Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ মুক্তির পথ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ মুক্তির পথ

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পৌঁছার পর মক্কার কাফেরদের নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে হযরত আবুবাসির (রাঃ) মদীনায় চলে এলেন।
    কুরাইশ নেতারা সাথে সাথেই তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য লোক পাঠাল। চুক্তি মুতাবিক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুবাসির (রাঃ) কে ঐদুইজনের হাতে সোপর্দ করে দিলেন। আবুবাসিরকে বললেন আমি চুক্তির খেলাফ কাজ করতে পারি না, তাই তুমি এখন ফিরে যাও।

    হযরত আবুবাসির রাঃ বললেন হে অাল্লাহর রাসূল, আমাকে আপনি মুশরিকদের হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছেন? তারা আমাকে দ্বীন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করছে, নানা ধরনের অত্যাচার করে চলেছে।
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি তাকে বললেন, সবর করো, আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখো।
    নিশ্চয় তিনি তোমার রেহায়ের কোন ব্যবস্থা করে দিবেন।
    মক্কার লোক দুইজন আবুবাসির (রাঃ) কে নিয়ে মক্কার পথে রওয়ানা হল।

    যুলহুলাইফা নামক স্হানে পৌঁছার পর বিশ্রাম নিতে তারা থামল এবং সাথে থাকা খেজুর খেতে লাগল। হযরত আবুবাসির (রাঃ) তাদের একজনকে বললেন, তোমার তরবারিটা খুব ভাল মনে হচ্ছে। সে খাপ থেকে তরবারি বের করে বলল, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম খুব ভাল তরবারি।
    অনেকবার আমি এটা পরখ করে দেখেছি।
    হযরত আবুবাসির (রাঃ) বললেন, আমাকে একটু দেখতে দাও।
    লোকটি তার তরবারী হযরত আবুবাসিরের হাতে তুলে দিল। তিনি তরবারী হাতে নেওয়া মাত্র লোকটির উপর তরবারী চালিয়ে দিলেন। একবারের আক্রমণেই তার রফাদফা হয়েগেল। এ অবস্হা দেখে সাথের লোকটি উর্ধ্বশ্বাসে দৌঁড় দিল এবং এক দৌঁড়ে মদীনায় চলে এল।

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে জানালো, আমার সাথীতো মারা গেছে, আমিও মারা যাচ্ছি। আমার সাথীকে তো মেরে ফেলেছে, আমাকেও মেরে ফেলবে। এসময় হযরত আবু বাসীর রাযি. ও রাসূলের দরবারে এসে পৌঁছলেন। বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তাআলা আপনাকে অঙ্গীকার পূর্ণ করার তাওফীক দিয়েছেন, আপনি আমাকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখন আল্লাহ তায়ালা আমাকে তাদের হাত থেকে রেহাই দিয়েছেন। হে আল্লাহর রাসূল, আপনি জানেন আমি মক্কায় ফিরে গেলে তারা আমাকে দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে যেতে বল প্রয়োগ করবে। আমি যা কিছু করেছি, তা কেবল এ কারণেই করেছি। তাদের সাথে আমার তো কোন সন্ধি-চুক্তি নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এ তো দেখছি লড়াই বাধিয়ে ফেলবে, কেউ যদি তার সাথী হত”।
    হযরত আবু বাসীর রাযি. বুঝতে পারলেন, যদি আমি এখানে থাকি তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পুনরায় কাফেরদের হাতে তুলে দিবেন। তিনি মাদীনা হতে বের হয়ে সাগর পাড়ে গিয়ে অবস্থান নিলেন। এ এলাকা দিয়ে
    কুরাইশদের ব্যবসায়ী কাফেলা সামে আসা যাওয়া করত। মক্কাতে অসহায় নিরুপায় যে ক’জন মুসলমান ছিলেন, তারা যখন আবু বাসীরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারলেন, তারাও লুকিয়ে লুকিয়ে আবু বাসীর রাযি. এর নিকটে আসতে শুরু করলেন। সুহাইল ইবনে আমরের পুত্র আবু জান্দাল রাযি. ও এখানে এসে পড়লেন। এভাবে সত্তর জনের এক দল তৈরী হয়ে গেল। যখনই কুরাইশদের কোন ব্যবসায়ী কাফেলা এ এলাকায় আসতো, তারা সকলে মিলে তাতে আক্রমণ করতেন। তাতে যে গনীমত তাদের হাতে আসতো তারা তা দিয়ে দিন গুজরান করতেন।

    কুরাইশদল অপারগ হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বরাবরে এ প্রস্তাব পাঠাতে বাধ্য হল, আমরা আল্লাহর এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে বলছি- আপনি আবু বাসীর এবং তার সাথীদের মদীনায় ডেকে নিন।

    আমাদের এলাকা থেকে কেউ যদি মুসলমান হয়ে মদীনায় আপনার কাছে চলে যায়, তাহলে আমরা তার পিছু ধাওয়া করব না।
    রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বাসীরের নিকট একটি পত্র লিখে পাঠালেন। যখন হুযুরের এ পত্র হযরত আবু বাসীরের হাতে এসে পৌঁছল, তখন আবু বাসীর ছিলেন মৃত্যুপথযাত্রী। তথাপি আবু বাসীরকে নবিজীর চিঠিটি পড়তে দেয়া হলো। তিনি পড়তে লাগলেন, খুশিতে তার চেহারা উজ্জল হতে থাকল। চিঠিটি পড়ে শেষ করার সাথে সাথে এ মরজগত থেকে স্থায়ী বিদায় গ্রহণ করলেন। চিঠিটি তার বুকে পড়ে গেল।
    (আর রওযুল উনুফ : ২/২৩৩)

    অপর এক বর্ণনায় এসেছে চিঠিটি তখনো তাঁর হাতে ধরা থাকে।
    (ফাতহুল বারী)

    আবু জানদাল রাযি. আবু বাসীরের লাশ গোসল করিয়ে কাফন পড়িয়ে দেন। তাঁকে সেখানেই নামায পড়ে দাফন করেন। তারা তাঁর কবরের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর সকলকে সাথে নিয়ে আবু জানদাল রাযি. মদীনায় নবিজীর সকাশে এসে উপস্থিত হন।
    আবু বাসীর রাযি. তরবারির এক আঘাতে যে লোকটিকে পরপারে পাঠিয়ে দেন সে ছিল সোহাইল ইবনে আমরের সমগোত্রীয়। তাই যখন সে এই মৃত্যু সংবাদ শুনতে পেল, সে ভাবল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সে মৃত্যু বাবত রক্তমূল্য দাবী করবে।
    এ বিষয়টি জানতে পেরে আবু সুফিয়ান বললো, তুমি মুহাম্মাদের নিকট রক্তমূল্য দাবী করতে পারনা। কেননা মুহাম্মাদতো তার প্রতিশ্রুতি বহাল রেখেছে, সে অঙ্গীকার পূর্ণ করতে আবু বাসীরকে আমাদের পাঠানো লোকের হাতে তুলে দিয়েছে। আবু বাসীর আমাদের লোককে নিজের পক্ষ থেকে হত্যা করেছে, মুহাম্মাদের এ ব্যপারে কোন নির্দেশ ছিলনা। তুমি আবু বাসীরের বংশীয় ও গোত্রীয় লোকদের থেকেও এ হত্যার বিনিময় চাইতে পারবে না। কেননা আবু বাসীরতো তাদের ধর্মের অনুসারী নয়, সে ও তারা ভিন্ন দুই ধর্মের লোক। (ফাতহুল বারী, কিতাবুশ শুরুত)
    (সীরাতে মুস্তফা
    সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
    মাওলানা ইদ্রীস কান্ধলবী রহ. 2/415

    /////////////////?????????///////////////
    উক্ত ঘটনা হুদায়বিয়ার সন্ধির পর
    1)হুদায়বিয়ার সন্ধি
    এ সন্ধি চুক্তি পরই আল্লাহর পক্ষ হতে ফাতহ/বিজয়ের ঘোষণা এসেছে।

    2) চুক্তি মুতাবিক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুবাসির (রাঃ) কে ঐদুইজনের হাতে সোপর্দ করে দিলেন।
    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
    আবুবাসিরকে বললেন আমি চুক্তির খেলাফ কাজ করতে পারি না, তাই তুমি এখন ফিরে যাও।

    শিক্ষা :-
    ★ কোন মুসলমানের জন্য উচিত নয় অঙ্গিকার ভঙ্গ করা।

    3) হযরত আবুবাসির রাঃ বললেন হে অাল্লাহর রাসূল, আমাকে আপনি মুশরিকদের হাতে ফিরিয়ে দিচ্ছেন? তারা আমাকে দ্বীন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করছে, নানা ধরনের অত্যাচার করে চলেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, সবর করো, আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখো।
    নিশ্চয় তিনি তোমার রেহায়ের (মুক্তির) কোন ব্যবস্থা করে দিবেন।

    ★এর দ্বারা স্পষ্ট খলিফাতুল মুসলিমিন ও কোন কোন ক্ষেত্রে অক্ষম হতে পারে।

    *করণীয় *
    ★ঐসময় সে নিজের ঈমান হিফাজতের ফিকির নিজে করবে।
    আর আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখবে। ঐসময় সে অগ্রসর হলে আল্লাহর সাহায্য তার সহযোগী হবে।
    আল্লাহ তাআলার বাণী
    يا ايها الذين امنوا ان تنصروا الله ينصركم ويثبت اقدامكم (محمد/٧)

    4) লোকটি তার তরবারী হযরত আবুবাসিরের হাতে তুলে দিল। তিনি তরবারী হাতে নেওয়া মাত্র লোকটির উপর তরবারী চালিয়ে দিলেন। একবারের আক্রমণেই তার রফাদফা হয়েগেল।
    ★নিজেকে নিজে বাচানোর

    ★ এর দ্বারা একথা স্পষ্ট খলিফাতুল মুসলিমিন না থাকলে বা তিনি অক্ষম হলে সে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারবে।
    আল্লাহর বাণী
    فقاتل في سبيل الله لا تكلف الا نفسك وحرض المؤمنين ..(النساء/٨٢)
    কারন :- (1)দ্বীনের হিফাজত ফরজ।
    (2) ঈমানের হিফাজত ফরজ।
    (3) মানুষ মৃত্যুবরণ করলে শুধু ইহজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
    আর ঈমান হারা হলে ইহজগৎতো শেষ হবেই। পরজগৎও তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।

    5) উক্ত ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এসে জানালো, আমার সাথীতো মারা গেছে, আমিও মারা যাচ্ছি। আমার সাথীকে তো মেরে ফেলেছে, আমাকেও মেরে ফেলবে।

    6) আবুবাসির রাঃ বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তাআলা আপনাকে অঙ্গীকার পূর্ণ করার তাওফীক দিয়েছেন, আপনি আমাকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখন আল্লাহ তায়ালা আমাকে তাদের হাত থেকে রেহাই দিয়েছেন। হে আল্লাহর রাসূল, আপনি জানেন আমি মক্কায় ফিরে গেলে তারা আমাকে দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে যেতে বল প্রয়োগ করবে। আমি যা কিছু করেছি, তা কেবল এ কারণেই করেছি। তাদের সাথে আমার তো কোন সন্ধি-চুক্তি নেই।

    ★ যদি তার কাজটি খারাফ হত তাহলে সাথে সাথে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতেন।
    ★তাকে তিনি আটক করতেন /বন্দি করতেন।
    এর কোনটাই হয়নি।
    ★ তার ব্যপারে তাৎক্ষণিক যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। বরং এর কোনটিই হয়নি।
    ★ সমুদ্রের পাড় যখল তারা বসবাস করতে লাগল, ইচ্ছা করলে ঐখানে ও বাধাসৃষ্টি করতে পারতেন। তাও করেননি।
    ★ঐখানে তাদেরকে থাকতে দেওয়া এটাও তাদের ঈমান হিফাজতের জন্য সহযোগী

    ★ আমাদের জন্যও তাতে শিক্ষা রয়েছে। ঈমানের হিফাজতের জন্য প্রয়োজনে জঙ্গলে চলে যাও এরপরও ঈমান থেকে সরা যাবে না।
    ////

    7) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এ তো দেখছি লড়াই বাধিয়ে ফেলবে, কেউ যদি তার সাথী হত”।
    ★ কয়েকটি দিক হতে পারে
    ক) তার সাথে কেহ থাকলে লড়ায়ের পর্যায়ে চলেযেত।
    খ) "কেউ যদি তার সাথী হত" অর্থাৎ মক্কার কাফেরদের পক্ষ হতে কেউ আবার নিতে আসলে দিয়েদিতে হবে। যদি কেউ তার সহযোগী হত।

    8) হযরত আবু বাসীর রাযি. বুঝতে পারলেন, যদি আমি এখানে থাকি তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পুনরায় কাফেরদের হাতে তুলে দিবেন।
    ★কারন আমিরের দায়িত্ব অঙ্গিকার পূর্ণ করা।
    ★এজন্য তিনি খলিফাতুল মুসলিমিনের এলাকার বাহিরে চলে গেলেন।

    9) তিনি মাদীনা হতে বের হয়ে সাগর পাড়ে গিয়ে অবস্থান নিলেন।
    ★ আমাদের ও উচিৎ প্রয়োজনে ঈমানের হিফাজতের জন্য এলাকা ত্যাগ করে প্রয়োজনে বিভিন্নস্হানে আশ্রয় নিয়ে অর্থবল, জনবল, শক্তি তৈরির ফিকির করা।
    ★ বলতে পারেন (কেহ নেই শুধু আমি) একা কি করব?
    আল্লাহ তাআলা বলেন
    فقاتل في سبيل الله لا تكلف الا نفسك وحرض المؤمنين عسى الله ان يكف باس الذين كفروا والله اشد باسا واشد تنكيلا (النساء/٨٤)

    10) এ এলাকা দিয়ে কুরাইশদের ব্যবসায়ী কাফেলা সামে আসা যাওয়া করত। মক্কাতে অসহায় নিরুপায় যে ক’জন মুসলমান ছিলেন, তারা যখন আবু বাসীরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারলেন, তারাও লুকিয়ে লুকিয়ে আবু বাসীর রাযি. এর নিকটে আসতে শুরু করলেন। সুহাইল ইবনে আমরের পুত্র আবু জান্দাল রাযি. ও এখানে এসে পড়লেন।
    ★ আজ আপনিও আবুবাসির রাঃ মত কাজ করতে থাকুন ।
    আল্লাহ তাআলা অসহায় দূূর্বলদের আপনার দলের অন্তভুক্ত করেদিবেন।
    আপনার দলও বড় অার ভাড়ি হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    ★ বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে, এলাকায়, আশপাশ বিভিন্ন নামে ইউনিট তৈরী করতে পারেন। আল্লাহর সহায়তা পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
    আশপাশ থেকে আল্লাহ তাআলা তার বিভিন্ন বান্দাদেরকে আপনার সহযোগীতার জন্য পাঠিয়েদিবেন।
    ★ এর দ্বারা এটাও স্পষ্ট যে কাফের/মুশরিকদের জনবল, অর্থবল যেভাবে দূর্বল হয় এদিকগুলো গ্রহণ করা।
    নিজেদের জনবল, অর্থবলের ফিকির করা।
    আল্লাহ তাআলার বাণী দ্বারাও এটা স্পষ্ট হয়ে যায়
    واعدوا لهم ما استطعتم من قوة ومن رباط الخيل ترهبون به عدو الله وعدوكم واخرين من دونهم لا تعلمونهم الله يعلمهم وما تنفقوا من شيء في سبيل الله يوف اليكم وانتم لا تظلمون
    11) এভাবে সত্তর জনের এক দল তৈরী হয়ে গেল। যখনই কুরাইরশদের কোন ব্যবসায়ী কাফেলা এ এলাকায় আসতো, তারা সকলে মিলে তাতে আক্রমণ করত। তাতে যে গনীমত তাদের হাতে আসতো তারা তা দিয়ে দিন গুজরান করত।

    ★ তিনি একা কাজ শুরু করেছেন।
    আর আল্লাহ তাআলা বাহিনি তৈরী করে তার দ্বারা দ্বীনের কাজ নিলেন।
    আপনিও শুরু করুন আপনার দ্বারা আল্লাহ তাআলা গ্রুপও তৈরী করেদিবেন। আর কাজও নিবেন।

    ফুতুহাত

    12) কুরাইশদল অপারগ হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বরাবরে এ প্রস্তাব পাঠাতে বাধ্য হল, আমরা আল্লাহর এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে বলছি- আপনি আবু বাসীর এবং তার সাথীদের মদীনায় ডেকে নিন।

    শিক্ষা
    ★ তালেবানরা আমেরিকার দৃষ্টিতে শুরুতে জঙ্গি ছিল। কিন্ত পরবর্তিতে অর্থাৎ বর্তমানে ঐ আমেরিকাই জঙ্গির খাতা হতে তাদের নাম মুছে দিয়েছে।
    কারন : একটি প্রবাদবাক্য আছে "ঠেলার নাম বাবাজী"
    তালেবানরা মারতেছে আর এরা মাইর খাইতেছে। মাইর খাইয়া এখন জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটে।
    বাহ! কতইনা নাম কাটার সুন্দর সিস্টেম/পদ্ধতি।
    আপনিও কাজ করতে থাকুন । সময়মত আপনারও নাম হয়ত তারা তাদের জঙ্গির খাতা হতে কেটে ফেলবে।

    13) আমাদের এলাকা থেকে কেউ যদি মুসলমান হয়ে মদীনায় আপনার কাছে চলে যায়, তাহলে আমরা তার পিছু ধাওয়া করব না।
    বাহ! কতইনা চমৎকার বন্দুত্ব এতদিন তা ছিল কোথায়?

    (14)
    ★ রক্তমূল্য দাবি করতে পারবে কি না?

    আবু বাসীর রাযি. তরবারির এক আঘাতে যে লোকটিকে পরপারে পাঠিয়ে দেন সে ছিল সোহাইল ইবনে আমরের সমগোত্রীয়। তাই যখন সে এই মৃত্যু সংবাদ শুনতে পেল, সে ভাবল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সে মৃত্যু বাবত রক্তমূল্য দাবী করবে।

    এ বিষয়টি জানতে পেরে আবু সুফিয়ান বললো, তুমি মুহাম্মাদের নিকট রক্তমূল্য দাবী করতে পারনা। কেননা মুহাম্মাদতো তার প্রতিশ্রুতি বহাল রেখেছে, সে অঙ্গীকার পূর্ণ করতে আবু বাসীরকে আমাদের পাঠানো লোকের হাতে তুলে দিয়েছে। আবু বাসীর আমাদের লোককে নিজের পক্ষ থেকে হত্যা করেছে, মুহাম্মাদের এ ব্যপারে কোন নির্দেশ ছিলনা।

    ★আবু সুফিয়ান বুঝতে পেরেছে । একারনে রক্তের মূল্য চাওয়া হতে বাধা দিয়েছে।
    ★ কিন্ত বর্তমানে অনেক আলেম না বুঝে/অথবা বুঝেও না বুঝার ভান ধরে তাদের কথার সাথে তালমিলিয়ে/তাদের সুরে সুর বাজিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবুধ করে না।

    (15)
    আবু সুফিয়ান আরো বলল
    তুমি আবু বাসীরের বংশীয় ও গোত্রীয় লোকদের থেকেও এ হত্যার বিনিময় চাইতে পারবে না। কেননা আবু বাসীরতো তাদের ধর্মের অনুসারী নয়, সে ও তারা ভিন্ন দুই ধর্মের লোক। (ফাতহুল বারী, কিতাবুশ শুরুত)

    ///?/??////?/??///??/??/??/////

    জঙ্গির পরিবর্তে বন্দুত্ব

    তালেবান ও আমেরিকার মাঝে শান্তির আলোচনা
    *********

    (1) চুক্তির জন্য আমেরিকা শর্ত দেয় বিদেশীদের সরিয়ে দিতে হবে , তালেবান আলোচক ভাবলেশহীনভাবে উপস্থাপকের দিকে তাকিয়ে সাথেসাথেই বলেদেন যে না আমরা আমাদের নিরাপত্তায় থাকা কাউকে তাড়িয়ে দেবনা। সব আলোচক থতমত খেয়ে যায় ,

    (2) অবশেষে জিজ্ঞেস করে আমেরিকা সৈন্য সরিয়ে নিলে তালেবানরা কোন নিয়মে দেশ শাসন করবে ?
    তালেবান আলোচক বোকামি প্রশ্নের সম্মুখিন হওয়ার ভাব নিয়ে বলেন আমাদের দেশ আমরা যেভাবে ভালোমনে করি শাসন করবো ।
    আপনাদেরকে বলতে হবে কেন?*

    (3) আমেরিকান আলোচকঃ আচ্ছা চুক্তি হয়ে গেলে আমরা আপনাদের বন্ধু হয়ে যাব, তাহলে আমাদের কে আপনাদের এখানে একটি সেনা ঘাটি রাখার অনুমতি দিন আমরা এরবিনিময়ে পয়সা দেব।*
    তালেবান প্রতিনিধি আমরা বন্ধুদের থেকে পয়সা নেইনা তবে আমরাও আমেরিকায় একটি সেনা ঘাটি করবো।



    ★আজো অনেক মুসলমান 9/11 হামলাকে মুজাহিদদের হামলা (কাজ) বিশ্বাস করতে রাজি না।
    কারন দুইটি
    1) দুনিয়ার মহব্বত حب الدنيا
    2) মৃত্যুর ভয়. وكراهية الموت

    অথচ মুজাহিদিনে কিরাম কাজও করতেছে দাবিও করতেছে। চিন্তা-ফিকির , ভয়ভীতি কিছুই নেই।
    কারন তারাতো আল্লাহর ওলি
    আল্লাহর বাণী

    الا ان اولياء الله لا خوف عليهم ولا هم يحزنون (يونس/٦٢)

    শাইখ*খালিদ শেইখ মুহাম্মাদ

    ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ৯/১১ অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী

    আর আমরা মুসলিম দাবিদাররা তা মানতে পারছি না। বরংচ কিছু কিছু অস্বিকার করি। এরই মাঝে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার বিরোধিতাও করি।

  • #2
    ইমান জাগানিয়া পোষ্ট।

    এই পোষ্টে ইমান জাগানিয়া অনেক বিষয় রয়েছে।

    Comment

    Working...
    X