সম্প্রতি হংকং এ চলমান চীন বিরোধী বিক্ষোভ থেকে কাশ্মীরীদের অনেক কিছু শেখার আছে। শুধু কাশ্মীর বলে কথা নয় বরং বর্তমান বিশ্বে যে কোন সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রথমেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়; যেন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে না পারে এবং বিশ্ববাসীও পরিস্থিতি সম্পর্কে বেখবর থাকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হংকংয়ে গণবিক্ষোভকারীরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগে ‘ব্রিজফাই’ [bridgefy] নামের নতুন একটি অ্যাপ ব্যবহার করছে। অ্যাপটি কাজ করে তারহীন ব্লুটুথের মাধ্যমে। যোগাযোগের জন্য এতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না। ফলে চীনা কর্তৃপক্ষও সহজে নজরদারি করতে পারছে না।
অ্যাপটোপিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, গত দুই মাসে ব্রিজফাই নামানোর হার বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ।
চীনা রাষ্ট্রটি এসএমএস, ই-মেইল এবং বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ উইচ্যাট পর্যবেক্ষণ করে।
মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাজ করে ব্রিজফাই। অর্থাৎ যে যে স্মার্টফোনে অ্যাপটি আছে সেগুলো পরস্পরের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ফলে দুজন ব্যবহারকারী নিজেদের ব্লুটুথ সংযোগ সীমার বাইরে থাকলেও অন্য ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে বার্তা পৌঁছে দেয়। তবে ১০০ মিটার বা ৩৩০ ফুটের মধ্যে থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠান অ্যাপটি তৈরি করেছে। যেখানে ওয়াই-ফাই নেই কিংবা প্রচলিত নেটওয়ার্ক কাজ করে না, সেসব এলাকায় আগেও অ্যাপটি ব্যবহার করা হতো। আন্দোলনকারীদের জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি নয়।
প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা জর্জ রিওস হংকংয়ে হঠাৎ ব্যবহার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফোর্বস সাময়িকীকে বলেন, ইন্টারনেট সংযোগের ওপর নির্ভর না করে মানুষ নিজেদের সংগঠিত করতে ও নিরাপদ থাকতে অ্যাপটি ব্যবহার করছে।
ফায়ারচ্যাট নামের একই ধরনের আরেকটি অ্যাপ হংকংয়ে, তাইওয়ান, ইরান ও ইরাকে এর আগে আন্দোলনের সময় ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সারে ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড এমন অ্যাপ আদতে সরকারি নজরদারির বাইরে নয় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, যেকোনো পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের মাঝে বসে কোন যন্ত্র কোন যন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, সে সম্পর্কিত তথ্য (মেটাডেটা) দেখে বুঝে ফেলা সম্ভব, কারা কথোপকথন চালাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
অ্যাপটোপিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, গত দুই মাসে ব্রিজফাই নামানোর হার বেড়েছে ৪ হাজার শতাংশ।
চীনা রাষ্ট্রটি এসএমএস, ই-মেইল এবং বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ উইচ্যাট পর্যবেক্ষণ করে।
মেশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাজ করে ব্রিজফাই। অর্থাৎ যে যে স্মার্টফোনে অ্যাপটি আছে সেগুলো পরস্পরের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে। ফলে দুজন ব্যবহারকারী নিজেদের ব্লুটুথ সংযোগ সীমার বাইরে থাকলেও অন্য ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন ব্যবহার করে বার্তা পৌঁছে দেয়। তবে ১০০ মিটার বা ৩৩০ ফুটের মধ্যে থাকতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠান অ্যাপটি তৈরি করেছে। যেখানে ওয়াই-ফাই নেই কিংবা প্রচলিত নেটওয়ার্ক কাজ করে না, সেসব এলাকায় আগেও অ্যাপটি ব্যবহার করা হতো। আন্দোলনকারীদের জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি নয়।
প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা জর্জ রিওস হংকংয়ে হঠাৎ ব্যবহার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফোর্বস সাময়িকীকে বলেন, ইন্টারনেট সংযোগের ওপর নির্ভর না করে মানুষ নিজেদের সংগঠিত করতে ও নিরাপদ থাকতে অ্যাপটি ব্যবহার করছে।
ফায়ারচ্যাট নামের একই ধরনের আরেকটি অ্যাপ হংকংয়ে, তাইওয়ান, ইরান ও ইরাকে এর আগে আন্দোলনের সময় ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সারে ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যালান উডওয়ার্ড এমন অ্যাপ আদতে সরকারি নজরদারির বাইরে নয় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, যেকোনো পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের মাঝে বসে কোন যন্ত্র কোন যন্ত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, সে সম্পর্কিত তথ্য (মেটাডেটা) দেখে বুঝে ফেলা সম্ভব, কারা কথোপকথন চালাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
Comment