হাদিস ও তাফসীর শাস্ত্রের ইমাম ইবনে কাছির রহঃ আলবিদায়া ওয়ান্নিহায়া গ্রন্থে লিখেন যে,
রাসুলে কারিম সাঃ এর দুইজন সাহাবী হযরত উরওয়া ইবনে মাসউদ ও গাইলান ইবনে আসলাম রাঃ এক জিহাদে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে অংশগ্রহন করতে পারেননি।কারণ তারা কিছু যুদ্ধাস্ত্র তৈরির পদ্ধতি শিখতে দামেস্কের প্রসিদ্ধ শিল্প শহর “হায়রাশ” এ গিয়েছিলেন। যেহেতু সেখানে দাব্বাবা ও যব্বুর নামের বড় বড় গাড়ি তৈরি হত যা বর্তমানে ট্যাংকের ন্যায় উপকারে আসত।এমনিভাবে মিনজানিকের কারিগরী ও সেখানে ছিলো, যাদ্বারা ভারি ভারি পাথর নিক্ষেপ করে দুর্গ ভাঙ্গতে কামানের কাজ মত নেওয়া হত।এ সকল কারিগরি বিদ্যা শিক্ষা করার জন্য সে সকল সম্মানী ব্যক্তিগণ সিরিয়ায় গিয়েছিলেন।
এ ঘটনার দ্বারা এটি প্রমাণিত হল যে,মুসলমানদের জন্য জরুরি হল তারা নিজেদের হাতিয়ার ও যুদ্ধাস্ত্রে স্বনির্ভর হবে; অন্যের মুখাপেক্ষি হবেনা।কেননা তাদের পক্ষে সে দেশ থেকে এসব গাড়ি ও মিনজানিক ক্রয় করে আনাও সম্ভব ছিলো;কিন্তু রাসুলে কারিম সাঃ ও তার সাহাবায়ে কেরাম রাঃ তা করেননি।বরং তৈরি করার যোগ্যতা অর্জন করে তা নিজ দেশে তৈরি করার ব্যবস্থা করেছিলেন।আমাদের ও কর্তব্য হল এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা।রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর তো রুহানী ও আল্লাহ প্রদত্ত মদদ ছিলো। জাগতিক কোনো হাতিয়ারের প্রয়োজনই ছিলো না।এতদসত্ত্বেও তিনি হাতিয়ার তৈরির এতো গুরুত্বারোপ করেছেন।এমতবস্থায় আমাদের মত দুর্বল ইমানদার ও গুনাহগার লোকদের এর প্রয়োজনিয়তা কতটুকু হওয়া দরকার তা সহজেই অনুমেয়।বর্তমান যুগে যুদ্ধের জন্য যত রকমের হাতিয়ার,সরঞ্জামাদি ও মরণাস্ত্রের প্রয়োজন তার কোনো কিছু হতেই পিছপা না হওয়া উচিত।
[হাদিছের আলোকে জিহাদ (মুফতি শফি রহঃ)
পৃষ্ঠা-২৮]
রাসুলে কারিম সাঃ এর দুইজন সাহাবী হযরত উরওয়া ইবনে মাসউদ ও গাইলান ইবনে আসলাম রাঃ এক জিহাদে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথে অংশগ্রহন করতে পারেননি।কারণ তারা কিছু যুদ্ধাস্ত্র তৈরির পদ্ধতি শিখতে দামেস্কের প্রসিদ্ধ শিল্প শহর “হায়রাশ” এ গিয়েছিলেন। যেহেতু সেখানে দাব্বাবা ও যব্বুর নামের বড় বড় গাড়ি তৈরি হত যা বর্তমানে ট্যাংকের ন্যায় উপকারে আসত।এমনিভাবে মিনজানিকের কারিগরী ও সেখানে ছিলো, যাদ্বারা ভারি ভারি পাথর নিক্ষেপ করে দুর্গ ভাঙ্গতে কামানের কাজ মত নেওয়া হত।এ সকল কারিগরি বিদ্যা শিক্ষা করার জন্য সে সকল সম্মানী ব্যক্তিগণ সিরিয়ায় গিয়েছিলেন।
এ ঘটনার দ্বারা এটি প্রমাণিত হল যে,মুসলমানদের জন্য জরুরি হল তারা নিজেদের হাতিয়ার ও যুদ্ধাস্ত্রে স্বনির্ভর হবে; অন্যের মুখাপেক্ষি হবেনা।কেননা তাদের পক্ষে সে দেশ থেকে এসব গাড়ি ও মিনজানিক ক্রয় করে আনাও সম্ভব ছিলো;কিন্তু রাসুলে কারিম সাঃ ও তার সাহাবায়ে কেরাম রাঃ তা করেননি।বরং তৈরি করার যোগ্যতা অর্জন করে তা নিজ দেশে তৈরি করার ব্যবস্থা করেছিলেন।আমাদের ও কর্তব্য হল এ ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা।রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর তো রুহানী ও আল্লাহ প্রদত্ত মদদ ছিলো। জাগতিক কোনো হাতিয়ারের প্রয়োজনই ছিলো না।এতদসত্ত্বেও তিনি হাতিয়ার তৈরির এতো গুরুত্বারোপ করেছেন।এমতবস্থায় আমাদের মত দুর্বল ইমানদার ও গুনাহগার লোকদের এর প্রয়োজনিয়তা কতটুকু হওয়া দরকার তা সহজেই অনুমেয়।বর্তমান যুগে যুদ্ধের জন্য যত রকমের হাতিয়ার,সরঞ্জামাদি ও মরণাস্ত্রের প্রয়োজন তার কোনো কিছু হতেই পিছপা না হওয়া উচিত।
[হাদিছের আলোকে জিহাদ (মুফতি শফি রহঃ)
পৃষ্ঠা-২৮]
Comment