য না, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য। মেক নো মিসটেক -
ইসলামের থেকে এমনকি প্রানীজগত এবং উদ্ভিদজগতের উপকৃত হবার এবং নিরাপত্তা লাভের হক্ক রয়েছে। এতটুকু যে অনুধাবন করতে পারলো না সে ইসলামের পরিচয় এখনো পূর্ণ ভাবে জানতে পারেনি। এই দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন কে? আল্লাহ। সৃষ্টিজগতের মালিক কে? আল্লাহ। এই দুনিয়া এবং এর উপরে নিচে যা আছে তার সমস্ত কিছুর প্রতিপালক কে? আল্লাহ। অন্য কেউ কি এগুলোর মধ্যে ১% শরীক হতে পারে? না, পারেনা। কিংবা কারো কি তেমন কোন সামর্থ্য আছে? না, নাই। এতটুকু যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েই গেলো, তাহলে এবার জানা দরকার আল্লাহ শুধু দুনিয়া সৃষ্টি করে তার পরিচালনার ভার অন্যের উপরে ছেড়ে দেননি, [নাউজুবিল্লাহ] বরং আল্লাহ এটাই বলেছেন, দুনিয়া আল্লাহর এখানে হুকুম ও চলবে আল্লাহর। ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো হুকুম এখানে চলবেনা। তাহলে সেই হুকুম কি? সেই হুকুমের নাম হচ্ছে - ইসলাম। আল্লাহ তাঁর দুনিয়াতে ইসলামকেই কায়েম হবার জন্য মনোনীত করেছেন। আল্লাহ বলেন, আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য জীবন বিধান হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহ আরো কনফার্ম করেছেন - আমি এই ইসলামকে পরিপুর্ন করে দিয়েছি, অর্থাৎ যা যা দরকার হবে তার সবকিছু ইসলামের মধ্যেই আছে, অন্য কোথাও থেকে ধার করতে হবেনা, আমদানি করতে হবেনা, গবেষণা করতে হবেনা, উদ্ভাবন করতে হবেনা, মডিফাই করতে হবেনা।
যে কেউ স্বীকৃতি দিলো আমি মুসলিম, তাকে এই কথাগুলোর ও স্বীকৃতি দিতে হবে। এই কথাগুলো বিশ্বাস করতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
"কোন প্ল্যান বি নাই" "প্ল্যান বি এর জন্য ইসলাম না" - আল্লাহ যখন বলে দিয়েছেন - কমপ্লিট - এর মানে কমপ্লিট। ফুলস্টপ।
এগুলো একজন মুমিন অর্থাৎ বিশ্বাসীর জন্য সারভাইভাল কন্ডিশন। তাকে সারভাইভ করতে হলে, এবং থ্রাইভ করতে হলে - এই কন্ডিশন মানতেই হবে। আমি আবারও বলছি - মানতেই হবে এর অর্থ এর অন্য কোন বিকল্প নাই! যে পারবেনা সেটা তার ব্যার্থতা, যার দায় ইসলাম কেন নিবে! তবে হ্যা, ইসলাম তাকে ফেলে দিবেনা। বরং ইসলাম হচ্ছে উম্মাহর জন্য বর্ম। তাই কেউ যদি ব্যার্থ হয়, সামস্টিক ভাবে উম্মাহর অন্য অনুসরণকারী গণ যখন এই বর্ম কে প্রতিষ্ঠিত রাখবেন, এই বর্মের নিচে থাকা দুর্বল কিংবা সন্দিহানরা ও নিরাপত্তা পাবে। তবে শর্ত হচ্ছে - ইসলামের নিরাপত্তা বর্ম কে অন রাখতে হবে। শিল্ড মাস্ট বি অন!
আরো ব্যাপার হচ্ছে এতটুকু উপস্থাপন যদি ভারী, ব্যাপক মনে হয় তবে আসলেই তা ভারী এবং ব্যাপক। ইসলাম কোন ছেলে খেলা, মুড়ি মুড়কি বা হালুয়া প্রাসাদ খাবার নাম না! আপনি ইসলামের সূচনা দেখেন না কেন? যখন ইসলাম আসলো তখন সবাই কি ইসলামকে আদর করে বুকে টেনে নিয়েছিলো? বরং ইসলামের প্রথম শহীদ ছিলো একজন বিশ্বাসী মহিলা, সুমাইয়া রাদিআল্লাহু আনহা যাকে বর্শার আঘাতে হত্যা করা হয়েছিলো। এটি ছিলো শুরু এর পরের ইতিহাস তো আপনাদের অজানা না! বিলাল রাঃ, খাব্বাব রাঃ, রাসুল সাঃ কে তায়েফে রক্তাক্ত করে দেয়া কিংবা উহুদের দিনে রাসুল সাঃ এর দাড়ি মুবারক বেয়ে গলগল করে পবিত্র রক্ত প্রবাহিত হওয়া, হামজা রাঃ শাহাদাত - আপনি কি মনে করেন এগুলো সব ছিলো শুধু ইতিহাস! এগুলো ছিলো ইসলামের শিল্ড অন করার জন্য জিহাদ, মুজাহাদা, চেষ্টা সংগ্রাম সাধনা! আমরা কি আসলেই ভেবে নিয়েছি যে, আমার মা বা মুসলিম - আর আমিও ফ্রিতে ইসলাম পেয়ে গেছি! ইসলামের শিল্ড কে অন রাখতে হবে এবং এটা কোন ছেলেখেলা না! আমাদের কমান্ডার মুহাম্মাদ সাঃ কে পর্যন্ত রক্তাক্ত হতে হয়েছে যেন আমি আপনি এই শিল্ডের নিচে নিরাপত্তার সাথে থাকতে পারি! আর আজ আমরা একবার নিজেদের দিকে তাকাই - আল্লাহ যে শিল্ডকে আমাদের জন্য নিয়ামত হিসেবে দান করলেন দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য, রাসুল সাঃ যে শিল্ড এর জন্য রক্তাক্ত হলেন আজ আমরা সেই শিল্ড কে বাতিল, ব্যাকডেটেড, এক্সট্রিম লেবেল লাগিয়ে কাফেরদের অফার করা দাসত্বের জিন্দেগী কে গ্রহন করেছি! আর সেই কাফেররা যখন আমাদেরকে হত্যা করছে, নির্যাতন করছে, জুলুম করছে তখন আমাদের মধ্যে উত্তম রা প্রশ্ন করছেন - এগুলো হচ্ছে কেন! এগুলো মনে হয় আমাদের ইসলামের জন্যই হচ্ছে। এই ভার্সন টা আমাদের কাফের বন্ধুদের পছন্দ হচ্ছেনা, চল আমরা আরেকটু তাদের মত হয়ে যাই! সমস্যা হচ্ছে এভাবে আমরা নিজেদের ঈমান আকিদাহ সব বিক্রি করে দিয়ে এমন কি তাদের রঙে রঙিন হয়ে গেছি, তাও আমাদের সমস্যা দূর হয়নি! এরপরে আমরা আমাদের নিজেদের ভাইবোনদের কাফেরদের হাতে তুলে দিয়েছি তাও আমাদের সমস্যা দূর হয়নি, শেষ পর্যন্ত আমরা কাফেরদেরকেই আমাদের উপরে ভালো মন্দের অভিভাবক হিসেবে মেনে নিয়েছি, তাও আমাদের সমস্যা দূর তো হয়নি বরং দিন দিন আরো বেশি হয়েছে!
সেখানেই তাহলে এই পোষ্ট এর শুরুর লাইনটি আবার ফিরে আসলো - আসেন আমরা আবারো স্বীকার করে নেই জাতি কিংবা উম্মাহ হিসবে দুনিয়াতে আমাদের মত নির্যাতিত, লাঞ্চিত, অপমানিত এবং মাজলুম আর কোন জাতি বা উম্মাহ নাই!
এবার প্রশ্ন হচ্ছে - এর থেকে মুক্তির উপায় কি?
সিম্পল - ইসলাম। ইসলামের শিল্ড। প্রমাণ? মক্কায় কাফেররা যখন জুলুমের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলো, রাসুল সাঃ কে হত্যা করার পরিকল্পনাও করে ফেললো, মুসলিমদেরকে দেশ থেকে বের করে দিলো, মুসলিমদের ধন সম্পদ গুলো দখল করে নিতে লাগলো এমন অবস্থায় আল্লাহ বললেন - ফাইট ব্যাক। ইয়েস - ফাইটব্যাক! জিহাদের হুকুম আসলো! জি - জিহাদ। যা শুনলে আমাদের অন্তরাত্মা উড়ে যায় - সেই জিহাদের হুকুম আসলো। মুসলিমরা মক্কা থেকে পালিয়ে মদিনায় আশ্রয় নিলেন, সারভাইভ করার জন্য আবু সুফিয়ানের কাফেলা রেইড করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু আল্লাহ মুসলিম বাহিনীকে টেনে নিয়ে আসলেন বদরের দিকে, এজন্য যে আল্লাহ বলছেন (ভাবার্থে) - এর দ্বারা আমি হক এবং বাতিলের মধ্যে মিমাংসা টেনে দিবো। অর্থাৎ তোমার শত্রু যখন অস্ত্র ধরেছে তখন তোমাদেরকেও অস্ত্রই ধরতে হবে। বদর, উহুদ, পেরিয়ে মুসলিম বাহিনী আবার সেই মক্কাতেই ফিরে আসলো! আজ তাদের কেউ তাদের হত্যা করার হুমকি দিলোনা, আজ কেউ তাদের অপমান করলোনা, আজ কেউ তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নিলোনা বরং তারা সবাই দূরে থেকে, পাহাড়ে, আড়লে আবডলে লুকিয়ে থেকে কিংবা নিজের ঘরের মধ্যে বন্দি থেকে মুসলিম বাহিনী এবং তাদের উপরে ইসলামের নিরাপত্তা দেখলো! তাহলে কি দাড়ালো?
এর থেকে মুক্তির উপায় কি? - আল্লাহ কি বলেছেন? ফাইট ব্যাক, কুতিবা আলাইকুমুল কিতাল। তোমাদের উপরে কিতালের হুকুম দেয়া হল। কিংবা (ভাবার্থে) তোমাদের উপরে জিহাদের হুকুম দেয়া হল যদিও তোমরা তা অপছন্দ কর, কিন্তু হতে পারে তোমরা যা অপছন্দ কর তার মধ্যেই তোমাদের কল্যান আছে।
তাই ইন্সট্যান্ট উত্তর হচ্ছে - ফাইট ব্যাক। কেন বললাম ইন্সট্যান্ট? কারণ এটা শুধু শুরু মাত্র। শুধু ফাইটব্যাক ই সমাধান না। বরং সমাধান হচ্ছে পরিপূর্ণ ইসলামের বাস্তবায়ন বা ইসলামের নিরাপত্তা শিল্ড অন করা। কিন্তু তার জন্যই এই মুহূর্তেই যা করা দরকার তা হচ্ছে - ফাইট ব্যাক।
সবশেষে -
নিজেকে রক্ষার জন্য অস্ত্র ধরার মধ্যে কোন লজ্জা নাই। কারণ নিজের উপরে আক্রমন হলে এমনকি পশুরাও ঘুরে দাঁড়ায় - দে ফাইট ব্যাক।
নিজের দ্বীন ইসলামের জন্য অস্ত্র ধরার মধ্যে কোন লজ্জা নাই। কারণ কাফের রা তাদের দ্বীন ডেমোক্রেসির জন্য অস্ত্র ধরতে কোন লজ্জা পায়নি।
নিজেদের ভাই বোন, আর শিশুদের হত্যার বদলা নেয়ার জন্য অস্ত্র ধরার মধ্যে কোন লজ্জা নাই। কারণ কাফের রা আমাদের ভাই বোন আর শিশুদের হত্যা করার জন্য অস্ত্র ধরতে কোন লজ্জা পায়নি।
আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য অস্ত্র ধরার মধ্যে কোন লজ্জা নাই। কারণ কাফের রা তাদের তাগুত প্রভুদের হুকুমে অস্ত্র ধরতে কোন লজ্জা পায়নি।
জিহাদ কোন লজ্জা না, বরং জিহাদ হচ্ছে সম্মান এবং ইজ্জত। জিহাদ কোন অপব্যাখ্যা না বরং জিহাদ হচ্ছে উম্মতের বর্ম।
আর হ্যা, ওয়াল আকিবাতু লিল মুত্তাকিন - শেষ বিজয় শুধুই মুত্তাকিনদের জন্য।
------
আমি সাক্ষ্য এবং ঘোষণা দিচ্ছি, আল্লাহ এক। মুহাম্মাদ সাঃ আল্লাহর রাসুল। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ সত্য, সত্য তাঁর কালিমা, সত্য তাঁর দ্বীন, সত্য তাঁর রাসুল, সত্য তাঁর ওয়াদা। জান্নাত সত্য এবং জাহান্নাম সত্য। মুমিনদের জন্য আল্লাহর সাহায্য সত্য, আল্লাহর পক্ষ সাহায্য এবং বিজয় সত্য। সমস্ত প্রসংশা এবং সম্মান শুধু মাত্র আল্লাহর জন্যই। মালিক আল্লাহ, হুকুম ও চলবে শুধুই আল্লাহর। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই কাফেরদের জন্য কোন আশা নাই, তারা এই দুনিয়াতেও পরাজিত আর আখিরতেও তারা ক্ষতিগ্রস্থ আর জাহান্নামই তাদের শেষ পরিণতি!
আমি নিজেকে সমর্পন করলাম আমার রবের সামনে, আমি এবং আমার জিন্দেগী - ইন্না সলাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়াইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রব্বিল আলামিন।[/b]
Comment