Tweet
Americans neither killed the “jew” Warren Weinstein nor the “atheist”Giovanni Lo Porto!
সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহর এবং প্রশংসা ও অনুগ্রহ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের শিক্ষক মুহাম্মদ এবং তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর এবং বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে এবং তাঁর সুন্নাহকে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি।
তথাকথিত সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচারণায় আমেরিকানদের হাতে না নিহত হয়েছে ওয়ারেন ওয়েনসটেঈণ না নিহত হয়েছে গীওভাণী লো পোর্ট। কিন্তু তারা ড্রোন এর মাধ্যমে নিশানা করে শহীদ করেছে আমাদের শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানিত চাচা আমেরিকান ইসহাক কে এবং সম্মানিত ভাই ইটালিয়ান মুহাম্মাদ কে। انّا للہ و اِنّا اِلیہ راجعون “নিঃসন্দেহ আমরা আল্লাহ্*র জন্যে, আর অবশ্যই আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।”
আল্লাহ আমাদের ভাইদের শহাদাতকে কবুল করুন। এবং আল্লাহ এই উম্মাহ এর মুজাহিদিনদেরকে আমেরিকান কাফেরদের থেকে তাদের আমেরিকান এবং ইটালিয়ান ভাইয়ের বদলা নিবার জন্য সাহায্য করুন। আমিন।
ইসহাক চাচা (Warren Weinstein) (আল্লাহ তার উপর রহম করুন)ঃ
• যথাযথভাবেই আমেরিকান কাফেরদের নিপীড়ন ও বর্বরতার বিরুদ্ধে এই ধার্মিক যুদ্ধকে বুঝছিল।
• অকথ্য পাশ্চাত্য সভ্যতার জায়গায় ইসলামের বিনয় ও দয়ার জাঁকজমকপূর্ণ স্বীকৃতিকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল।
• আমেরিকান কাফেরদের স্বার্থপর এবং পরিতোষ প্রেমী সমাজের পরিবর্তে মুজাহিদদের সমাজের সকরুণ কারবার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
• ইহুদিদের অজ্ঞতা বাদ দিয়ে ইসলামের মহিমামণ্ডিত দিয়ে তার হৃদয় ভরেছিল। এভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে সে শয়তানের বাহিনী বাদ দিয়ে আল্লাহর বাহিনীতে যোগদান করেছিল।
• মুজাহিদিনদের পরিচালনা পদ্ধতি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং শাহাদাত বরণকারী শেখ আনোয়ার আল আওলাকির (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) বক্তৃতা তাকে সত্য উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। ইসলামের প্রতি এই সুখী যাত্রা ইসহাক চাচা কোনো বলপ্রয়োগ বা প্রয়োগকারী ছাড়াই নিজে একা একাই সম্পন্ন করেছিল।
• নিপীড়িত মুসলিমদ উম্মাহর দুর্দশা অনুভূত করেছিলেন এবং ইসলামের উত্থানের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষী হয়েছিলেন।
একই ঘটনা ঘটেছিল ভাই মুহাম্মাদ (the italian) এর ক্ষেত্রে। ৭ মাস আগেও তিনি একজন নাস্তিক ছিলেন কিন্তু কুরআন পড়ার পরে তার অন্তরের অন্ধকার দূর হয়ে যায় এবং ঈমানের আলো দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নিশ্চয়ই, সে হচ্ছে আল্লাহ, যিনি সর্বশক্তিময়, যিনি পথভ্রষ্টকে পথ দেখান। ইসলামে ফিরে আসার পরে তার বন্দিকারি মুজাহিদ ইসহাক চাচা (Warren Weinstein) তার অভিভাবক হয়ে যায় এবং সে তাকে চাচা ডাকা শুরু করেন। সেই তার নাম ইসহাক পছন্দ করেছিল। চাচা ইসলামে এসেছিল ২০১৩ এ এবং তার প্রথম দিন থেকে এ সে জ্ঞান অর্জনের বরকতময় চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে যায়। তার প্রবীণতা ছাড়াও সে নিজেকে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে একজন পরিশ্রমী হিসেবে প্রমাণ করেছে। মারকাজ (মুজাহিদদের থাকার স্থান) এর মুজাহিদরা তাকে খুবই ভালবাসত এবং সম্মান করত। তার সাথে কথা বলা এবং তার দেখ-ভাল করাকে নিজেদের সৌভাগ্য মনে করত। নামাজ, রোযা রাখার ক্ষেত্রে তত্পরতা এবং আল্লাহর জিকির এবং নফল ইবাদাতের ক্ষেত্রে অধ্যবসায় ছিল চাচার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমেরিকান নিপীড়নের স্বীকার মুসলিম বোন আফিয়া সিদ্দিকিকে মুক্ত করা ছিল তার আন্তরিক ইচ্ছা। তার স্ত্রী এবং মেয়েকে দ্বীন ইসলামে ফিরিয়ে আনারও প্রবল ইচ্ছা ছিল তার।
২০১৫ এর জানুয়ারিতে যখন ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচা আমেরিকানদের ড্রনের আঘাতে শাহাদাত বরন করেন, একটা অসাধারন সুন্দর ঘ্রান আসছিল চাচার শরিল থেকে, যা চারপাশকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছিল। একটা আশ্চর্যজনক সুবাস চাচার শরীর থেকে বেরিয়ে পুরো স্থান টুকু ভরে ফেলছিল। মানুষ এই আধ্যাত্মিক ব্যপারটুকু উপলব্ধি করে, নিজের অজান্তেই কাঁদছিল।
আমরা মুজাহিদরা আমাদের প্রিয় চাচা এবং ভাইকে হারিয়ে খুবই শোকাহত কিন্তু একইসাথে আমাদের জন্য আনন্দের একটি ব্যাপার এই যে, আল্লাহই তাদেরকে মিথ্যা বিশ্বাসের সংকীর্ণতা থেকে বের করে
, তাদের ইসলামের সুবিশাল ছায়ায় নিয়ে এসেছেন, সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থতা থেকে তাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং
হতাশা থেকেও, এবং চিরস্থায়ী সাফল্য এবং সুখের সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে নিয়েছেন (আল্লাহর ইচ্ছায়)। আল্লাহর ইচ্ছা এই চিন্তাটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের যে, একদিন আল্লাহ আমাদের কে তাদের সাথে জান্নাতে একত্রিত করবেন ইনশাআল্লাহ্*।
মুসনাদে আহমেদের এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, আবু উমামা (রাঃ) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাসলেন, আমরা জিজ্জেস করলাম, “হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আপনি হাসলেন কেন? ” নবিজী বললেন, “আমি তাদের বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করি, যাদেরকে শৃঙ্খলে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।”
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবিজী বলেছেন “আল্লাহ তাদেরকে দেখে আশ্চর্য হয় যাদেরকে শিকল দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।” (বুখারি)
এই হাদীস এর বর্ণনাকারী থেকে জানা যায় এই হাদিসে তাদের কথা বলা হয়েছে যাদেরকে মুজাহিদরা বন্দী করবে এবং পরবর্তিতে তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার পর, তারাও ইসলামের ছায়াতলে চলে আসবে এবং পরে জান্নাহ এর যোগ্য হয়ে যাবে।
আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে, ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার ভাগ্য যেন উপরোক্ত হাদিসের মত হয়।
এই মুহূর্তে আমরা আমাদের ভাই মুজাম্মিল, শোয়াইব এবং আলি (আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন) সরণ করতে চাই। ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার রক্ষী ছিলেন তারা, যারা তাদের তাদের অন্তরের গভীর দিয়ে ভালবাসতেন। এই ভাইগুলো ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার আরামের জন্য সেবা করে গিয়েছেন। তাদেরকে ইসলামী জ্ঞান অর্জনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন এবং পরে তাদেরকে কুরআন শিখতে সাহায্য করেছে। এটা তাদের পারস্পরিক ভালবাসা এবং দোয়া ছিল যার জন্য আল্লাহ তাদেরকে ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার সাথে একসাথে জান্নাহতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালবাসা এবং বন্ধুত্বকে কবুল করুন এবং হাশরের দিন আল্লাহর সিংহাশনের নিচে আমাদেরকে একত্রিত করুন।
الْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ [٤٣:٦٧]
“বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।”
এখানে আমরা মুজাহিদরা এই ব্যাপারটি ঘোষণা করতে চাই যে, আমরা জানি যে, পাকিস্তানে আমেরিকান নেটওয়ার্ক যারা USAID নামে কাজ করছে এবং অন্যান্য আমেরিকান NGO গুলর কাজ হচ্ছে কুফর এবং ফাসাদ ছড়ান এবং তাদের জঘন্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকান এজেন্ট ছড়ানো। একইভাবে আমেরিকান যে এমবাসি আছে পাকিস্তানে, সেটা হল CIA এর এজেন্ট এবং তারা অন্যান্য সকল ব্যপারেই মিলিত।ইসহাক চাচা আমাদেরকে ইসলাম ধর্মে আসার পরে আমেরিকার এসব আজেবাজে কাজের কথা বিস্তারিতভাবে ফাঁস করে দিয়েছে এবং মুজাহিদদের বিভিন্ন ব্যপারে প্রয়োজনীয় দিক নিরদেশানা দিয়েছে। আল্লাহ আমাদের মহান চাচাকে তার মহান কাজের জন্য মহা প্রতিদান দিন। আমিন।
নিশ্চয়ই ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার ইসলাম গ্রহণের মধ্যে বুদ্ধির অধিকারীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। এক দিকে আমেরিকান কারাগারে মুসলিম বন্দী আছে, যাদের সাথে এ যাবতকালের নিষ্ঠুরতম আচরণ এবং অবিচার করা হায়েছে। গুয়ান্তামো, আবু গারিব এবং আমাদের বোন আফিয়া সিদ্দিকার সাথে যা করা হয়েছে তা এই আমারিকান সিস্টেমের আসল চেহারা প্রকাশ করে। আমেরিকান এবং তাদের দোসরদের জেল খানায় বন্দী মুসলিমরা জেল থেকে মুক্ত হবার পরই জিহাদের মাধে আসতে উদগ্রীব হয়ে যায় এমনকি তারা ফিদায়ি হামলা করার জন্যও তৈরি থাকে, তার অন্যতম উদাহরণ হল আবু দুজানা আল কুরায়শি (রহঃ)। অন্য দিকে ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচা এবং বোন মরিয়ম (Yvonne Ridley) এর কথা বলছি, যারা মুজাহিদিনদের হাতে বন্দী হয়ে ইসলামের এবং মুজাহিদিনদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তারা মূর্খ ধর্মগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পড়ে তারা সত্য দিনের পথে জীবন হিয়েছে। নিশ্চয়ই এটা হয়েছে ইসলামের সত্যবাদিতার জন্য এবং জিহাদের মহত্তের জন্য।
আমরা শহিদদের পরিবার-পরিজনদের এটা জানানো খুবই জরুরী মনে করি যে, আমেরিকানদের নেতৃত্বই হল আপনাদের দুঃখের প্রথম এবং একমাত্র কারন। এবং অত্যাচারি নীতি, যার উদ্দেশ্য হলঃ
• প্যালেস্টাইন থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সকল মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা,
• এবং ইসলামিক সমাজে দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলা এবং উত্তেজনা ছড়ান।
এই কারনেই, এই শয়তানের ছেলেরা একদিকে আমাদেরকে ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান থেকে বোম মারছে এবং অন্যদিকে তারা তাদের দালালদেরকে আমাদের দেশে পাধাচ্ছে “সাহায্য” এর নাম করে। কারাবন্দী থেকে শুরু করে তাদের শাহাদাতবরণ পর্যন্ত সবকিছুর জন্যই আপনাদের নেত্রিবিন্দরা দায়ী, যারা সত্যকে মিথ্যায় এবং মিথ্যাকে সত্যতে পরিণত করতে দারুন পটু। সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আপনাদের আত্মীয়কে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে এসেছেন এবং তার প্রিয়দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
আমরা ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচার পরিবার এবং বন্ধুদেরকে বলব, আপনারা ইসলাম সম্পর্কে জানুন এবং মুজাহিদিনদের আহ্বানকে উপলব্ধি করুন এবং জাহেলিয়াতের অন্ধকারকে ছেড়ে ইসলামের আলোতে আসুন, যাতে করে আপনার তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যারা যারা এই দুনিয়া এবং আখিরাতে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। এটাই ছিল তার পরিবারের জন্য ইসহাক চাচার বার্তা। শাহাদাতবরনকারীদের তাদের পরিবারের ভালবাসার জন্যই আমরা তাদের এই আত্ম-উপলব্ধি টুকু জানাচ্ছি। ইসহাক চাচার ইসলাম গ্রহন সম্পর্কে একটা ভিডিও ইনশাআল্লাহ্* আপনাদের কাছে আসবে। আল্লাহ ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচাকে তাদের পরিবারের জন্য ইসলাম গ্রহণের উছিলা করে দিক। আমিন।
وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین
সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহর এবং প্রশংসা ও অনুগ্রহ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের শিক্ষক মুহাম্মদ এবং তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর এবং বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে এবং তাঁর সুন্নাহকে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি।
তথাকথিত সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচারণায় আমেরিকানদের হাতে না নিহত হয়েছে ওয়ারেন ওয়েনসটেঈণ না নিহত হয়েছে গীওভাণী লো পোর্ট। কিন্তু তারা ড্রোন এর মাধ্যমে নিশানা করে শহীদ করেছে আমাদের শ্রদ্ধেয় এবং সম্মানিত চাচা আমেরিকান ইসহাক কে এবং সম্মানিত ভাই ইটালিয়ান মুহাম্মাদ কে। انّا للہ و اِنّا اِلیہ راجعون “নিঃসন্দেহ আমরা আল্লাহ্*র জন্যে, আর অবশ্যই আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।”
আল্লাহ আমাদের ভাইদের শহাদাতকে কবুল করুন। এবং আল্লাহ এই উম্মাহ এর মুজাহিদিনদেরকে আমেরিকান কাফেরদের থেকে তাদের আমেরিকান এবং ইটালিয়ান ভাইয়ের বদলা নিবার জন্য সাহায্য করুন। আমিন।
ইসহাক চাচা (Warren Weinstein) (আল্লাহ তার উপর রহম করুন)ঃ
• যথাযথভাবেই আমেরিকান কাফেরদের নিপীড়ন ও বর্বরতার বিরুদ্ধে এই ধার্মিক যুদ্ধকে বুঝছিল।
• অকথ্য পাশ্চাত্য সভ্যতার জায়গায় ইসলামের বিনয় ও দয়ার জাঁকজমকপূর্ণ স্বীকৃতিকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল।
• আমেরিকান কাফেরদের স্বার্থপর এবং পরিতোষ প্রেমী সমাজের পরিবর্তে মুজাহিদদের সমাজের সকরুণ কারবার পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
• ইহুদিদের অজ্ঞতা বাদ দিয়ে ইসলামের মহিমামণ্ডিত দিয়ে তার হৃদয় ভরেছিল। এভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের মাধ্যমে সে শয়তানের বাহিনী বাদ দিয়ে আল্লাহর বাহিনীতে যোগদান করেছিল।
• মুজাহিদিনদের পরিচালনা পদ্ধতি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং শাহাদাত বরণকারী শেখ আনোয়ার আল আওলাকির (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) বক্তৃতা তাকে সত্য উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। ইসলামের প্রতি এই সুখী যাত্রা ইসহাক চাচা কোনো বলপ্রয়োগ বা প্রয়োগকারী ছাড়াই নিজে একা একাই সম্পন্ন করেছিল।
• নিপীড়িত মুসলিমদ উম্মাহর দুর্দশা অনুভূত করেছিলেন এবং ইসলামের উত্থানের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষী হয়েছিলেন।
একই ঘটনা ঘটেছিল ভাই মুহাম্মাদ (the italian) এর ক্ষেত্রে। ৭ মাস আগেও তিনি একজন নাস্তিক ছিলেন কিন্তু কুরআন পড়ার পরে তার অন্তরের অন্ধকার দূর হয়ে যায় এবং ঈমানের আলো দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নিশ্চয়ই, সে হচ্ছে আল্লাহ, যিনি সর্বশক্তিময়, যিনি পথভ্রষ্টকে পথ দেখান। ইসলামে ফিরে আসার পরে তার বন্দিকারি মুজাহিদ ইসহাক চাচা (Warren Weinstein) তার অভিভাবক হয়ে যায় এবং সে তাকে চাচা ডাকা শুরু করেন। সেই তার নাম ইসহাক পছন্দ করেছিল। চাচা ইসলামে এসেছিল ২০১৩ এ এবং তার প্রথম দিন থেকে এ সে জ্ঞান অর্জনের বরকতময় চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে যায়। তার প্রবীণতা ছাড়াও সে নিজেকে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে একজন পরিশ্রমী হিসেবে প্রমাণ করেছে। মারকাজ (মুজাহিদদের থাকার স্থান) এর মুজাহিদরা তাকে খুবই ভালবাসত এবং সম্মান করত। তার সাথে কথা বলা এবং তার দেখ-ভাল করাকে নিজেদের সৌভাগ্য মনে করত। নামাজ, রোযা রাখার ক্ষেত্রে তত্পরতা এবং আল্লাহর জিকির এবং নফল ইবাদাতের ক্ষেত্রে অধ্যবসায় ছিল চাচার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমেরিকান নিপীড়নের স্বীকার মুসলিম বোন আফিয়া সিদ্দিকিকে মুক্ত করা ছিল তার আন্তরিক ইচ্ছা। তার স্ত্রী এবং মেয়েকে দ্বীন ইসলামে ফিরিয়ে আনারও প্রবল ইচ্ছা ছিল তার।
২০১৫ এর জানুয়ারিতে যখন ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচা আমেরিকানদের ড্রনের আঘাতে শাহাদাত বরন করেন, একটা অসাধারন সুন্দর ঘ্রান আসছিল চাচার শরিল থেকে, যা চারপাশকে মনোমুগ্ধকর করে তুলেছিল। একটা আশ্চর্যজনক সুবাস চাচার শরীর থেকে বেরিয়ে পুরো স্থান টুকু ভরে ফেলছিল। মানুষ এই আধ্যাত্মিক ব্যপারটুকু উপলব্ধি করে, নিজের অজান্তেই কাঁদছিল।
আমরা মুজাহিদরা আমাদের প্রিয় চাচা এবং ভাইকে হারিয়ে খুবই শোকাহত কিন্তু একইসাথে আমাদের জন্য আনন্দের একটি ব্যাপার এই যে, আল্লাহই তাদেরকে মিথ্যা বিশ্বাসের সংকীর্ণতা থেকে বের করে
, তাদের ইসলামের সুবিশাল ছায়ায় নিয়ে এসেছেন, সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থতা থেকে তাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং
হতাশা থেকেও, এবং চিরস্থায়ী সাফল্য এবং সুখের সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে নিয়েছেন (আল্লাহর ইচ্ছায়)। আল্লাহর ইচ্ছা এই চিন্তাটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের যে, একদিন আল্লাহ আমাদের কে তাদের সাথে জান্নাতে একত্রিত করবেন ইনশাআল্লাহ্*।
মুসনাদে আহমেদের এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, আবু উমামা (রাঃ) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাসলেন, আমরা জিজ্জেস করলাম, “হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আপনি হাসলেন কেন? ” নবিজী বললেন, “আমি তাদের বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করি, যাদেরকে শৃঙ্খলে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।”
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবিজী বলেছেন “আল্লাহ তাদেরকে দেখে আশ্চর্য হয় যাদেরকে শিকল দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।” (বুখারি)
এই হাদীস এর বর্ণনাকারী থেকে জানা যায় এই হাদিসে তাদের কথা বলা হয়েছে যাদেরকে মুজাহিদরা বন্দী করবে এবং পরবর্তিতে তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার পর, তারাও ইসলামের ছায়াতলে চলে আসবে এবং পরে জান্নাহ এর যোগ্য হয়ে যাবে।
আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যে, ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার ভাগ্য যেন উপরোক্ত হাদিসের মত হয়।
এই মুহূর্তে আমরা আমাদের ভাই মুজাম্মিল, শোয়াইব এবং আলি (আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন) সরণ করতে চাই। ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার রক্ষী ছিলেন তারা, যারা তাদের তাদের অন্তরের গভীর দিয়ে ভালবাসতেন। এই ভাইগুলো ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার আরামের জন্য সেবা করে গিয়েছেন। তাদেরকে ইসলামী জ্ঞান অর্জনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন এবং পরে তাদেরকে কুরআন শিখতে সাহায্য করেছে। এটা তাদের পারস্পরিক ভালবাসা এবং দোয়া ছিল যার জন্য আল্লাহ তাদেরকে ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার সাথে একসাথে জান্নাহতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালবাসা এবং বন্ধুত্বকে কবুল করুন এবং হাশরের দিন আল্লাহর সিংহাশনের নিচে আমাদেরকে একত্রিত করুন।
الْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ [٤٣:٦٧]
“বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।”
এখানে আমরা মুজাহিদরা এই ব্যাপারটি ঘোষণা করতে চাই যে, আমরা জানি যে, পাকিস্তানে আমেরিকান নেটওয়ার্ক যারা USAID নামে কাজ করছে এবং অন্যান্য আমেরিকান NGO গুলর কাজ হচ্ছে কুফর এবং ফাসাদ ছড়ান এবং তাদের জঘন্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকান এজেন্ট ছড়ানো। একইভাবে আমেরিকান যে এমবাসি আছে পাকিস্তানে, সেটা হল CIA এর এজেন্ট এবং তারা অন্যান্য সকল ব্যপারেই মিলিত।ইসহাক চাচা আমাদেরকে ইসলাম ধর্মে আসার পরে আমেরিকার এসব আজেবাজে কাজের কথা বিস্তারিতভাবে ফাঁস করে দিয়েছে এবং মুজাহিদদের বিভিন্ন ব্যপারে প্রয়োজনীয় দিক নিরদেশানা দিয়েছে। আল্লাহ আমাদের মহান চাচাকে তার মহান কাজের জন্য মহা প্রতিদান দিন। আমিন।
নিশ্চয়ই ভাই মুহাম্মাদ এবং ইসহাক চাচার ইসলাম গ্রহণের মধ্যে বুদ্ধির অধিকারীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। এক দিকে আমেরিকান কারাগারে মুসলিম বন্দী আছে, যাদের সাথে এ যাবতকালের নিষ্ঠুরতম আচরণ এবং অবিচার করা হায়েছে। গুয়ান্তামো, আবু গারিব এবং আমাদের বোন আফিয়া সিদ্দিকার সাথে যা করা হয়েছে তা এই আমারিকান সিস্টেমের আসল চেহারা প্রকাশ করে। আমেরিকান এবং তাদের দোসরদের জেল খানায় বন্দী মুসলিমরা জেল থেকে মুক্ত হবার পরই জিহাদের মাধে আসতে উদগ্রীব হয়ে যায় এমনকি তারা ফিদায়ি হামলা করার জন্যও তৈরি থাকে, তার অন্যতম উদাহরণ হল আবু দুজানা আল কুরায়শি (রহঃ)। অন্য দিকে ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচা এবং বোন মরিয়ম (Yvonne Ridley) এর কথা বলছি, যারা মুজাহিদিনদের হাতে বন্দী হয়ে ইসলামের এবং মুজাহিদিনদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। তারা মূর্খ ধর্মগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পড়ে তারা সত্য দিনের পথে জীবন হিয়েছে। নিশ্চয়ই এটা হয়েছে ইসলামের সত্যবাদিতার জন্য এবং জিহাদের মহত্তের জন্য।
আমরা শহিদদের পরিবার-পরিজনদের এটা জানানো খুবই জরুরী মনে করি যে, আমেরিকানদের নেতৃত্বই হল আপনাদের দুঃখের প্রথম এবং একমাত্র কারন। এবং অত্যাচারি নীতি, যার উদ্দেশ্য হলঃ
• প্যালেস্টাইন থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সকল মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা,
• এবং ইসলামিক সমাজে দুর্নীতি এবং বিশৃঙ্খলা এবং উত্তেজনা ছড়ান।
এই কারনেই, এই শয়তানের ছেলেরা একদিকে আমাদেরকে ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান থেকে বোম মারছে এবং অন্যদিকে তারা তাদের দালালদেরকে আমাদের দেশে পাধাচ্ছে “সাহায্য” এর নাম করে। কারাবন্দী থেকে শুরু করে তাদের শাহাদাতবরণ পর্যন্ত সবকিছুর জন্যই আপনাদের নেত্রিবিন্দরা দায়ী, যারা সত্যকে মিথ্যায় এবং মিথ্যাকে সত্যতে পরিণত করতে দারুন পটু। সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আপনাদের আত্মীয়কে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে এসেছেন এবং তার প্রিয়দের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
আমরা ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচার পরিবার এবং বন্ধুদেরকে বলব, আপনারা ইসলাম সম্পর্কে জানুন এবং মুজাহিদিনদের আহ্বানকে উপলব্ধি করুন এবং জাহেলিয়াতের অন্ধকারকে ছেড়ে ইসলামের আলোতে আসুন, যাতে করে আপনার তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যারা যারা এই দুনিয়া এবং আখিরাতে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পারবে। এটাই ছিল তার পরিবারের জন্য ইসহাক চাচার বার্তা। শাহাদাতবরনকারীদের তাদের পরিবারের ভালবাসার জন্যই আমরা তাদের এই আত্ম-উপলব্ধি টুকু জানাচ্ছি। ইসহাক চাচার ইসলাম গ্রহন সম্পর্কে একটা ভিডিও ইনশাআল্লাহ্* আপনাদের কাছে আসবে। আল্লাহ ভাই মুহাম্মাদ, ইসহাক চাচাকে তাদের পরিবারের জন্য ইসলাম গ্রহণের উছিলা করে দিক। আমিন।
وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین
Comment