মুসলিম যুব সমাজের উদ্দ্যেশে আকুল আবেদন
হে মুসলিম যুব সমাজ!
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন আমাদের উদ্দ্যেশে বলেছেন, তোমাদের কি হয়েছে তোমরা কেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ছো না? অথচ নির্যাতিত মা ও বোনেরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলতেছে, হে আল্লাহ আমাদেরকে এ যালেমদের হাত থেকে রক্ষা করো অথবা আমাদের জন্য এমন সাহায্যকারী পাঠাও যারা আমাদেরকে রক্ষা করবে। (সুরা নেসা-আল কোরআন)
হে আমার ভাইয়েরা,
আমাদের মা ও বোনেরা আজ ইরাক, আফগানিস্তান, মায়ানমার, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বসনিয়া, চেচনিয়াসহ সারা পৃথিবীর দিকে দিকে আজ তাদের আত্মচিৎকার শোনা যাচ্ছে তোমরা কি তাদের উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা নেবে না? আজ তোমাদের ইরাকের আবু গারিব কারগারের বন্দী মার্কিন কুত্তাদের হাতে নির্যাতিত এক বোনের চিঠি তোমাদেরকে পড়াব। আবু গারীব কারাগার থেকে প্রকাশিত নির্যাতিত বোন ফাতেমার চিঠি-
'পরম করুনাময় আল্লাহ তা’য়ালার নামে, (হে মুহাম্মদ) তুমি বলো, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কারোই মুখাপেী নন। তাঁর থেকে কেউ জন্ম নেয়নি, আর তিনিও কারো থেকে জন্ম গ্রহন করেননি। আর তাঁর সমতুল্য দ্বিতীয় কেউই নেই।' (সুরা-১১২, আল এখলাস, আল কোরআন)
আমি আল্লাহ তা’য়ালার গ্রন্থ হতে এই পবিত্র সূরাটি উল্লেখ করছি কারণ এর দারুন প্রভাব পড়েছে আমার উপর এবং আপনাদের সবার উপরেও যা বিশ্বাসীদের হৃদয়ে এক প্রকার ভয় ও শ্রদ্ধা মিশ্রিত বোধের জন্ম দেবে।
আমার ভাই মুজাহিদীন আল্লাহর পথে আছে। আপনাদের আমি কি বলবো? তবু বলছি, আমাদের জরায়ু বানর ও শুকর জাতীয় লম্পটদের সন্তানে ভর্তি হয়ে আছে। যারা আমাদের বলাৎকার করেছে। অথবা (আমি) আপনাদের বলতে পারি যে, তারা আমাদের দেহকে বিকৃত করেছে। আমাদের মুখমন্ডলকে ঝলসে দিয়েছে এবং আমাদের ঘাড়ে ঝোলানো কোরআনের ছোট্ট কপিটি অযথা ছিঁড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে। আল্লাহ অতি মহান, আপনারা কি আমাদের পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারছেন না ? এটা সত্য,আপনারা জানেন না আমাদের সাথে কি ঘটেছে ? আমরা আপনাদের বোন। আল্লাহ হিসাব নিকাশের সময় ভবিষ্যতে এ সম্পর্কে আপনাদের জিজ্ঞেস করবে।
আল্লাহর কসম কারাগারে আসা পর্যন্ত আমাদের এমন কোন রাত কাটেনি যে রাতে বানর ও শুকর জাতীয় অমানুষরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। তারা তাদের পূর্ণ স্বাদ মিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া অবধি আমাদের দেহকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে থাকে।
আমরা তারাই, যারা আল্লাহর ভয়ে আমাদের কুমারিত্বকে সব সময় পাহারা দিয়ে রেখেছিলাম। আল্লাহকে ভয় করুন। আমাদের মেরে ফেলুন। আমাদের ধ্বংস করে দিন। তাদের আনন্দ উপকরণ হিসাবে ধর্ষণ করার জন্য আমাদের রেখে যাবেন না। এভাবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর মহাকৃতিত্বকে মর্যাদাসম্পন্ন করা হবে। আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন। তাদের কামান ও উড়োজাহাজগুলোকে বাইরে রেখে আসুন। আবু গারীব কারাগারে আমাদের কাছে আসুন। আমি আপনাদের ধর্ম বোন। তারা আমায় একদিন নয়বারেরও বেশী ধর্ষন করেছে। আপনারা কি অনুধাবন করতে পারছেন? চিন্তা করুন, আপনাদের একজন বোন ধর্ষিত হচ্ছে।
আপনারা কেন ভাবতে পারেন না যে, আমি আপনাদের বোন। আমার সাথে আরো ১৩ জন মেয়ে আছে। তারা আমাদের পোষাকগুলো নিয়ে নিয়েছে। আমাদের কাপড় পড়তে দেয় না। আমাদের মধ্যের একজন মেয়ে আত্মহত্যার প্রতিজ্ঞা করেছে। তাই আমি এই চিঠিটি লিখছি। সে নৃশংসভাবে ধর্ষিত হয়েছে।একজন সৈনিক তাকে ধর্ষনের পর তার বুক ও উরুতে আঘাত করেছে। সে অবিশ্বাস্য অত্যাচারের দ্বারা তাকে ভোগ করেছে। মেয়েটি তার মাথা জেলের দেয়ালের সাথে আঘাত করতে লাগলো, যতন না তার মৃত্যু হয়। মেয়েটি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। যদিও ইসলামে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি মেয়েটিকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আশা করছি, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। কারণ আল্লাহ সবার প্রতি অসীম দয়ালু। ভাই,আপনাদের আবারও বলছি, আল্লাহকে ভয় করুন।আমাদের মেরে ফেলুন, তাহলেই আমরা হয়তো শান্তি পাবো। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন। সাহায্য করুন।”
হে প্রিয় ভাইয়েরা,
এ চিঠিটা পড়ার সময় কি তোমাদের চোখে কান্না আসছে না? তোমাদের চিন্তা জগতে কি তোলপাড় চলছে না? তোমাদের মা বোনদের সেই আত্মচিৎকার তোমাদের কানে আসছে না? তাদের সাহায্যের ডাকে কি তোমরা সাড়া দেবে না?
হে আমার প্রানের প্রিয় ভাইয়েরা,
এমনই এক বোনের চিঠির আহবানে সাড়া দিয়ে মুহাম্মদ বিন কাসেম জয় করেছিল সিন্ধু, আসুন না তার আহবানে সাড়া দিয়ে সামরাজ্যবাদকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দেই। মুক্ত করি মুসলিম বিশ্বকে।
হে আমার দ্বীনি ভাইয়েরা,
পৃথিবীর বুক থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য খ্রিস্টীয় ইউরোপীয় সমাজ ১০৯৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩০০ সালের শেষ পর্যন্ত প্রায় তিনশত বছর ক্রুসেড় যুদ্ধ চালিয়েছিল। মুসলিম বিশ্বের সেই দুঃসময়ে শুধু মাত্র একজন সালাউদ্দীন আয়ুবী সারা ইউরোপ জগত এবং অভ্যন্তরীণ মোনাফেকবাজ শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে মুসলিম বিশ্বকে সাময়িক রক্ষা করেছিলেন। তাদের সেই ক্রুসেড় এখনো চলমান। সেই ক্রুসেডে শিকার হয়ে ইতিমধ্যে ইরাক, আফগানিস্তান ও লিবিয়া আমরা হারিয়েছি। বাকী মুসলিম দেশগুলো এখন মার্কিন সামরাজ্যবাদের সেবাদাসে পরিনত হয়েছে। মুসলিম বিশ্ব ধ্বংসের জন্য আজ সমগ্র মুসলিম বিশ্ব মোনাফেকে পরিনত হয়ে ইহুদী খ্রিস্টানদের দাসত্ব করে চলেছে। তাই আসুন সালাউদ্দীন মতো সকল মুনাফেক শাসকদের গর্দান উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন সামরাজ্যবাদের কবর রচনা করি।
হে মুহাম্মদ (সঃ) এর সৈনিকেরা,
বর্তমান পৃথিবীব্যাপী সভ্যতার সংঘাত নামে পৃথিবীর বুক থেকে ইসলাম নির্মূলের অভিযান চলছে। সমগ্র মুশরিক বিশ্ব আজ এক কাতারে দাড়িয়েছে ইসলাম নির্মূলের জন্য। সেই প্রেক্ষাপটে মুসলিম বিশ্ব আজ ঈমানের আলোকে কাতারবদ্ধ না হয়ে মুশরিক বিশ্বের সেবাদাসে পরিনত হয়েছে। তাই মুশরিক বিশ্ব পৃথিবীর এক একটি মুসলিম দেশকে আজ গিলে ফেলতে বসেছে। তাই হে রাসুলের সৈনিকেরা মুশরিক বিশ্বের সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকে উপড়ে ফেলে মুসলিম বিশ্বে তোমাদের নেতৃত্বেই জিহাদী অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
হে ঈমানী ভাইয়েরা,
ইহুদী, খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ থেকে শুরু করে সকল মুশরিক ধর্মাবল্ববী আজ একযোগে মুসলিম ও মুসলিম বিশ্বের উপর হামলে পড়েছে। এসব শয়তানি শক্তির মোকাবেলায় মুসলিম বিশ্ব বহুধাবিভক্ত। খেলাফতের আরব বিশ্ব আজ সামরাজ্যবাদের সেবাদাসে পরিনত হয়েছে। তারাই আরব বিশ্বের এক একটি দেশকে সামরাজ্যবাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তৈল ও প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠনের জন্য এসব সামরাজ্যবাদী গোষ্ঠী আজ পৃথিবীর দেশে দেশে মানবতা ও মানবাধিকার ভূলুন্ঠিত করছে। আরাকান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন,বসনিয়া ও চেচনিয়া ট্যাজেডি এরাই সৃষ্টি করেছে তাদের স্বার্থের জন্য। মুসলিম বিশ্বের লুন্ঠিত সম্পদ দিয়ে আজ সামরাজ্যবাদী বিশ্ব নিজেদের পৃথিবীর মোড়ল সাজিয়েছে। আসুন ঈমানের জজবা নিয়ে তাদের পতন তরান্বিত করি।
হে মুসলিম বিশ্বের অহংকারে প্রতিক,
মুসলিম বিশ্বের এ চরম সংকটময় মুহুর্তে, অস্তিত্ব সংকটের এ দুঃসময়ে তোমাদেরকেই সালাউদ্দীন আয়ূবী, নুরউদ্দীন জঙ্গী হয়ে মুসলিম বিশ্বকে রক্ষা করতে হবে।
হে আমার প্রানের বন্ধুরা.
গাজী সালাউদ্দীন আইয়ুবী ছিলেন অসামান্য এক সেনানায়ক। তার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে তার ঘোড়ার পিঠে, পাহাড়ে আর মরুভূমিতে, যুদ্ধের ময়দানে। আজ থেকেহাজার বছর আগে বিশ্বব্যাপী যে রক্তক্ষয়ী ক্রুসেড শুরু হয়েছিল সে ক্রুসেডের মোকাবেলায় করেছিলেন তিনি। বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও কুশলী সমরনায়ক হিসাবে তার খ্যাতি চড়িয়ে পড়েছিলো বিশ্বজুড়ে। শক্রু-মিত্র নির্বিশেষে মানুষের জন্য তার দরদ ও মহানুভবতা ছিল কিংবদন্তীতুল্য। কেবল সশস্ত্র সংঘাত নয় কুটকৌশল ও সাংস্কৃতিক সে যুদ্ধ ছিল সর্বপ্লাবী। ইসলামকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার চক্রান্তে মেতে উঠেছিলো খ্রিস্টানেরা। একে একে লোমহর্ষক সংঘাত ও সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে বেছে নিয়েছিলো ষড়যন্ত্রের পথ। মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে দিয়েছিল গুপ্তচর বাহিনী। বেহায়াপনা ও চরিক্র হননের ঝর বইয়ে দিয়েছিলো মুসলিম দেশগুলোর সর্বত্র। একদিকে সশস্ত্র লড়াই, অন্যদিকে কুটিল সাংস্কৃতিক হামলা এ দুয়ের মোকাবেলায় রুখে দাড়িয়েছিল সালাউদ্দীন আইয়ুবী। তিনি মোকাবেলা করেছিলেন এমনসব অবিশ্বাস্য ও শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার যা মানুষের কল্পনাকেও হার মানায়। আজ সালাউদ্দীন আইয়ুবী নেই, কিন্তু আমরা সালাউদ্দীনের ছোট্ট ভাইয়েরা তো আছি। আসুন না সেই আইয়ুবীর আমরাও রুখে দাড়ায়। আমরা সাহস করে নামলে মহান আল্লাহ আমাদের সহযোগী হবেন ইনশাল্লাহ।
হে যুবকেরা,
সভ্যতার এ যুগে এসে আজ চর্তুদিকে যুব অবক্ষয়ের এক ভয়াবহ মহামারী বিরাজমান। অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন, পর্ণোসামগ্রী ব্যাপক বিস্তার, স্যাটেলাইট আগ্রাসন, মাদকের নীল থাবা, ইহুদী খ্রিস্টান সামরাজ্যবাদী চক্রের ভয়াবহ চক্রুান্ত , মদ ও নারীর বিষাক্ততায় পড়ে মুসলিম বিশ্বের অহংকারের প্রতিক যুব সম্প্রদায় আজ নিজেদের পরিচয় ভূলে ঘুমিয়ে আছে। যুব সম্প্রদায়কে এভাবে ঘুমিয়ে রেখে সা¤্রাজ্যবাদী চক্র দেশে দেশে আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ সমূহ দখল নিচ্ছে। আর সেখানে মুসলিম যুবকদের উপর গনহত্যা চালানো, লুন্ঠনসহ মুসলিম মা বোনদের উপরও চালানো হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন। এমনই এক নির্যাতিত বোনের চিঠি আপনাদের পড়ালাম। তাই আজ মা বোনদের এ আত্মচিৎকারে সাড়া দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠুন আর লড়াই করে মুসলিম মা বোনদের হায়নার কবল থেকে উদ্ধার করুণ। ইহুদী খ্রিস্টানদের সব ষড়যন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে শান্তি সুখের ইসলামের পৃথিবী বির্নিমান করুন। সমগ্র মুসলিম বিশ্ব আমাদের সাথে থাকবে ইনশাল্লাহ।
হে বীরত্বের প্রতিক,
আমার মা ও বোন যদি এভাবে নির্যাতনের শিকার হতো তাহলে কি আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম? আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও কি আমরা তাদেরর রক্ষা করতাম। কারণ তারা আমাদের মা ও বোন বলে। হাদীস শরীফে রাসুল সঃ বলেছেন, সমগ্র মুসলিম জাতি এক শরীরের মতো, শরীরের কোন জায়গায় ব্যাথা লাগলে যেমন তা সব খানে অনুভূত হয় ঠিক তেমনি মুসলিম জাতির কোন কিছু হলে সমগ্র মুসলিমের কষ্ট লাগে। তাহলে আজকের ইরাকে, আফগানিস্তানে, আরাকানে, ফিলিস্তিনেসহ পৃথিবীর দিকে নির্যাতিত মা বোন ও ভাইদের আত্ম চিৎকারে আমরা কেন সাড়া দিচ্ছি না? আমরা কেন নিরবে শুধু শোনেই যাচ্ছি? তারাও তো আমাদের মা বোন ভাই, তাদের রক্ষার জন্য আমাদেরকে যদি প্রানও দিতে তাহলেও আমরা পিছপা হবো না। আমাদের জীবনের বিমিময়ে আমরা তাদেরর রক্ষা করবো ইনশাল্লাহ। এটাই হোক মুসলিম বিশ্বের সকল যুব সমাজের একান্ত অঙ্গীকার।
হে আল্লাহর বান্দারা,
বোন ফাতেমার চিঠিটা প্রকাশিত হওয়ার পর আনুমানিক রাত ১২টা ২৫ মিনিট, ডিসেম্বর ২১, ২০০৪, শনিবার, মুজাহিদীন যোদ্ধারা দণি বাগদাদের আবু গারীব কারাগারে হঠাৎ করে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। প্রায় একশত মুজাহিদীন কারাগারে মারাত্মক হামলা চালায়। প্রচন্ড গোলাবর্ষনের দ্বারা আমেরিকান সেনাদের কম্পাউন্ডের ভেতরে অবরোধ করে রাখে। মুজাহিদীনরা ৮২ মিলিমিটার এবং ১২০ মিলিমিটার গোলাকার কামান দ্বারা আমেরিকানদের অনবরত গুলিবর্ষণ করতে থাকে। বাইরে বিশাল জনতার সমাবেশ হয়। হামলাটি সংঘটিত হয়েছিল ফাতেমা নামের একজন মহিলা কয়েদির একটি চিঠির জন্য, যা মুসলিম যোদ্ধাদের মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ফাতেমার চিঠির একটি হাতে লেখা দলীল সমপ্রতি আবু গারীব কারাগার হতে গোপনে উদ্ধার করা হয়েছে। ফাতেমা ঐ এলাকার একজন খ্যাতিমান মুজাহিদের বোন। আমেরিকান সৈন্যরা কিছুদিন পুর্বে ঐ মুজাহিদের বাড়িতে হঠাৎ হামলা চালায়। কিন্তু তাকে পায় না। তাই তারা মুজাহিদের বোনকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় যেন ঐ মুজাহিদ নিজ থেকে ধরা দেয়।
প্রিয় ভাইয়েরা,
সবশেষে আপনাদের ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর খালেদ বিন ওয়ালিদের একটি কথা স্বরণ করে দিতে চাই, তিনি মৃত্যু শর্যায় শায়িত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেছিলেন, সহকর্মীরা তার কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি মৃত্যুর ভয়ে কান্না করছি না, আমাকে এভাবে বিছানায় পড়ে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে বলে কান্না করতেছি। কারণ ইসলাম ও কুফরের সবচেয়ে বড় বড় যুদ্ধে আমি সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেছি, আমার সামনে আমার অসংখ্যা সহকর্মী সাহাদাতের মৃত্যুবরণ করেছে কিন্তু আমার শাহাদাতের মৃত্যু নসিব হয় নাই। তাই আমি বিশ্বের মুসলিম যুব সমাজের উদ্দ্যেশ্য বলতে চাই যারা নাকি মৃত্যুর ভয়ে জিহাদে বা যুদ্ধের ময়দানে যেতে চায়না, তাদের বলতে চায়, হে যুবক ভাইয়েরা আমি পৃথিবীর বড় বড় যুদ্ধে সেনাপতি ছিলাম কিন্তু আমার ভাগ্যে শাহাদাতের মৃত্যু নসিব হয় নাই তাই যুদ্ধে বা জিহাদের ময়দানে গেলে কারো মৃত্যু হয় না, তা যদি হতো তাহলে আমিই প্রথম যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করতাম।
আসুন মুসলিম বিশ্বের সকল যুব সমাজ একত্রিত হয়ে সারা পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদকে খতম করে করে দেয়ার জন্য ঝাপিয়ে পড়ি। তাহলে ইনশাল্লাহ তার পালানোর পথ পাবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জরিপে মার্কিন পতনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে আমরা তাদের পতনকে আরো তরান্বিত করি।
ইরাকের এই বোনের চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে মুসলমানদের বিজয় অতি সন্নিকটে।
আল্লাহ তুমি এই জালিমদের হাত থেকে মুসলিমদের জান মাল ও ঈমানকে রাক্ষা করো। তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করিছি, নিশ্চই তুমি সবচাইতে বড় সাহায্যকারী।
Comment