আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআহর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন পৃথীবির বুকে
আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবী বা রাসূলের আগমন হবে না। তবে শেষ যুগে ঈসা আলাইহিস
সালামের আগমন হবে উম্মত হিসেবে; নবী হিসেবে নয়। কুরআন-সুন্নাহর হাজারো প্রমানের মাধ্যমে এ কথা স্পষ্ঠ যে তিনি আখেরি
নবী। আমার বিষয়বস্তু ভিন্ন হওয়ায় আমি দলিলের দিকে যাচ্ছি না।
এরপরও যুগে যুগে অনেকেই নবুওয়াতের মিথ্যা দাবি করেছেন। কেউ ক্ষমতার লোভে, কেউবা ঈর্ষায় এ ধরণের অঘটন ঘটিয়েছেন।
খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তিম মূহুর্তে বনু হানীফার সর্দার মিথ্যাবাদি মুসায়লামা নবী দাবি করে বসে। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে একটি চিটির মাধ্যমে এমন আচরণ থেকে নিষেধও করেছিলেন। কিন্তু সময় তাঁকে তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেয়নি।
রাসূলের ইন্তেকালের পরমূহুর্তে পাল্টে যায় পুরো আরবভূমি। একের পর এক ফিতনা মাথাছাড়া দিয়ে ওঠে। পুরো আরবভূমি
এক কঠিন বাস্তবতার মুখামুখি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফিতনা হচ্ছে মিথ্যা নবুওয়ত দাবিদারদের ফিতনা। এ ভন্ডরা ভন্ডামি
করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং একেকজন প্রচুর শক্তি-সামর্থ অর্জনের মধ্যদিয়ে বিরাট বিরাট বাহিনীও তৈরি করে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে। অপরদিকে তখন সাহাবায়ে কেরামের অবস্থা ছিল স্বামীহারা বধুর মতো। মামানবকে হারিয়ে তাঁরা হয়ে পড়েছেন অভিভাবকহীন।
পরবর্তি খলিফা কে হবে— এটি নিয়ে আনসার-মুহাজীরদের মধ্যে ছোটখাট এক গৃহযুদ্ধও সংঘঠিত হয়ে যায়। অবশেষে আল্লাহর
রহমতে সবার ঐক্যমতে আবু বকর রাযিয়াল্লাহু প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন। বাইয়াত পর্ব শেষ করে মাঠপর্যায়ে তিনি নিজেকে অনেক
বিপদের সম্মুখীন দেখতে পেলেন। একদিকে চিরশত্রু ইয়াহুদ-মুশরিকদের ষড়যন্ত্র, অপরদিকে চারিদিকে ইরতিদাদের সয়লাব। পরিস্থিতি
সামাল দিতে প্রবীন সাহাবাদের সাথে মিলিত হয়ে চলমান অবস্থা তুলে ধরে পরামর্শ চাইলেন। ভিন্নভিন্ন রায় সামনে আসলেও তিঁনি দেখলেন,
এ পরিস্তিতিতে নমনীয়তা অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই তিনি মুরতাদ দমনে অস্ত্র হাতে নিলেন। ঘোষনা দিলেন— 'জিহাদই
একমাত্র পথ'। কারণ তিনি জানতেন, ফিতনা দূরীভুত করার একমাত্র পথ হলো জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ। তাঁর সেদিনের এ ফয়সালা
চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় মুসাইলামা, তোলাইহা,আসওয়াদ সালমার সাজানো মসনদ। ফিতনা দূরীভুতকরণের একমাত্র পথ ক্বিতালের মধ্যদিয়ে
সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাটির সাথে মিশে যায় ভন্ডদের রাজত্ব।
কিন্তু আজ মুসলমানদের কী হলো, তারা আজ ভুলতে বসেছে সে শিক্ষা। আবু বকর রাযুয়াল্লাহু আনহু সব ফিতনার মোকাবেলা
জিহাদ দিয়ে করতে পারলে আমরা কেন পারবে না। আজ হাজারো ফিতনার ভীড়ে কাদিয়ানী ফিতনাও মুসলিমদের আক্রান্ত করছে।
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি, কাদিয়ানি ফিতনার একমাত্র ঔষধ হলো অস্ত্র। ভন্ড মুসাইলামা একটি ফিতনা, মুরতাদ আসওয়াদ
একটি ফিতনা, মুরতাদ কাদিয়ানীও একটি ফিতনা। মুসাইলামা আসওয়াদদের ফিতনা দমন করেছেন সাহাবারা জিহাদ দিয়ে। আর
আমরা কী করছি! তো কাদিয়ানী বাড়বে না কমবে? সুতারং এসো ইসলামকে সাহাবাদের মতো বুঝতে চেষ্টা করি।
আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তাঁর পরে আর কোনো নবী বা রাসূলের আগমন হবে না। তবে শেষ যুগে ঈসা আলাইহিস
সালামের আগমন হবে উম্মত হিসেবে; নবী হিসেবে নয়। কুরআন-সুন্নাহর হাজারো প্রমানের মাধ্যমে এ কথা স্পষ্ঠ যে তিনি আখেরি
নবী। আমার বিষয়বস্তু ভিন্ন হওয়ায় আমি দলিলের দিকে যাচ্ছি না।
এরপরও যুগে যুগে অনেকেই নবুওয়াতের মিথ্যা দাবি করেছেন। কেউ ক্ষমতার লোভে, কেউবা ঈর্ষায় এ ধরণের অঘটন ঘটিয়েছেন।
খোদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তিম মূহুর্তে বনু হানীফার সর্দার মিথ্যাবাদি মুসায়লামা নবী দাবি করে বসে। রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে একটি চিটির মাধ্যমে এমন আচরণ থেকে নিষেধও করেছিলেন। কিন্তু সময় তাঁকে তার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ দেয়নি।
রাসূলের ইন্তেকালের পরমূহুর্তে পাল্টে যায় পুরো আরবভূমি। একের পর এক ফিতনা মাথাছাড়া দিয়ে ওঠে। পুরো আরবভূমি
এক কঠিন বাস্তবতার মুখামুখি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ফিতনা হচ্ছে মিথ্যা নবুওয়ত দাবিদারদের ফিতনা। এ ভন্ডরা ভন্ডামি
করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং একেকজন প্রচুর শক্তি-সামর্থ অর্জনের মধ্যদিয়ে বিরাট বিরাট বাহিনীও তৈরি করে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে। অপরদিকে তখন সাহাবায়ে কেরামের অবস্থা ছিল স্বামীহারা বধুর মতো। মামানবকে হারিয়ে তাঁরা হয়ে পড়েছেন অভিভাবকহীন।
পরবর্তি খলিফা কে হবে— এটি নিয়ে আনসার-মুহাজীরদের মধ্যে ছোটখাট এক গৃহযুদ্ধও সংঘঠিত হয়ে যায়। অবশেষে আল্লাহর
রহমতে সবার ঐক্যমতে আবু বকর রাযিয়াল্লাহু প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন। বাইয়াত পর্ব শেষ করে মাঠপর্যায়ে তিনি নিজেকে অনেক
বিপদের সম্মুখীন দেখতে পেলেন। একদিকে চিরশত্রু ইয়াহুদ-মুশরিকদের ষড়যন্ত্র, অপরদিকে চারিদিকে ইরতিদাদের সয়লাব। পরিস্থিতি
সামাল দিতে প্রবীন সাহাবাদের সাথে মিলিত হয়ে চলমান অবস্থা তুলে ধরে পরামর্শ চাইলেন। ভিন্নভিন্ন রায় সামনে আসলেও তিঁনি দেখলেন,
এ পরিস্তিতিতে নমনীয়তা অনেক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই তিনি মুরতাদ দমনে অস্ত্র হাতে নিলেন। ঘোষনা দিলেন— 'জিহাদই
একমাত্র পথ'। কারণ তিনি জানতেন, ফিতনা দূরীভুত করার একমাত্র পথ হলো জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহ। তাঁর সেদিনের এ ফয়সালা
চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় মুসাইলামা, তোলাইহা,আসওয়াদ সালমার সাজানো মসনদ। ফিতনা দূরীভুতকরণের একমাত্র পথ ক্বিতালের মধ্যদিয়ে
সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাটির সাথে মিশে যায় ভন্ডদের রাজত্ব।
কিন্তু আজ মুসলমানদের কী হলো, তারা আজ ভুলতে বসেছে সে শিক্ষা। আবু বকর রাযুয়াল্লাহু আনহু সব ফিতনার মোকাবেলা
জিহাদ দিয়ে করতে পারলে আমরা কেন পারবে না। আজ হাজারো ফিতনার ভীড়ে কাদিয়ানী ফিতনাও মুসলিমদের আক্রান্ত করছে।
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি, কাদিয়ানি ফিতনার একমাত্র ঔষধ হলো অস্ত্র। ভন্ড মুসাইলামা একটি ফিতনা, মুরতাদ আসওয়াদ
একটি ফিতনা, মুরতাদ কাদিয়ানীও একটি ফিতনা। মুসাইলামা আসওয়াদদের ফিতনা দমন করেছেন সাহাবারা জিহাদ দিয়ে। আর
আমরা কী করছি! তো কাদিয়ানী বাড়বে না কমবে? সুতারং এসো ইসলামকে সাহাবাদের মতো বুঝতে চেষ্টা করি।
Comment