Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ ও মুজাহিদিন নিয়ে বড়দের বিভ্রান্তি _ মারকাযুদ দাওয়াহর সংশয় নিয়ে দু’টি কথা * (রিপোস্

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ ও মুজাহিদিন নিয়ে বড়দের বিভ্রান্তি _ মারকাযুদ দাওয়াহর সংশয় নিয়ে দু’টি কথা * (রিপোস্

    *** মুহতারাম "ইলম ও জিহাদ" ভাইয়ের মূল পোস্টটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ডিলিট হয়ে যাবার কারণে ফোরামের সকল ভাইদের কাছে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, খাস ভাবে যেসব ভাই কমেন্ট করেছিলেন। এখানে পোস্ট টি রি পোস্ট করা হল ***

    ****
    ক’দিন হল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ‘মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামী’ থেকে সতর্কীকরণের উদ্দেশ্যে ফুজালাদের কাছে দু’টি পারচা পেশ করা হয়েছে। একটি পারচা মাওলানা যোবায়র হোসাইন সাহেব হাফিজাহুল্লাহর কিতাবাদি এবং সেগুলোর ব্যাপারে মারকাযের বারাআত ও অবস্থান পরিষ্কাকরণ সংক্রান্ত, আরেকটির এক বিশেষ অংশ জিহাদ ও মুজাহিদিনের মানহাজ ও কার্যক্রমের নকদ-সমালোচনা সংক্রান্ত। সম্ভবত পারচাগুলোর ব্যাপক প্রচারের অনুমোদন ছিল না, কিন্তু কোন না কোনভাবে সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
    নেট থেকে সংগ্রীহিত আমার কাছে পারচাদ্বয়ের যে কপি আছে তার একটি তিন পৃষ্ঠার। এটিতে আব্দুল মালেক সাহেবের দস্তখত আছে। তারিখ: ২২ রজব, ১৪৪০ হি.। শিরোনাম (উর্দুতে): ‘এক ওজাহাত’। এটি মাওলানা যোবায়র হোসাইন সাহেব হাফিজাহুল্লাহর কিতাবাদি এবং সেগুলোর ব্যাপারে মারকাযের বারাআত ও অবস্থান পরিষ্কাকরণ সংক্রান্ত।

    যোবায়ের হোসাইন সাহেবের কিতাবাদির ব্যাপারে মন্তব্যের সারসংক্ষেপ: [এগুলো মুনকার উসলূব ও ধরণের এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে লেখা কিছু কিতাব, যেগুলোতে কোন প্রকার দলীল-প্রমাণবিহীন গুমরাহিমূলক বিষয়াশয় ছড়ানো হয়েছে। অল্প-স্বল্প ভাল যাও কিছু ছিল, সেগুলোও কিতাবের মুনকার উসলূব ও ধরণ, আক্রমণাত্মক ভঙ্গি এবং হক-বাতিলের সংমিশ্রণসহ আরো বিভিন্ন কারণে ফায়েদাজনক রয়েনি। আহলে ইলমদের দৃষ্টিতে এ ধরণের কিতাব তাহকিকের টেবিলে আসার কোন যোগ্যতা রাখে না।]

    মোটামুটি এ হল মন্তব্যের সারকথা। আমরা অস্বীকার করি না যে, যোবায়ের হোসাইন সাহেবের কিছু ভুল হতে পারে। বরং সকলেরই কিছু না কিছু ভুল হতে পারে। তবে ঢালাওভাবে মন্তব্য যা করা হয়েছে, বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু দুরস্ত, বাস্তবেই কিতাবগুলো মূল্যহীন না’কি অমূল রতন, গুমরাহকারী না’কি হিদায়াতের মশালধারী- সে বিবেচনার ভার নিরপেক্ষ ও হকতলবি পাঠকদের উপর ন্যস্ত করলাম। এ ব্যাপারে আমি কথা বাড়াতে চাই না।

    ***

    দ্বিতীয় পারচাটি, যেটিতে জিহাদ ও মুজাহিদিনের নকদ করা হয়েছে, সেটি ষোল পৃষ্ঠার। সেটিতে আবুল হাসান আব্দুল্লাহ সাহেব ও আব্দুল মালেক সাহেব উভয়ের দস্তখত আছে। তারিখ: ২১ রজব, ১৪৪০ হি.। শিরোনাম (উর্দুতে): ‘আপনে তলবায়ে কেরাম সে চান্দ জরুরী গুজারেশাত’।

    পারচাটি দেখার পর বেশ কষ্ট পেয়েছি। অবশ্য খুব বেশি পাইনি। কারণ, বড়দের থেকে এ ধরণের কষ্ট পাওয়ার সিলসিলা নতুন কিছু নয়। স্বয়ং নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) যাদের থেকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন, তারা সমাজের বড়রাই।

    বললে অত্যুক্তি হবে না যে, পারচাতে মুজাহিদিনে কেরামের ব্যাপারে যেসব কথা বলা হয়েছে, চরমপন্থী কিছু খারিজির ব্যাপারে সেগুলো প্রযোজ্য হলেও বাকিসকল হকপন্থী মুজাহিদের উপর তুহমত ও অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়। মারকাযের বড়দের থেকে এ ধরণের বড় বড় ও বাস্তবপরিপন্থী তুহমতের একটা বড় কারণ এও যে, জিহাদ ও মুজাহিদিনের বাস্তব অবস্থা, জিহাদের ময়দানের সঠিক দৃশ্য, কুফরি ও তাগুতি শাসনের স্বরূপ এবং ইসলাম, মুসলমান এবং জিহাদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মারকাযের যথাযথ জ্ঞান নেই। অবশ্য তখন প্রশ্ন আসবে যে, বাস্তব অবস্থা জানা না থাকলে তারা কেন মন্তব্য করতে গেলেন? এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।

    হকপন্থী মুজাহিদিনে কেরাম সম্পর্কে যাদের বাস্তব জানাশুনা আছে, তাদের কাছে মারকাযের এসব তুহমতের বাতুলতা তুলে ধরার কোন প্রয়োজন নেই। অবশ্য যারা জানেনা, তাদের কাছে বড়দের থেকে বের হওয়া এসব অপবাদই সত্য মনে হবে। তাদের সামনে মুজাহিদিনে কেরামের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরা দাঈ ভাইদের অপরিহার্য কর্তব্য।
    এ গেল একটা দিক। এ ব্যাপারে আমি কথা বাড়াতে চাই না।

    মারকাযের নকদের আরেকটা দিক হল, জিহাদ সংক্রান্ত কতক শরয়ী বিষয়। যেমন- তাকফিরুত তাওয়াগিত, দারুল হরব, ফরিজায়ে জিহাদ ইত্যাদি। এ সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয়ের তারা নকদ করেছেন। অবশ্য বললে অত্যুক্তি হবে না যে, বাস্তব ময়দানের ব্যাপারে যেমন যথেষ্ট অজানা রয়েছে; জিহাদ, কিতাল ও সিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে শরয়ী ইলমের কমতিও তাদের একেবারে কম নয়।

    অনেকে অবশ্য রেগে উঠবে যে, আপনারা কি আব্দুল মালেক সাহেবদের চেয়েও বেশি বুঝেন? উত্তরে *শুধু এতটুকু বলবো, আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, হুবহু এই প্রশ্নটাই করা হয়েছে নবীগণকে (আলাইহিমুস সালাম)। নবীদের তারা বলতো, তোমরা কি আমাদের বাপ-দাদাদের চেয়েও বেশি বুঝ? বাপ-দাদা আর বড়দের এই অন্ধভক্তির কারণেই দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ কুফরের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নবুওতের হিদায়াতে আসতে পারেনি। এজন্য এ ধরণের রাগ না দেখানোর আবেদন। এগুলো শরীয়তের কোন দলীল নয়। শরীয়তের দলীল কুরআন-সু্ন্নাহ। সকলের মন্তব্য এই কুরআন সুন্নাহ মতে যাচাই করে দেখার অনুরোধ।

    মারকায বেশ কয়েকটি বিষয়ে মুজাহিদিনে কেরামকে ভ্রান্ত মনে করে-

    ক. কুফরি আইন দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী শাসকরা কাফের।
    খ. কুফরি আইন দিয়ে পরিচালিত রাষ্ট্রগুলো দারুল হরব।
    গ. এসব মুরতাদ শাসক কতৃক প্রদত্ত ভিসা আমান নয়। বিধায় ভিসা নিয়ে আসা হরবি কাফেরদের হত্যা করা যাবে।
    ঘ. বর্তমানে নামায-রোযার মতো জিহাদ প্রত্যেকের উপর ফরয। প্রত্যেককেই নিজ নিজ ফরিজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
    ঙ. জিহাদ ফরয (বা সহীহ) হওয়ার জন্য ইসলামী ইমারা কায়েম থাকা বা আমীরুল মু’মিনীন বিদ্যমান থাকা বা আমীরুল মুমিনীনের অনুমতি শর্ত নয়। ইমাম থাকলে যেমন জিহাদ ফরয, ইমাম না থাকলেও জিহাদ ফরয।
    মোটামুটি এগুলো মৌলিক পয়েন্ট। যতটুকু বুঝতে পারলাম, মারকাযের অভিমত হলো-
    ক. কুফরি আইন দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী শাসকরা কাফের নয়।
    খ. কুফরি আইন দিয়ে পরিচালিত রাষ্ট্রগুলো দারুল হরব নয়।
    গ. এসব শাসক কতৃক প্রদত্ত ভিসা আমান। বিধায় ভিসা নিয়ে আসা হরবি কাফেরদের হত্যা করা যাবে না।
    ঘ. নামায-রোযার মতো জিহাদ প্রত্যেকের উপর ফরয নয়। প্রত্যেককেই নিজ নিজ ফরিজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে তাও নয়। বরং জিহাদ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
    ঙ. জিহাদ ফরয (বা সহীহ) হওয়ার জন্য শক্তিধর ইসলামী ইমারা, আমীরুল মু’মিনীন এবং আমীরুল মুমিনীনের অনুমতি শর্ত। আমীরুল মু’মিনীন না থাকলে ফরয নয়।


    আমীরুল মু’মিনীন না থাকলে আগে জিহাদ ব্যতীত ভিন্ন পদ্ধতিতে আমীরুল মু’মিনীন ও ইমারত কায়েম করতে হবে। এরপর আমীরুল মু’মিনীনের অনুমতি হলে তখন জিহাদ করা যাবে; অন্যথায় নয়।

    এসব বিষয় নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ক-খ-গ এ তিনটি বিষয়ের ভিত্তি এর উপর যে, শরীয়ত প্রত্যাখান করে কুফরি জীবনব্যবস্থা দিয়ে শাসনকারী তাগুতরা কাফের কি কাফের না? যদি কাফের হয়, তখন রাষ্ট্র দারুল হরব হবে এবং এদের প্রদত্ত ভিসারও কোন মূল্য থাকবে না। এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এ ব্যাপারে আর নতুন করে লিখতে চাচ্ছি না। তবে শুধু আল্লামা শানকিতি রহ. এর একটি মন্তব্য তুলে ধরতে চাই। তিনি বলেন,
    ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﺘﺒﻌﻮﻥ ﺍﻟﻘﻮﺍﻧﻴﻦ ﺍﻟﻮﺿﻌﻴﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺷﺮﻋﻬﺎ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺃﻭﻟﻴﺎﺋﻪ ﻣﺨﺎﻟﻔﺔ ﻟﻤﺎ ﺷﺮﻋﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﻞ ﻭﻋﻼ ﻋﻠﻰ ﺃﻟﺴﻨﺔ ﺭﺳﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺳﻠﻢ، ﺃﻧﻪ ﻻ ﻳﺸﻚ ﻓﻲ ﻛﻔﺮﻫﻢ ﻭﺷﺮﻛﻬﻢ ﺇﻻ ﻣﻦ ﻃﻤﺲ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺼﻴﺮﺗﻪ، ﻭﺃﻋﻤﺎﻩ ﻋﻦ ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻮﺣﻲ ﻣﺜﻠﻬﻢ . ﺍﻫـ

    “আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা তার রাসূলগণ সাল্লাল্লাহু আলাইহিম ওয়াসাল্লামের যবানে যেসকল বিধি বিধান দান করেছেন, সেগুলোর বিপরীতে শয়তান তার দোস্তদের দ্বারা যেসকল (কুফরি) বিধি বিধান প্রণয়ন করেছে, সেসবের অনুসরণ যারা করে; তাদের কাফের ও মুশরিক হওয়ার ব্যাপারে কেবল তারাই সন্দেহ করতে পারে, এদের মতোই আল্লাহ তাআলা যাদের অন্তর্দৃষ্টি নিভিয়ে দিয়েছেন এবং ওহীর নূর থেকে অন্ধ করে দিয়েছেন।”- আদওয়াউল বায়ান ৩/২৫৯

    শেষ দু’টি বিষয়ের মূলকথা কাছাকাছি। তা হলো, ‘ইমাম ছাড়া জিহাদ ফরয নয়। শুধু তাই নয়, জিহাদ সহীহও নয় এবং কোন সওয়াবের কাজও নয়’। বরং গুনাহের কাজ।
    মারকাযের বক্তব্য দেখুন (বাংলা তরজমা)-

    “ফরিজায়ে জিহাদ যিন্দা করার ফিতরি (তথা স্বাভাবিক) ত্বরিকা হলো, প্রথমে তামাক্কুন ফিল আরদ (তথা রাষ্ট্রক্ষমতা) হাসিল হবে এবং প্রভূত শক্তিধর ইসলামী ইমারা কায়েম হবে। আমীরুল মু’মিনীন আমর বিল মা’রূফ ও নাহি আনিল মুনকারের অন্যান্য শুবা (তথা শাখা)-এর ন্যায় জিহাদকেও ইসলামী আহকাম অনুযায়ী যিন্দা করবেন।”- চান্দ গুজারেশ, পৃষ্ঠা ৯

    এখানে হাশিয়াতে লিখা হয়েছে, “ইমাম ইবনুল মুবারকের ‘কিতাবুল জিহাদ’-এর বাংলা তরজামায় মুকাদ্দামার একেবারে শেষে যা বলা হয়েছে যে, ‘এ প্রশ্নের জওয়াব সায়্যিদ আহমাদ শহীদের জীবনীতে মিলবে’ এর দ্বারা জিহাদের এই ফিতরি ত্বরিকার প্রতিই ঈঙ্গিত করা হয়েছে।”- চান্দ গুজারেশাত, পৃষ্ঠা ৯
    আরো বলেন, “তামাক্কুন ফিল আরদ, হাকিকি ইস্তিতাআত (তথা বাস্তবিক সামর্থ্য)- কাল্পনিক সামর্থ্য নয়- এবং প্রভূত শক্তিধর ইমারার ইজাযত (অনুমতি) ও নেগারনি ব্যতীত জিহাদ করতে যাওয়া ঐ ত্বরিকা নয়, যাকে সুন্নতে নববী ও উসূলে-শরঈয়্যা-সম্মত ত্বরীকা বলা যায়। বিশেষত যদি ঐ ত্বরিকা স্বয়ং নিজেই মুনকার এবং শরীয়ত বিরোধী কোন কিছু ধারণকারী হয় ...।”- চান্দ গুজারেশাত, পৃষ্ঠা ৯

    সামনে বলেন, “জিহাদের ফিতরি ত্বরিকায় যেহেতু স্বাভাবিক অনেক দীর্ঘ সময় ও দীর্ঘ মেহনতের দরকার পড়বে এবং ব্যাপকভাবে যেহেতু এ ব্যাপারে শিথিলতা ও অবহেলা দেখা যাচ্ছে, তাই কিছু লোক এর জন্য কিছু মুখতাসার (সংক্ষিপ্ত) ত্বরিকা আবিষ্কার করেছে এবং এগুলোকেই জিহাদ নাম দিয়ে দিয়েছে।”- চান্দ গুজারেশাত, পৃষ্ঠা ৯-১০

    সামনে বলেন, “এমনিভাবে জিহাদের নব উদ্ভাবিত এবং মুখতাসার ত্বরিকা আবিষ্কারকারীদের কারো কারো মতে জিহাদ প্রত্যেক মুমিনের উপর আলাদা আলাদা ফরয। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগতভাবে এর যিম্মাদার। এর জন্য আমীরুল মু’মিনীনের ইজাযত শর্ত নয়।” - চান্দ গুজারেশাত, পৃষ্ঠা ১০
    সামনে বলেন, “তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, ‘এখন জিহাদের বিধান বাস্তবায়ন করার সামর্থ্যও বিদ্যমান আছে’। এটিও তো এক আজীব (আশ্চর্য) মুআমালা যে, জিহাদের সামর্থ্য আছে কিন্তু খেলাফত কায়েমের সামর্থ্য নেই?! চিন্তা করার দরকার যে, যদি তোমাদের আমীরের জিহাদের সামর্থ্য থাকতো, তাহলে সে তোমাদের ঐ রাষ্ট্রে খেলাফতে ইসলামীয়াও কায়েম করতে পারতো!”- চান্দ গুজারেশাত, পৃষ্ঠা ১০-১১

    এ হল মারকাজের বক্তব্য।

    *পুরো বক্তব্যের সারকথা: শক্তিধর ইসলামী ইমারত কায়েম করে, আমীরুল মুমিনীন নিয়োগ দিয়ে তারপর আমীরুল মুমিনীনের অনুমতি ও নেগারনিতে যে জিহাদ হবে, সেটিই একমাত্র শরীয়তসম্মত জিহাদ। এছাড়া জিহাদের শরীয়তসম্মত কোন ত্বরিকা নেই। অন্য সকল ত্বরিকা নব আবিষ্কৃত ও শরীয়তপরিপন্থী। এগুলোকে জিহাদ বলা যাবে না।

    আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হয় যে, সামজের রাহবার বলে যারা পরিচিত, তাদের মধ্যেই এ ধরণের জঘন্য রকমের আকীদা বিদ্যমান, কুরআন-সুন্নাহ ও আইম্মায়ে উম্মতের বক্তব্যে যার দূরতম ঈশারা-ঈঙ্গিতও নেই। বরং- আপনারা অনেকে হয়তো জেনে থাকবেন- এ ধরণের জঘন্য আকীদা শীয়ারা লালন করে। শীয়াদেরই আকীদা এমন যে, ইমাম ছাড়া জিহাদ নেই। গায়েব থেকে ইমাম আসার অপেক্ষায় তারা আছে। অবশ্য শীয়ারাও যখন বুঝতে পারলো যে, এ আকীদা একান্তই গলদ, তখন তারাও এ আকীদার বিপরীতে খোমেনীর নেতৃত্বে যুদ্ধে নেমেছে। এ ধরণের সংশয় আসলে খণ্ডনের যোগ্য নয়, তথাপি আমাদের দুর্ভাগ্য যে, এগুলোর পেছনে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে। হে আল্লাহ আমাদের উদ্ধার কর!

    মারকাযের কাছে আমার প্রশ্ন

    বর্তমান বিশ্বে যেসব ভূমিতে মুসলমানরা নির্মম নির্যাতনের শিকার- যেমন, আরাকান, কাশ্মীর ইত্যাদি- সেগুলোর মুসলমানরা যদি আগ্রাসী কাফেরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে কি তা হারাম হবে? শক্তিধর ইমারত ও আমীরুল মু’মিনীন না থাকায় কি তাদের রুখে দাঁড়ানো হারাম হবে?
    যদি উত্তর হয় যে, হারাম হবে না; তাদের রুখে দাঁড়ানো জায়েয হবে- তাহলে আপনাদের মূলনীতি টিকলো না যে, শক্তিধর ইমারত ও আমীরুল মু’মিনীন ছাড়া জিহাদ জায়েয নয়।

    আর যদি উত্তর হয় যে, না তাদের রুখে দাঁড়ানো হারাম হবে- তাহলে এর স্বপক্ষে কুরআন হাদিসের কোন একটা দলীল বা আইম্মায়ে কেরামের কোন একটা বক্তব্য উপস্থিত করার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তবে আমি ইনশাআল্লাহ কসম করে বলতে পারি, মারকাযের বড়-ছোট এবং সকল ফুজালা মিলে কেয়ামত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করেও কোন একটা দলীল বা কোন একটা বক্তব্য উদ্ধার করতে পারবে না। নাউজুবিল্লাহ! বরং আইম্মায়ে কেরাম এ ধরণের পরিস্থিতিতে জিহাদ ফরযে আইন হওয়া অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন।

    দ্বিতীয়ত, মারকায বলেছে, প্রথমে শক্তিধর ইমারত কায়েম করতে হবে তারপর জিহাদ করতে হবে। এও বলেছে যে, ইমারত কায়েম করতে দীর্ঘ সময় ও অনেক মেহনত দরকার। মারকাযের কাছে আবেদন, সে দীর্ঘ মেয়াদী ও দীর্ঘ মেহনতের ত্বরিকাটি কোনটি আমাদের বাতলিয়ে দিন। শরীয়তের দলীলের আলোকে যাচাই করে দেখি যে, কোন সে ত্বরিকা যা মারকাযের বড়রা বুঝতে পারলো, আর সারা দুনিয়ার হাজারো লাখো মুজাহিদ ও মাশায়েখ বুঝতে পারলো না।

    তৃতীয়ত, জিহাদের জন্য ইমারত লাগবে, আমীরুল মু’মিনীন লাগবে। প্রশ্ন করি, আপনাদের কি ইমারত ও আমীরুল মু’মিনীন নেই? পঞ্চাশেরও বেশি মুসলিম রাষ্ট্র; তাদের রাষ্ট্রপ্রধান- সেগুলো কি? এরা কি আপনাদের আমীরুল মুমিনীন নয়? এসব রাষ্ট্র কি ইমারত নয়? এদের তো সবই আছে। বাহিনী আছে, অস্ত্র আছে, জিহাদের সামর্থ্য আছে। তাহলে কি তারা আমীরুল মুমিনীন নয়?

    যদি বলেন, না! তারা আমীরুল মুমিনীন নয়- তাহলে কেন? তারা কি আপনাদের মতে মুসলমান নয়? তারা কি ক্ষমতার মালিক নয়? আপনাদের তো জানা থাকার কথা যে, কোনো মুসলমান অস্ত্র বলে ক্ষমতা দখল করলেও সে আমীরুল মুমিনীন হয়ে যায়। তার সাথে মিলে জিহাদ করতে হয়। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা- রাজেহ ক্বওল মতে- নাজয়েয। এটা আহলে সুন্নাহর আকীদা। আকীদার সব কিতাবে কথাটা আছে। তাহলে তারা কেন আমীরুল *মুমিনীন নয়? কেন তাদের রাষ্ট্রগুলো ইমারত নয়? খেলাফতে রাশেদার পর থেকে ১২/১৩শো বছর তো এভাবে জবর দখলের খেলাফতই ছিল। তারা যদি আমীরুল মুমিনীন হয়ে থাকেন, তাদের সাথে মিলে যদি জিহাদ ফরয হয়ে থাকে, তাহলে এদের কি সমস্যা? তখন জালেম শাসকের সাথে মিলে জিহাদ করা ফরয ছিল, তাহলে আজ কিভাবে সে ফরয রহিত হয়ে গেল? আপনাদের মতো পরিস্থিতি তো একই, তাহলে হুকুম কেন ভিন্ন?

    আর যদি বলেন, তারা আমীরুল মুমিনীন- তাহলে আমীরুল মুমিনীন নিয়োগ দিতে হবে, ইমারত কায়েম করতে হবে, নতুবা জিহাদ করা যাবে না: এসব কথার কি অর্থ? আমীরও আছে, ইমারতও আছে- তাহলে জিহাদ ফরয হচ্ছে না কেন?

    উত্তরে হয়তো বলবেন, আমীর সাহেব-সাহেবাগণ জিহাদ করতে দিচ্ছেন না। তাহলে প্রশ্ন করি, কোন জিহাদ করতে দিচ্ছেন না? ফরযে কিফায়া না ফরযে আইন? যদি ফরযে আইন থেকে বাধা দেয়, তাহলে তো ফিকহের কিতাবে পরিষ্কারই লিখা আছে যে, আল্লাহর আদেশ ফরযে আইন কোন মাখলুখের বাধার কারণে ছাড়া যাবে না। ইমামের আদেশ অমান্য করে হলেও জিহাদ করতে হবে। আর যদি ফরযে কিফায়া থেকে বাধা দেয়, তাহলেও ফিকহের কিতাবে পরিষ্কার আছে যে, এমন ধরণের ইমামের অনুমতির কোন পরোয়া না করে মুসলমানগণ নিজেরাই জিহাদ করবে। বরং কিতাবাদিতে তো এও পরিষ্কার আছে যে, ইমাম যদি না থাকে, তথাপি জিহাদ মাফ নেই। ইমাম না থাকলেও জিহাদ করে যেতে হবে। ইমাম নেই বাহানায় বসে থাকার সুযোগ নেই। এরপরও বুঝতে পারছি না, আপনারা কোন বাহানা ধরে জিহাদ ফরয নয়, করা যাবে না, ফিতরি ত্বরিকা হচ্ছে না- ইত্যাদি বলে যাচ্ছেন।

    এসব ব্যাপারে আগেও লিখা হয়েছে। এখন আর লিখতে চাচ্ছি না। মারকাযের কাছে আবেদন থাকবে, আমার জিজ্ঞাসালোর দলীলভিত্তিক জওয়াব দেয়ার।
    দাঈ ভাইদের সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি মাকালার লিংক (পিডিএফ) দিয়ে দিচ্ছি-

    ১. ইমাম ছাড়া জিহাদ:

    BOLyxX7
    ২. ইমামের অনুপস্থিতিতে জিহাদী তানজীম:

    JBBgobV
    ২. একাকী জিহাদ- দলীল প্রমাণ:

    Jfcld5k
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    • 4 Hours Ago #31

      আলোর সন্ধানী



      Junior Member Join Date
      Mar 2019Posts1جزاك الله خيرا
      0
      1 Time جزاك الله خيرا in 1 Post

      মারকাযুদ দা'ওয়ার প্রতি কিছু প্রশ্ন

      বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

      গত ২১/০৭/১৪৪০ হিঃ ঢাকার প্রসিদ্ধ তাখাসসুস বিভাগ 'মারকাযুদ দা'ওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকা'য় মারকাযের সাবেক ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় উপলক্ষে দ্বি-বাৎসরিক একটি মজলিস অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷

      উক্ত মাজলিসে গুরুত্বপূর্ণ (?) নাসীহা পেশ করেছেন মারকাযের পরিচালক মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাহেব এবং মারকাযের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিজাহুমাল্লাহ ৷

      উক্ত নাসীহা গুলো লিখিত আকারে চেপেছে, কিন্তু তা মারকাযের ছাত্র বা মার্কাযের প্রতি আস্থাবাজন দের মাঝে সীমিত থাকেনি, বরং এর বাহিরে ও ছডিয়ে গেছে, যার ফলে এখন লিখাটা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় মারকাযের প্রতি আস্থাবাজনরা ও এখন দলীলের আলোকে তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছে, অনেকে দলীল না পাওয়ায় আস্থা হারাতে ও শুরু করেছে ৷

      ছোটদের অনেকেই একটি প্রশ্ন বারবার করছে যে "দলীল বিহীন এমন চপেটাগাত আমরা মেনে নিতে পারছিনা"৷ তো তাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, এতে মানা বা না মানার কিছুই নেই, কারন এই নাসীহা টি তাদের জন্য যারা মারকাযের সাবেক ছাত্র এবং যারা মারকায কে যে কোন বিষয়ে দলীল হিসেবে মনে করে৷ অতএব আমাদের কাছে যখন বিষয়টি পেশ করা হবে আমরা দলীল বিবর্জিত দাবীগুলো মেনে নিবই বা কেনো?
      এদিকে পার্চাটিতে যেহেতু জিহাদী মানহাজের ভাইদের উপর আঘাত করা হয়েছে এমন ধারণা করা হচ্ছে তাই ভাইদের প্রশ্নগুলো কে পরিষ্কার করার ইচ্ছে করেছি৷ যেই বিষয়গুলোতে প্রশ্ন আসে সেগুলো আমরা উম্মাহর কাছে পেশ করে দিচ্ছি, যেনো তারা মারকায থেকে তার সঠিক দলীল সহ উত্তর খুঁজে নেয়৷

      আসুন!!! বিষয়গুলো কি আমরা দেখি ৷
      আমরা প্রথমে তাদের যেই লিখা বা বাক্যের উপর প্রশ্ন সেটা উল্লেখ করবো, পরে তার উপর যে প্রশ্ন উত্তাপিত হয় তা উপস্থাপন করবো ইনশা' আল্লাহ৷ আশা করছি উত্তর মারকাযই দিবে ৷

      ১,বলা হয়েছ: " ما لا يسع العالم بجهله অর্থাৎ আলেম যে বিষয়ে অজ্ঞ থাকার সুযোগ নেই তার একটি তালিকা হওয়া চাই,যেমন জিহাদ,খিলাফত,ইসলামী রাজনীতি,পশ্চিমা গনতান্ত্রিক রাজনীতি ইত্যাদী বিষয়ে বিস্তারিত জানা থাকা প্রয়োজন৷ সাথে সাথে কোন আহলে দিল ও আহলে ফিকহের সাথে আলোচনা করা দরকার"৷
      ★আমাদের কথা হলো: কথাটি অত্যন্ত জরুরী এবং সুন্দর৷ আমরা ও চায় যে, এবিষয়ে কিতাবের একটা তালিকা পেশ করা হোক, মাদ্রাসাগুলোতে তার দারস না করা গেলে ও আমাদের মতো ছোটরা একবার কিতাবগুলোর পৃষ্টা হলেও উল্টিয়ে দেখার সময় সুযোগ বের করার চেষ্টা করতো৷ আমলের কোন বিষয় থাকলে তা কিভাবে করা যায় একটু ভেবে দেখা যেতো৷
      এবং সেই আহলে দিল ও আহলে ফিকহের ও একটা তালিকা সামনে আসা দরকার, কি কি গুণ বা বৈশিষ্টের কারনে তাদের কে সিলেক্ট করা হয়েছে তা ও সামনে থাকলে প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকা বা গন্ডি থেকে চিন্হিত করা সহজ হয়ে যাবে৷

      ২, মুহতারাম বলেছেন: "বর্তমান শুধু জিহাদই যে অবহেলিত, বিষয়টি এমন নয় বরং মুসলিম উম্মাহর গাফলাতির কারনে যেমন আজ হুদুদ-কেসাস, ইসলামী খিলাফত-রাজনীতি, আমর বিল মারুফ-নাহী আনিল মুনকার এবং ইসলামী আদালত সহ আরো বহু কিছু আজ অবহেলিত৷ তেমনি জিহাদ ও বেকার হয়ে আছে"৷
      ★আপনি হয়তো ভাবছেন যে,এখানে প্রশ্নের কি আছে? কথা তো ঠিক!! হ্যাঁ আমি ও বলছি কথা শতভাগ ঠিক! এরপরও ছোটদের মনে ছোট ছোট প্রশ্ন আসতেই পারে, আশা করি বডরা ধর্য্য ও সবরের সাথে প্রশ্নগুলো শুনবেন, এবং ছোটদের কে বুঝানোর চেষ্টা করবেন৷
      বডদের লিখা থেকে যে বিষয় টি বুঝে আসছে তা হলো যে, আমাদের কে যেমনি জিহাদ বাস্তবায়নের ফিকির করতে হবে,তেমনি ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা, হুদুদ কিসাস বাস্তবায়ন, আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকার বাস্তবায়ন এবং ইসলামী আদালত ও বাস্তবায়ন করতে হবে৷ অর্থাৎ এখানে কোনটি কোনটির উপর নির্ভরশীল নয়৷ বরং একসাথে সবগুলোর ফিকির আমাদের করতে হবে ৷
      ছোটদের এমন বুঝ শতভাগের একশত একভাগ ভুল৷ কারন মুহতারামগন সামনে গিয়ে স্পষ্ট বলেছেন যে, ইসলামী খিলাফাহ বা ইমারাহ ছাডা জিহাদ সুন্নাতে নববী নয়৷ অতএব জিহাদের পূর্বে ইসলামী খিলাফাহ ব্যবস্থা করতে হবে যা আজ পশ্চিমা কুফরী গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে তাদের বক্তব্য৷ কিন্তু মুহতারামগন এতেও সন্তুষ্ট না, কারন তা নববী পদ্ধতি না৷ যাই হোক এখানে ছোটরা মনে করছে যে, ইসলামী ইমারাহ বা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত করা জিহাদ ব্যতিত আদৌ সম্ভব না, এবং নববী ও সাহাবী পদ্ধতি ও তাই যা জিহাদীরা করছে৷ কারন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের জন্যই জিহাদ৷ আর পুরো বিশ্বেই যদি ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তবে জিহাদরই বা কি প্রয়োজন? বা জিহাদ কার সাথে কেন করবে? কারন ইসলামী খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার অর্থই তো হচ্ছে ইসলামের পতাকা বুলোণ্ঠিত ৷ যার জন্য জিহাদ করতে বলা হয়েছে৷
      ছোটদের এমন বুঝ কতটুকু সঠিক আর কতটুকু সঠিক না তা বডরা সঠিক দলীল দিয়ে বুঝিয়ে দিলে ছোটরা অবশ্যই মেনে নিতে বাধ্য থাকবে, কারন তারা ছোট৷

      ৩, পূর্বের মতো মুহতারাম আরো স্পষ্ট করে বলেছেন যে, জিহাদের ফরজ আদায়ের পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে ভুপৃষ্ঠে মুলমানদের ক্ষমতা অর্জন হতে হবে, এরপর ইসলামী ইমারাহ প্রতিষ্ঠিত হবে এরপর নাহী আনিল মুনকার-আমর বিল মারুফের মতো জিহাদ ও বাস্তবায়ন করবে"৷ দলীল হিসেবে টিকাতে সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ এর জীবনী পেশ করা হয়ছে৷
      ★এখানে ও ছোটদের প্রশ্ন আগের মতোই৷ তবে বাডতি প্রশ্ন হচ্ছে সীরাতে নববীতে এবং সীরাতে সাহাবা থেকে দলীল পেশ করলে কি বাতিলরা আমাদের কে আর দোষারোপ করতে পারতো? এছাডাও দলীলের মতো যেটা দেওয়া হয়েছে তা ও ছোটদের বোধগম্য হয়নি, একটু স্পষ্ট করে দেওয়ার অনুরোধ!
      সাথে সাথে যে তারতীব পেশ করা হয়েছে তা কিভাবে নববী পদ্ধতি? কুরআন-সুন্নাহ,ইজমা এবং কেয়াস থেকে বুঝিয়ে দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে কিভাবে কি করতে হবে? রুপরেখা পরিষ্কার করে দেয়ার বিশেষ অনুরোধ!!! আর তা ব্যস্ততার অযুহাতে বিলম্বিত না করে আজই করলে ভালো হবে,কারন যেহেতু এতে আশা করি কারো দ্বিমত নেই যে, আমরা বিষয়গুলোতে গাফলাতি করার কারনে অপরাধী৷ অতএব আমরা এঅপরাধে আর লিপ্ত থাকতে চায়না৷
      বলতে গেলে আরো অনেক কিছুই বলতে মন চাই, কিন্তু লিখা দীর্ঘ হলে পাঠক পডতে চায়না বিধায় দীর্ঘ করছিনা৷

      ৪, মুহতারামগন গুলু বা বাডাবাডির কিছু নমুনা পেশ করতে গিয়ে বলেছেন যে,"কেউ কেউ বলে থাকে যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত রাষ্ট্র যেখানের সংবিধান মানবরচিত সংবিধান, যেখানের আদালত মানবরচিত সংবিধান দিয়ে বিচার ফায়সালা করে তা দারুল হারব, এবং সেখানের শাষকরা সবাই কাফির, তারা যদি কাউকে ভিসা দিয়ে আমান দেয় তাহলে তা শরয়ী আমান হবেনা বরং এমন ভিসা প্রাপ্তদের কে হামলা করলে চুক্তিভঙ্গ কারী হিসেবে ধর্তব্য হবেনা৷"
      ★ছোটদের এখানে কিছু বলার দেখছিনা উপরুক্ত কথাটি সর্বোচ্চ ইলমের মারকায উপাদি প্রাপ্ত থেকে বাডাবাডি হিসেবে বলা হলেও ছোটদের বক্তব্য এখন ও এটাই৷ তারা কুরআন সুন্নাহ এবং ফুকাহায়ে কিরামের বক্তব্য থেকে এমনই বুঝেছেন৷ এখন ছোটদের ভুল কোন জায়গায়? আশা করছি বডরা তা অনিদৃষ্ট কালের জন্য সময় না নিয়ে দ্রুত বিশুদ্ধ দলীল দিয়ে বুঝিয়ে দিবে ইনশা'আল্লাহ৷ তবে আমার জানামতে তারা তকফিরের মুলনীতির আলোকেই তাকফীর করেছেন ৷


      ৫, বাডাবাডির আরেকটি নমুনা পেশকরে বলেছেন "নতুন পদ্ধতিতে জিহাদকারীদের কারো কারো মত হলো, জিহাদ প্রত্যকের উপর পৃথক পৃথক ফরজ৷ কেউ আদায় না করলে সে জিজ্ঞাসিত হবে, এজন্য আমীরুল মুমিনীনের অনুমতি শর্ত নয়............
      ★ফেরাটির শেষ পর্যন্ত যা বলা হলো তা ছোটরা এখনো অস্বীকার করছেনা৷ তাদের মত আগের মতোই, হয়তো তারা এর বিপরিত কিছু হওয়ার পক্ষে সঠিক দলীল খুঁজছে, যেন তারা ও মাদ্রাসার বাহিরে-ভিতরে বাডতি যে কষ্ট গুলো করে চলছে তা না করেই রাব্বুল আলামীনের হুকুম পালন করতে পারে৷ তাদের উল্লেখিত বক্তব্যগুলো যেখান থেকে পেশ করা হয়েছে সেখানে আরো তাফসীল সহ আছে বিধায় এখানে তাফসীল বা ইস্তিসনা করা হচ্ছেনা৷

      ৬, বাডাবাডির আরো একটি নমুনা হিসেবে বলা হচ্ছে যে,"কারো কারো বক্তব্য হচ্ছে যে এখন জিহাদের হুকুম বাস্তবায়নের শক্তি সামর্থ আছে, মুহতারাম আশ্চর্য করেন যে এখন জিহাদের শক্তি আছে, কিন্তু ইক্বামাতে খিলাফাহার সামর্থ নেই ........
      ★ দুঃখিত আমরা এখানে আশ্চর্যের বিষয়টা নির্ণয় করতে পারছিনা৷ আমরাও কি মুহতারামের সাথে এক হয়ে আশ্চর্যবোধ করবো না মুহতারামদের আশ্চর্যের উপর আশ্চর্য হবো?
      তবে এখানে একটি কথা নোট হিসেবে বলে রাখি যে (পার্চার ভাষায়) বাডাবাডি করনেওয়ালারা আমার জানামতে আমাদের রাষ্ট্রে বসবাসকারী মুসলিম উম্মাহকে এখনি যার যা আছে তা নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বের হয়ে যেত বলেনি৷ তাদের বক্তব্য হচ্ছে উলামায়ে কিরাম সঠিক মাসায়েল গুলো উম্মাহার কাছে পেশ করবে৷ আর সাধারণ দীনদারগন পুরো দীন কে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তি নিবেন,এবং যেই আমলের জন্য যে পাথেয় প্রয়োজন তা সংগ্রহ করবে, উদাহরণ স্বরুপ নামায আদায়ের জন্য জায়গা, কাপড ইত্যাদী যা যা প্রয়োজন তা ব্যবস্থা করবে৷
      যে হজ্ব করবে সে হজ্বের পাথেয় গ্রহণ করবে৷ ইত্যাদী যার উপর যেই আমল ফরজ হয়েছে সে
      আমলের জন্য যা যা প্রয়োজন তা ব্যবস্থা করা ফরজ হিসেবে তা করবে৷

      ৭, প্রিয় ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছেন: "মুসলিম অধ্যুসিত রাষ্ট্রগুলোর শাসকদের ব্যপক ভাবে তাকফীর করার বক্তব্যটা কে স্পষ্ট বাতিল না বললে ও একটা দুর্বল বক্তব্যই হবে (এর চেয়ে বেশী হবেনা)এর উপর ভিত্তি করে ভিবিন্ন মাসআলা বা হুকুম দেয়া যেমন এধরনের রাষ্ট্রগুলোতে বোমা হামলা করা(যেমন পাকিস্তান,কাস্মির....) ইত্যাদী হুকুম বের করা নিতান্তই ভুল৷ অনুরুপ এটা মনে করা যে, যে কোন ভাবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত হওয়াটা শিরক,কুফর বা হারাম এটা ভুল.............
      ★ এমন কঠিন মন্তব্যের কারনে ছোটরা স্বাবাবিকের চেয়ে একটু হতবম্ভ হওয়াটাই স্বাবাবিক৷ তবে কথা আগের মতোই, সঠিক দলীল পেলে স্বাবাবিক হয়ে যাবে নিশ্চয়৷ কুফরি শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পর আল্লাহ প্রদত্ব হালাল কে হারাম করা আর হারাম কে হালাল করার পর বরং তা মেনে নিতে বাধ্য করা ও তার বিরুদ্ধে কুরআন ও হাদীসের সঠিক বক্তব্যটা পেশ করার পর তাকে গ্রেফতার শাস্তি প্রয়োজন মনে করলে ফাঁসি দেওয়ার পর ও তারা যে কাফির হবেনা এর দু'একটা দলীল পেলে হয়তো ছোটরা চুপ হয়ে যেতো! এবং এধরনের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকরা ও খুসিতে বাকবাক হয়ে যেতো,এবং এদের পক্ষ থেকে বেশ পুরুষ্কার ও পাওয়া যেতো!!

      ৮,মুহতারাম বলেছেন: মোল্লা ওমরের যামানার জিহাদ শরয়ী হওয়াতে এটা আবশ্যক হয়না যে পাকিস্তানের আক্রমনাত্মক হামলাগুলো ও জিহাদ হিসেবে গণ্য হবে........
      ★ছোটদের জানার বিষয় হলো মোল্লা ওমর রহঃ এর টা শরয়া কনো হলো আর পাকিস্তানের টা কেনো জিহাদ হচ্ছেনা ? এর কি কোন দলীল খুঁজে বের করা যাবে? পার্থক্য এটৱকু দেখছি যে মোল্লা ওমর রহঃ এর যুগে রাশিয়া আগ্রাসন চালিয়েছিল তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য হিদায়া পডে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় গিয়ে গিয়ে ফতোয়া খুজে বেডায়েছেন, আর রাশিয়ার পরাশক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে দল গঠন করেছিলেন৷ পরবর্তিতে রাশিয়া শক্তির বিপরিত শক্তি নাথাকার বাহানায় বসে না থেকে সাধ্যনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করে বেরিয়ে পডেছেন৷
      এবং আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকরা আমেরিকা রাশিয়ার গোলামী করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কাল যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে দিতে চলে গলেন৷ আর তারই ধারাবাহিকতায় মোল্লা ওমরের পরবর্তী আমীর মোল্লা আখতার মানসূর রহঃ অতঃপর মোল্লা হেবাতুল্লাহ আখুন্দ যাদাহ হাফিজাহুল্লাহর নেতৃত্বে আফগানিস্তান পাকিস্তান সহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে যুদ্ধ চলছে ৷
      কিন্তু এখানে পার্থক্য যা দেখি তা হলো মোল্লা ওমর রহঃ যখন যুদ্ধ শুরু করেছিলে তখন না ইসলামী ইমারাহ ছিল না কোন কুফরি শক্তির মোকাবেলায় হাকীকি ইস্তিতাআত বলতে কিছু একটা ছিল আর না এর পূর্বে আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকারের বাস্তব অনুশীলন হতো৷ তাদের কাছে শরীয়ত যতটুকু সামর্থ থাকলে যথেষ্ট হবে বলে ততটুকু ছিল৷ আমীর ও প্রথমে ছিলনা তারা নিজেরা একজন কে আমীর বানিয়ে নিয়ে ছিলেন যার নাম ছিল মোল্লা ওমর৷
      কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা শক্তিশালী ইমারার অধীনে যোগ্য আমীরের হাতে বাইআত হয়ে প্রচুর শক্তি অর্জন করে (যদিও কাফিরদের তুলনায় অল্প) অনুরূপ আমেরিকা ও তার দূসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে৷ এতে ও কোন পার্থক্য নেই যে ইসলামের সূচনা থেকে প্রত্যেক যুগে কিছু কিছু বড বড আলেম প্রভাবশালী নামধারী মুসলিমরা বিরোধীতা করেছিল এখন ও তা করছে যদিও তাদের কে মানুষ হক হিসেবে চিনে, সকলের জানা থাকার কথা যারা বিরোধীতা করতো তারা ও পূর্বে গ্রহণযোগ্য ছিল, পরে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে দুনিয়াতে ও আখিরাতে ৷
      তাহলে এখন মুহতারামদের বক্তব্যদ্বয়ের মাঝে অমিল মনে হলে তার সমাধান কি?

      ★এবার বিচ্ছিন্ন কিছু কথা বলছি,মুহতারাম একটা কথা বলেছেন যে,জিহাদ করতে পারছিনা বলে শরিয়ত বিবর্জিত কোন পন্থায় কিছু একটা করাকে জিহাদ বলা যাবেনা৷ কথা টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু এখন সকলেরই প্রশ্ন হচ্ছে সেই শরয়ী পদ্ধতি টা কি? তা যদি তারা বিশুদ্ধ দলীল দিয়ে বলে দিতো৷
      এধরনের আরো অনেক কথা এমন যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷যেমন তাহরীফের যেই নমুনাগুলো পেশ করা হয়েছে তাও অনেক সুন্দর৷ কিন্তু ছোটদের সেখানে ও প্রশ্ন হয় যে সে তাহরীফগুলো যারা করে তাদের হুকুম কি? তা খজে বের করার প্রয়োজন আছে কি না?

      *আমার কথাগুলোর সার্মর্ম হচ্ছে আমাদের মতো ছোটদের কাছে মুহতারামদের বক্তব্য টা এমন মনে হয়েছে যাকে মুহতারামের ভাষায় "দলীল প্রমাণ বিহীন চপেটাগাত" বলা যায়৷
      এরপর ও একটা কথা বলে রাখি যে, ছোটদের দিল ছোট হিসেবে জারেহানা উসলূব বলে দলীল প্রমানসহ কোন কথা কে গ্রহণ না করে প্রত্যাখ্যান করবে এমন নয় বলে দাবী করতে পারি ৷ কারন তারা জানে যে কারো ভুল ধরার উসলূব বা পদ্ধতি ভুল হলেও সেই ভুলে পতিত লোকের ভুল ক্ষমা হয়ে যায়না৷ আর এমন ছোটদের দল দিন দিন ভারি হচ্ছে যারা দলীল প্রমান সহ শরীয়তের সিদ্ধান্ত খুঁজে বেডাচ্ছে৷

      ⅡⅡⅡⅱⅱⅱ আল্লাহ আমাদের সকল কে পুর্নাঙ্গ দীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন,এবং তার পথে অবিচল রাখুন!আমীন!! ⅱⅱⅱⅱⅡⅡ






    দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
    জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

    Comment


    • #3
      • 2 Hours Ago

        আলোর সন্ধানী

        Junior Member


        This message has been deleted by আবুল ফিদা.

        Manage View Post


      • 2 Hours Ago

        আলোর সন্ধানী

        Junior Member


        This message has been deleted by আবুল ফিদা.

        Manage View Post

      • 1 Hour Ago #32
        Online Jihad

        Junior Member Join DateMar 2019Locationহিন্দুস্তান
        Posts
        17
        جزاك الله خيرا
        118
        23 Times جزاك الله خيرا in 9 Posts

        আমি যখনই জিহাদ বিরোধী শাইখদের বক্তব্য শুনে/পড়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় তখনই কোরআনের দিকে থাকায় এবং শাইখের বয়ানগুলো শুনি।









        Md.Abdullah


        Senior Membe Join Date
        Mar 2017Location
        হিন্দুস্তান
        Posts264
        جزاك الله خيرا
        879
        428 Times جزاك الله خيرا in 160 Posts

        মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই! আপনার লেখাটি আলহামদুলিল্লাহ ফেসবুকে অনেক প্রচার হচ্ছে। সেখানে, কিছু লোক আপনার লেখাটিকে কেন্দ্র করে সমালোচনা করছে। তাদের সমালোচিত একটি লেখা আপনার জ্ঞাতার্থে এখানে দিলাম ভাই। আশা করি এর জবাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।

        --------------------------

        # যুবায়ের সাহেবের বই সম্পর্কে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা হয়েছে=
        পার্চা-টা কি বই নাকি যে প্রত্যেকটি মাসআলা উল্লেখ করা হবে? ঢালাও কথা এই পোস্টে কম? “অল্প-স্বল্প” ভাল- এ শব্দ পার্চায় কই? ভালো কথা অনেক আছে। ভালো কথাগুলো এতদিন খোদ মারকাজ প্রচার করেছে; কিন্তু মুতাওয়ারাস পদ্ধতিতে; ‘মাখদূশ’ পদ্ধতিতে নয়। এই যে “পদ্ধতি”/“উসলূব”, ইলমী ও শরয়ী ময়দানে এটার বিশাল গুরুত্ব। এটা উন্মুক্ত কোনো বিষয় নয়।
        # “বড়দের থেকে এ ধরণের কষ্ট পাওয়ার সিলসিলা নতুন কিছু নয়। স্বয়ং নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) যাদের থেকে...”
        শরয়ী উলূমের বিশেষজ্ঞ বড়-দের সাথে কাফের বা গোমরাহ ‘বড়’দের মিলিয়ে ফেলা- এটা অনেক বড় তালবীস এবং তাখলীত। রাফেযীসহ অন্যান্য গোমরাহ ফের্কা এই তালবীসের আশ্রয় গ্রহণ করে আহলুস সুন্নাহ-র আওয়ামকে তাদের আলেমদের প্রতি বিতশ্রদ্ধ করার চেষ্টা করত।
        তাই, এ উসলূব পরিহারের আবেদন রইল। ইলমী ও শরয়ী নীতি অনুযায়ী সমালোচনা করুন, সমস্যা নেই।
        # “মারকাযের যথাযথ জ্ঞান নেই”
        তো এটা দুর্বলতার পরিচয়। এটা দাবী! দলিল নয়!
        আপনি ইখতিলাফ করুন। দলিল উল্লেখ করুন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ওপর জেনারেলি হুকুম লাগানো!!
        # “উত্তরে *শুধু এতটুকু বলবো, আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, হুবহু এই প্রশ্নটাই করা হয়েছে নবীগণকে (আলাইহিমুস সালাম)। নবীদের তারা বলতো, তোমরা কি আমাদের বাপ-দাদাদের চেয়েও বেশি বুঝ?”
        পাঠকদের বলি- এ কথাটি শুনতে ভালো মনে হলেও এর ভেতরে কতবড় ভ্রান্তি লুকিয়ে আছে তা জানার জন্য “আসারুল হাদীস” ও “আদাবুল ইখতিলাফ” গ্রন্থ দুটির সহযোগিতা নিতে পারেন।
        ইখতিলাফের স্তর বোঝে এবং নুসূসের তাতবীক করতে জানে এমন কেউ এত বাজে লজিকের আশ্রয় নিতে পারে না।
        # “মুজাহিদিনে কেরামকে ভ্রান্ত মনে করে”
        “ভ্রান্ত” বলে পার্চায় কোথাও হুকুম দেয়া হয়নি। শুযূয অনেক হক্বপন্থী আলেমের মাঝেও থাকে।
        # “আর নতুন করে লিখতে চাচ্ছি না”!!
        পুরো লেখাতে এভাবে ধোকা দেয়া হয়েছে। একটি আরবী নস আনা হয়েছে। তাও অন্য ফিকহী মাসলাকের। অথচ সব ফিকহের কিতাবেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা আছে!
        # “এ ধরণের জঘন্য রকমের আকীদা বিদ্যমান, কুরআন-সুন্নাহ ও আইম্মায়ে উম্মতের বক্তব্যে যার দূরতম ঈশারা-ঈঙ্গিতও নেই। বরং- আপনারা অনেকে হয়তো জেনে থাকবেন- এ ধরণের জঘন্য আকীদা শীয়ারা লালন করে।”
        আহ! ইমাম/আমীর ছাড়া জিহাদ করা যাবে! এর সপক্ষে হানাফী ফিকহ (যেহেতু এ অঞ্চলে) থেকে কয়েকটি নস উল্লেখ করুন। ভাই সব ফিকহের কিতাবেই তো মাসআলাটি আছে... কেন শুধু শুধু ধোকা দিচ্ছেন? আপনি ওগুলো উল্লেখ করে তারপর ইখতিলাফ করুন। বলুন, আমি ভিন্নমত অনুসরণ করি।
        তা না করে লুকিয়েই যাচ্ছেন!!
        পাঠকের প্রতি- আপনি যেকোনো একটি ফিকহের রেফারেন্স বুক খুলে বিষয়টি জেনে নিন। বুঝে যাবেন, কোথায় শিয়াদের ইমাম- আর কোথায় আহলুস সুন্নাহর ইমাম।
        # “আগ্রাসী কাফেরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে কি তা হারাম হবে?”
        হাহাহা! হামাস ও তালিবানের প্রতিরোধ যুদ্ধের সমর্থন তো পার্চাতেই আছে। হাঁ যেখানে শরয়ী জিহাদের স্বীকৃত শর্ত পাওয়া যাবে না সেখানে কেন...? জিহাদ কি শরীয়তের বিধান নাকি আপনার...
        # মাসআলা নিয়ে শুধু এত প্রশ্ন করার দরকার কি? মাসআলা তো কিতাবেই আছে... আপনার ...টা বুঝছি না- জানতে চাচ্ছেন না বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
        (ওমর হায়দার, তিলমিযু ক্বাহিরিল আমরিকান)

        ----------------------------

        আরেকজন ব্যক্তির মন্তব্য

        ---------------------------

        মারকাযের বক্তব্য বোঝেনও নি, ফলে যৌক্তিক কোনো পয়েন্টও সামনে আনতে পারেননি। মারকায কোথায় বলেছে যে, আক্রান্ত ভুমি যুদ্ধের জন্য আমীর শর্ত? মারকায কোথায় মুজাহিদীনদের কথা বলেছে? মারকায কার উপর তোহমত দিয়েছে? সেখানে তো কোন দল বা ব্যক্তির নাম নেই! নিজ থেকে শর্ত জুড়ে দিয়ে তার উপর কথা বলছেন!
        আর মারকাযের বক্তব্য খণ্ডনের অধিকার যে কারো নেই। কারণ, মারকায এই বক্তব্য ফুজালাদের জন্য দিয়েছে। সবার জন্য না। এবং এটা নিয়ে মুজাকারার সময়ও দিয়েছে পনের শাবানের পর। কোথাও কিছু পেলেই তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া স্বাভাবিক নয়!

        --------------------------









        Online Jihad



        Junior Member Join Date
        Mar 2019
        Location
        হিন্দুস্তান
        Posts
        17جزاك الله خيرا
        118
        23 Times جزاك الله خيرا in 9 Posts

        ইনশাআল্লাহ, আলকায়দার সাথে আছি থাকবো। অন্ধকে পথ দেখানো কঠিন।






      দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
      জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।

      Comment


      • #4
        মুহতারাম ইলম ও জিহাদ ভাই! আপনার লেখাটি আলহামদুলিল্লাহ ফেসবুকে অনেক প্রচার হচ্ছে। সেখানে, কিছু লোক আপনার লেখাটিকে কেন্দ্র করে সমালোচনা করছে। তাদের সমালোচিত একটি লেখা আপনার জ্ঞাতার্থে এখানে দিলাম ভাই। আশা করি এর জবাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।

        --------------------------


        # যুবায়ের সাহেবের বই সম্পর্কে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা হয়েছে=
        পার্চা-টা কি বই নাকি যে প্রত্যেকটি মাসআলা উল্লেখ করা হবে? ঢালাও কথা এই পোস্টে কম? “অল্প-স্বল্প” ভাল- এ শব্দ পার্চায় কই? ভালো কথা অনেক আছে। ভালো কথাগুলো এতদিন খোদ মারকাজ প্রচার করেছে; কিন্তু মুতাওয়ারাস পদ্ধতিতে; ‘মাখদূশ’ পদ্ধতিতে নয়। এই যে “পদ্ধতি”/“উসলূব”, ইলমী ও শরয়ী ময়দানে এটার বিশাল গুরুত্ব। এটা উন্মুক্ত কোনো বিষয় নয়।

        # “বড়দের থেকে এ ধরণের কষ্ট পাওয়ার সিলসিলা নতুন কিছু নয়। স্বয়ং নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) যাদের থেকে...”
        শরয়ী উলূমের বিশেষজ্ঞ বড়-দের সাথে কাফের বা গোমরাহ ‘বড়’দের মিলিয়ে ফেলা- এটা অনেক বড় তালবীস এবং তাখলীত। রাফেযীসহ অন্যান্য গোমরাহ ফের্কা এই তালবীসের আশ্রয় গ্রহণ করে আহলুস সুন্নাহ-র আওয়ামকে তাদের আলেমদের প্রতি বিতশ্রদ্ধ করার চেষ্টা করত।
        তাই, এ উসলূব পরিহারের আবেদন রইল। ইলমী ও শরয়ী নীতি অনুযায়ী সমালোচনা করুন, সমস্যা নেই।

        # “মারকাযের যথাযথ জ্ঞান নেই”
        তো এটা দুর্বলতার পরিচয়। এটা দাবী! দলিল নয়!
        আপনি ইখতিলাফ করুন। দলিল উল্লেখ করুন। কিন্তু প্রতিপক্ষের ওপর জেনারেলি হুকুম লাগানো!!

        # “উত্তরে *শুধু এতটুকু বলবো, আপনি যে প্রশ্নটা করেছেন, হুবহু এই প্রশ্নটাই করা হয়েছে নবীগণকে (আলাইহিমুস সালাম)। নবীদের তারা বলতো, তোমরা কি আমাদের বাপ-দাদাদের চেয়েও বেশি বুঝ?”
        পাঠকদের বলি- এ কথাটি শুনতে ভালো মনে হলেও এর ভেতরে কতবড় ভ্রান্তি লুকিয়ে আছে তা জানার জন্য “আসারুল হাদীস” ও “আদাবুল ইখতিলাফ” গ্রন্থ দুটির সহযোগিতা নিতে পারেন।
        ইখতিলাফের স্তর বোঝে এবং নুসূসের তাতবীক করতে জানে এমন কেউ এত বাজে লজিকের আশ্রয় নিতে পারে না।

        # “মুজাহিদিনে কেরামকে ভ্রান্ত মনে করে”
        “ভ্রান্ত” বলে পার্চায় কোথাও হুকুম দেয়া হয়নি। শুযূয অনেক হক্বপন্থী আলেমের মাঝেও থাকে।

        # “আর নতুন করে লিখতে চাচ্ছি না”!!
        পুরো লেখাতে এভাবে ধোকা দেয়া হয়েছে। একটি আরবী নস আনা হয়েছে। তাও অন্য ফিকহী মাসলাকের। অথচ সব ফিকহের কিতাবেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা আছে!

        # “এ ধরণের জঘন্য রকমের আকীদা বিদ্যমান, কুরআন-সুন্নাহ ও আইম্মায়ে উম্মতের বক্তব্যে যার দূরতম ঈশারা-ঈঙ্গিতও নেই। বরং- আপনারা অনেকে হয়তো জেনে থাকবেন- এ ধরণের জঘন্য আকীদা শীয়ারা লালন করে।”
        আহ! ইমাম/আমীর ছাড়া জিহাদ করা যাবে! এর সপক্ষে হানাফী ফিকহ (যেহেতু এ অঞ্চলে) থেকে কয়েকটি নস উল্লেখ করুন। ভাই সব ফিকহের কিতাবেই তো মাসআলাটি আছে... কেন শুধু শুধু ধোকা দিচ্ছেন? আপনি ওগুলো উল্লেখ করে তারপর ইখতিলাফ করুন। বলুন, আমি ভিন্নমত অনুসরণ করি।
        তা না করে লুকিয়েই যাচ্ছেন!!
        পাঠকের প্রতি- আপনি যেকোনো একটি ফিকহের রেফারেন্স বুক খুলে বিষয়টি জেনে নিন। বুঝে যাবেন, কোথায় শিয়াদের ইমাম- আর কোথায় আহলুস সুন্নাহর ইমাম।

        # “আগ্রাসী কাফেরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তাহলে কি তা হারাম হবে?”
        হাহাহা! হামাস ও তালিবানের প্রতিরোধ যুদ্ধের সমর্থন তো পার্চাতেই আছে। হাঁ যেখানে শরয়ী জিহাদের স্বীকৃত শর্ত পাওয়া যাবে না সেখানে কেন...? জিহাদ কি শরীয়তের বিধান নাকি আপনার...

        # মাসআলা নিয়ে শুধু এত প্রশ্ন করার দরকার কি? মাসআলা তো কিতাবেই আছে... আপনার ...টা বুঝছি না- জানতে চাচ্ছেন না বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
        (ওমর হায়দার, তিলমিযু ক্বাহিরিল আমরিকান)


        ----------------------------


        আরেকজন ব্যক্তির মন্তব্য

        ---------------------------

        মারকাযের বক্তব্য বোঝেনও নি, ফলে যৌক্তিক কোনো পয়েন্টও সামনে আনতে পারেননি। মারকায কোথায় বলেছে যে, আক্রান্ত ভুমি যুদ্ধের জন্য আমীর শর্ত? মারকায কোথায় মুজাহিদীনদের কথা বলেছে? মারকায কার উপর তোহমত দিয়েছে? সেখানে তো কোন দল বা ব্যক্তির নাম নেই! নিজ থেকে শর্ত জুড়ে দিয়ে তার উপর কথা বলছেন!

        আর মারকাযের বক্তব্য খণ্ডনের অধিকার যে কারো নেই। কারণ, মারকায এই বক্তব্য ফুজালাদের জন্য দিয়েছে। সবার জন্য না। এবং এটা নিয়ে মুজাকারার সময়ও দিয়েছে পনের শাবানের পর। কোথাও কিছু পেলেই তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া স্বাভাবিক নয়!



        উত্তর:
        বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

        ১. প্রথমত পাঠকদের কাছে আবেদন, প্রথমে যেন তারা মারকাযের পারচাদ্বয় পড়ে নেন। যারা উর্দু বুঝেন, তাদের জন্য তো সহজই। আর যারা উর্দু বুঝেন না, তাদের সুবিধার্থে কোন ভাই সাবলিল ভাষায় পার্চা দুটির বাংলা তরজমা করে দিলে ভাল হতো। আমি পার্চাদ্বয়ের পিডিএফ লিংক দিয়ে দিচ্ছি-

        এক ওয়াজাহাত:


        চান্দ গুজারেশাত:



        পার্চা দুটি পড়া হয়ে গেলে তখন নিজেরাই অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।


        ২. “বড়দের থেকে এ ধরণের কষ্ট পাওয়ার সিলসিলা নতুন কিছু নয়। স্বয়ং নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) যাদের থেকে...”- এ কথাটা আসলে সমস্যার কিছু নয়। তথাপি যদি আপত্তি হয়, তাহলে যাদের আপত্তি হবে, তারা এটাকে আমার ভুল ধরে নিতে পারেন।


        ৩. আমি বলেছি এবং এখনও বলছি যে, জিহাদের বাস্তব ময়দানের ব্যাপারে মারকাযের যথাযথ জানা-শুনা নেই। তদ্রূপ জিহাদ-কিতাল-সিয়ার সম্পর্কে মারকাযের শরয়ী ইলমের কমতি রয়েছে; একথাও বলেছি এবং এখনও বলছি। যদি মারকায দাবি করে যে, এসব ব্যাপারে তাদের যথাযথ জ্ঞান আছে, তাহলে তারা যেন তাদের প্রতিটি কথার স্বপক্ষে দলীল পেশ করে। আশ্চর্যের বিষয় যে, মারকায যা বলেছে এর কোনটার পক্ষেই তারা কোন দলীল পেশ করেনি, আর ভক্তবৃন্দ অহেতুক সমালোচনা করে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে, পার্চা দলীল উল্লেখ করার জায়গা না। এখানে দলীল উল্লেখ না করাটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা যদি দাবি করি যে, মারকাযের অনেক কথাই শরীয়ত বহির্ভূত, তাহলে ভক্তবৃন্দের উচিৎ আমাদের সমালোচনা না করে আগে তাদের দাবিগুলোর স্বপক্ষে দলীল প্রমাণ পেশ করা। এরপর দেখা যাবে শরীয়তের আলোকে তাদের দলীলের মান কত।


        ৪. আমি বলেছি, “হুবহু এই প্রশ্নটাই করা হয়েছে নবীগণকে (আলাইহিমুস সালাম)। নবীদের তারা বলতো, তোমরা কি আমাদের বাপ-দাদাদের চেয়েও বেশি বুঝ?” আমার এ কথার জওয়াব এটা নয় যে, ভক্তবৃন্দ আবারো অন্ধভাবে বড়দের অনুসরণে মত্ত হবেন। এ কথার সহীহ জওয়াব হবে যদি তারা তাদের দাবিগুলোর পেছনে সঠিক দলীল পেশ করতে পারে। আমি আবারো বলছি, কুরআন সুন্নাহ না দেখে অন্ধভাবে বড়দের অনুসরণ করে যাওয়া ভ্রান্তি।


        ৫. “ইমাম/আমীর ছাড়া জিহাদ করা যাবে! এর সপক্ষে হানাফী ফিকহ (যেহেতু এ অঞ্চলে) থেকে কয়েকটি নস উল্লেখ করুন। ভাই সব ফিকহের কিতাবেই তো মাসআলাটি আছে... কেন শুধু শুধু ধোকা দিচ্ছেন ।”

        মুহতারাম, আপনি শুধু শুধু আমার সাথে তর্ক করতে চান? আমি তো আমার লেখায় কয়েকটি মাকালার লিংক দিয়েছি। সেগুলোতে দেখলেই পেয়ে যেতেন। অধিকন্তু দাবি তো আপনারা করছেন যে, শক্তিধর ইমারত ও আমীরুল মুমিনিন এবং তার অনুমতি ছাড়া জিহাদ করা যাবে না। তখন এর স্বপক্ষে আপনাদেরই তো উচিৎ কোন দলীল পেশ করা। এরপর যদি আমরা পারি তাহলে এর জওয়াব দেব। হযরতের প্রতি অনুরোধ আপনাদের দাবির স্বপক্ষে কোন দলীল পেশ করুন। তবে আমি আবারো আমার কথাটা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি- “ইনশাআল্লাহ কসম করে বলতে পারি, মারকাযের বড়-ছোট এবং সকল ফুজালা মিলে কেয়ামত পর্যন্ত খোঁজাখুজি করেও কোন একটা দলীল বা কোন একটা বক্তব্য উদ্ধার করতে পারবে না।”
        উল্লেখ্য, গ্রহণযোগ্য দলীল এবং গ্রহণযোগ্য বক্তব্য হতে হবে। শায হতে পারবে না।

        আরেকটা কথা বলে রাখি- আমাদের দাবি হচ্ছে, ইমাম না থাকলেও জিহাদ ফরয। তখন জিহাদের জন্য আমীর নির্ধারণ করে জিহাদ করতে হবে। পাশাপাশি ইমারা ও আমীরুল মুমিনীন কায়েমের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের দাবি এটা না যে, জিহাদের জন্য কোন আমীর নির্ধারণ না করেই জিহাদে নেমে পড়বে। সংঘবদ্ধ জিহাদের জন্য আমরা আমীর নির্ধারণ ওয়াজিব মনে করি। ব্যক্তিগত হলে ভিন্ন কথা।


        ৬. “হামাস ও তালিবানের প্রতিরোধ যুদ্ধের সমর্থন তো পার্চাতেই আছে।”

        তাহলে শক্তিধর ইমারা, আমীরুল মুমিনীন ও তার অনুমতির যে শর্ত আপনারা করছেন, সেটার কি অর্থ? তাহলে কি আপনারা সেটা প্রত্যাখান করছেন? বিষয়টা পরিষ্কার করে বলুন। ধোঁয়াশায় রাখছেন কেন? আপনারা কি দাবি করছেন যে, তালেবান ও হামাসের ইমারতে কাহেরা কায়েম ছিল, আমীরুল মুমিনীন কায়েম ছিল এবং আমীরের অনুমতি ছিল আর এ কারণেই তাদের জিহাদ জায়েয হয়েছে? ধোঁয়াশাচ্ছন্ন না রেখে বিষয়টা পরিষ্কার করে বলুন।


        ৭. “মাসআলা নিয়ে শুধু এত প্রশ্ন করার দরকার কি? মাসআলা তো কিতাবেই আছে।”

        প্রশ্ন করার দরকার পড়েছে আপনাদের পার্চার কারণে। পার্চার বেশ কিছু বিষয় বাস্তবতা বহির্ভূত। এজন্যই তো প্রশ্ন করার দরকার পড়ছে। তাহলে কি আপনারা বলতে চান, আপনারা বিভ্রান্তি ছড়াবেন, আর আমরা প্রতিবাদে কিছু বলতেও পারবো না? যদি আপনারা হকের উপর থেকে থাকেন, তাহলে জিজ্ঞাসাগুলোর যথাযথ দলীলভিত্তিক জওয়াব দিলেই তো পারেন। অহেতুক কথা বাড়িয়ে লাভ কি?


        ৮. “মারকায কোথায় বলেছে যে, আক্রান্ত ভুমি যুদ্ধের জন্য আমীর শর্ত? মারকায কোথায় মুজাহিদীনদের কথা বলেছে? মারকায কার উপর তোহমত দিয়েছে? সেখানে তো কোন দল বা ব্যক্তির নাম নেই।”

        আক্রান্ত ভূমিতে জিহাদেও কোন আপত্তি নেই, মুজাহিদিনের উপরও কোন আপত্তি নেই, কোন তুহমত নেই- তাহলে পার্চায় দীর্ঘ কয়েক পৃষ্ঠাব্যাপী সমালোচনাটা কাকে নিয়ে করা হয়েছে? নাম থাকলে তো বুঝতে পারতাম যে, শুধু অমুক দলের সমালোচনা করা হয়েছে। এখন নাম না থাকায় তো মনে হচ্ছে প্রায় সকল মুজাহিদকে নিয়েই করা হয়েছে। আলোচনার ঢঙও তো এমনই। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, এ পার্চাটা যদি সাধারণ কেউ পড়েন, তাহলে তিনি এখান থেকে কি বুঝবেন? তিনি কি বুঝবেন যে, আক্রান্ত ভূমিতে জিহাদেও কোন আপত্তি নেই, মুজাহিদিনের উপরও কোন আপত্তি নেই, কোন তুহমত নেই? না’কি উল্টো বুঝবেন? শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়?! যদি কোন আপত্তি নেই বলেই মনে করেন, তাহলে স্পষ্ট বলে দিতে পারেন না যে- অমুক অমুক দলের বা অমুক অমুক দেশের জিহাদ সহীহ হচ্ছে। তাদের নুসরত করা, তাদের সাথে মিলে কিতাল করা আমাদের ফরয .... এসব বিষয় তাহলে পরিষ্কার বলে দিলেই তো হয়। অন্যথায় এ ধরণের পার্চা পড়ে তো জিহাদের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে আল্লাহর এ ফরয বিধানটির প্রতি অনিহা ও ভুল ধারণা সৃষ্টি হবে। এর দায় কার উপর বর্তাবে?


        যারা আমাদের উপর আপত্তি করতে চান, তাদেরকে বলবো, মারকাযের পার্চা থেকে জিহাদ ও মুজাহিদিনের ব্যাপারে মারকাযের দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি স্পষ্ট। এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যটা বুঝানোর চেষ্টা করলে কালি শুধু ছড়াতেই থাকবে। যদি আপনাদের ভুল হয়েছে মনে হয়, তাহলে পরিষ্কার ভাষায় ভুল স্বীকার করে সঠিকটা প্রচার করে দিন। আর যদি মনে করেন, পার্চায় যা আছে এবং আমরা সেখান থেকে যা বুঝছি সেগুলোই আপনাদের অভিমত এবং সেগুলোই সত্য- তাহলে এগুলোর স্বপক্ষে দলীল প্রমাণ পেশ করুন।
        ওয়াসসালাম।







        Comment


        • #5
          পাচরাটি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            পার্চা দুটি অনুবাদ করে দেয়ার অনুরোধ।
            আমরা সবাই তালিবান, বাংলা হবে আফগান।

            Comment


            • #7
              ‘আর মারকাযের বক্তব্য খণ্ডনের অধিকার যে কারো নেই। কারণ, মারকায এই বক্তব্য ফুজালাদের জন্য দিয়েছে। সবার জন্য না। এবং এটা নিয়ে মুজাকারার সময়ও দিয়েছে পনের শাবানের পর। কোথাও কিছু পেলেই তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া স্বাভাবিক নয়!’


              কেন নেই, বরং মারকায যদি তার ফুযালাদের মাঝে ভুল কিছু ছড়াতে চায় তাহলে তা স্পষ্ট করে দেওয়া তো অন্যদের ফরয দ্বায়িত্ব, গ্রহণ করা না করা ফুযালাদের বিষয়, وما علينا إلا البلاغ المبين (আমাদের দ্বায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরুপে পৌঁছে দেওয়া, সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ১৭)

              আর মুযাকারার উদ্দেশ্য তো এই নয় যে, পারচার বিষয়গুলো খসড়াস্বরুপ তৈরী করা হয়েছে, এগুলো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এগুলো সহিহ না ভুল তা মুযাকারার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে, সুতরাং মুযাকারার অযুহাত দিয়ে খন্ডন থেকে বেঁচে থাকা যাবে না।

              এখানে প্রাসঙ্গিক আরেকটি কথাও বলতে হয়, কেউ কেউ বলছেন, যেহেতু মারকাযের খাস মজলিসে পারচাটি বিতরণ করা হয়েছে, আর মজলিস আমানত, তাই তা বাহিরে প্রচার করা ঠিক হয়নি, কিন্তু এ কথাটাও ভুল, বরং মজলিসের মধ্যে বিভ্রান্তিকর কোন কথা বলা হলে তা গোপন রাখা জরুরী নয়, আব্দুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল তো তার খাস মজলিসেই বলেছিল, আমরা মদিনায় ফিরলে সম্মানিত ব্যক্তি নিকৃষ্ট ব্যক্তিকে বের করে দিবে, (সুরা মুনাফিকুন, আয়াত: ৮) কিন্তু যায়েদ বিন আরকাম রাযি. তা রাসূলের কাছে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন, রাসূল যায়েদকে বলেননি, তুমি মজলিসের গোপন কথা কেন প্রকাশ করলে, মজলিস তো আমানত, বরং আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূল যায়েদের প্রসংশাও করেছিলেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস: ৪৯০০)

              তাছাড়া মারকাযের ফুযালাগণ পারচার প্রচার-প্রসার না করলেও পারচায় উল্লিখিত ভ্রান্ত বিষয়গুলো তো আর নিজেদের মনে গোপন রাখবে না, বরং এগুলো ঠিকই মানুষের মাঝে ছড়াবে, সুতরাং আমাদের চুপ থাকার সুযোগ কোথায়?

              সুতরাং ‘কোথায় কোন কিছু পেলেই তা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়া ঠিক নয়’ এসব নীতিবাক্য বাস্তবে নিজেদের বিভ্রান্তি চাপা দেওয়ার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়।
              Last edited by আদনানমারুফ; 04-13-2019, 10:25 AM.
              الجهاد محك الإيمان

              জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে,আল্লাহ চাহিদাই বাস্তবায়িত হল।উনারা চেয়েছিল,সরকারের সাথে তাদের প্রকাশ্য অবস্থান গোপন রাখতে।কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আশার বাসা ভেঙ্গে দিলেন,চুরমার করে দিলেন।আমার একটি প্রশ্ন,হেদায়াতের বাণী কেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য খাছ হবে?? আসলে প্রত্যেক যুগের এ ধরনের লোকগুলো এ জাতীয় কথা তাদের একান্ত মজলিশে বলে।কিন্তু আল্লাহ তায়ালা মানুষের সামনে তা প্রকাশ করে দেন।এতে করে তাদের আসল চেহারা উম্মাহর সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়।
                আল্লাহ তায়ালা চান,বান্দা প্রকাশ্য যে কোন একটা পক্ষ অবলম্বন করুক।অপরপক্ষে শয়তানও এমনটি চায়।উভয় প্রকাশ্য অবস্থান কামনা করে।এখন দেখার বিষয়, প্রকাশ্যে কে কার পক্ষ অবলম্বন করছে।

                Comment


                • #9
                  s_forayezi ভাই!
                  অনেক অনেক শুকরিয়া...
                  রিপোষ্ট দেয়ার জন্য.
                  বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
                  কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষদের বারণ করা,অনুৎসাহি করা বড় গুনাহসমুহ থেকে একটি।এটি এমন একটি গুনাহ আমলকে নষ্ট করে।আমরা জানি, কুফর আমলকে নষ্ট করে।আর এটিও এমন এক ভয়ংকর গুনাহ কুফরের মত আমলকে বিনষ্ট করে দেয়।আল্লাহ তায়ালা সূরা "কিতালের" প্রথম আয়াতে বলেছেন,الذين كفروا وصدوا عن سبيل الله اضل اعمالهم.
                    উনারা নিজেরা জিহাদ করে না,এর প্রতি উৎসাহিতও করে না।বরং যারা করে দলিল ছাড়া তাদেরকে "ঠিক না,সহিহ না, জায়েয না "ইত্যাদি কথা বলছে। আল্লাহ ও তার সৈনিকদের বিপক্ষে কথা বলতে বুক কাফে না,বুক কাফে এই তাগুতদের বিপক্ষে কথা বলতে।

                    Comment


                    • #11
                      আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুন,আমিন।

                      Comment


                      • #12
                        জিহাদ কিতাল সিয়ার বিষয়ক শরয়ী মাসায়েল এবং বাস্তব অবস্হা সম্পর্কে মারকাজের যে যথাযথ জ্ঞান নেই এর প্রমাণ তাদের পর্চাতেই রয়েছে।তারা মোল্লা উমরের জামানার আফগান জিহাদকে সহীহ মনে করে- কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদকে সহীহ মনে করেনা।এখন প্রশ্ন হল- পাকিস্তানের সহযোগিতা ছাড়া আমেরিকা কয়দিন আফগান যুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে? সরাসরি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সবরকম সহযোগিতার পরও যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জায়েজ না হয়-তাহলে তো বলতে হবে মারকাজ এমন কথা যুদ্ধ সম্পর্কে ধারণাও না থাকার কারণেই বলেছে।আর এটা তো এ বিষয়ে শরয়ী জ্ঞানের স্বল্পতারও প্রমাণ।বনু কুরাইজার বিরুদ্ধে আহজাব যুদ্ধের পর অভিযান কেন হয়েছিল? বনু কুরাইজা কাফেরদের যতটুকু সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানের সহযোগিতা তার চেয়ে শত শত গুণ বেশি হবে।এটা তো একটা প্রমাণ মাত্র।পার্চায় এমন আরো অনেক কথা আছে যেগুলো প্রমাণ করে যে এ বিষয়ে মারকাজের উচিত হবে আহলে ফনের সাহায্য নেওয়া।
                        এই কথাতে মারকাজকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য না।কারণ কেউ নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে লা আদরি বললে সে ছোট হয়ে যায়না।ইমাম মালেকের জীবনে যদি লা আদরি সত্য হয়ে থাকে তাহলে মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেবের জীবনে লা আদরী অসম্ভব কেন হবে?
                        পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া কোনদিনই আফগানযুদ্ধে বিজয় অর্জন করা সম্ভব হবেনা।
                        আর মুসলিমদের কোন ভূমি আক্রান্ত হলে শুধু ওই ভূমিতেই কিতাল বৈধ হবে,কিন্তু আক্রমণকারী আর আক্রমণে সহযোগিতাকারী দেশগুলোর অভ্যন্তরেই যদি আক্রান্ত মুসলিম রাষ্ট্রের আমীরের নির্দেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় তাহলে তা কেন বৈধ হবেনা?
                        তাহলে রাসুল সা: সবসময় শুধু মদীনার ভেতরে থেকেই কেন যুদ্ধ করলেননা? কেন মদীনার বাইরেও সারিয়্যা পাঠিয়েছেন,নিজেও তাবুকে গিয়েছেন?
                        আক্রান্ত ভূমির বাইরে গিয়েও শত্রুর উপর আক্রমণ করার জন্য যদি মদীনা রাষ্ট্রই যথেষ্ট হয়ে থাকে-তাহলে এখন কি তালিবানদের দখলে মদীনার সমপরিমাণ আয়তনের কোন ভূমি নেই?
                        তাহলে তাদের অনুসারী দলগুলো তাদের শক্তিশালী ইমারার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী কেন জিহাদ পরিচালনা করতে পারবেন না?

                        Comment


                        • #13
                          আর যে কোনো বিষয়ের সমাধান ওই শাস্ত্রের পারদর্শী ব্যাক্তিদের কাছ থেকে,আহলে ফনের কাছ থেকেই নিতে হবে-এই গুরুত্বপূর্ণ মূলনীতি তো মারকাজই আমাদের শিখিয়েছে।এই জন্য আমি তাঁদের শুকরিয়া আদায় করছি।ব্যাক্তিগতভাবে আমি এ কথাগুলো প্রথম তাদের কাছেই পেয়েছি।ফাজাযাহুমুল্লাহু খাইরান।
                          সুতরাং এ মূলনীতির আলোকে মারকাজ আরেকটু ভেবে দেখলে ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।শাইখ ইবরাহিম আর রুবাইশ রহ:,নাসির আল ফাহাদ,ইউসুফ আল ইয়াইরি,হামুদ আশ শুআইবি,নিজামুদ্দীন আশ শামজায়ী,আব্দুর রশীদ গাজী-মোল্লা হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ,আব্দুল্লাহ আজ্জাম,উমর আব্দুর রহমান-এরা হচ্ছেন এ বিষয়ের আহলে ফন।তারা প্রত্যেকে ময়দানে কাজ করেছেন,ইসলামী রাষ্ট্রে কাজী ও মুফতীর দায়িত্ব পালন করেছেন।তাদের মাঝে আছেন-আলআজহারের শায়খ,নাওয়াযেল বিশেষজ্ঞ,সিহাহ সিত্তা ও সহীহাইনের হাফেজ,তাদের মাঝে আছেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ ও গাজী।মারকাজ যদি চায় তাহলে ফিকহ ও হাদীসের ক্ষেত্রেও তাদের অনেকের কাছ থেকেই ইস্তেফাদা করতে পারবে।এতে মারকাজের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবেনা।আর সিয়ার ও কিতাল বিষয়ে তো আলহামদুলিল্লাহ এ যুগে এরাই আহলে ফন।সুতরাং সাইয়েদ আবুল হাসান আলী আলী নাদাবী রহ: এর পাশাপাশি ৃারককাজ যদি তাদেরকেও পড়ে দেখে,এবং এ বিষয়ে তাদের বাস্তবতা দেখার পর আহলে ফন হিসেবে তাদেরকে সামনে রাখে(যেমনটা তাঁরা ফিকহের ক্ষেত্রে তাকী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ এবং হাদীসের ক্ষেত্রে শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা হাফিজাহুল্লাহকে রেখে থাকে)তাহলে ইনশাআল্লাহ তা উত্তম সিদ্ধান্ত হবে।আমি এ কথা গুলো তাদেরকে ছোট করার উদ্দেশ্যে বলছিনা,বরং মুহাব্বতের কারণেই বলছে।এবং উলুমুল হাদীস ও অন্যান্য বেশ কিছু ফনে তাঁদের ইলমী কৃতিত্ব ও অবদানেরও উদার স্বীকৃতি দিচ্ছি।

                          Comment


                          • #14
                            ভাই,পি ক্লাউড ছাড়া অন্য কোন লিংক দিলে ভাল হবে।ডাওনলোড করতে পারলে অনুবাদ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

                            Comment


                            • #15
                              সকল ফাইল এক সাথে)) এ ফাইলটি যদি একটু ছোট্র করে দেওয়া যেতো তাহলে ডাউনলোড করতে সহজ হতো। খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ, যা মুমিনের জন্য ওয়াজিব বিষয়।
                              প্রিয় ভাইয়েরা,আমাদের ভাইয়েরা, অনেকেই অডিও ভিডিও /পিডিএফ আপলোড করে ডাউনলোড লিংক দেয় আর্কাইভ /জাস্ট পেইজ,আমরা অনেকেই আর্কাইভ থেকে ডাউনলোড করতে পারি না। তাই অনুরোধ থাকলো, ডাউনলোড করার জন্য আর্কাভের সাথে মাই পিক্লাউড ইউস করা হউক। আল্লাহ আপনাদের সাহায্য করুন, আমীন।
                              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                              Comment

                              Working...
                              X