[COLOR="#FF0000"]কাশ্মীর*[/COLOR]
১৪৪১ হিজরী মহররম
১৪৪১ হিজরী মহররম
সেদিনের অনুভূতিটা কেমন হবে, যখন নরেন্দ্র মোদী তার প্রিয় দিদির কাছে কাশ্মীরের ব্যাপারে সরাসরি সাহায্য চাইবে, আর বাংলার সেনারা দু:খে চোখ মুছতে মুছতে বীরদর্পে নিরীহ কাশ্মিরী জনতার উপর অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কঁচুকাটা করতে থাকবে ! কেমন লাগবে সেদিন, যখন জাতীয় আলেমগণ মজলুমদের বিরুদ্ধে ফতোয়া প্রদান করে বীর পুরুষদেরকে উৎসাহিত করবে !*
হয়ত সেদিন তারা বাহুবলে বিজয় ছিনিয়ে আনবে। বজরংবলীর জয় হবে। চারিদিক বিজয়ধ্বণী,উলুধ্বনীতে মুখরিত হবে। ধর্ষনে জন্ম নেওয়া কাশ্মীরী সন্তানসম্ভাবা নারীর পেট কেটে বাচ্চা বের করে ফুটবল খেলা হবে, অথবা তাদের পুরুষদের মাথা কেটে ক্রিকেট খেলা হবে। আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করবে। দু-দেশের অগনিত দেশপ্রেমিক জনতা উচ্ছসিতভাবে সে উৎসবে মাতোয়ারা হবে। দলপতী মহেন্দর সিং ধনী আর মাশফরাফী বিন মর্তুজার মূর্তি নিয়ে নৃত্য-গীত সহকারে মিছিল হবে। বাজি পটকা ফুটবে। মজাই মজা !
--------------------------------------
প্রখ্যাত আলেম এ দ্বীন ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) এর কথা মনে পড়েগেল। শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে তাকে জেলে আটক করে রাখা হয়। সম্মানিত জেলার সাহেব তার সাথে দেখা করতে আসলেন, কারন তিনি ছিলেন সমসাময়িক কালে বিখ্যাত স্কলার। জেলার বললেন, আইনের হাতে আমার হাত বাধা, আমি অইনের সেবক। কিন্তু আমি নিশ্চিত জানি, যে বিষয়ের কারনে আপনাকে আটক করা হয়েছে ,সে বিষয়ে আপনি নির্দোষ এবং এক্ষেত্রে শাসকই জালিম। আচ্ছা আমি যে আপনাকে আটক রেখেছি, এ কারনে আখিরাতে আল্লাহ কি আমাকে জালিমের সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য করবেন ?*
স্মিত হাস্যে ইমান ইবনে তাইমিয়া(রহঃ) বললেন, না, মোটেও না, বরং আপনি নিজেই জালিম।
‘‘হে আল্লাহ আমাকে শহীদ করে সেই মিছিলে শামিল করে নিও। যেই মিছিলের নেতা আমীর হামযা, খোবায়েব খাব্বাব ছিলেন খোদার অতি প্রিয়।”
collected.
Comment